আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধা, অসুবিধা ও ভবিষ্যৎ

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো আজকের ব্লগ পোস্টে। এছাড়াও আজকের ব্লগ পোস্টে জানতে পারবেন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর অসুবিধা এবং এর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে সম্পূর্ণ পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।  

আর্টিফিশিয়াল-ইন্টেলিজেন্স-এর-সুবিধা
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও মানব বুদ্ধিমত্তার মধ্যে পার্থক্য কি তা জেনে নিন আজকের ব্লগ পোস্ট হতে। এছাড়াও এআই এর অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে কি ধরনের ক্ষতি বা সমস্যার সম্মুখীন হতে পারি আমরা তার সম্পর্কেও বিস্তারিত জেনে নিন। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে উপকৃত হবেন।

পেইজ সূচিপত্রঃ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধা 

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধা 

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধা সমূহ। এআই এর পূর্ণরূপ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে করা হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার। এর সুবিধা ও রয়েছে বটে। এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গুলোকে দিয়ে সংবাদ মাধ্যমে নিউজ পেপার পড়ানো খুবই জনপ্রিয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

এছাড়াও বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন অর্থনৈতিক বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। মেশিন গুলোকে দায়িত্ব দিয়ে যেন মালিক গুলো নিশ্চিন্ত হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও বাহিরের দেশগুলোতে রেস্টুরেন্টে দেখা মেলে বিভিন্ন রোবটের। খাবার সার্ভ করতে এবং ইংলিশে কথা বলতে খুবই পারদর্শী হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছে ২০৫০ সালের মধ্যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে বই লেখাও সম্ভব হবে।

ইতিমধ্যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দিয়ে কিছু ছোট ছোট উপন্যাস লেখা সম্ভব হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে আগামী ১০০ বছরের মধ্যে সব ধরনের কাজ করানো সম্ভব হবে রোবট দিয়ে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কে সঠিক এবং ভালো কাজে ব্যবহার করতে পারলে ভবিষ্যতের পৃথিবী হবে অনেক সুন্দর যা আমরা কল্পনা করতে পারি না। চলুন দেখে নেওয়া যাক আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধাঃ

  • আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দিয়ে কাজ করলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এরা সহজে ভুল করে না। মানুষ কোন না কোন ভাবে ভুল করে। কিন্তু আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দিয়ে কাজ করালে এর সম্ভাবনা নাই। এআই এর মধ্যে প্রোগ্রাম যদি সঠিকভাবে করা হয়ে থাকে তাহলে এআই কখনো ভুল করে না। ডিজিটাল লগারিদম এর মাধ্যমে এআই কাজ করে থাকে।
  • এআই খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। মানুষ অনেক সময় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগে। কিন্তু এআই সিদ্ধান্ত হীনতায় ভোগে না। সিদ্ধান্ত দ্রুত গ্রহণ করতে পারলে কাজও দ্রুত হয়ে যায়। 
  • আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর আরেকটি বড় সুবিধা হলো এরা কখনো ক্লান্ত হয়ে যায় না। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দিয়ে ২৪ ঘন্টা কাজ করানো সম্ভব। কিন্তু একটি মানুষকে দিয়ে ২৪ ঘন্টা পরিশ্রম করানো সম্ভব নয় মানুষের মধ্যে এত ক্ষমতা নেই। মানুষের জন্য ঘুম বিশ্রাম বাধ্যতামূলক। কিন্তু মেশিনের কোনো ধরনের বিশ্রামের প্রয়োজন হয় না।
  • একটি মেশিন এর ভেতরে সঠিকভাবে প্রোগ্রামিং সেট করতে পারলে তারা সঠিকভাবে কাজ করে। মেশিন কখনো প্রতারণা করে না তাই এটি আপনার জন্য খুবই বিশ্বস্ত। মানুষের প্রতি বিশ্বাস না পেলেও আপনি রোবটকে ১০০% বিশ্বাস করতে পারবেন। 

