ছেলেদের চুলের খুশকি দূর করার উপায়
ছেলেদের চুলের খুশকি দূর করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো আজকের ব্লক পোস্টে। মেয়েদের মতো ছেলেরা চুলের এত যত্ন নিতে পারেন না আজকের কিছু ট্রিকস ফলো করে চুলের খুশকি খুব সহজেই দূর করতে পারবেন। চুলের খুশকি দূর করার সকল তথ্য জেনে নিন।
চুলের খুশকি দূর করার পাশাপাশি চুলের চুলকানির সমস্যা দূর করার উপায়ও জানতে পারবেন। এছাড়াও জানতে পারবেন খুশকি প্রতিরোধ করতে কি করবেন তার সম্পর্কে। আজকের পোস্ট হতে আরো জেনে নিন ছেলেদের চুলের যত্ন নেওয়ার উপায় সম্পর্কে।পেইজ সূচিপত্রঃ ছেলেদের চুলের খুশকি দূর করার উপায়
- ছেলেদের চুলের খুশকি দূর করার উপায়
- তৈলাক্ত খুশকি দূর করার উপায়
- মাথার চুলকানি দূর করার উপায়
- চুল পড়া দূর করার উপায়
- লেবু দিয়ে খুশকি দূর করার উপায়
- অ্যালোভেরা দিয়ে খুশকি দূর করার উপায়
- চুলে খুশকি হওয়ার কারণ
- খুশকি প্রতিরোধ করতে করণীয়
- ছেলেদের চুলের যত্ন নেওয়ার উপায়
- মন্তব্যঃ ছেলেদের চুলের খুশকি দূর করার উপায়
ছেলেদের চুলের খুশকি দূর করার উপায়
ছেলেদের চুলের খুশকি দূর করার উপায় সম্পর্কে জেনে নিন। চুলে খুশকির প্রবণতা বেড়ে গেলে চুল ঝরে যায়। আর ছেলেদের চুল একবার ঝরতে শুরু করলে তা রোধ করা খুব কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। মেয়েদের মতো ছেলেরা চুল বা ত্বক কোনটারই এত যত্ন নিতে পারেন না। চলুন আজকে শর্টকাটে চুলের খুশকি দূর করার কিছু উপায় আপনাদের সাথে শেয়ার করি। এই উপায়গুলো ফলো করে অল্প সময়ের মধ্যে দ্রুত মাথার খুশকি দূর করতে পারবেন।
- পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নঃ মাথার ত্বক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা সবচাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মাথার ত্বক অপরিষ্কার রাখলে খুশকি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। এছাড়াও বাহিরে কাজে গেলে মাথা বেশি অপরিষ্কার হয়ে থাকে। গোসলের সময় শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করা উচিত।
- লেবুর রসঃ মাথার খুশকি দূর করতে লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন। এটি দ্রুত খুশকি নিরাময় করবে। তেলের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে মাথায় ব্যবহার করতে পারেন। গোসলের সময় শ্যাম্পু করে নিবেন। তাহলে দেখবেন দ্রুত মাথার খুশকি চলে গেছে।
- অ্যালোভেরাঃ অ্যালোভেরা ব্যবহার করলে মাথার খুশকি দূর হয়। অ্যালোভেরা পেস্ট গোসলের আগে মাথার ত্বকে লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছুক্ষণ পর গোসলের সময় ধুয়ে ফেলুন আর শ্যাম্পু করে নিন। পরিবর্তন নিজের চোখেই দেখতে পাবেন।
- টক দইঃ টক দইয়ে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল যা মাথার ফাঙ্গাস দূর করে চুলকে সুরক্ষিত রাখে। খুশকি দূর করার পাশাপাশি মাথার ত্বকের চুলকানিও কমিয়ে দেয়। তাই ছেলেদের চুলের খুশকি দূর করতে টক দই ব্যবহার করতে পারেন।
- পেঁয়াজের রসঃ পেঁয়াজের রস খুশকি দূর করার পাশাপাশি মাথা ঠান্ডা রাখতে ও ভীষণ উপকারী। তেলের সাথে পেঁয়াজের রস মিশিয়ে মাথায় মালিশ করতে পারেন। এটি খুশকি দূর করবে সাথে চুলকে মজবুত করতে সাহায্য করবে। চুল ঝলমলে হবে।
