শিশুর ত্বক ফর্সা করার উপায়


শিশুর ত্বক ফর্সা করার উপায় জেনে নিন আজকের ব্লগ পোস্টে। সুন্দর ফর্সা ত্বক কে না চায়! আজকের ব্লগ পোস্ট সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ে শিশুর ত্বকের যত্ন নিন। আজকের ব্লগ পোস্ট পড়ে জানতে পারবেন নবজাতক শিশুর ওজন বৃদ্ধি করার উপায় এবং শিশুর স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে। 
শিশুর-ত্বক-ফর্সা-করার-উপায়
এছাড়াও আজকের পোস্ট হতে আপনারা জানতে পারবেন নরমাল ডেলিভারি প্রস্তুতি কিভাবে নিতে পারবেন। গর্ভাবস্থায় শিশুর ও মায়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে আজকের পোস্ট আপনার উপকারে আসবে পাশাপাশি আরো জেনে নিন গর্ভাবস্থায় কোন খাবার থেকে দূরে থাকা উচিত তার সম্পর্কে।

পেইজ সূচিপত্রঃ শিশুর ত্বক ফর্সা করার উপায় 

শিশুর ত্বক ফর্সা করার উপায় 

শিশুর ত্বক ফর্সা করার উপায় জেনে নিন আজকের ব্লগ পোস্টে। আমরা সকলেই আশা করি সুন্দর ফর্সা ত্বকের। বড়রা নিজেদের পাশাপাশি চেষ্টা করে শিশুদের ত্বক ও যেন সুন্দর এবং ফর্সা হয়। তার জন্য ছোট থেকেই পরিচর্যা করতে আগ্রহী হয়। ফর্সা ত্বকের অধিকারী সাধারণত বংশগত ভাবে হয়ে থাকে। তবে আজকাল অনেক আধুনিক উপায়ে পরিচর্যার মাধ্যমে ত্বকের রং উজ্জ্বল করা যায়। 
 
আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো শিশুর ত্বক ফর্সা করার উপায় সমূহ। শিশুদের ত্বক বড়দের তুলনায় অনেক বেশি সেনসিটিভ হয়। তাই এত সংবেদনশীল ত্বকের যত সাবধানতার সাথে করতে হবে। প্রোডাক্ট ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। শিশুদের ত্বক আর বড়দের ত্বকের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে তা মাথায় রেখে প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে হবে। চলুন দেখে নেওয়া যাক শিশুর ত্বক ফর্সা করার উপায় সমূহঃ
  • উষ্ণ গরম তেল মালিশঃ নিয়মিত শিশুর ত্বকে উষ্ণ তেল মালিশ করতে পারেন এটি ভীষণ কার্যকারী। তেল মালিশ পদ্ধতি বহুকাল আগে থেকে প্রচলিত আছে। গায়ে তেল মালিশ করলে শিশুর ত্বক মসৃণ এবং উজ্জ্বল হয়। আপনার শিশুকে নিয়মিত তেল মালিশ করে দিতে পারেন। খুব  ভালো ফলাফল পাবেন।
  • বডি প্যাকঃ ঘরোয়া উপায়ে প্যাক বানিয়ে শিশুর বডিতে ব্যবহার করতে পারেন। শিশুদের ত্বক অনেক বেশি সংবেদনশীল। বড়দের ত্বকের চেয়ে শিশুদের ত্বক অনেক বেশি সেনসিটিভ। তাই কোন কিছু ব্যবহার করার আগে অবশ্যই ব্যবহারের নির্দেশনা মেনে চলবেন। বাহিরের জিনিস ব্যবহার না করে ঘরেই প্যাক বানিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন। হলুদ, দুধ, চন্দন এগুলো একসাথে মিশিয়ে শিশুর ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।
  • স্ক্রাবঃ বাসার প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে শিশুর ব্যবহারের জন্য বানিয়ে ফেলতে পারেন স্ক্রাব। শিশুর ত্বকের কথা মাথায় রেখে প্রাকৃতিক উপকরণ যেমন বেসন দুধ হলুদ চন্দন গোলাপজল এগুলো দিয়ে তৈরিকৃত স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন। শিশুর নরম ত্বকের যত্ন নিতে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
  • ময়েশ্চারঃ শিশুর ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে ময়েশ্চার ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে ভালো প্রোডাক্ট ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর ত্বক উজ্জ্বল করতে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। চর্ম বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বললে আপনি সঠিক প্রোডাক্ট হাতে পাবেন।
  • বেবি সোপ ব্যবহার থেকে দূরে থাকুনঃ বেবি সোপ যতই শিশুদের জন্য তৈরি করা হোক না কেন এটি শিশুদের ত্বকের জন্য ভালো হবে না। শিশুর ত্বকের পরিচর্যা করতে অনেকেই বেবি সোপ ব্যবহার করেন। তবে এটি শিশুর ত্বকের ক্ষতি করতে পারে কারণ সাবানে ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকে।
  • দুধের সরঃ দুধের সর শিশুর চর্মরোগ নিরাময় করতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। দুধের সর নিয়মিত শিশুর ত্বকে ব্যবহার করলে হাতেনাতে উপকার পাবেন।
  • বাদাম তেলঃ বাদাম তেল শিশুর ত্বকের পরিচর্যার জন্য উপকারী একটি উপকরণ। ত্বকের যে কোনো সমস্যা নিরাময় করতে ভীষণ উপকারী বাদাম তেল।
  • ফলের জুসঃ শিশুর ত্বক উজ্জ্বল করতে, ত্বক মসৃণ করতে ফলের জুস খাওয়াতে পারেন শিশুকে। ত্বকের যত্নে ফল খুবই উপকারী। ফলের মধ্যে খাওয়াতে পারেন আঙ্গুর, আপেল , কমলা লেবু ইত্যাদি। তবে অবশ্যই মাথায় রাখবেন শিশুকে ৬ মাস বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। তারপর অন্যান্য খাবার খাওয়াতে পারেন। ফলের জুসও খাওয়াতে পারেন।
  • পানির তাপমাত্রাঃ শিশুকে গোসল করানোর সময় পানির তাপমাত্রার দিকে খেয়াল রাখবেন। একটু উষ্ণ গরম পানিতে গোসল করানোর চেষ্টা করবেন। পানি যেন অতিরিক্ত ঠান্ডা না হয় আবার খুব বেশি গরম না হয় এদিকে খেয়াল রাখবেন। শিশুদের ত্বক অনেক বেশি সংবেদনশীল। পানির তাপমাত্রা অতিরিক্ত বেশি হলে বা অতিরিক্ত কম হলে শিশুর ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে যেতে পারে।
  • ভিটামিন-ডিঃ ভিটামিন-ডি এর অভাব পূরণ করতে বাচ্চাকে নিয়ে একটু রোদ পোহাতে পারেন। চাইলে বাচ্চাকে রোদে গোসল করাতে পারেন। গোসলের আগে রোদ থেকে কিছুটা ভিটামিন-ডি নেওয়ার চেষ্টা করুন এটি শিশুর ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। গোসলের আগে কিছুক্ষণ রোদে রেখে তারপর গোসল করাতে পারেন। আবার খুব বেশিক্ষণ বাচ্চাকে নিয়ে রোদে থাকবেন না।
  • তোয়ালেঃ বাচ্চাকে গোসল করানোর পর নরম তোয়ালে ব্যবহার করবেন। মোটা সুতার গামছা দিয়ে গা মোছানো থেকে বিরত থাকুন। গোসলের পর বাচ্চার গা মোছানোর সময় অতিরিক্ত ঘষাঘষি করবেন না। এতে বাচ্চার ত্বকের ক্ষতি হতে পারে আবার ফুসকুড়ি বের হতে পারে। তাই যত্ন সহকারে আস্তে আস্তে গা মুছিয়ে দিন।
  • পুষ্টিকর খাবারঃ গর্ভাবস্থায় অর্থাৎ নবজাতক শিশু যখন মায়ের গর্ভে থাকে তখন মায়ের পুষ্টিকর খাবার খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায় ফল, শাক-সবজি, ডিম, দুধ পর্যাপ্ত পরিমাণ খাওয়া উচিত এতে বাচ্চার ত্বক সুন্দর হয়।
  • জাফরানঃ দুধের সাথে নিয়মিত জাফরান খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন গর্ভবতী মা। এতে নবাগত শিশুর গায়ের রং উজ্জ্বল হয়। 
  • ড্রাই ফুডঃ কিসমিস, খেজুর, পেস্তা বাদাম, কাজুবাদাম এ ধরনের ড্রাই ফুড খেতে পারেন গর্ভবতী মা। এটি বাচ্চা স্বাস্থ্য ভালো করতে সাহায্য করে।