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর অসুবিধা 

আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধা রয়েছে। পৃথিবীতে তৈরিকৃত সকল ইলেকট্রনিক জিনিসের ভালো দিক ও খারাপ দিক রয়েছে। সঠিক ব্যবহার জীবনে উন্নয়ন বয়ে আনে কিন্তু ভুল ব্যবহার জীবনকে ধ্বংস করে দিতে পারে। এছাড়াও কিছু অসুবিধা ফেস করতে হয় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ক্ষেত্রে। চলুন দেখে নেওয়া যাক আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর কি কি অসুবিধা রয়েছেঃ

আরো পড়ুনঃ নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ফাইভারে কাজ পাওয়ার উপায় সমূ

  • আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সবচাইতে বড় সমস্যা হল এটি অনেক ব্যয়বহুল। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কে সক্রিয় রাখতে এবং সিস্টেম আপডেট রাখতে সব সময় নতুন নতুন অর্থাৎ লেটেস্ট মডেলের হার্ডওয়ার ও সফটওয়্যার প্রয়োজন হয়। এছাড়াও প্রয়োজন পরে কর্মীদের প্রশিক্ষণ। যার জন্য প্রয়োজন হয় অনেক টাকার। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর পেছনে এত ব্যয় করা সম্ভব হয় না অনেক কোম্পানির। 
  • যার কারণে সকলে এটি ব্যবহার করতে পারে না। এটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সবচাইতে বড় সমস্যা হিসেবে গণ্য করা হয়। কারণ আপনার প্রতিষ্ঠান যদি ছোট হয় বা আপনার কর্মক্ষেত্রের তুলনায় এটি যদি মোটা অংকের টাকা হয় তাহলে এটি ব্যবহার করা মোটেও আপনার জন্য সঠিক হবে না।
  • আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার যত বাড়বে তত কর্ম সংস্থান কমে যাবে। বেকারত্ব বেড়ে যাবে। অনেক পোস্ট বুক হয়ে যাবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহারে। তথ্যপ্রযুক্তি এবং সকল ইলেকট্রনিক্স কর্মে রোবট ব্যবহার হলে সেই পোস্টগুলো ভরাট হয়ে যাবে। 
  • আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করলে সেটি আপনাকে নতুন কিছু দেবে না। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে একটি রোবটের ভিতরে যে প্রোগ্রামিং করা হবে সে সাধারণত সেইটুকু কাজই করবে। এর মধ্যে কোন সৃজনশীলতা নেই। ইউনিক চিন্তাভাবনা রোবট করতে পারেনা। আমি তাকে দিয়ে যতটুক করিয়ে নিতে চান সে শুধু ততটুকু করবে। তাই এটি ব্যবহারের মাধ্যমে সৃজনশীলতার ঘাটতি দেখা দিতে পারে। 
  • রোবটের ভেতরে কোন আবেগ অনুভূতি নেই। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে রোবট আপনাকে আপনার প্রয়োজনীয় কাজ করে দেবে তবে মানুষের মতো এর মনে কোন অনুভূতি নেই। আপনি রোবটকে আপনার আবেগ দিয়ে কিছু বোঝাতে পারবেন না। তবে আরো বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে এবং জীবনকে সহজ করতে সিস্টেম আপডেট করার চেষ্টা করা হচ্ছে অর্থাৎ ক্রমাগত উন্নয়ন করার উদ্দেশ্যের সামনে এগিয়ে যাওয়া হচ্ছে রোবট তৈরিতে। 
  • আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহারের ক্ষেত্রে খুবই সতর্ক থাকা উচিত। এছাড়াও তাদের ভুল নির্দেশনা দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এরা কোন কিছুই আবেগ দিয়ে চিন্তা করবে না। এদের ভেতর ভালোবাসা নেই। তাই এদের ভেতরের প্রোগ্রামিং খুব সাবধানতার সাথে ব্যবহার করতে হয়। 

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ভবিষ্যৎ 

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ভবিষ্যৎ কেমন হতে পারে তা নিয়ে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো আজকে ব্লগ পোস্টে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ভবিষ্যৎ কেমন হবে তা জানলে আপনারা অবাক হয়ে যাবেন। যা এখন আমরা চিন্তাও করতে পারিনা। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার এতটাই বেড়ে যাবে যে ভবিষ্যৎ এটি ছাড়া কল্পনাও করা যায় না।  