- নারিকেলের তেলঃ নারিকেলের তেল ভীষণ উপকারী মাথার জন্য। এত কিছুর ঝামেলা যদি নাই করতে চান তাহলে অন্তত নারিকেলের তেল ব্যবহার করেন। এটি খুশকি দূর করতে সাহায্য করবে। নারিকেলের তেল কমবেশি সকলের বাসায় থাকে।
- মেহেদি পাতাঃ মেহেদী পাতা মাথার জন্য খুবই উপকারী। এটি খুশকি দূর করার পাশাপাশি মাথা ঠান্ডা রাখে। চুল মজবুত করতে সাহায্য করে। ঘন কালো চুলের জন্য মেহেদি পাতার গুরুত্ব অপরিসীম।
- নিমপাতাঃ নিম পাতার রস মাথার খুশকি দূর করতে সবচাইতে বেশি কার্যকরী বলে আমি মনে করি। নিম পাতার রসে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা মাথার ত্বকের ব্যাকটেরিয়ার রোধ করতে সাহায্য করে। মাথার খুশকি দূর করবে পাশাপাশি মাথার চুলকানি দূর করবে।
- আপেল সিডার ভিনেগারঃ আপেল সিডার ভিনিগারে রয়েছে ভাঙ্গাস প্রতিরোধ ক্ষমতা। মূলত ফাঙ্গাসের জন্যই মাথার ত্বকে খুশকি হয়। তাই মাথার খুশকি চিরতরে দূর করতে আপেল সিডার ভিনিগার।
এই উপকরণগুলো ব্যবহার করে খুব সহজেই আপনি দ্রুত ফলাফল পাবেন। কাজের সূত্রে ছেলেদের বাইরে থাকতে হয়। বাহিরে ধুলাবালি অতিরিক্ত মাথার স্ক্যাল্পে বসে গেলে খুশকির সমস্যা দেখা দেয়। ওপরের উপায়গুলো ফলো করে ছেলেদের মাথার খুশকি দূর করতে পারেন। এছাড়াও ব্যবহার করতে পারেন রসুনের রস, কফি, দেশি মুরগির ডিম ও মেথি। খুশকি হলে মাথার চুলকানি বেড়ে যায়। খুশকির সমস্যার জন্য মানুষের সামনে ইতোস্থ বোধ হয়। তাই এটি দূর করা অত্যন্ত জরুরী।
তৈলাক্ত খুশকি দূর করার উপায়
অনেক সময় মাথায় তৈলাক্ত খুশকি আবির্ভাব দেখা দেয়। এই খুশকি সাধারণত মাথার ত্বকে চুলকানি সৃষ্টি করে। আর চুলকানোর সময় হাতের নখের সাথে সাদা সাদা তৈলাক্ত পদার্থ উঠে আসে। অনেকটা আঠালো হয়ে থাকে এগুলো। তৈলাক্ত খুশকি দূর করার উপায় কি? চলুন জেনে নেওয়া যাকঃ তৈলাক্ত খুশকি দূর করতে মাথা পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এইজন্য সব সময় মাথা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
মাথার ত্বকে নারকেলের তেল ব্যবহার করতে পারেন এটি খুশকি দূর করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও গোসলের আগে লেবুর রস নারকেলের তেলের সাথে মিশিয়ে মাথায় লাগাতে পারেন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে গোসলের সময় শ্যাম্পু করে নিন। দেখবেন অনেকটাই উপকার পেয়েছেন। এভাবে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন যত্ন করলে খুশকি থেকে মুক্তি পাবেন বলে আশা করছি। দীর্ঘদিন মাথায় তেল না দিয়ে থাকবেন না এটি খুশকি হওয়ার একটি অন্যতম কারণ।
এছাড়াও চুলে ব্যবহার করতে পারেন অ্যালোভেরা। অ্যালোভেরা ব্যবহার করলে চুলের খুশকি দূর হয়। নিম পাতার রস ও চুলে ব্যবহার করা যায় খুশকি দূর করণে। টক দই এর পেস্ট চুলে ব্যবহার করতে পারেন এটিও খুবই উপকারী। এছাড়াও মাথায় তেল দেওয়ার সময় তেলের সাথে পেঁয়াজের রস, রসুনের রস অথবা মেথির রস মিশ্রণ করতে পারেন। এটি চুলের খুশকি দূর করার পাশাপাশি চুলকে হেলদি রাখতে সাহায্য করবে।।
মাথার চুলকানি দূর করার উপায়
