কোমরের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়

কোমরের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো আজকের ব্লক পোস্টে। কোমরে ব্যথা আমাদের সকলের কাছে একটি পরিচিত সমস্যা। এটি ভীষণ কষ্টদায়ক। আজকের পোস্ট পড়ে ঘরোয়া উপায়ে কোমরের ব্যথা কমাতে পারবেন খুব সহজেই।  

কোমরের-ব্যথা-কমানোর-ঘরোয়া-উপায়
এছাড়াও আজকের পোস্টে জানতে পারবেন কোমরের ব্যথা কেন হয় তা সম্পর্কে এবং কি ধরনের খাবার, কি ধরনের ব্যায়াম আপনাদের জন্য উপকারী হবে তার সম্পর্কেও বিস্তারিত জেনে নিন। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা হতে পারে তার মধ্যে কোমরের ব্যথা বেশি কষ্ট দায়ক হয়ে থাকে। এটি নির্মূল করতে সম্পূর্ণ পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পেইজ সূচিপত্রঃ কোমরের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় 

কোমরের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় 

কোমরের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন আজকের পোস্টে। শুধু বয়স্করা এ সমস্যার সম্মুখীন হন, বিষয়টি এমন নয় সকল বয়সের নারী ও পুরুষ এ ধরনের সমস্যায় পড়ছেন। কোমরে ব্যথা দেখা দিলে তার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সমস্যার দেখা দেয়। তাই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘরোয়া উপায়ে চেষ্টা করলে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিবে না। রেজাল্ট একটু ধীরে ধীরে দেখা দিলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হবে। 

অনেকেই তীব্র ব্যথা সহ্য করতে না পেরে পেইনকিলার খেয়ে থাকেন। তবে মনে রাখবেন এটি সাময়িক আরাম দিলেও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত পেইনকিলার খেলে কিডনির ক্ষতি হতে পারে। পেইনকিলার সাময়িক শান্তি দেয় তবে ঔষধের কার্যকারিতা শেষ হয়ে গেলে আবার ব্যথা শুরু হয় তাই এটি মোটেও ভালো হবে না আপনার জন্য। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিছু ঘরোয়া উপায়ঃ