নবজাতক শিশুর ওজন বৃদ্ধি করার উপায় 

নবজাতক শিশুর ওজন কম থাকলে এটি খুবই দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আজকের ব্লগ পোস্টে জানতে পারবেন নবজাতক শিশুর ওজন বৃদ্ধি করার উপায় সম্পর্কে। বাচ্চার ওজন ঠিক রাখতে সঠিক নিয়মে চলাফেরা করা এবং স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নবজাতক শিশুর ওজন নির্ভর করে মায়ের ওপর।গর্ভাবস্থায় কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হয়।

নবজাতক শিশুর ওজন বাড়াতে মায়ের যত্ন এবং মায়ের সঠিক নিয়মে চলাফেরা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকের এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে নবজাতক শিশুর ওজন বৃদ্ধি করার উপায় সম্পর্কে। নিচে উল্লেখিত বিষয়গুলো অবশ্যই গর্ভবতী মায়ের মেনে চলতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক নবজাতক শিশুর ওজন বৃদ্ধি করার উপায় সমূহঃ
  • পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন। 
  • এক বেলাতেই বেশি বেশি করে না খেয়ে দিনের বিভিন্ন সময় বারবার খাবার খাওয়া চেষ্টা করুন।
  • খাদ্য তালিকায় শাক সবজি রাখুন। 
  • ফলমূল খাওয়ার চেষ্টা করুন। 
  • দিনের বিভিন্ন সময় ঘুরে ঘুরে ড্রাই ফুড খেতে পারেন। 
  • পর্যাপ্ত পরিমাণ দুধ, ডিম খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে রেস্ট নিন। 
  • সারাদিন শুয়ে বসে না থেকে হাঁটাহাঁটি করুন। 
  • পরিবার মতো পানি পান করুন।
  • আনহেলদি খাবার এড়িয়ে চলুন।
  • জাঙ্কফুড থেকে দূরে থাকুন।
  • নিয়মিত ঘুমানোর চেষ্টা করুন। প্রতিদিন একই সময় ঘুমাতে যান এবং একই সময় ঘুম থেকে উঠুন। 
  • কবে সমস্যা থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। 
  • অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। খাবার খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করুন। এতে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। 
  • সাবধানে চলাফেরা করুন। 
  • পেটে বা কোমরে চাপ দিয়ে কোন কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। 

শিশুর স্বাস্থ্য ভালো করার উপায় 

শিশুর স্বাস্থ্য নিয়ে মায়েরা অনেক বেশি চিন্তিত থাকেন। আজকের ব্লক পোস্ট হতে জেনে নিন শিশুর স্বাস্থ্য ভালো করার উপায়। অসুখ এড়াতে সুস্বাস্থ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে শিশুর স্বাস্থ্য ভালো করা সম্ভব। যেসব শিশু ভেতর থেকে সুস্থ বা স্বাস্থ্যবান নয় তাদের বিভিন্ন অসুখ লেগেই থাকে। স্বাস্থ্য ভালো বলতে শুধু মোটা বা বেশি ওজনকে বোঝায় না। স্বাস্থ্য ভালো করতে ভেতর থেকে স্বাস্থ্যবান হতে হবে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। শিশুর স্বাস্থ্য ভালো করার উপায়ঃ
শিশুর-ত্বক-ফর্সা-করার-উপায়
 যথাঃ
  • নির্দিষ্ট সময় পর পর শিশুকে খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। খাওয়ানোর মধ্যে তিন ঘন্টার বেশি সময়ের ব্যবধান রাখবেন না।
  • বুকের দুধ বাচ্চার খেতে অসুবিধা হলে বোতল ব্যবহার করতে পারেন। 
  • বিভিন্ন প্রশিক্ষণ সেক্টর রয়েছে যেগুলো থেকে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন সঠিক নিয়মে দুধ পান করানোর। এটা জ্ঞান লাভ হবে এবং এবং বাচ্চার খেয়াল সঠিক নিয়মে রাখতে পারবেন।। 
  • বাচ্চা পর্যাপ্ত পরিমাণ দুধ পান করতে পারছে কিনা সেই দিকে খেয়াল রাখুন। 
  • বুকের দুধের কমতি থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। 
  • বাজারের কিনা দুধ খাওয়ানো থেকে বিরত থাকবেন। ছয় মাসের আগে এগুলো খাওয়ানো যাবে না। ছয় মাস বয়স পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন। 
  • বাচ্চার ছয় মাস বয়সের পর থেকে বিভিন্ন ধরনের নরম খাবার খাওয়াতে পারেন।
  • সেরিলাক্স অথবা সুজি খাওয়ানোর অভ্যাস করতে পারেন দুধ খাওয়ার পাশাপাশি। 
  • ফলের জুস বানিয়ে বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন। 
  • বাচ্চার বয়স যত বাড়তে থাকবে ধীরে ধীরে বাড়তি খাবার বাচ্চাকে খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন। 
  • বাচ্চার খাবারে নিয়মিত শাক সবজির রাখার চেষ্টা করবেন। 
  • দুধ, ডিম, মাংস পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবেন। 
  • অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ানো থেকে বিরত থাকবেন। বাচ্চার খাবারে চিনি মিশ্রণ করবেন না।