খুশকি অতিরিক্ত বেড়ে গেলে চুলকানি ও দেখা দেয়। মাঝে মাঝে খুশকি ছাড়াও মাথার ত্বক চুলকাতে পারে। মাথার ত্বক চুলকানোর কারন কি? চলুন দেখে নেওয়া যাক। মাথার ত্বকে যখন ফাঙ্গাস আক্রান্ত করে তখন খুশকির সাথে চুলকানিও বেড়ে যায়। মাথার ত্বকের ব্যাকটেরিয়া এবং ফাঙ্গাস রোধ করলে খুশকি এবং চুলকানি দুটোই দূর হবে। চুলকানি মানুষের সামনে খুব খারাপ একটি পরিস্থিতি তৈরি করে। চুলকানি দূর করার উপায়ঃ
আরো পড়ুনঃ নিম পাতার উপকারিতা এলার্জি দূর করনে
মাথার ত্বকে নিম পাতার রস ব্যবহার করতে পারেন। নিম পাতার রসে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এটি ফাঙ্গাসের সাথে যুদ্ধ করবে এবং মাথার ত্বকের চুলকানি রোধ করতে সাহায্য করবে। নিম পাতা ভীষণ উপকারী মাথার চুলকানি দূর করতে। এছাড়াও ব্যবহার করতে পারেন আপেল সিডার ভিনিগার। এটি ফাঙ্গাস দূর করতে ভীষণ উপকারী। মাথার ত্বকের ফাঙ্গাস দূর করে চুলকানি রোধ করতে সাহায্য করবে।
চুল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই অবশ্যই সপ্তাহে দুইবার শ্যাম্পু করতে হবে। শ্যাম্পু করার আগে চুলের এবং মাথার ত্বকে মেহেদি পাতার রস ও ব্যবহার করতে পারেন। এটি চুলের যত্নে অন্যতম একটি প্রাকৃতিক প্রোডাক্ট। নিয়মিত গোসল করবেন মাথার ত্বকে তেল দিবেন। দীর্ঘদিন শ্যাম্পু করে থাকলে মাথার ত্বকে তেল না দিলে খুশকি এবং চুলকানি দেখা দেয়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
চুল পড়া দূর করার উপায়
চুল পড়া একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে ছেলেদের চুল একবার পড়তে শুরু করলে তার রোধ করা সম্ভব হয় না। তাই চুলের যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বেলুন দেখে নেওয়া যাক চুল পড়া রোধ করতে করণীয়। চুল পড়ার অন্যতম কারণ হিসেবে কাজ করে খুশকি। চুলে অতিরিক্ত খুশকি বেড়ে গেলে চুল পড়তে শুরু করে। তাই অবশ্যই খুশকি প্রতিরোধ করতে হবে চুল পড়া রোধ করতে।
এছাড়াও নিতে হবে চুলের যত্ন। নিয়মিত শ্যাম্পু করতে হবে। চুল এবং মাথার ত্বক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। নিয়মিত তেল দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তেল মাথার ত্বক ঠান্ডা রাখে। মাথার ত্বক সব সময় গরম থাকলে চুল পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন অবশ্যই শ্যাম্পু করতে হবে। শ্যাম্পু করার পর তেল ব্যবহার করবেন। গোসলের পর চুল শুকানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে মেয়েদের এ বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত।তা হলো গোসল করে ভেজা চুলে ঘুমিয়ে যাবেন না। এছাড়াও দেখা যায় চুলে টাওয়াল জড়িয়ে রেখে দিয়েছেন দীর্ঘ সময় ধরে। এটি খুবই ক্ষতিকর চুলের জন্য। চুল ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে। ভেজা চুল আচড়ানো থেকে বিরত থাকবেন। ছেলেদের ক্ষেত্রে বলছি বাজারের আবোল-তাবোল তেল ব্যবহার না করে একটি ভালো তেল নির্বাচন করবেন মাথার চুলের জন্য। চাইলে সরিষা অথবা নারকেলের তেল ও ব্যবহার করতে পারেন।
