শীতে সর্দি কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়

সর্দি কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় নিয়ে আলোচনা করবো আজকের ব্লগ পোস্টে। অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীতকালে সর্দি-কাশির প্রবণতা বেশি দেখা দেয়। সর্দি কাশি থেকে রক্ষা পেতে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ঘরোয়া কিছু টিপস। 
সর্দি-কাশি-থেকে-মুক্তির-ঘরোয়া-উপায়অতিরিক্ত সর্দি দেখা দিলে দৈনন্দিন জীবনের কাজগুলো সম্পন্ন করা অনেক কষ্টকর হয়ে যায়। সর্দি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় জেনে নিন। সর্দির সাথে কাশিও আমাদের অনেক বেশি কষ্ট দেয়। সর্দি কাশি থেকে বাঁচতে ঘরোয়া উপায় জানতে সম্পূর্ণ পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পেইজ সূচিপত্রঃ সর্দি কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় 

সর্দি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় 

সর্দি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় জেনে দিন আজকের পোস্টে। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে অনেক সময় সর্দি-কাশির প্রবণতা দেখা দেয়। অতিরিক্ত সর্দি দৈনন্দিন জীবনের কাজগুলোকে অনেক কঠিন করে দেয়। সর্দির কারণে মুখের স্বাদ হারিয়ে যায়। সর্দির কারণে মাথা অতিরিক্ত ভারী হয়ে থাকে কিছুই ভালো লাগেনা। এছাড়াও নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নেওয়া যায় না মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস দিতে হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক সর্দি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়ঃ
  • সকল কাজে গরম পানি ব্যবহার করুন। গরম পানি পান করুন। গোসলের ঠান্ডা পানির সাথে গরম পানি মিশ্রণ করে গোসল করুন, যতটা গরম আপনার ত্বক সহ্য করতে পারে।
  • নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হলে গরম পানির ভাব নিন। এতে নিশ্বাসের জড়তা কমে যাবে।
  • সর্দির সাথে গলা বসে গেলে চা খেতে পারেন।
  • আদা চা খেতে পারেন। এটি খুবই উপকারী।
  • হালকা গরম পানির সাথে মধু মিশিয়ে খেলে পারেন। 
  • দুধের সাথে কাঁচা হলুদ বিষিয়ে পার করতে পারেন। 
  • বারবার সর্দি না টেনে নাক সবসময় পরিষ্কার রাখুন। সর্দি ঝেড়ে ফেলুন। 
  • নাক মুখে কাপড় গরম করে ছ্যাঁক দিতে পারেন। 
  • ফ্যান  বা এসির বাতাস থেকে দূরে থাকুন।
  • সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা কুসুম পানি দিয়ে কুলকুচি করুন। 
  • অতিরিক্ত ঠান্ডা কিছু খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। 
  • ঠান্ডা খাবার না খেয়ে খাবার গরম করে খান।
  • গলায় এবং নাকে সরিষার তেল দিয়ে রাখতে পারেন। নারকেলের তেল দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। নারকেলের তেল দিলে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। 
  • গরম কাপড় পরিধান করুন। নাকে বাতাস লাগলে অনেক সমস্যা হয় এ সময়। প্রয়োজনে মাস্ক পরিধান করুন।
  • আপনার যদি এলার্জি সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় 

কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় জেনে নিন। অপ্রত্যাশিত কাশি খুবই কষ্ট দেয়। অতিরিক্ত কাশি হলে মনে হয় যেন বুক ফেটে যাচ্ছে। এমন কি এক সময় বুকে ব্যথার অনুভূতি হয়। ছোট বড় সকলেই অনেক বেশি কষ্ট পায় কাশির কারণে। এছাড়াও গর্ভবতী মায়েদের জন্য এটি একটি মারাত্মক সমস্যা। এই কাশি থেকে মুক্তির কিছু ঘরোয়া গোপন উপায় আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। চলুন জেনে নেওয়া যাকঃ
  • কাশি হলে কফ ঝেড়ে ফেলুন। 
  • ঠান্ডা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। 
  • ঠান্ডা পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। হালকা গরম পানি খান। হালকা গরম পানির সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
  • গলা গরম কাপড় দিয়ে জড়িয়ে রাখুন। 
  • কাশি থেকে রক্ষা পেতে চা খেতে পারেন। আদা চা অথবা মসলা চা খেতে পারেন।
  • কালো মরিচ কাশি দূর করতে সাহায্য করে।
  • তুলসী পাতার রস খেতে পারেন। 
  • হালকা গরম করে সরিষার তেল বুকে ও গলায় ম্যাসাজ করুন।
  • হালকা গরম দুধের সাথে কাঁচা হলুদ মিশিয়ে খেতে করতে পারেন।
  • ফ্যান অথবা এসির বাতাস থেকে দূরে থাকুন। 
  • ঘুমানোর সময় গরম কাপড় পরিধান করুন। অবশ্যই গলা ঢেকে রাখবেন। 
  • মেঝেতে ঘুমানো থেকে বিরত থাকুন। ঠান্ডা লেগে যেতে পারে।