শিশুর স্বাস্থ্য ও ত্বকের যত্নে সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন 

শিশুর স্বাস্থ্য ও ত্বকের যত্নে অত্যন্ত সচেতন থাকতে হবে। ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত সকল প্রোডাক্ট অত্যন্ত যাচাই-বাছাই করে নিতে হবে। এছাড়াও বাচ্চার অসুবিধা কখন হচ্ছে তা আপনাদের বুঝতে হবে। বাচ্চার অসুবিধা এবং কান্নাকাটি এড়িয়ে না গিয়ে সঠিক সময় ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। বাচ্চার সাথে সম্পর্কিত সকল জিনিসের খেয়াল রাখতে হবে আপনার। বড়দের তুলনায় বাচ্চাদের ব্যবহৃত জিনিসগুলোর ক্ষেত্রে অনেক বেশি সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। যেমনঃ

  • বাচ্চা ঘুমাতে না চাইলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। স্বাভাবিকের চাইতে কম ঘুমালে বুঝতে হবে বাচ্চার কোনো অসুবিধা হচ্ছে। তখন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • বাচ্চার ওজনের দিকে সচেতন থাকবেন। দুই তিন সপ্তাহের মধ্যে বাচ্চার ওজন জন্মের সময়ে ফিরে আসেনি তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। 
  • অতিরিক্ত কান্নাকাটি করলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। বাচ্চাকে যদি থামানো অনেক বেশি কষ্টকর হয়ে যায় তখন বুঝতে হবে বাচ্চার কোন অসুবিধা হচ্ছে। 
  • বাচ্চা যদি কান্না করার সময় নিজের কানের কাছে হাত নিয়ে গিয়ে ঘষাঘষি করছে বলে মনে হয় তাহলে বুঝতে হবে বাচ্চার কানের ভেতর চুলকাচ্ছে বা কোনো অসুবিধা হচ্ছে। এই সমস্যাটি হয়ে থাকে মূলত ভুল নিয়মে বুকের দুধ পান করালে।
  • বুকের দুধ পান করানোর সময় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করবেন। বাচ্চার মাথা উঁচু করে দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন। ৯০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে বুকের দুধ পান করাতে হয়। 
  • শুয়ে বুকের দুধ খাওয়ানো থেকে বিরত থাকুন।
  • শুধু বুকের দুধ নয়, বাচ্চাকে শুইয়ে রেখে কোন ধরনের তরল খাবার খাওয়াবেন না। তরল ঔষধও খাওয়ানো থেকে বিরত থাকুন। 
  • ছোট বাচ্চার ছোট ছোট বিষয়গুলোতে অনেক বেশি খেয়াল রাখবেন। বাচ্চা ঠিক মতো প্রস্রাব পায়খানা করছে কিনা সেই দিকে খেয়াল রাখুন। 
  • মাথার ওপরের নরম অংশটির অস্বাভাবিকতা দেখলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
  • বাচ্চার ব্যবহৃত কাপড় ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। জীবাণুমুক্ত করতে স্যাভলন ব্যবহার করুন। 
  • বাচ্চার বিছানা সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। 
  • বাচ্চার জন্য নরম তোয়েলা ব্যবহার করবেন।
  • নিয়মিত বাচ্চার নখ কেটে দিবেন। 
  • বাচ্চার নাক কান নিয়মিত কর্টন দিয়ে পরিষ্কার করবেন। 

সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর বাচ্চার লক্ষণ 

যেসব বাচ্চা ভেতর থেকে সুস্থ বা পর্যাপ্ত খাবার পাচ্ছে সেসব বাচ্চার লক্ষণ দেখেই বুঝতে পারবেন। সুস্থ স্বাস্থ্য বাচ্চাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত খাবার পেলে অর্থাৎ বাচ্চা ভেতর থেকে ভালো থাকলে তার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। আর আপনার বাচ্চার যদি বুকের দুধে পেট না ভরে বা শরীরের ভেতরে কোন অসুবিধা হয় তাহলে তার লক্ষণগুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর বাচ্চা লক্ষণঃ  
 