চুলে যে কোন জাতীয় কেমিক্যাল চুল কালার করা, স্ট্রেট করা, জেল ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন। এগুলো চুল পরা বাড়িয়ে দেয়। চুলের ক্ষতি করে। তাই চুলের যত্নে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও খেতে হবে পুষ্টিকর খাবার। পুষ্টিকর খাবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চুল এবং ত্বকের যত্নে। পড়া রোধ করতে ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফল এবং সবজি খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নিয়ম গুলো মেনে চললে খুব দ্রুত আপনার চুল পড়া রোধ হবে বলে আশা করছি।
লেবু দিয়ে খুশকি দূর করার উপায়
লেবু দিয়ে খুশকি দূর করার উপায় ও নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন। লেবু অত্যন্ত উপকারী চুলের যত্নে। লেবুতে রয়েছে ভিটামিন-সি। তেলের সাথে মিশিয়ে চুলে লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন। এটি চুলের জন্য ভীষণ উপকারী। গোসলের আগে তেলের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে তা মাথার ত্বক ও চুলে মালিশ করে নিন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরে গোসলের সময় শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন এই নিয়ম মেনে চলতে পারেন। এটি চুলের খুশকি রোধ করতে সাহায্য করবে। খুশকি দূর করার পাশাপাশি মাথার ত্বক ঠান্ডা রাখতে খুবই উপকারী। ভালো ফলাফল পেতে এক থেকে দেড় মাস ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও লেবু খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে পারেন। লেবু ত্বক ও চুলের যত্নে খুবই উপকারী। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
অ্যালোভেরা দিয়ে খুশকি দূর করার উপায়
অ্যালোভেরা চুলের খুশকি দূর করতে খুব উপকারী। দীর্ঘদিন ধরে যারা খুশকির সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য অ্যালোভেরা একটি উপযুক্ত উদ্ভিদ। খুশকি দূর করার পাশাপাশি চুলের স্বাস্থ্য ভালো করতেও সাহায্য করে অ্যালোভেরা। অ্যালোভেরা প্রাকৃতিক উপায়ে আপনার চুলের খুশকি দূর করবে এবং চুলকে করে তুলবে কমল ও মোলায়েম। তাই নিয়মিত চুলে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ অ্যালোভেরার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
এতে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টিফাঙ্গাস। যা চুলের খুশকি দূর করার পাশাপাশি চুলকানি রোধ করতেও সাহায্য করে। এছাড়াও চুল পড়া রোধ করতে অ্যালোভেরা ভীষণ উপকারী। অ্যালোভেরাই রয়েছে ভিটামিন-সি ভিটামিন-এ এবং অ্যামাইনো অ্যাসিড। আরো রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি মাথার ত্বক সুরক্ষিত রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চাইলে এটি আপনার মাথার ত্বকে ব্যবহার করতে পারবেন।
নিয়মিত ব্যবহারের মাধ্যমে মাথার ত্বক সুরক্ষিত থাকবে। খুশকি দূর করতে সাহায্য করবে এবং চুলকানি প্রতিরোধ করবে। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করতে পারেন। খুব জোর এক মাস ব্যবহার করলেই আপনি আপনার সমস্যার সমাধান পাবেন বলে আশা করছি। তবে অবশ্যই অ্যালোভেরা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। বাইরের সবুজ মোটা অংশ নেওয়া যাবে না শুধু ভেতরের নরম অংশটুকু পেস্ট করতে হবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