হাঁচি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় 

হাঁচি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। ঠান্ডা লাগার কারণে হাঁচির সমস্যা হয়ে থাকে। এছাড়াও যাদের ডাস্ট এলার্জি আছে তাদের অত্যন্ত হাঁচির সমস্যা দেখা দেয়।অতিরিক্ত মাত্রায় হাঁচি হলে পেট ব্যথা হয়ে যায়। এছাড়াও বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। চলুন আজকের পোস্টে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো হাঁচি থেকে মুক্তি পেতে কি ধরনের ঘরোয়া উপায় আমি অবলম্বন করিঃ
 
  • মধুঃ গরম পানির সাথে মধু খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। চাইলে খালি মুখে ও মধু খেতে পারেন। মধু হাঁচি প্রতিরোধে সাহায্য করে।
  • ঠান্ডা বাতাস থেকে বিরত থাকাঃ ঠান্ডা বাতাস থেকে বিরত থাকুন। ফ্যান,এসি বা যেকোনো ধরনের বাতাস থেকে দূরে থাকুন।
  • ধুলোবালিঃ হাঁচি থেকে মুক্তি পেতে ধুলোবালি থেকে দূরে থাকুন।
  • গরম পানির ভাবঃ গরম পানির ভাব নিন হাঁচি থেকে মুক্তি পেতে।
  • নাক পরিষ্কার রাখুনঃ হাঁচি থেকে মুক্তি পেতে নাক পরিষ্কার রাখুন।
  • ভিটামিন-সিঃ হাঁচি থেকে বাঁচতে ভিটামিন-সি যুক্ত ফল অথবা যেকোনো খাবার খান। ভিটামিন-সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
  • লেবুঃ নিয়মিত লেবু খান হাঁচি থেকে বাঁচতে। লেবুতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি জীবানুর সাথে যুদ্ধ করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
  • পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নঃ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হাঁচি কমাতে চাইলে নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। 
  • গরম পোশাক পরিধান করুনঃ ঘরে পোশাক পরিধান করুন। কারন ঠান্ডা লাগলে হাঁচির সমস্যা দেখা দেয়।

শীতে সর্দি কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় 

শীতে সর্দি কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীতকালে সর্দি-কাশি ও জ্বরের প্রবণতা বেশি দেখা দেয়। তাই এ সময় একটু সাবধানে থাকা উচিত সকলের। আমার শীতকালে সর্দি-কাশির সমস্যা হলে ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করি এবং ভালো ফলাফল পাই। শীতকালে সর্দি কাশি থেকে মুক্তি পেতে ঘরোয়া এই টেকনিক গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আজকের পোস্টেঃ 
সর্দি-কাশি-থেকে-মুক্তির-ঘরোয়া-উপায়
যথাঃ
  • লেবুর রসঃ  হালকা গরম পানিতে ২ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে খেলে সর্দি-কাশি দূর হয়ে যায়। 
  • তুলসী পাতার রসঃ তুলসী পাতার রস খুবই উপকারী। শীতকালে সর্দি কাশি দূর করতে তুলসী পাতা রস হালকা গরম করে খেতে পারেন। 
  • আদাঃ আদা গরম পানির সাথে ফুটিয়ে নিয়ে সেই পানি কিছুটা ঠান্ডা করে অর্থাৎ উষ্ণ গরম পানি খেতে পারেন। এছাড়াও আদা চা খেতে পারেন
  • গরম পোশাকঃ অবশ্যই গরম পোশাক পরিধান করবেন। গলায় যেন ঠান্ডা না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। প্রয়োজনে শীতের কাপড় গলায় পেচিয়ে রাখবেন। 
  • বাতাস থেকে বিরত থাকবেনঃ ফ্যান অথবা এসির বাতাস থেকে দূরে থাকবেন। বাতাস লাগলে সর্দি কাশি বেড়ে যাবে। প্রয়োজনে মাক্স পরিধান করবেন। 
  • গরম পানিঃ অবশ্যই সকল কাজে গরম পানি ব্যবহার করবেন। হালকা গরম পানি পান করবেন। ঠান্ডা পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। গোসলের সময় হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করবেন যতটুকু আপনার শরীর সহ্য করতে পারে।
  • ধুলাবালিঃ ধুলাবালি থেকে বিরত থাকবেন। যাদের ডাস্ট এলার্জি আছে তাদের নাকে মুখে ধুলোবালি ঢুকে গেলে ঠান্ডার লেগে যায় এবং পরবর্তীতে সর্দি কাশি দেখা দেয়।
  • পর্যাপ্ত ঘুমঃ পর্যাপ্ত ঘুম আপনার শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরী। পর্যাপ্ত ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। এছাড়াও ঘুমানোর সময় গরম পোশাক পরিধান করবেন। লেপ অথবা কম্বল গায়ে দিবে। মেঝেতে ঘুমানো থেকে বিরত থাকবেন।
  • পুষ্টিকর খাবারঃ যারা শারীরিকভাবে একটু দুর্বল তাদের শীতকালে অনেক অসুস্থ হতে দেখা যায়। তাই পুষ্টিকর খাবার খাবেন। নিয়মিত ডিম ও দুধ খাবেন। শরীরের ঠান্ডা যেন বসে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। ডিম খেলে শরীর গরম হয়। পর্যাপ্ত পানি পান করবেন। তবে অবশ্যই যেন উষ্ণ নরম পারি হয়।
  • গরম পানির ভাবঃ শীতকালে ঠান্ডা লেগে গেলে সর্দি-কাশি সমস্যা দেখা দেয়। ঠান্ডা লেগে গেলে সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা পেতে গরম পানির ভাব দিতে পারেন।

এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় 

এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় জেনে নিন আজকের পোস্টে। এলার্জি খুবই মারাত্মক। এলার্জির কারণে দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যাদের এই এলার্জির সমস্যা আছে তারাই জানে এটার কষ্ট কতটা। খাওয়া দাওয়া করে শান্তি নাই এমনকি বাহিরে চলাফেরা করলেও অনেক বেশি সমস্যা হয়। চলুন আজকের পোস্টে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়ঃ
  • শীতকালে অবশ্যই গরম কাপড় পরিধান করবেন।
  • পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার চেষ্টা করবেন। 
  • বাহিরে যাওয়ার আগে মাস্ক পরিধান করুন। 
  • শরীরে যেন ঠান্ডা না লেগে যায় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
  • খালি পায়ে হাঁটা থেকে বিরত থাকুন। 
  • মেঝেতে ঘুমাবেন না।
  • এলার্জি রয়েছে এবং খাবার থেকে বিরত থাকবেন। 
  • পুষ্টিকর খাবার খাবেন।
  • ভিটামিন-সি যুক্ত খাবার অথবা ফল খেতে পারেন। যেমনঃ লেবু, কমলা লেবু, মালটা, পেয়ারা, আপেল, আঙ্গুর, স্ট্রবেরি এবং বিভিন্ন রকম ফল।। এছাড়াও শাকসবজি খেতে পারেন। 
  • সামান্য মধুর সাথে অ্যাপেল সিডার মিশিয়ে খেতে পারেন। 
  • যেকোনো ধরনের চা খেতে পারেন। যেমনঃ আদা চা, মসলা চা, ভেষজ চা।

রক্তে এলার্জির লক্ষণ 

রক্তে এলার্জির লক্ষণ কি কি হতে পারে? এ বিষয়ে আপনার কি কোন ধারনা আছে? না থাকলেও কোন সমস্যা নেই রক্তে এলার্জি লক্ষণ নিয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করবো। রক্তে এলার্জি হলে বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। অনেক সময় এই লক্ষণগুলো দেখা দিলেও আমরা সমস্যাটা ধরতে পারিনা। তাই আজকে রক্তে এলার্জির লক্ষণ আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। আজকের পোষ্ট থেকে জানতে পারবেন আপনারও এই সমস্যা রয়েছে কিনা। চলুন দেখে নেওয়া যাকঃ
 
  • চুলকানি দেখা দিবে। চুলকানি চরম পর্যায়ে পৌঁছে যেতে পারে।
  • চামড়ায় লাল দাগ দেখা দিতে পারে। 
  • ত্বক বা যে কোন জায়গা ফুলে যেতে পারে।
  • শ্বাসকষ্ট হতে পারে। নিঃশ্বাস আটকে যাওয়ার মত অনুভব হবে।
  • পেট ব্যথা হতে পারে। 
  • বমি ভাব দেখা দিতে পারে। 
  • শরীর দুর্বল লাগতে পারে।