  • বাচ্চাকে খাওয়ানোর পরে আর কান্নাকাটি করবে না।
  • নিয়মিত ঘুমাবে। অর্থাৎ রাত জেগে কান্নাকাটি করবে না পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাবে বাচ্চা। 
  • বুকের দুধ খাওয়ানোর পরে মায়েরা একটু হালকা অনুভব করবেন।
  • দিনে ১০ থেকে ১২ বার খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন। 
  • নিয়মিত বাচ্চা মলত্যাগ করছে কিনা সেই দিকে খেয়াল রাখবেন। 
  • মলের রং হলুদ হচ্ছে কিনা দেখবেন। মলের রং হলুদ হলে তা স্বাভাবিক।
  • প্রতি সপ্তাহে বাচ্চার ওজন বৃদ্ধি করলে বুঝে নেবেন বাচ্চার খাওয়া ঠিক আছে। অর্থাৎ প্রতি সপ্তাহে বাচ্চার ওজন বৃদ্ধি পাওয়া স্বাভাবিক, ওজন বৃদ্ধি না পেলে তা অস্বাভাবিক।
  • বাচ্চাকে নিয়ে অতিরিক্ত ঘুরাঘুরি করবেন না। বাচ্চাকে নিয়ে বসে থাকা এবং বাচ্চাকে শুয়ে রাখার অভ্যাস তৈরি করবেন। 

নরমাল ডেলিভারির প্রস্তুতি 

অনেকেই আছেন যারা নরমাল ডেলিভারি করাতে ইচ্ছুক। অনেক মায়েরা নরমাল ডেলিভারির জন্য প্রথম থেকে প্রস্তুতি নিতে চাচ্ছেন। নরমাল ডেলিভারি করাতে হলে কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। প্রথম থেকে কিছু নিয়মকানুন এবং সঠিক চলাফেরার মাধ্যমে আপনি নরমাল ডেলিভারির প্রস্তুতি নিতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক নরমাল ডেলিভারি করাতে কি ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজনঃ 
শিশুর-ত্বক-ফর্সা-করার-উপায়
যথাঃ
  • ওজন নিয়ন্ত্রণঃ নরমাল ডেলিভারি করাতে চাইলে সবার প্রথমে নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আপনার শরীরের ওজন কম বা বেশি থাকলে নরমাল ডেলিভারি করানো সম্ভব নয়। শরীরের বিএমআই স্বাভাবিক থাকতে হবে। ওজন কম অথবা বেশি থাকলে নরমাল ডেলিভারির সময় জটিলতা দেখা দিতে পারে।
  • প্রেসারঃ নরমাল ডেলিভারি করাতে চাইলে প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রেসার অতিরিক্ত বেড়ে গেলে নরমাল ডেলিভারি করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করা বাধ্যতামূলক।
  • ডায়াবেটিসঃ ডায়াবেটিস এর রোগীদের নরমাল ডেলিভারির ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শে চলাফেরা করতে হবে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে হবে। ডায়াবেটিস রোগীর জন্য নরমাল ডেলিভারি একটু কষ্টকর হয়ে যায়। ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। 
  • গর্ভাবস্থায় ব্যায়ামঃ প্রতিদিন হালকা থেকে মাঝারি ব্যায়াম করতে হবে। ব্যায়াম করা শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে অতিরিক্ত ওজন, প্রেসার, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
  • হাটাহাটিঃ অনেকেই মনে করেন গর্ভাবস্থায় শুধু রেস্ট করতে হবে অর্থাৎ শুয়ে বসে থাকতে হবে। এটি সম্পূর্ণ ভুল। প্রতিদিন ১০ থেকে ২০ মিনিট হাটাহাটি করার চেষ্টা করবেন।
  • মানসিক সুস্থতাঃ মানসিকভাবে সুস্থ থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নরমাল ডেলিভারি করাতে প্রথম থেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। শুধু গর্ভবতী মা নরমাল ডেলিভারি করাতে চাইলেই হবে না পরিবারের সাপোর্ট অত্যন্ত জরুরী এক্ষেত্রে। গর্ভবতী মায়ের প্রচেষ্টা এবং পরিবারের সাপোর্ট থাকলে তবেই নরমাল ডেলিভারি সম্ভব।
  • ডেলিভারি পেইনঃ ডেলিভারি পেইন সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে। এই তীব্র ব্যথা সহ্য করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। ডেলিভারির সময় দ্বিমত পোষণ করলে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে। তাই মানসিকভাবে শক্ত হতে হবে এবং এ বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। 
  • সাবধানতাঃ ডেলিভারি পেইন উঠানোর জন্য কোন ইনজেকশন বা ঔষধের প্রয়োজন হয় না। এটিই সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত। আপনার শরীরের সকল কার্যক্রম সঠিক থাকলে এবং হরমোন ঠিকমত কাজ করলে ডেলিভারি পেইন নরমালি উঠবে। একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর নিজে থেকেই ডেলিভারি পেইন উঠবে। তাই বিভিন্ন ঔষধ বা ইনজেকশন না থেকে বিরত থাকুন। নরমাল ডেলিভারি করানোর ইচ্ছা থাকলে প্রথম থেকেই একটি গাইনোকোলজিস্ট এর পরামর্শ নিন। নিয়ম কানুন মেনে চলুন।

