গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান? এ সম্পর্কে সঠিক তথ্য কোথাও পাচ্ছেন না? তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকের ব্লগ পোস্টে গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিমের সকল উপকারিতা তুলে ধরবো আপনাদের সামনে। 

গর্ভাবস্থায়-কোয়েল-পাখির-ডিমের-উপকারিতা
অর্থাৎ গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিম খেলে কি ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায় এবং কি কি সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন সেইসব তথ্য নিয়ে থাকছে বিস্তারিত আলোচনা। আশা করছি আজকের পোস্ট থেকে উপকৃত হবেন। 

পেইজ সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা 

গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা 

গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা তুলে ধরবো আপনাদের সামনে। গর্ভাবস্থায় যে কোনো খাবার নিয়ে অনেক চিন্তায় থাকেন গর্ভবতী মায়েরা। এসময় একটু দেখে শুনে খাবার খেতে হয়। কারন গর্ভবতী মায়ের সাথে জড়িত থাকে বাচ্চার স্বাস্থ্যের সুস্থতা। তাই বাচ্চার ভালো-মন্দ যাচাই করে খাবার নির্বাচন করা উচিত। চলুন দেখে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতাঃ

  • কোয়েল পাখির ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম। যা গর্ভাবস্থায় খুবই উপকারী। বাচ্চার শারীরিক গঠনের সাহায্য করে এছাড়াও শরীরের ক্ষয় পূরণ করতে সাহায্য করে প্রোটিন।
  • আপনারা জেনে অবাক হবেন যে হাঁস মুরগির ডিমের চাইতে কোয়েল পাখির ডিমে বেশি ভিটামিন রয়েছে। কোয়েল পাখির ডিমের পুষ্টিগত মান বেশি উন্নত। গর্ভাবস্থায় নিয়মিত আপনার খাবারের তালিকায় কোয়েল পাখির ডিম রাখতে পারেন। শারীরিক সুস্থতা লাভ করবেন।
  • নিয়মিত সকাল অথবা সন্ধ্যায় কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে পারেন। কোয়েল পাখির ডিমে থাকা ভিটামিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শরীর শক্ত সামর্থ্য করতে সাহায্য করে। 
  • গর্ভাবস্থায় নিয়মিত কোয়েল পাখির ডিম খেলে শরীরের দুর্বলতা কেটে যায়। অবসাদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। অনেক সময় দেখা যায় এ সময় শরীরের জোর পাওয়া যায় না শরীর ম্যাচ ম্যাচ করে, এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত কোয়েল পাখি ডিম খেতে পারেন। 
  • কোয়েল পাখির ডিমে রয়েছে ভিটামিন-ডি, ভিটামিন-ই, ভিটামিন-কে এবং আয়রন যার শরীরের পুষ্টি শূন্যতা দূর করে এবং রক্ত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে আয়রন।
  • গর্ভাবস্থায় পুষ্টি শুন্যতা দূর করতে সাহায্য করে। বাচ্চার শারীরিক গঠনে সাহায্য করে এবং সুস্থ রাখে।
  • আপনার পছন্দ মতো খেতে পারের কোয়েল পাখির ডিম। অর্থাৎ সিদ্ধ, ভাজি অথবা তরকারিতে দিয়ে রান্না করে খেতে পারেন। খেতে পারলেই এর পুষ্টিগুণ পাবেন। তবে অতিরিক্ত তেল খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন এবং সঠিক সময় ধরে সিদ্ধ করবেন। গর্ভাবস্থায় সিদ্ধ কম আছে এমন ডিম খাওয়া উচিত নয়। এমন কি বেশি সময় ধরে সিদ্ধ করলে ডিমের পুষ্টি নষ্ট হয়ে যায়। তাই সঠিক সময় নিয়ে সিদ্ধ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • গর্ভাবস্থায় বেশিরভাগ মেয়েদের রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়, নিয়মিত কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার মাধ্যমে রক্তশূন্যতা পূরণ করা সম্ভব।
  • এছাড়াও অনেক গর্ভবতী মায়েদের গর্ভাবস্থায় হাত পা ফুলে যেতে দেখা যায় এতে হাঁটা চলা করতে খুবই অসুবিধা হয় এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত কোয়েল পাখির ডিম খেতে পারে।
  • শারীরিক গঠনে যেমন সাহায্য করে তেমনি পুষ্টি শুন্যতা পূরণ করতে সাহায্য করে কোয়েল পাখির ডিমে থাকা পুষ্টি উপাদান। আকারে ছোট হলে হলেও কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা অনেক। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিম খেলে কি কি পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় 

গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিম খেলে কি কি পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় তা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন আজকের ব্লগ পোস্টে। গর্ভাবস্থায় নিয়মিত কোয়েল পাখির ডিম খেলে শরীরের বিভিন্ন পুষ্টি শূন্যতা পূরণ হয়। এছাড়াও শারীরিক গঠনে ভীষণ সাহায্য করে কোয়েল পাখির ডিম। রক্তশূন্যতা দূর করতেও সাহায্য করে। চলুন দেখে নেওয়া যাক কোয়েল পাখির ডিমের পুষ্টি উপাদান সমূহঃ

  • ক্যালসিয়াম 
  • প্রোটিন 
  • কার্বোহাইড্রেট
  • ক্যালরি
  • ফ্যাট 
  • পুষ্টি 
  • আয়রন
  • ওমেগা ফ্রি ফ্যাটি এসিড
  • ভিটামিন-এ
  • ভিটামিন-ডি 
  • ভিটামিন-সি
  • ভিটামিন-বি 
  • ভিটামিন-কে 
  • শক্তি
  • সেলনেইয়াম

এ সকল উপাদানগুলো শরীর গঠনে সাহায্য করে এবং শরীরের বিভিন্ন পুষ্টি শূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরের কর্ম দক্ষতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই গর্ভাবস্থায় নিয়মিত আপনার খাদ্য তালিকায় কোয়েল পাখির ডিম রাখতে পারেন। এটি গর্ভবতী মায়ের জন্য যেমন উপকারী তেমনি নবাগত বাচ্চার স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।

গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা এবং অপকারিতা 

গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে উপরের প্যারায় ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছেন। এছাড়াও আপনাদের জানাতে চাই নিয়মিত কোয়েল পাখির ডিম আপনার খাদ্য তালিকায় রাখার চেষ্টা করবেন। খাবারটি আকারে ছোট হলেও এর পুষ্টি পরিধি অনেক বড়।

আরো পড়ুনঃ থানকুনি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

এছাড়াও এর বাজার মূল্য খুব একটা বেশি না সহজেই এটি রেগুলার খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন গর্ভবতী মায়েরা। রক্তশূন্যতা দূর করে কর্ম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে কোয়েল পাখির ডিম। এছাড়াও বাচ্চার শারীরিক গঠনে ভীষণ উপকারী কোয়েল পাখির ডিম। বাঁচার শরীরের হাড় মজবুত করতে সাহায্য করবে। কারণ কোয়েল পাখির ডিমে রয়েছে ক্যালসিয়াম।

গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলো খাওয়া অতিরিক্ত হয়ে গেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। এছাড়াও কোয়েল পাখির ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমানে কোলেস্টেরল যা থেকে হৃদরোগের সমস্যা হতে পারে। কোয়েল পাখির ডিমের উপকারের তুলনায় অপকারিতা খুবই কম। তাই নিয়ম মেনে খেলে বা পরিমান মতো খেলে কোন সমস্যার সম্মুখীন হবেন তা বলে আশা করছি। আমার নিজস্ব মতামত কোয়েল পাখি ডিম পরিবার মত খাওয়া উচিত। নিয়ম মেনে খেলে এতো এতো পুষ্টি গুনাগুণ হাত ছাড়া করতে হবে না।

গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিম দিবে কয়টি খাওয়া উচিত 

গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিম দিনে কয়টি খাওয়া উচিত? চলুন এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। কোয়েল পাখির ডিম গর্ভাবস্থায় দিনে ২ থেকে ৪ টি খেতে পারেন। কোয়েল পাখির ডিম দেখতে ছোট হলেও হাঁস অথবা মুরগির ডিমের তুলনায় এর পুষ্টি গুনাগুণ বেশি। তাই অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া উচিত হবে না। ভালো ফলাফল পেতে নিয়ম মেনে খাওয়া উচিত। 