  • অতিরিক্ত বসে থাকা পরিত্যাগঃ অতিরিক্ত বসে থাকবেন না এটি কোমরের ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে। দীর্ঘ সময় বসে না থেকে হাটাহাটি করার চেষ্টা করবেন। অর্থাৎ বোঝাতে চাচ্ছি এক জায়গায় দীর্ঘ সময় বসে থাকা থেকে বিরত থাকুন। মাটিতে বসে কাজ করবেন না।
  • বিশ্রামঃ সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করার পর পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়ার চেষ্টা করবেন। আপনার শরীরের জন্য বিশ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই নিজেকেও কিছুটা সময় দেওয়ার চেষ্টা করুন। 
  • ব্যায়ামঃ শরীরের জন্য ব্যায়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত অলসতা শরীরে রোগের বাসা তৈরি করে। তাই দিনের কিছুটা সময় ব্যায়াম করার চেষ্টা করবেন। স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে শরীর চর্চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
  • হাঁটাহাঁটিঃ সুস্থ জীবন যাপনের জন্য সকালে অথবা রাতে কিছুটা হাঁটাহাঁটি করা জরুরী। নিয়মিত হাঁটা করলে শরীরের রক্ত চলাচল অব্যাহত থাকে এবং শরীরের পেশী মজবুত করতে সাহায্য করে। 
  • নরম বিছানাঃ নরম বিছানায় ঘুমানো থেকে বিরত থাকবেন। অতিরিক্ত নরম বিছানায় ঘুমালে কোমরের ব্যথা বৃদ্ধি পায়। তাই নরম ম্যাট্রিক্স বা ফোমের বিছানায় ঘুমানো পরিত্যাগ করুন। 
  • ছ্যাঁক দেওয়াঃ ব্যথার জায়গায় ছ্যাঁক দিলে সাময়িক কিছুটা আরাম পাওয়া যায়। তাই কোমরে অতিরিক্ত ব্যথা হলে নরম কাপড় গরম করে ছ্যাঁক দিতে পারেন। এছাড়াও ব্যবহার করতে পারেন হট ওয়াটার ব্যাগ। এর মধ্যে গরম পানি ভরে কোমরে ছ্যাঁক দিতে পারেন এতে কিছুটা আরাম পাবেন।
  • আদাঃ পেট ব্যথা অথবা কোমর ব্যথায় আদা খুবই উপকারী। আদা চিবিয়ে খেলে ব্যথা দূর হয়ে যায়। এছাড়াও খেতে পারেন আদা চা। আদায় রয়েছে পটাশিয়াম। যা ব্যথা সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। সাধারণত পটাশিয়ামের অভাবে নার্ভের সমস্যা দেখা দেয়। তাই যাদের কোমরের ব্যথা হয় তারা নিয়মিত আদা খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে পারেন।
  • মেথিঃ ব্যথা উপশম এ মেথিও ভীষণ উপকারী। মেথি চিবিয়ে খেতে পারেন অথবা চায়ের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি ব্যথা দূর করতে সাহায্য করবে। 
  • লেবুঃ লেবুর শরবত নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে পারেন। যাদের কোমর দীর্ঘদিন ধরে ব্যথা করে তারা উপকৃত হবেন নিয়মিত লেবুর রস খেলে। 
  • হলুদঃ হলুদ ব্যথা উপশম এর সাহায্য করে। তাই নিয়মিত দুধের সাথে হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে পারেন। এটি কোমরের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করবে।
  • এলোভেরাঃ কোমরের ব্যথা দূর করতে নিয়মিত এলোভেরা জুস খেতে পারেন। এটি যেকোনো ধরনের ব্যাথা দূর করতে সাহায্য করে। 
  • ক্যালসিয়ামঃ ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দিলে কোমরে দাঁতে এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা হয়। তাই ক্যালসিয়াম রয়েছে এমন খাবার নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করবেন। নিয়মিত খাবারে ঘি, দুধ, ফল, শাকসবজি, বাদাম রাখার চেষ্টা করবেন।
  • ম্যাগনেসিয়ামঃ ম্যাগনেসিয়াম এর অভাবেও ব্যথা দেখা দিতে পারে। তাই ম্যাগনেসিয়ামের অভাব দূর করতে নিয়মিত দুগ্ধ জাত খাবার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে পারেন। রাতে ঘুমানোর আগে দুধ খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন উপকৃত হবেন।। 
  • ভিটামিন-সিঃ ভিটামিন-সি যুক্ত ফল এবং শাকসবজি খেতে হবে কোমরের ব্যথা দূর করতে। ভিটামিন-সি এর অভাবে কোমরে ব্যথা হতে পারে তাই এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ আপনার শরীরের জন্য।
  • দুগ্ধ জাত খাবারঃ দুগ্ধজাত খাবার এ রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম যা হার মজবুত করে এবং ব্যথা উপশমের সাহায্য করে। তাই এ ধরনের খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন। 
  • শাকসবজিঃ শাক সবজি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শরীরে আয়রনের অভাব দূর করতে শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন নিয়মিত খাবারে সবজি রাখুন এটি কোমরের ব্যথা রোধ করতে সাহায্য করবে।
  • ফলঃ খাদ্য তালিকায় ফল রাখার চেষ্টা করুন। ভিটামিন-সি যুক্ত ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন কোমরের ব্যথা দূর করতে।এটি খুবই উপকারী।
  • ড্রাই ফ্রুটঃ ড্রাই ফুড রাখতে পারেন হাতের কাছে। এটি ভিটামিনের অভাব পূরণ করতে সাহায্য করে। কিসমিস, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম, খেজুর এ ধরনের ড্রাই ফুড খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে পারেন।
  • অতিরিক্ত ওজনঃ কোমর ব্যথা দূর করতে চাইলে ওজন কমাতে হবে। আপনার ওজন যদি অতিরিক্ত হয়ে থাকে তাহলে বুঝে দিন আপনার কোমর ব্যথার মূল কারণ অতিরিক্ত ওজন। ওজন অতিরিক্ত বেড়ে গেলে কোমর ও হাঁটু সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা হতে পারে। অবশ্যই ওজন কমানোর চেষ্টা করবেন এবং পর্যাপ্ত শাকসবজি খাবেন। আর আপনার ওজন যদি ঠিক থাকে তাহলে বুঝতে হবে ভিটামিন এর অভাব রয়েছে। প্রয়োজনীয় খাবার খেতে হবে এবং নিয়ম মেনে চলতে হবে।