চুলে খুশকি হওয়ার কারণ
চলুন দেখে নেওয়া যাক চুলে খুশকি হওয়ার কারণ। আমাদের নিজেদের ভুলেই এসব সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকি আমরা। চুলের যত্ন এবং মাথার ত্বকের যত্ন নিয়মিত নিলে খুশকি হওয়া সম্ভব না। কিন্তু দৈনন্দিন ব্যস্ততার মধ্যে এত যত্ন নেওয়ার সুযোগ হয়ে ওঠে না। এছাড়াও বাহিরে কাজ করলে এ ধরনের সমস্যা বেশি ফেস করতে হয়। বিশেষ করে ছেলেদের এ সমস্যায় বেশি ভুগতে হয়। চলুন দেখে নেওয়া যাক চুলে খুশকি হওয়ার কারণঃ
- মাথার স্ক্যাল্প নোংরা থাকলে চুলে খুশকি হয়।
- দীর্ঘদিন তেল ব্যবহার না করলে।
- পর্যাপ্ত ঘুম না হলে।
- মাথার ভেতরে অতিরিক্ত ঘেমে গেলে।
- ধুলো বালির মধ্যে কাজ করলে।
- অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করলে।
- দীর্ঘ সময় ধরে চুল ভেজা অবস্থায় রাখলে।
- নিয়মিত চুল না আঁচড়ালে।
- পর্যাপ্ত পানি পান না করলে।
- অতিরিক্ত বাজারের কেমিক্যাল যুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করলে।
খুশকি প্রতিরোধ করতে করণীয়
খুশকি প্রতিরোধ করতে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। চুলে খুশকি হওয়ার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। যেসব কারণে চুলে খুশকি হয় সেসব কাজ করা বন্ধ করতে হবে। চুলে যত্ন নিতে হবে তাহলেই চুলের খুশকি প্রতিরোধ করা সম্ভব। দৈনন্দিন কাজের ব্যস্ততার মধ্যে নিজেরও একটু যত্ন নিতে হবে। না হলে এ ধরনের সমস্যায় পড়তে হবে। চুলের খুশকি দূর করে চুলকানি প্রতিরোধ করার উপায় জেনে নিন। চুলের খুশকি প্রতিরোধ করলে,খুশকি দূর করার উপায় আর জানতে হবে না। করণীয়ঃ
যথাঃ- মাথার ত্বক সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। সাধারণত অপরিষ্কার থাকার কারণে চুলে খুশকি দেখা দেয়। তাই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- মাথার ত্বকে নিয়মিত তেল ব্যবহার করতে হবে। দীর্ঘদিন তেল ব্যবহার না করলে চুলের গোড়ায় খুশকির আবির্ভাব হয়।
- বাহিরে কাজ করলে ধুলাবালি মাথার ত্বকে লেগে যায় এছাড়াও চুলের গোড়ায় ঘাম জমে যায়। তাই নিয়মিত শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে গোসল করতে হবে। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।
- ভেজা চুল নিয়ে ঘুমিয়ে পড়বেন না। চুল শুকানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভেজা চুল আঁচড়ানো থেকে বিরত থাকবেন এতে চুল পড়া বেড়ে যায়। চুল শুকিয়ে নিবেন তাহলে খুশকি হওয়ার সম্ভাবনা কম।
- নিয়মিত চুল আঁচড়াবেন এবং চুলে তেল দিবেন। এছাড়াও মনে রাখবেন অতিরিক্ত শ্যাম্পু করা যাবে না। এতে চুলের সাইন নষ্ট হয়ে যায়।
- পর্যাপ্ত পানি পান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শরীরে পানি স্বল্পতা দেখা দিলে চুল পড়া বেড়ে যায় এবং খুশকির সমস্যা হতে পারে। তাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পানি পান করুন।
- পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত ঘুম না হলেও খুশির সমস্যা দেখা দেয়। তাই খুশকি রোধ করতে এবং মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে পর্যাপ্ত ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