গর্ভাবস্থায় কোন খাবারগুলো থেকে দূরে থাকা উচিত 

গর্ভাবস্থায় কিছু নির্দিষ্ট খাবার আছে যা খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। বাচ্চার ও গর্ভবতী মায়ের সুস্থতা নিশ্চিত করতে খাবারের প্রতি সতর্ক থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খাবার গ্রহণের মাধ্যমেই শরীর সুস্থ থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বৃদ্ধি পায়। তাই গর্ভাবস্থায় এ বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থায় কোন কোন খাবারগুলো থেকে দূরে থাকা উচিতঃ
 
  • গর্ভাবস্থায় না ধোয়া ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। কারণ ফলে কেমিক্যাল ব্যবহৃত হয়। এতে আপনার বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে।
  • অতিরিক্ত মালটা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। বেশি পরিমাণে মালটা খেলে বাচ্চার ত্বক পুড়ে যেতে পারে। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণ খেতে পারেন। 
  • অতিরিক্ত লেবু খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। লেবুতে থাকা অতিরিক্ত অ্যাসিড বাচ্চার ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। সারাদিনে দুই একবার খাবারের সাথে খেতে পারেন।
  • গর্ভাবস্থায় আনারস না খাওয়াই ভালো। তবে দুই একটা খেতে পারেন। আনারসে রয়েছে ব্রমেলাইন। এটি জরায়ুর ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাস আঙ্গুর খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। আঙ্গুরে রয়েছে রেসভেরাট্রল। এটি হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে। তাই বাচ্চা ও মায়ের সুস্থতা জন্য এ খাবার না খাওয়াই উচিত।
  • গর্ভাবস্থায় পেঁপে খাওয়া যাবেনা কারণ এটি গর্ভপাতের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। পেঁপেতে রয়েছে ল্যাট্রেক্স। গর্ভাবস্থায় পেঁপে খেলে পেটে ব্যথা করতে পারে। এছাড়াও পেঁপেতে থাকা উপাদান বাচ্চার ক্ষতি করতে পারে তাই এটি না খাওয়াই ভালো।

মন্তব্যঃ শিশুর ত্বক ফর্সা করার উপায় 

শিশু ত্বক ফর্সা করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি আজকের ব্লগ পোস্টে। আজকের পোস্টে আলোচিত বিষয় গুলো গর্ভবতী মায়েদের উপকারে আসবে। আজকের পোস্ট হতে জানতে পারবেন নবজাতক শিশুর ওজন বৃদ্ধি করার উপায় এবং শিশুর স্বাস্থ্য ভালো করার উপায় সম্পর্কে। এ বিষয়গুলো নিয়ে মায়েরা অনেক বেশি চিন্তিত থাকেন। 

উপরে আলোচিত নিয়ম গুলো ফলো করতে পারেন শিশু স্বাস্থ্য ভালো রাখতে। এছাড়াও নরমাল ডেলিভারির প্রস্তুতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। সঠিক নিয়ম মেনে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে গর্ভবতী মা ও বাচ্চা সুস্থতা নিশ্চিত করতে পারেন। এছাড়া আজকের পোস্টে বলে দেওয়া হয়েছে গর্ভাবস্থায় কোন খাবারগুলো থেকে দূরে থাকা উচিত। আশা করি আজকের পোস্ট পড়ে উপকৃত হবেন। সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডেইলি ডাইরির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url