কোমরে ব্যথা কেন হয় 

কোমরে বিভিন্ন কারণে ব্যথা হতে পারে। তার মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য কারণ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। দৈনন্দিন জীবনের খাওয়া-দাওয়া, চলাফেরা বিভিন্ন কাজকর্মের ওপর নির্ভর করে শরীরের সুস্থতা। তাই একটু মেনে চললে শরীরের বিভিন্ন অসুস্থতা এড়ানো সম্ভব। আমাদের সকলের উচিত সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া। অর্থাৎ আমি বোঝাতে চাচ্ছি শরীরের যে কোন খারাপ লাগা দীর্ঘদিন ধরে নিয়ে বসে থাকবেন না। সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করবেন অন্যথায় ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন। 

আরো পড়ুনঃ পেটে খিদে মুখে রুচি নেই - করণীয় কি

  • অতিরিক্ত ওজনঃ অতিরিক্ত ওজনের কারণে কোমরের ব্যথা হতে পারে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত খাবার খান। ক্যালোরি কম কম রয়েছে এমন খাবার নির্বাচন করুন এতে ওজন বাড়বে না। 
  • দীর্ঘদিনের ব্যথাঃ দীর্ঘদিনের ব্যথা শরীরে পুষে রাখলে তা এক সময় বড় আকার ধারণ করতে পারে। তাই যেকোনো সমস্যায় ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং নিজেকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করুন। 
  • পড়ে যাওয়াঃ অসাবধানতায় পড়ে গিয়ে যদি ব্যথা পান তাহলে তা মোটেই ছোট করে দেখবেন না। অবশ্যই ব্যথা নির্মূল করার চেষ্টা করবেন। অন্যথায় পরবর্তীতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। 
  • পেশী ব্যথাঃ বেশি ব্যথা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এছাড়াও সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে পারেন। নরম কাপড় গরম করে ব্যথাস্থলে ছ্যাঁক দিতে পারেন এতে আরাম পাবেন বলে আশা করছি। 
  • মেরুদন্ডের সমস্যাঃ মেরুদন্ডের সমস্যা হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। নয়তো প্রথম থেকে উপরে যে ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো আলোচনা করা হয়েছে সেগুলো পালন করার চেষ্টা করবেন। এতে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। 
  • শরীরচর্চাঃ শরীরচর্চা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। নিয়মিত শরীর চর্চা না করলে কোমর সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা হতে পারে তাই শরীরচর্চা করার চেষ্টা করবেন। 
  • অলসতাঃ অলসতা মোটেও ভালো না। অতিরিক্ত শুয়ে বসে থাকলে কোমর ব্যথা হতে পারে তাই যতটুকু রেস্ট করা দরকার ততটুকু করবেন তার পরবর্তী সময় হাটাহাটি ব্যায়াম বা অন্যান্য কাজ করার চেষ্টা করবেন। 
  • খাবারঃ সঠিক খাবার নির্বাচন করা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। কবরের হাড় ক্ষয়ে গেলে কোমর ব্যাথা দেখা দেয়। তাই খাদ্য তালিকায় অবশ্যই এমন খাবার রাখার চেষ্টা করবেন যার উপাদানে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম।
  • অতিরিক্ত ঔষধ সেবনঃ অতিরিক্ত ঔষধ সেবন করলে জীবনের কোন না কোন পর্যায়ে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই প্রয়োজনের বাইরে ওষুধ খাবেন না। পর্যাপ্ত সুষম খাবার খান শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম বাড়ানোর চেষ্টা করুন। 
  • অনিয়মিত পিরিয়ডঃ অনিয়মিত পিরিয়ড এর কারণে কোমর ব্যথা হতে পারে। তাই পিরিয়ডের সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন। দীর্ঘদিন এমন চললে পরবর্তীতে কোমর ব্যথার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এছাড়াও কোমর ব্যাথার কারণ হতে পারে ক্যান্সার, এইডস, স্টেরয়েড এর ঔষধ এবং অস্টিওপোরোসিস ইত্যাদি। এ ধরনের সমস্যার কারণে কোমর ব্যথা দেখা দিতে পারে। সবচাইতে বেশি যে কারণে কোমর ব্যথা হয়ে থাকে তা হচ্ছে অতিরিক্ত ওজন। তাই অতিরিক্ত তেল চর্বি খাওয়া বর্জন করুন। ওজন বেড়ে গেলে কোমর সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাথা দেখা দিতে পারে। তাই অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