- বাজারের বিভিন্ন প্রসাধনী কেমিক্যাল ব্যবহার না করে প্রাকৃতিকভাবে চেষ্টা করুন। প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে চুলের খুশকি দূর করতে পারবেন এবং চুল পড়া রোধ করতে পারবেন তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি কিছুটা হলে উপকৃত হবেন।
ছেলেদের চুলের যত্ন নেওয়ার উপায়
ছেলেদের চুলের যত্ন নেওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন আজকের ব্লক পোস্টে। মেয়েদের মত ছেলেদের হাতে এত সময় থাকে না যে সারাদিনই ঘরোয়া উপায়ে চুলের যত্ন নেবে। তাই ভাবছেন তো শর্টকাটে চুলের যত্ন নেওয়ার উপায় পেলে ভালো হতো? চলুন দেখে নেওয়া। আজকের পোস্টে খুব সহজেই কিভাবে চুলের যত্ন নেবেন তা সম্পর্কে আলোচনা করবো। এই নিয়ম গুলো মেনে চললে আপনার চুল সুরক্ষিত থাকবে।
আরো পড়ুনঃ সুন্দরী মেয়ে পটানোর সহজ উপায়
সকালে ঘুম থেকে উঠে চুল আঁচড়াবেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে চুল আঁচড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আলোর গোড়ায় যে প্রয়োজনীয় পদার্থ জমা হয় তা সম্পূর্ণ চলে পৌঁছে দেওয়া জরুরী। চুল আচড়ানোর মাধ্যমে এটি সম্ভব। চুলকে ধুলোবালি থেকে সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করবেন। অতিরিক্ত ঘেমে গেলে অবশ্যই বাসায় এসে গোসল করবেন। সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন। অবশ্যই মাথায় তেল দিতে ভুলবেন না।
চুল কালার করা, জেল ব্যবহার করা, স্প্রাইড করা এবং যেকোনো ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন। এটি চুল ড্যামেজ করে দেয়। চুলে বিভিন্ন রং করার প্রবণতা ছেলেদের মাঝে দেখা যায়। এটি চুলকে রুক্ষ এবং আনহেলদি করে দেয়। তাই চুলের সুরক্ষায় এগুলো থেকে বিরত থাকুন। চাইলেই চুলে নারকেলের তেল অথবা সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন। এতে চুলের কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বরং চুল কালো এবং মজবুত হবে
মন্তব্যঃ ছেলেদের চুলের খুশকি দূর করার উপায়
ছেলেদের চুলের খুশকি দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি আজকের ব্লগে। এছাড়াও আজকের পোস্টে জানিয়েছি চুল পড়া রোধ করার উপায়, চুলের চুলকানি দূর করার উপায়। কি ধরনের পদক্ষেপ অবলম্বন করে চুলের খুশকি দূর করতে পারবেন তার সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। চাইলে এই নিয়ম গুলো মেনে চলতে পারেন।
এছাড়াও আজকের ব্লগ পোস্টে আলোচনা করেছি ছেলেদের চুলের যত্ন নেওয়ার উপায়। চুল
এবং ত্বকের যত্ন প্রাকৃতিকভাবে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। প্রাকৃতিক উদ্ভিদ ব্যবহার
করলে এগুলোর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই তাই কেমিক্যাল থেকে দূরে থাকার চেষ্টা
করবেন। সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকের ব্লগ পোস্টটি বন্ধুদের
সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
ডেইলি ডাইরির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url