আর্টিফিশিয়াল-ইন্টেলিজেন্স-এর-সুবিধা
দিনের পর দিন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার বেড়েই চলেছে। প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানে এর ব্যবহার দিনের পর দিন আরো বেড়েই যাবে। সকল সেক্টরেই প্রয়োজন হবে এআই। রোবট মানুষের মত কোনো কাজ করে ক্লান্ত হয়ে যায় না তারা দিনরাত ২৪ ঘন্টা যেকোনো কাজ করতে পারে। মার্কেট প্লেসে এআই এর চাহিদা বাড়বে। তাই ভবিষ্যতে ভালো কিছু করতে হলে এবং জীবনে উন্নতি করতে হলে এ ধরনের বিষয়ে আমাদের জ্ঞান অর্জন করতে হবে। 

এ আই সম্পর্কে কোন ধারণা না থাকলে আমাদের ভবিষ্যৎ জীবনে সময়ের সাথে এগিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। এছাড়াও এআই আমাদের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে। আশাকরি বুঝতে পেরেছেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে জীবনের সামনে এগিয়ে যাব এবং নিজের জীবনের উন্নতি করবো খারাপ জিনিসগুলো বর্জন করবো। 

এমন কাজ করা থেকে বিরত থাকব যার মাধ্যমে মানুষের ক্ষতি হতে পারে। তাই আমাদের সকলের এই আয়ের ভালো দিকগুলো ব্যবহার করে সমাজ দেশ এবং রাষ্ট্রের উন্নতি করা ও খারাপ ব্যবহার ও খারাপ দিকগুলো বর্জন করা। জীবনে এগিয়ে যেতে এবং ভবিষ্যৎ জীবনে উন্নয়ন করতে এই সম্পর্কে আপনার ধারণা থাকতে হবে নয়তো আপনি সকলের চাইতে পিছিয়ে যাবেন। এ আই এর সঠিক ব্যবহার আপনার জীবনে উন্নতি নিয়ে আসবে।

এ আই ব্যবহার করে আমরা যে কোন কাজ অনেক দ্রুত সম্পন্ন করতে পারব। এ আই দিনরাত ২৪ ঘন্টা কাজ করতে পারে। এআই মানুষের মতো ক্লান্ত হয়ে যায় না। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অনেক বিশ্বস্ত এটি মানুষের মত প্রতারণা করবে না। ভবিষ্যৎ দেশের উন্নয়নের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক নিয়ম ফলো করে এবং সমাজের উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে আমরা এগিয়ে যেতে পারি। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

এআই এর ব্যবহার 

এআই এর অনেক ব্যবহার রয়েছে। এ আই ব্যবহার করে বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করা যায়। এ আই এর পূর্ণরূপ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। এ আই এর ব্যবহার সব জায়গায় পৌঁছায়নি। তবে উন্নত দেশগুলোতে ব্যবহৃত হচ্ছে এ আই। এছাড়াও ভবিষ্যতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভবিষ্যৎ দুনিয়া এমন হবে যে আমরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ছাড়া কল্পনাই করতে পারব না। চলুন দেখে নেওয়া যায় এ আই এর ব্যবহারঃ

আরো পড়ুনঃ বিকাশ সেভিংস এর মুনাফার হার সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

  • শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে এ আই। এ আই ব্যবহার করে শিক্ষার মান বাড়ানো সম্ভব। এআই ব্যবহার করে শিক্ষাক্ষেত্রের ভালো-মন্দ দিক বিবেচনা করা যায়। ভালো ও দুর্বল স্টুডেন্টদের মূল্যায়ন করতে সক্ষম এ আই।
  • আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার রয়েছে ব্যাংকিং সেক্টরেও। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে খুব সহজেই এসএমএসের মাধ্যমে টাকা পয়সা লেনদেন করা যায়। কাগজ কলমের ব্যবহার কমে যাচ্ছে এবং ইমেইল বা মেসেজের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান করা হচ্ছে। 
  • সিকিউরিটি এর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। সিকিউরিটির কাজে সবচাইতে বেশি ব্যবহার রয়েছে এটির। কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিরাপত্তার কাজে সবচাইতে বেশি উপকারী। যুদ্ধক্ষেত্রে ড্রোন ব্যবহার এবং রাডার স্থাপন কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। সৈনিকদের স্ব-শরীরে উপস্থিত থাকার প্রয়োজন হচ্ছে না এবং জীবনের ঝুঁকি অনেকটাই কমে এসেছে আগের তুলনায়।
  • নিরাপত্তার কাজে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার চোখে পড়ার মতো। অপরাধীকে শনাক্ত করার ক্ষেত্রে সিসি ক্যামেরার ব্যবহার রয়েছে প্রচুর। এভাবেই নিরাপত্তার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। 
  • যেকোনো ভাষা অনুবাদ করার ক্ষেত্রে ভীষণ উপযোগী আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। আপনার প্রয়োজন মত ভাষা কনভার্ট করতে সক্ষম এই কৃতি বুদ্ধিমত্তা। ভাষা ট্রান্সলেট করতে এটি একটি সহজলভ্য ও নির্ভুল উপায়।
  • পরিবহন কাজে ব্যবহৃত হয় এ আই। সঠিকভাবে যানবাহন পরিচালনা করা সম্ভব হয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে। পারিপার্শ্বিক অবস্থা বুঝতে সক্ষম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। তাই পরিবহন কাজ খুবই নিরাপত্তার সাথে করতে সক্ষম এ আই।
  • এআই ব্যবহার করে সংবাদপত্র পড়ানো যায়। এখানে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম। 
  • এ আর ব্যবহার করে এখন পর্যন্ত ছোট ছোট কিছু উপন্যাস লেখা সম্ভব হয়েছে। ভবিষ্যতের বই লিখতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে বা উন্নয়নের চেষ্টা করা হচ্ছে। 
  • অনেক রেস্টুরেন্টে রোবটের ব্যবহার দেখা যায় বাহিরের দেশ গুলোতে। 
  • তথ্যপ্রযুক্তি বা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক কার্যক্রমে রোবটের ব্যবহার করা হচ্ছে উন্নত দেশগুলোতে। 
  • অর্থনৈতিক বিষয়গুলোতেও রয়েছে এ আই এর ব্যবহার। 
  • যেকোনো সমস্যার সমাধান চ্যাট জিটিপি এর মাধ্যমে পেয়ে যাবেন। 
  • এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং জগতে এ আই একটি বড় সুবিধা।
  • এখান থেকে আপনি বিভিন্ন বিষয়ের ধারণা লাভ করতে পারবেন। 
  • এছাড়াও এইআইয়ের মাধ্যমে তৈরি করা যায় বাস্তবের মতো ছবি।
  • যেকোনো সমস্যার সমাধান, মতামত, পিকচার, ধারণা পেয়ে যাবেন এই আয়ের মাধ্যমে।
  • এ আই যেকোনো নির্দিষ্ট কাজ করে থাকে। এআই লগারিদম ব্যবহার করে আপনি আপনার পছন্দমত কাজ করিয়ে নিতে পারবেন। 
  • স্বাস্থ্য সেবায় রয়েছে এ আই এর ব্যবহার। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এআই কে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ ও চিকিৎসার বিষয়গুলোতে ভূমিকা রাখে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। এছাড়াও জটিল অপারেশনের ব্যবহার হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। মানুষের চাইতেও সূক্ষ্ম ভাবে কাজ সম্পন্ন করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। তাই স্বাস্থ্য সেবায় এআইয়ের ব্যবহার অতুলনীয়।
  • অনলাইন শপিংয়ের ক্ষেত্রে ভীষণ উপকারী আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে অনলাইন শপিং সিস্টেম আপনার পছন্দ বা আপনার অপছন্দের লগারিদম সৃষ্টি করে তার ভিত্তিতে আপনার পছন্দের বস্তুকে আমাদের সামনে তুলে ধরতে সাহায্য করে এ আই।
  • ট্রাফিক আইন নিয়ন্ত্রণ করতেও ব্যবহার করা হচ্ছে এ আই এর। বড় বড় উন্নয়নশীল দেশগুলোতে খুব নিরাপত্তার সাথেই এটির ব্যবহার করা হচ্ছে। 

মানব বুদ্ধিমত্তা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মধ্যে পার্থক্য 

