মানসিক টেনশন ও চাপ দূর করার কার্যকারী উপায়

মানসিক টেনশন দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো আজকের ব্লগ পোস্টে। আপনিও কি মানসিক টেনশনে ভুগছেন? এত চাপ নিতে পারছেন না? মানসিক টেনশন থেকে মুক্তি পেতে চান? সঠিক উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না? তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য। 

মানসিক-টেনশন-দূর-করার-উপায় 
মানসিক চাপে মারাত্মক প্রভাব পড়ে আমাদের জীবনে, মানসিক চাপ থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ুন। আজকের পোস্ট হতে জেনে নিন মানসিক চাপ কিভাবে খারাপ প্রভাব বিস্তার করে, এর সূত্রপাত এবং মানসিক চাপ থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে।

পেইজ সূচিপত্রঃ মানসিক টেনশন দূর করার উপায় 

মানসিক টেনশন এর প্রভাব

মানসিক টেনশন এর জন্য খুব খারাপ প্রভাব পড়ে শরীরে। এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই মারাত্মক একটি বিষয়। মানসিক টেনশন দূর করার উপায় জানার আগে এর খারাপ প্রভাব সম্পর্কে কিছুটা ধারণা লাভ করুন। মানসিক টেনশন এর কারণে শরীরের ভেতরে মারাত্মক রোগ গুলো বাসা বাঁধে। আমরা সাধারণত মানসিক টেনশন কে এত বেশি তোয়াক্কা করি না, যার কারণে ভবিষ্যতে বড় ধরনের জটিলতায় পড়তে হয় তাই এ বিষয়ে মনোযোগী হওয়া উচিত।

মানসিক টেনশন একবার ঘিরে ধরলে এখান থেকে মুক্তি পাওয়া অনেক কঠিন। মানুষের মন দুর্বল করতে এবং আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দিতে মানসিক টেনশনই যথেষ্ট। মানসিক টেনশনের কারণে মানুষ শারীরিকভাবে অনেক দুর্বল হয়ে যায়। অতিরিক্ত মানসিক টেনশন থাকলে তার মানুষের সাথে মিশতে বেশি ভালো লাগে না। একাকীত্ব ঘিরে ধরে। যা খুবই মারাত্মক। 

অতিরিক্ত মানসিক টেনশন করার কারণে স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায়। খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে অনেক কিছু ভুলে যায় মানুষ। যার কারনে মানুষের জীবনে নেমে আসে এক মারাত্মক বিপর্যয়। অতিরিক্ত মানসিক টেনশন এর কারণে হতে পারে ব্রেন ক্যান্সার। এছাড়াও ঘুমের মধ্যে হয়ে যেতে পারে স্ট্রোক। এগুলো মানব দেহের জন্য খুবই মারাত্মক। মস্তিষ্কে বিভিন্ন রোগ বাসা বাঁধতে পারে মানসিক টেনশনের কারণে। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

মানসিক টেনশনের কারণে মৃত্যু ঝুঁকি 

অতিরিক্ত মানসিক টেনশনের কারণে হতে পারে মৃত্যু। অর্থাৎ বলা যায় অতিরিক্ত টেনশন করলে মানসিক চাপ বাড়লে মৃত্যু ঝুঁকিও বাড়ে। তাহলে বুঝতেই পারছেন মানসিক টেনশন কতটা মারাত্মক মানবদেহের জন্য। তাই এ বিষয়ে সতর্ক হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের জানতে হবে মানসিক টেনশন দূর করার উপায়। তাই আমাদের সাবধান হওয়া উচিত। নিজেকে সুস্থ রাখুন স্বাভাবিক থাকুন।