কোমর ব্যথার উপসর্গ 

কোমর ব্যথার উপসর্গ কি? যাদের কোমর ব্যাথার সমস্যা রয়েছে তারা ওপরের নিয়মগুলো ফলো করে ঘরোয়া উপায়ে কোমরের ব্যথা কমানোর চেষ্টা করতে পারেন আশা করছি উপকৃত হবে। আর যারা জানতে চান কোমর ব্যথার উপসর্গ কি আজকের ব্লগ পোস্টটি তাদের জন্য খুবই উপকারে আসবে। আজকের পোস্ট পড়ে জেনে নিন আপনারও কোমর ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কিনা। এই উপসর্গগুলো যদি আপনার সঙ্গে মিলে যায় তাহলে এখনই সতর্ক হয়ে যান। চলুন দেখে নেওয়া যাকঃ

কোমরের-ব্যথা-কমানোর-ঘরোয়া-উপায়
যাকঃ

  • প্রথমের দিকে কোমর তীব্র ব্যথা করে না হালকা ব্যথা অনুভব হতে পারে। হঠাৎ করেই একদিন মনে হবে কোমর কিছুটা ব্যথা করছে এটি প্রথম উপসর্গ হতে পারে।
  • হাঁটতে কষ্ট হয়। কোমরে ব্যথার উপসর্গ এটিও হতে পারে। কিছুটা পথ হেঁটেই অনেক বেশি ক্লান্ত হয়ে যান অথবা হাঁটার সময় পা ধরে যাচ্ছে। কিছুটা হেঁটে আর হাঁটা সম্ভব হচ্ছে না এটিও হতে পারে কোমর ব্যথার লক্ষণ।
  • চিৎ হয়ে শোয়া কষ্টকর হয়। চিত হয়ে শুয়ে থাকলে যদি কোমরে দিকে হালকা হালকা ব্যথা অনুভব হয় তাহলে বুঝিয়ে দেবেন এটি কোমর ব্যথার লক্ষণ। কোমরের উপরের দিক থেকে ব্যাথা ধীরে ধীরে কোমরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। 
  • কিছুটা নড়াচড়া করলে অথবা কিছুটা কাজের প্রেসার পারলে যদি হাটু ব্যথা হয় এবং কোমর ব্যথা হয় তাহলে এটিও হতে পারে কোমর ব্যথার উপসর্গ। পরবর্তীতে কোমরের তীব্র ব্যথা হতে পারে। 
  • ঘুম থেকে উঠে ধাব দিতে না পারা। ঘুম থেকে উঠে যদি দেখেন পা ফেলতে পারছেন না খুবই অসুবিধা হচ্ছে তাহলে এটি কোমর ব্যথা লক্ষণ হতে পারে। 
  • পা মচকে যাওয়া থেকে কোমর ব্যথায় পরিণত হতে পারে। অনেক সময় পা মচকে গেলে হাঁটুর সাথে জয়েন্ট হয়ে থাকা কোমরের হারেও ব্যথা অনুভব হয় এটি পরবর্তীতে কোমর ব্যথায় পরিণত হতে পারে।
  • পা অবশ হয়ে ভারী হয়ে যাওয়া হতে পারে কোমর ব্যথা লক্ষণ। যদি আপনি লক্ষ্য করেন যে আপনার পা ভারী হয়ে আসছে এবং হাঁটুর উপরের দিকে অবশ হয়ে যাচ্ছে কোনো কারণ ছাড়াই তাহলে এটি পরবর্তীতে কোমর ব্যথায় পরিণত হতে পারে।
  • পা কামড়ানো পরবর্তীতে কোমর ব্যথায় পরিণত হতে পারে। পা কামড়ানো ভীষণ কষ্টদায়ক একটি সমস্যা। এটি ভীষণ কষ্ট দেয় এবং এটি কোমর ব্যথার লক্ষণ। 