জ্বর সর্দি কেন হয় 

জ্বর সর্দি কেন হয়? আপনারা অনেকেই এই প্রশ্ন করে থাকেন। চলুন আপনাদের সাথে শেয়ার করি জ্বর সর্দির কারণঃ জ্বর সর্দি ভাইরাসজনিত একটি রোগ। এই ভাইরাস যখন শ্বাসনালী বা নাকে আক্রমণ করে তখন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। আপনারা খেয়াল করলেই দেখতে পাবেন যারা একটু বেশি অপরিষ্কার বা একটু নোংরা হয়ে থাকে তাদের অসুখ তুলনামূলক একটু বেশি হয়। 
 
তাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান করুন। এছাড়াও ঠান্ডা লাগলে জ্বর সর্দি দেখা দিতে পারে। এ সময় ভাইরাস অস্থি গহ্বর ও স্বরযন্ত্রে আক্রান্ত করে। তাই শরীরকে ঠান্ডা লাগা থেকে রক্ষা করুন গরম পোশাক পরিধান করুন। হাঁচি কাশিতে আক্রান্ত রোগীর কাছ থেকে দূরে থাকুন। নিয়মিত হ্যান্ড ওয়াশ ব্যবহার করুন।

ঠান্ডা লাগলে কি সর্দি হয় 

ঠান্ডা লাগলে কি সর্দি হয়? এমন প্রশ্ন আপনার টা অনেকেই করে থাকেন। এই প্রশ্নের উত্তর হলো: হ্যাঁ। ঠান্ডা লাগলে সর্দি হয়। খেয়াল করলেই দেখবেন শীতকালে খুব সহজেই সর্দি লেগে যায়। এই জন্য এ সময় ঠান্ডা পোশাক পরিধান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নাকে যেন ঠান্ডা বাতাস না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজনে মাক্স ব্যবহার করুন। 
সর্দি-কাশি-থেকে-মুক্তির-ঘরোয়া-উপায়
ঠান্ডার সময় সর্দি থেকে বাঁচতে গরম পানি পান করুন। ঠান্ডার সময় সর্দি লাগলে ধীরে ধীরে হাঁচি-কাশির ও সমস্যা দেখা দেয়। তাই ঠান্ডার সময় মেঝেতে ঘুমানো থেকে বিরত থাকুন। খালি পায়ে হাঁটবেন না। গলায় গরম কাপড় অথবা শীতের কাপড় জড়িয়ে রাখুন। এছাড়াও বিভিন্ন রকম চা খেতে পারেন, মধু খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন এবং তুলসী পাতার রস খেতে পারেন।

অল্পতেই ঠান্ডা লাগার কারণ কি 

অল্পতেই ঠান্ডা লাগার কারণ কি? এই সমস্যায় অনেকেই ভুগছেন। অল্পতেই খুব সহজে ঠান্ডা লেগে যাচ্ছে এর কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না। চলুন আপনাদের সাথে শেয়ার করি অল্পতেই ঠান্ডা লাগার কারণ: শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে অল্পতেই ঠান্ডা লাগে। অল্পতেই ঠান্ডা লাগলে বুঝতে হবে আপনার শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি আছে। 

এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পুষ্টিকর খাবার খান। পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন-বি১২ গ্রহণ করুন। দেহে চর্বির ঘাটতি এবং হরমোনের ঘাটতি দেখা দিলে অল্পতে ঠান্ডা লেগে যায়। গরম কাপড় পরিধান করুন। খালি পায়ে হাঁটা থেকে বিরত থাকুন,খালি পায়ে হাঁটলে তাড়াতাড়ি ঠান্ডা লেগে যায়। প্রয়োজনে গরম পানি পান করুন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন। ধুলোবালি থেকে দূরে থাকুন। নাকে মুখে ধুলো বালি ঢুকলে ঠান্ডা লাগার সমস্যা দেখা দেয়।

মন্তব্যঃ সর্দি কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় 

সর্দি কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি আজকের ব্লগ পোস্টে। আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করছি কিছুটা হলেও উপকৃত হয়েছে। আজকের পোস্টে সর্দি, কাশি ও হাঁচি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় শেয়ার করেছি আপনাদের সাথে। এছাড়াও আপনাদের সাথে আলোচনা করেছি এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়। 

এই পদক্ষেপ গুলো অনুসরণ করে সর্দি কাশি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। খুব সহজেই এই ঘরোয়া উপায় গুলো অবলম্বন করতে পারবেন। এছাড়াও আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি জ্বর সর্দি কেন হয়। সেই কাজগুলো থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন। আজকের পোস্ট ভালো লাগলে কমেন্ট করে জানাবেন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।
 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডেইলি ডাইরির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url