আরো পড়ুনঃ শরীরে শীত বেশি লাগার কারণ কি - জেনে নিন

অতিরিক্ত টেনশন এর কারণে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায়। আর অতিরিক্ত মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেলে তা হতে পারে মৃত্যুর কারণ। কোন বিষয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করা উচিত না অতিরিক্ত চিন্তা করলে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায় যার কারণে মাথার রক্ত চলাচল বেড়ে যায়। এটি খুবই খারাপ স্বাস্থ্যের জন্য। এতে মাথাব্যথা শুরু হয়। এছাড়াও রক্ত চলাচল অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেলে অর্থাৎ মানসিক চাপ অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেলে মাথার রক্ত নালিকা ফেটে যেতে পারে এবং ঘটে যেতে পারে যেকোনো দুর্ঘটনা।

তাই ঘুমানোর আগে অতিরিক্ত টেনশন বা অতিরিক্ত মানসিক চাপ না নিয়ে মাইন্ড ফ্রেশ রেখে ঘুমাতে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। নতুবা ঘুমের মধ্যে স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। মাথার মধ্যে রক্তনালিকা ফেটে যাওয়ার পর সেই রক্ত জমাট বেঁধে গেলে মানুষকে বাঁচানো সম্ভব হয় না। তাহলে বুঝতেই পারছেন বিষয়টি কতটা মারাত্মক। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে মন হালকা রাখুন এবং নিজের খেয়াল রাখুন।

মানসিক টেনশন এর সূচনা

মানসিক টেনশন এর সূচনা বিষয়টি অনেকের কাছেই অজানা। নিজেরা বুঝতে পারেন না কোথায় থেকে মানসিক টেনশন এর সূত্রপাত হলো। চলুন এই বিষয়টি আপনাদের সামনে পরিষ্কার করি। মানসিক টেনশন এর সূচনা সম্পর্কে আমাদের সকলেরই জানা জরুরী। এটা এমন কঠিন কিছু না আমরা নিজেরা একটু চিন্তা করলেই বিষয়টি ধরতে পারবো। নিজেরাই ভাবুন কি বিষয় দিয়ে আপনি বেশি চিন্তিত। 

ধরতে পেরেছেন কি নিয়ে ভাবছেন সারাক্ষণ ? এবার মনে মনে ভাবুন যে বিষয় নিয়ে আপনি চিন্তা করছেন এ বিষয়টি আপনার সামনে কত দিন আগে এসেছে। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন আমার কথা। মানসিক টেনশন দূর করার সবচাইতে সহজ উপায় যে বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন বা যে কাজটি নিয়ে আপনি চিন্তিত বা যে ধরনের সমস্যা আপনার সামনে আসছে তা দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করুন এবং মন কে নিশ্চিত করুন যে সব ঠিক হয়ে যাবে।

মানসিক টেনশন এর সূচনা হওয়ার কিছু লক্ষণ হলোঃ খুব সহজেই রেগে যাওয়া, কোনো কারণ ছাড়াই মন খারাপ থাকা, হঠাৎ করেই মুড অফ হয়ে যাওয়া, উদ্দীপনা কমে যাওয়া, বিচারবুদ্ধি লোভ পাওয়া, অনেকের সাথে সম্পর্ক খারাপ হওয়া, খাবারে অরুচি, দুর্বলতা ইত্যাদি। আপনারা একটু চিন্তা করলেই বুঝতে পারবেন যাদের অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা অতিরিক্ত মানসিক টেনশন রয়েছে তাদের নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকেনা, কোনো কাজে মনোযোগ বসে না, মুখস্ত করার দক্ষতা কমে যায়, এ ধরনের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

স্নায়ু দুর্বল হতে শুরু করে। প্রথমত অতিরিক্ত রাগ এবং স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাওয়ারই হলো মানসিক চাপের লক্ষণ। এভাবেই সূত্রপাত হয় মানসিক চাপ এর। আর এটি নিয়ন্ত্রণ না করলে একসময় মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে যেতে পারে। তাই নিজেকে সংযত রাখুন। চিন্তাভাবনা কে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করুন। যে কোন বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত টেনশন করা থেকে বিরত থাকুন। যতো খারাপ সময়ই আপনার জীবনে আসুক না কেন মানসিক চাপ থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন এবং খারাপ সময়ের মোকাবেলা করুন।