কোমরের ব্যথা কমানোর জন্য বেল্ট ব্যবহারের উপকারিতা 

কোমরের ব্যথা কমানোর জন্য বেল্ট ব্যবহার অত্যন্ত উপকারী। বেল্ট ব্যবহার করলে কোমর সোজা থাকে। কোমরে ব্যথা হলে কোমর কখনোই বাঁকা করে হাটা উচিত না। এতে কোমর বেঁকে যেতে পারে। কোমর বাঁকা করে হাঁটলে তা ক্রনিক লো ব্যাক পেইন এ পরিণত হবে। তাই কোমরকে সোজা রাখতে এবং কাজকর্ম করতে সাহায্য করে বেল্ট। এক কথায় বোঝাতে চাচ্ছি কোমরে ব্যথা হলেও কোমর বাঁকা করে হাঁটা যাবে না বেল্টের সাহায্য দিয়ে হলেও কোমর সোজা রাখতে হবে। 

আরো পড়ুনঃ শরীরের শীত বেশি লাগার কারণ কি - জেনে নিন

অনেক সময় দেখবেন বয়স্ক দাদা-দাদী অথবা নানা-নানী বিশেষ করে যারা একটু বেশি লম্বা তারা যেকোনো কাজকর্ম কোমর কুজো করে করে থাকেন। সব কাজ তাদের কোমর কুজো করেই করতে হয়। এই অভ্যাসটা তৈরি না করে যদি প্রথম থেকে বেল্ট ব্যবহার করা হতো তাহলে এ ধরনের সমস্যা দেখতে হতো না। তাই যেকোনো কাজ বসে বসে না করে, সব সময় বসে না থেকে, কাজ করার সময় চঞ্চল হওয়া অত্যন্ত জরুরী।

কোমরের ব্যথা এখন বয়স অনুযায়ী হয় না যে কোন বয়সে কোমরের ব্যথা দেখা দিচ্ছে। ক্যালসিয়াম এর ঘাটতি অথবা হাড় ক্ষয়ে যাওয়ার কারণেও এ ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই সকল দিকে সতর্ক থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোমরে ব্যথা হলে কাজ কর্মে মনোযোগ দেওয়া যায় না আর কোমরের ব্যথা ঠিক করা অত্যন্ত কষ্ট সাধ্য। তাই কোমরে ব্যথা হলে বেল্ট ব্যবহার করতে পারেন। এটি কোমর সোজা রাখতে সাহায্য করবে পাশাপাশি ব্যথা ও কমিয়ে দিবে।

কোমরের ব্যথা কমাতে উপকারী খাবার 

কোমরের ব্যথা কমাতে উপকারে খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন আজকের ব্লগ পোস্টে। দৈনন্দিন জীবনে নিয়ম-কানুন মেনে চলার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় খাবার গ্রহণ করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত সুষম খাবার শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। হাড়কে মজবুত করতে এবং হাড় ক্ষয়ে যাওয়া রোধ করতে সাহায্য করে। চলুন দেখে নেওয়া যাক কোমরের ব্যথা কমাতে উপকারী খাবার। অবশ্যই খাবার সমূহ আপনার খাদ্য তালিকায় রাখার চেষ্টা করবেন। 