মানব বুদ্ধিমত্তা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মধ্যে পার্থক্য কি তা তুলে ধরবো আজকের ব্লগ পোস্টে। মানব বুদ্ধিমত্তা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মধ্যে রয়েছে কিছু পার্থক্য। কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের কাজকে সহজ করে দিয়েছে। এটি অনেক ব্যয়বহুল। তবে ভবিষ্যতের দুনিয়া অনেক বেশি উন্নয়নশীল হতে চলেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের মাধ্যমে। মানুষ দিনরাত ২৪ ঘন্টা কাজ করতে পারে না তবে মানুষের রয়েছে সৃজনশীলতা। চলুন দেখে নেওয়া যাক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মানুষের বুদ্ধিমত্তার মধ্যে পার্থক্যঃ 

মানব বুদ্ধিমত্তাঃ

  • মানুষের মধ্যে রয়েছে সৃজনশীলতা যার সরাসরি ইন্দ্রিয়ের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগায়।
  • মানুষের বুদ্ধির মত্তা সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত হয়ে থাকে। এটি প্রাকৃতিকভাবে মানুষের ভেতরে চলে আসে। 
  • মানুষের জ্ঞান এবং দক্ষতা বা মানুষের ভেতরের বুদ্ধিমত্তা সহজে কপি করা বা অনুলিপি করা সম্ভব না। ভেতরের জ্ঞান কারো সাথে শেয়ার করা সম্ভব না। 
  • মানুষের বুদ্ধিমত্তা সৃষ্টির শুরু থেকেই। মানবজাতির সৃষ্টির পর থেকেই তার ভেতরে বুদ্ধিমত্তার আবির্ভাব ঘটে আর ধীরে ধীরে তা উন্নয়নশীল হয়। 
  • মানুষের বুদ্ধিমত্তা দিনের পর দিন বাড়তে থাকে। শরীর বিকাশের সাথে সাথে মানসিক বিকাশও ঘটে। 
  • মানব বুদ্ধিমত্তা কে কখনোই লিপিবদ্ধ করা সম্ভব নয়। 
  • একমাত্র মানুষের দ্বারাই সম্ভব নতুন কিছু কল্পনা করা। 
  • অনেক কিছুই আছে যা মানুষ আবেগের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করে। 
  • দিনরাত কাজ করতে সক্ষম নয়। একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর বিশ্রাম ও ঘুমের প্রয়োজন হয়। 

আর্টিফিশিয়াল-ইন্টেলিজেন্স-এর-সুবিধা
 কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাঃ

  • কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভেতরে কোন সৃজনশীলতা নেই। 
  • কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা নির্দিষ্ট কিছু কাজ করতে পারে। আপনি যে কাজটি করিয়ে নিতে চান সেই নির্দিষ্ট কাজটুকুই করানো সম্ভব তার দ্বারা। 
  • কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা কথাটি শুনলেই বোঝা যাচ্ছে এটি কৃত্রিম উপায়ে মানুষের উপকার করে থাকে। 
  • কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা সফটওয়্যার প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে খুব সহজেই অনুলিপি তৈরি করা যায় এবং অন্য কারো সাথে শেয়ার করা যায়। 
  • কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের তৈরি তাই এটি সৃষ্টির পর থেকেই জ্ঞান লাভ করে না এর ভেতরে প্রোগ্রামিং সিস্টেম চালু করতে হয়। 
  • কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাকে যতটুকু জ্ঞান দেওয়া হবে সে ততটুকুই করতে পারবে। এটি দিনের পর দিন বিকাশ করবে না কারণ এটি মানুষের হাতে তৈরি যতটুকু তার ভেতরে দেওয়া হবে ততটুকুই করতে পারবে। 
  • কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সমস্ত বিষয়গুলো লিপিবদ্ধ বা কোড আকারে লিখে রাখা সম্ভব। 
  • কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আবেগ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। 
  • কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সবচাইতে ভালো এটি দিন রাত কাজ করলেও ক্লান্ত হয় না।
  • বিশ্রাম ও ঘুমের প্রয়োজন নেই। 