মানসিক টেনশন দূর করার উপায় 

মানসিক টেনশন দূর করার উপায় নিয়ে আপনাদের সাথে আজকের পোস্টে আলোচনা করবো। এতক্ষণ ওপরে মানসিক টেনশন এর ক্ষতিকর প্রভাব গুলো বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এখন আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো এই সমস্যা সমাধানের উপায় সমূহ। এই পদক্ষেপ গুলো গ্রহণ করে মানসিক টেনশন দূর করার চেষ্টা করতে পারেন। যারা দীর্ঘদিন মানসিক অবসাদে ভুগছেন তাদের জন্য আজকের পোস্টটি খুবই উপকারী হতে চলেছে। চলুন দেখে নেওয়া যাকঃ

মানসিক-টেনশন-দূর-করার-উপায়
  • মানসিক টেনশন দূর করতে সর্বপ্রথম যে কাজটি করতে পারেন তা হলো পরিবারের মানুষের সাথে সময় কাটান। কাছের মানুষের সাথে গল্প করুন এবং মনের কথা শেয়ার করুন। বন্ধু বান্ধবীদের সাথে ঘুরতে যান এবং গল্প করুন। ভালোলাগা খারাপ লাগা শেয়ার করুন আপনার মানসিক চাপ অনেকটাই কমে যাবে। 
  • ছোটখাটো বিষয়ে টেনশন করা থেকে বিরত থাকুন। মানুষের জীবনে অনেক কিছুই হতে পারে কিন্তু তা নিয়ে থেমে থাকলে চলবে না। মনকে শক্ত করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। তাই নিজের মনকে শক্ত করুন। কোন ছোটখাটো বিষয়ে ভেঙে পড়বেন না। 
  • ভয় পাওয়া থেকে বিরত থাকুন। ভয় মানসিক টেনশন এর একটি অন্যতম কারণ। ছোটখাটো বিষয়ে ভয় না পেয়ে মোকাবেলা করার চেষ্টা করুন। অতিরিক্ত ভয় মানুষকে মানসিক চাপের দিকে ঠেলে দেয়। তাই নিজেকে সাহসী করে তুলুন। 
  • বাহিরে একটু হাঁটাহাঁটি করুন। সব সময় রুমের ভেতর বসে না থেকে বাহিরের আলো বাতাস শরীরে লাগান। সব সময় একা একা গম্ভীর হয়ে বসে থাকবেন না হাঁটাহাঁটি করুন মানুষের সাথে কথা বলুন। খোলা আকাশের নিচে দিনের কোনো না কোনো সময় একবার হলেও যাওয়ার চেষ্টা করবেন।
  • অতিরিক্ত টেনশন এ থাকলে টেনশন দূর করতে পছন্দের কাজ করতে পারেন। এতে আপনার মানসিক চাপ অনেকটাই কমে যাবে। যে বিষয়েই আপনার সমস্যা হোক না কেন সারাদিন সে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে থাকবেন না। আপনি চিন্তা করলেই সেই বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে না তাই সঠিক কাজ করুন অতিরিক্ত চিন্তা না করে। 
  • যেকোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার আগে তার ভালো খারাপ দিক বিবেচনা করুন। হুটহাট সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকুন। যে কোন কাজ করার আগে ভেবে দেখবেন তা আপনার জন্য কতটা সঠিক তারপরে পদক্ষেপটি নিবেন।
  • পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মানসিক চাপ দূর করতে। তাই রাতে সঠিক সময় ঘুমাতে যান এবং সঠিক সময় ঘুম থেকে উঠুন। ঘুমের সময় অন্য কাজ না করে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। ঘুম মস্তিষ্ক ফ্রেশ রাখে এবং সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে।
  • তবে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন ঘুমানোর আগে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা যাবে না। যেকোনো টেনশন মাথা থেকে বের করে দিন রাগে। ৩০ মিনিট বই পড়ার চেষ্টা করুন এবং আলো অফ করে ঘুমিয়ে পড়ুন। 
  • পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং সঠিক সময় খাবার খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য ভালো রাখতে। সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন এবং শারীরিকভাবে ফিট থাকুন। 
  • সব কথা নিজের মধ্যে না রেখে আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবী অথবা প্রিয় মানুষের সাথে শেয়ার করুন। নিজেকে হালকা লাগবে এবং মন ভালো থাকবে। 