  • আদাঃ আদা পেট ব্যথার পাশাপাশি কোমর ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। আদতে রয়েছে পটাশিয়াম। পটাশিয়ামের অভাবে নার্ভের সমস্যা হয়। তাই আদা চিবিয়ে খেলে পটাশিয়ামের ঘাটতি পূরণ হবে এবং ব্যথা উপশমের সাহায্য করবে। 
  • দুধঃ কোমর ব্যথা রোধ করতে এবং হাড়ের ক্ষয় পূরণ করতে দুধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুধে রয়েছে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম ব্যথা উপশমের একটি উপযোগী খাবার হিসেবে মনে করা হয়। 
  • অ্যালোভেরাঃ অ্যালোভেরা খুবই উপকারী কোমরের ব্যথা দূর করতে। নিয়মিত এলোভেরার জুস খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে পারেন। এটি খুবই ভালো কাজ করে। 
  • হলুদঃ নিয়মিত হলুদ দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি কবরের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করবে পাশাপাশি মানুষিক চাপও দূর করবে।
  • লেবুঃ লেবুতে রয়েছে ভিটামিন-সি যা ব্যথা উপশমে ভীষণ উপকারী। তাই লেবুর শরবত অথবা ভাতের সাথে লেবু চেপে নিয়ে নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে পারেন। এতে কোমর ব্যথা দূর হয়ে যাবে।
  • ফলঃ পর্যাপ্ত ফল খাওয়ার চেষ্টা করবেন যে কোন ধরনের। ফল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মানব দেহের জন্য। ফলে রয়েছে ভিটামিন-সি এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান যা শরীরের হাড় গঠনের সাহায্য করে। অবশ্যই আপনার খাদ্য তালিকায় নিয়মিত ফল রাখার চেষ্টা করবেন। আপেল,কমলা,ড্রাগন,মালটা ইত্যাদি।
  • শাকসবজিঃ শাক সবজি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত শাকসবজি খেলে শরীরের ভিটামিন এর শূন্যতা পূরণ হয়। নিয়মিত শাকসবজি খেলে আয়রনের শূন্যতা পূরণ হয় ও শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • ড্রাই ফুডঃ যেকোনো ধরনের ড্রাই ফুড খাওয়ার অভ্যাস করতে। কিসমিস, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম, খেজুর ইত্যাদি। এগুলো ভীষণ উপকারী শরীরের জন্য।

আশা করি বুঝতে পেরেছেন খাদ্য তালিকায় কি ধরনের খাবার রাখতে হবে। ভিটামিন-সি যুক্ত খাবার নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করবেন। আবারও বলছি সুস্থ থাকার জন্য খাবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাই সঠিক খাবার নির্বাচন করুন। এমন কিছু খাবার অবশ্যই খাদ্য তালিকায় রাখুন যে খাবারে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম। ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম দাঁত ও হাড় মজবুত করতে ভীষণ উপকারী নিয়মিত খাবার খান এবং পর্যাপ্ত পানি খান।

কোমর ব্যথা কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যায়াম 

কোমর ব্যথা কমাতে ব্যায়াম অত্যন্ত জরুরী। নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে শরীর সুস্থ রাখা যায়। শুধু ওজন কমানোর জন্যই ব্যায়াম করা হয় না। শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং ফিট রাখতে ও ব্যায়াম করার জরুরী। সব সময় শুয়ে বসে থাকলে কোমরে, হাতে, পায়ে এবং বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা হয় আবার পেশী টেনে ধরে। এগুলো সমস্যা দূর করতে ব্যায়াম অত্যন্ত জরুরী। সকালে ঘুম থেকে উঠে ১০ মিনিট ব্যায়াম করার চেষ্টা করবেন। 

আরো পড়ুনঃ নিম পাতার উপকারিতা এলার্জি দূর করণে

এছাড়াও নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। কিছুটা দ্রুত গতিতে ১০ মিনিট হাঁটুন তারপরে কিছুক্ষণ রেস্ট দিয়ে আবার হাঁটত শুরু করুন। এভাবে ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেগুলার হাঁটার অভ্যাস তৈরি করুন। ব্যায়াম এবং হাটাহাটি খুবই জরুরী। শরীরকে ফিট রাখতে এবং ব্যথা উপশমে এগুলো ভীষণ কাজ করে। আমাদের অনেকের মাঝেই এই ভুল ধারণা আছে নিজেকে সুস্থ রাখতে শুধু রেস্ট করা প্রয়োজন। 