এ আই এর অতিরিক্ত ব্যবহারে মানুষের কি হতে পারে 

এ আই এর অতিরিক্ত ব্যবহারে মানুষের কি হতে পারে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো আজকে ব্লগ পোস্টে। আপনাদের সাথে ইতিমধ্যে ওপরে আলোচনা করেছি ভবিষ্যৎ জীবন কেমন হতে পারে। ভবিষ্যৎ জীবন এআইয়ের ব্যবহার ছাড়া কল্পনাই করা যায় না। তবে অতিরিক্ত এআইয়ের ব্যবহারে মানুষের কি হতে পারে তা অনেকেই জানতে চেয়েছেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক এ আই এর অতিরিক্ত ব্যবহার মানুষের জীবনে কি ধরনের প্রভাব ফেলতে পারেঃ 

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশে ছাত্র অবস্থায় অর্থ উপার্জনের সাতটি আকর্ষণীয় উপায়

  • এআই ব্যবহার করে অন্যের গোপন তথ্যগুলো হাতিয়ে নেওয়া সম্ভব যা ভবিষ্যতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে মানব জীবনে। 
  • আপনি এআই এর অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলতে পারেন। 
  • আমাদের মস্তিষ্কের অসংখ্য নিউরন কোষ রয়েছে যার ব্যবহার করা না হলে ব্রেন অকেজো হয়ে যেতে পারে।
  • ভবিষ্যতে বেকারত্বের পরিমাণ বাড়বে অতিরিক্ত এআই ব্যবহারের কারণে। 
  • কারণ মানুষের দ্বারা যে কাজ করাতে কয়েক ঘণ্টা লাগে এ আয় ব্যবহার করে তা কয়েক মিনিটে করানো সম্ভব। যার কারণে সেই পথ গুলো এ আই দ্বারা কন্ট্রোল করা হবে ফলে বেকারত্ব বাড়বে।
  • আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর অনেক সুবিধা রয়েছে যা আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি। তবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর অতিরিক্ত ব্যবহার মানুষের মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলার কারণ হতে পারে।

এ আই এর ব্যবহার জীবনকে সহজ করবে এবং রাষ্ট্রের উন্নয়ন করতে সক্ষম হবে। তাই যে সব কাজে এ আই ব্যবহার করা যুক্তিযুক্ত সে সব কাজে এআই ব্যবহার করা ভালো। আর যে সব কাজে এআই ব্যবহার করলে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেইসব কাজগুলোতে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ এতে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে আমাদের সমাজের।

মন্তব্যঃ আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধা 

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি আজকে ব্লগ পোস্টে। এছাড়াও আজকের ব্লগে আলোচনা করেছি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর অসুবিধা ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে। আশা করি আজকের পোস্ট হতে কিছুটা হলেও উপকৃত হয়েছে। মানব বুদ্ধিমত্তা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মধ্যে পার্থক্য কি কি? সে বিষয়টি তুলে ধরেছি আপনাদের সামনে। 

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সম্পর্কে সকল তথ্য জানানোর চেষ্টা করেছি আপনাদের। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে আমরা ভবিষ্যতে অনেক উন্নয়নশীল রাষ্ট্র তৈরি করতে সক্ষম হবো। ভবিষ্যতের পৃথিবী এ আই নিয়ন্ত্রণ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভবিষ্যৎ পৃথিবী এ আই ছাড়া কল্পনাই করা যায় না। তবে আমরা সকলেই এই এর ভালো ব্যবহার গুলো মাথায় রেখে সামনে এগিয়ে যাব এবং খারাপ বিষয় গুলো বর্জন করবো। 

এআইয়ের অতিরিক্ত ব্যবহার আমাদের ওপর কি ধরনের বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে তা সম্পর্কে আলোচনা করেছি। তাই যে সব কাজে এআই ব্যবহার করলে সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়ন হবে সেসব কাজে আমরা এআই ব্যবহার করব আর যেসব কাজে সমাজে রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে সেসব কাজ থেকে বিরত থাকবো। সকল কিছুরই ভালো দিক ও খারাপ দিক রয়েছে। তাই আমাদের সকলের উচিত ভালো টি গ্রহণ করা এবং মন্দটি বর্জন করা। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডেইলি ডাইরির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url