মানসিক টেনশন এর কারণে মস্তিষ্কে ক্ষতিকর প্রভাব 

মানসিক টেনশনের ক্ষতিকর প্রভাবগুলো আপনাদের সাথে ইতিমধ্যে শেয়ার করেছি। এখন আপনাদের সাথে আলোচনা করব মানসিক টেনশন এর কারণে মস্তিষ্কে কতটা ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। এটি জানা আমাদের সকলের জন্যই জরুরী। মস্তিষ্কের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জানতে পারলে বুঝতে পারবেন মানসিক টেনশন থেকে বেরিয়ে আসা কতটা প্রয়োজন। চলুন জেনে নেওয়া যাকঃ

আরো পড়ুনঃ সিস্ট হওয়ার লক্ষণ কি কি 

অতিরিক্ত চিন্তা করলে বা মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেলে মস্তিষ্কের নিউরন গুলো ধীরে ধীরে অকেজো হয়ে যায় অর্থাৎ নিউরন কোষ মারা যায়। যার কারনে স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায় এবং মুখস্ত করার দক্ষতা কমে যায়। এছাড়াও স্নায়বিক উত্তেজনা কমতে শুরু করে। অতিরিক্ত মানসিক টেনশন করলে সে মানুষ যেকোনো বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। স্নায়ু দুর্বল হয়ে যায়। তাহলে বুঝতেই পারছেন মানসিক টেনশন কতটা ক্ষতিকর মস্তিষ্কের জন্য। 

মানসিক টেনশন ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। অতিরিক্ত টেনশন করলে মস্তিষ্কের রক্ত নালিকা ফেটে যেতে পারে। কারণ টেনশনের কারণে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। রক্ত নালিকার রক্ত ফেটে যাওয়ার পর তা যদি জমাট বেঁধে যায় তবে সেই মানুষকে বাঁচানো প্রায় অসম্ভব। তাহলে বুঝতেই পারছেন এখানে মৃত্যু ঝুঁকি কতটা রয়েছে। এছাড়াও মানসিক টেনশন এর রোগী খুব সহজেই ঘুমের মধ্যে স্ট্রোক করে ফেলে। তাই মানসিক টেনশন থেকে বেরিয়ে আসা খুবই জরুরী।

মানসিক টেনশন এর কারণে স্মৃতিশক্তি হ্রাস 

মানসিক টেনশনের কারণে স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায়। ইতিমধ্যে এ বিষয়টি আপনাদের জানিয়েছি। চলুন এখন এ বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। মানসিক টেনশন করলে মনে থাকার শক্তি কমে যায়। কারণ অতিরিক্ত টেনশন এর কারণে মস্তিষ্কের নিউরন মারা যায় বা অকেজো হয়ে যায়। ছাত্র অবস্থায় এটি ভীষণ ভয়ঙ্কর। এছাড়াও স্নায়ু উদ্দীপনা কমিয়ে ফেলে মানসিক টেনশন। 

দীর্ঘদিন যাবত যারা মানসিক অবসাদে ভুগছেন তারা যত দ্রুত সম্ভব বেরিয়ে আসার চেষ্টা করুন। এটি খুবই মারাত্মক মানব দেহের জন্য। শারীরিক ও মানসিকভাবে ভীষন খারাপ প্রভাব ফেলে। অতিরিক্ত চাপের কারণে স্মৃতিশক্তি নষ্টও হয়ে যেতে পারে। মানসিক টেনশনের প্রথম লক্ষণ হলো অতিরিক্ত চাপ নিলে মাথা ব্যাথা শুরু হয়। আর এই অতিরিক্ত চাপ যখন বেড়ে যাবে তখন আরো সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। তাই এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকা উচিত।