এটি সম্পূর্ণ ভুল। শুধু রেস্ট করলে সুস্থ থাকা যায় না। সুস্থ থাকতে ব্যায়াম এবং হাঁটাহাঁটি ও প্রয়োজন রয়েছে। চলুন আপনাদের সাথে একটি ব্যায়াম শেয়ার করা যাক। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেয়ালের সাথে কোমর রেখে এবং পা উপরে করে শুয়ে পড়ুন। হাটু সোজা রাখার চেষ্টা করুন। ১০ সেকেন্ড ওইভাবে থাকুন। তারপরে আবার হাঁটু কোমরের কাছে নিয়ে আসার চেষ্টা করেন আবার সোজা করেন। এইভাবে কিছুক্ষণ করতে থাকেন। এভাবে রেগুলার ব্যায়াম করতে পারেন। 

এছাড়াও আরেকটি ব্যায়াম করতে পারেন সকালে ঘুম থেকে উঠে তা হলোঃ হাঁটু মেঝেতে রেখে কোমর সোজা করে দাঁড়িয়ে থাকুন। আবার বসে পড়ুন। ১০ সেকেন্ড পর আবার ১০ সেকেন্ড দাঁড়িয়ে থাকুন। তারপরে আবার বসে পড়ুন। এভাবে কিছুক্ষণ করতে থাকুন। এরকম দুই তিনটা ব্যায়াম করার পর পাঁচ মিনিট হাটাহাটি করে ফ্রেশ হয়ে নিন। নিয়মিত এভাবে ব্যায়াম করলে দেখবেন আপনার শরীর অনেক পাতলা লাগছে আগের তুলনায় এবং যেকোনো ধরনের ব্যথা আর পেশী টান দূর হয়ে গেছে।

অল্প বয়সে কোমর ব্যথার কারণ কি 

আমাদের আশেপাশে অথবা আত্মীয়-স্বজনের দিকে তাকালেই দেখতে পাবো অনেকের অল্প বয়সেই কোমর ব্যথা করে। বয়স্ক হলে বা বয়স বাড়লে যে শুধু কোমর ব্যথা হবে বিষয়টি এমন নয় যে কোনো বয়সে কোমরে ব্যথা হতে পারে। কিন্তু এর কারণ কি? চলুন এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। তবে আগেই বলে রাখি যে কারণেই ব্যথা হোক উপরের উপায় গুলো ফলো করতে পারেন ব্যথা নিরাময় করতে।  

কোমরের-ব্যথা-কমানোর-ঘরোয়া-উপায়
যথাঃ

  • দীর্ঘ সময় বসে থাকাঃ দীর্ঘ সময় একই ভঙ্গিতে বসে থাকলে কোমর ব্যথা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে বা দূরবর্তী কোথাও জার্নি করলে হঠাৎ করেই কোমরের ব্যথা দেখা দেয় এতে কোন বয়সের প্রয়োজন হয় না। যেকোনো বয়সে কোমরে ব্যথা দেখা দিতে পারে।
  • ড্রাইভিংঃ ড্রাইভিং এর ওপরেও নির্ভর করতে পারে আপনার সুস্থতা। অর্থাৎ ড্রাইভিং খারাপ হলে কোমরের ব্যথা হতে পারে। আমি যদি বাইক চালানোর সময় সামনের দিকে অতিরিক্ত ঝুঁকে থাকেন তাহলে পরবর্তীতে কোমরের ব্যথা দেখা দেয়। 
  • খারাপ চেয়ারঃ চেয়ার যদি ভালো না হয় অথবা যদি বাসে কোথাও জার্নি করেন তাহলে কোমরে ব্যথা দেখা দিতে পারে। আমরা খেয়াল করলেই বুঝতে পারবো অনেক সময় বাসের চেয়ার গুলো খারাপ হয় সেখানে বসে কিছুটা জার্নি করলে কোমরে ও ঘাড়ে ব্যথা দেখা দেয়।
  • ভারী কিছু বহনঃ দীর্ঘদিন ভারী কিছু বহন করলে কোমরে ব্যথা দেখা দিতে পারে। শুধু দীর্ঘ দিন না অনেক সময় হঠাৎ করে ভারী কোন কিছু বহন করলেও কোমর ব্যথা হতে পারে। 
  • শুয়ে থাকার ভঙ্গিঃ শুয়ে থাকার ভঙ্গি যদি খারাপ হয় তাহলে কোমর ব্যথা হতে পারে। তারমানে বোঝাতে চাচ্ছে অনেকেই সঠিক নিয়মে শুয়ে থাকেন না যার কারণে সকালে ঘুম থেকে উঠে কোমর ব্যথা অনুভব হয়। এটি দীর্ঘস্থায়ীও হতে পারে।
  • অনিয়মিত পিরিয়ডঃ মেয়েদের এই সমস্যা দেখা দেয় অল্প বয়সে। অল্প বয়সে যাদের পিরিয়ডের সমস্যা রয়েছে অর্থাৎ ক্লিয়ার ভাবে প্রতি মাসে পিরিয়ড হয় না তাদের কোমরে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে অনেকটাই। এ কারণে কোমরে ব্যথা করতে পারেন বুঝতেই পারছেন এখন তাহলে। 