মানসিক চাপ কমাতে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা 

মানসিক চাপ কমাতে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। ঘুম মস্তিষ্ক শান্ত রাখতে সাহায্য করে। ঘুমের ব্যাঘাত ঘাটলে বা পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই পর্যাপ্ত ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। সঠিক সময় ঘুমাতে যাবেন এবং সঠিক সময় ঘুম থেকে উঠবেন। ঘুমের আগে যে কোন ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন। ঘুমের আগে চা কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। 

মানসিক-টেনশন-দূর-করার-উপায় 
ঘুমের আগে খাবার খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করবেন আধাঘন্টা বই পড়বেন তারপরে লাইট অফ করে ঘুমিয়ে যাবেন। এতে সুস্থ জীবন লাভ করবেন। ঘুমের আগে অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করবেন না। যেকোনো বিষয়ে ঘুমের আগে চিন্তা করবেন না এতে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায় এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। হাতের কাছে পানি রাখবেন যেন ঘুম থেকে হঠাৎ করে জেগে গেলে পানি খেতে পারেন। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।

মানসিক চাপ কমাতে প্রকৃতির কাছে থাকার প্রয়োজনীয়তা 

মানসিক চাপ কমাতে প্রকৃতি সাহায্য করে। তাই মানসিক চাপ কমাতে প্রকৃতির কাছে থাকার প্রয়োজন রয়েছে। সব সময় একা একা ঘরে বসে না থেকে একটু হাঁটাহাঁটি করবেন। দিনের কিছুটা সময় প্রকৃতির সাথে কাটানোর চেষ্টা করুন। সারাদিন সময় না পেলেও বিকালের দিকে কিছুক্ষণ ছাদে বসে থাকুন। প্রকৃতির আলো বাতাস নেওয়ার চেষ্টা করুন। এতে মন ফ্রেশ থাকে এবং শরীরও ভালো থাকে। 

আরো পড়ুনঃ সিস্ট দূর করার ৫ টি কার্যকরী ঘরোয়া উপায়

রুমের মধ্যে একা একা সব সময় গম্ভীর হয়ে বসে থাকলে অথবা শুয়ে থাকলে অলসতা বৃদ্ধি পায় পাশাপাশি মানসিক চাপও বৃদ্ধি পায়। এটি মানসিক অবস্থার অবনতি করে। তাই নিজেকে কিছুটা সময় দিন। একটু হাঁটাহাঁটি করুন কাছের এবং বিশ্বস্ত মানুষের সাথে সমস্যাগুলো শেয়ার করুন। মন হালকা হয়ে যাবে। সমস্যার সমাধান না পেলেও মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাবেন। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।

শেষ কথাঃ মানসিক টেনশন দূর করার উপায় 

মানসিক টেনশন দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি আজকের ব্লগ পোস্টে। অতিরিক্ত মানসিক টেনশন ঘিরে ধরলে মানসিক বিকাশে ব্যাঘাত ঘটে। এই সমস্যাটি যদি ছাত্র অবস্থায় দেখা দেয় তাহলে খুবই বিপর্যয় নেমে আসে। মানসিক টেনশনের ক্ষতিকর প্রভাব গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। এছাড়াও এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় অর্থাৎ মানসিক টেনশন দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। 

এই পদক্ষেপগুলো অবলম্বন করতে পারেন। আশা করছি উপকৃত হবেন। আজকের পোস্ট ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এই উপায়গুলো মেনে চললে আশা করছি মানসিক টেনশন দূর করতে পারবেন। এই উপায়গুলো ফলো করার পরেও যদি আপনার সমস্যার সমাধান না হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। এটি আপনার জন্য সঠিক হবে। ধন্যবাদ। 

 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডেইলি ডাইরির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url