গ্যাস হলে কি কোমর ব্যথা হয় 

অনেকেই এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছেন যে গ্যাস হলে কোমর ব্যথা হয় কিনা ? আপনাদের আগেই বলে রাখতে চাই সকল কোমর ব্যথা গ্যাসের কারণে হয় না এটি মাথায় রাখবেন। তবে কিছু কিছু সময় গ্যাসের কারণে কোমরে ব্যথা হতে পারে। অনেক সময় কোমরে গ্যাস ঢুকে যায় তখন পাঁজরে বা কোমরে মনে হয় চাপ লাগছে এমন অনুভব হয়। তখন এটি গ্যাসের ট্যাবলেট খেলে খুব সহজেই ভালো হয়ে যায় সর্বোচ্চ গ্যাসের সিরাপ খাওয়া লাগতে পারে। 

আরো পড়ুনঃ অ্যালোভেরার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

তবে সব ব্যথাতেই গ্যাসের ওষুধ খেলে কাজ করবে না। আপনার খাওয়াই যদি গরমিল থাকে অথবা বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকেন তখন গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর সেই সময় যদি হাঁটাহাঁটি না করে বিছানায় শুয়ে থাকেন তখন কোমরের দিকে গ্যাসের ব্যথা হতে পারে। এটি খুব স্বাভাবিক এবং খুব দ্রুত ঠিক হয়ে যায়। আর অন্য সময় যদি কোমরে ব্যথা হয় খাওয়া-দাওয়া ঠিক থাকার পরেও তাহলে বুঝে নেবেন এটি কোমরের ব্যথা গ্যাসের ব্যথা নয়। 

শেষ কথাঃ কোমরের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় 

কোমরের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি আজকের ব্লগ পোস্টে। কোমরের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় জানানোর পাশাপাশি আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করেছি কেন কোমরে ব্যথা হয়। এছাড়াও আজকের ব্লগ পোস্টে আলোচনা করেছি ব্যথা দূর করতে উপকারী খাবার, প্রয়োজনীয় ব্যায়াম এবং বেল্টের উপকারিতা সম্পর্কে। আশা করছি আজকের পোস্ট হতে কিছুটা হলেও উপকৃত হয়েছেন।

আজকের পোস্টটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। নিজে কোমর ব্যথা রোধ করুন এবং অন্যকেও ঘরোয়া উপায়ে কোমর ব্যথা কমানোর উপায় জানিয়ে সাহায্য করুন। আপনার ওজন যদি বেশি থাকে অবশ্যই কমানোর চেষ্টা করবেন এটি সবচাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও পর্যাপ্ত সুষম খাদ্য খাওয়ার চেষ্টা করবেন। শরীরকে সুস্থ রাখতে খাবার ভীষণ প্রয়োজনীয়। পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডেইলি ডাইরির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url