গর্ভাবস্থায়-কোয়েল-পাখির-ডিমের-উপকারিতা
প্রতিদিন নিয়মিত কোয়েল পাখির ডিম খেলে প্রায় ১০ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। তাই গর্ভাবস্থায় দিনে ২ থেকে ৪ টি কোয়েল পাখির ডিম খেলেই ভালো ফলাফল পাবেন। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। যেকোনো রোগ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দিবে। সর্বোচ্চ ফলাফল পেতে নিয়ম মেনে খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নিয়মে প্রতিদিন ডিম খাওয়ার চেষ্টা করবেন তাহলে ডিমে থাকা সকল পুষ্টি উপাদান পাবেন।

গর্ভাবস্থায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা 

গর্ভাবস্থায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। কোয়েল পাখির ডিম নিয়মিত খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কোয়েল পাখি ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন যা শরীরের ক্ষয় পূরণ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও জীবাণু সাথে যুদ্ধ করে ওমেগা ফ্রি ফ্যাটি এসিড। হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে ক্যালসিয়াম।

গর্ভাবস্থায় নিয়মিত কোয়েল পাখির ডিম খেলে শরীরে ভিটামিন-এ এর শূন্যতা পূরণ হয়। গর্ভাবস্থায় নিয়মিত দুই থেকে চারটি কোয়েল পাখির ডিম খেতে পারেন এতে শরীরের রোগবালাই কমে যায়। শারীরিকভাবে সুস্থতা অর্জন করে মা এবং শিশু। শিশুর শরীর গঠনে বিশাল ভূমিকা পালন করে কোয়েল পাখির ডিম। কোয়েল পাখির ডিম নিয়মিত খেলে বাচ্চার শারীরিক গঠন ভালো হয় এবং হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।

গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির মাংসের উপকারিতা 

গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির মাংসের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। কোয়েল পাখির ডিম এবং কোয়েল পাখির মাংসের জনপ্রিয়তা রয়েছে বিশ্বজুড়ে। চীন দেশে বিভিন্ন ঔষধি কাজে কোয়েল পাখির ডিম ব্যবহৃত হয়। কোয়েল পাখির মাংস নিয়মিত খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় পাশাপাশি শরীর কর্মক্ষমতা লাভ করে। কোয়েল পাখি মাংসে রয়েছে ফলিত এসিড। 

আরো পড়ুনঃ কাঁচা ডুমুরের ২০ টি কার্যকারী উপকারিতা

ফলিত এসিড গর্ভাবস্থায় শারীরিক কর্মক্ষমতা দান করে অর্থাৎ পুষ্টি শূন্যতা পূরণ করে। কোয়েল পাখির ডিম সম্পর্কে সকলেরই জানার আগ্রহ, তবে আপনি জেনে অবাক হবেন কোয়েল পাখির মাংস খুবই উপকারী মানব দেহের জন্য। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় নিয়মিত কোয়েল পাখির মাংস খেলে শরীরের সকল শূন্যতা পূরণ হয়। চলুন দেখে নেওয়া যাক কোয়েল পাখির মাংসের উপকারী উপাদান সমূহঃ

কোয়েল পাখির মাংস রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, কার্বোহাইড্রেট সহ বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান। যাদের শরীর দুর্বল এবং কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলছেন তারা নিয়মিত কোয়েল পাখির মাংস খেতে পারে। কোয়েল পাখির মাংস শরীরের ক্ষয় পূরণ করতে সাহায্য করে। সঠিক পুষ্টি পেতে কোয়েল পাখির ডিম প্রতিদিন খেলেও কোয়েল পাখির মাংস প্রতিদিন খাওয়ার প্রয়োজন নেই।

সপ্তাহে দুইবার খাওয়াই যথেষ্ট। কোয়েল পাখির মাংসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। শরীরে আয়রন এর অভাব হলে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। তাই রক্তশূন্যতা পূরণ করতে নিয়মিত কোয়েল পাখির মাংস খেতে পারেন। কোয়েল পাখির মাংস নিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে গর্ভবতীর পাশাপাশি নবজাত শিশু জন্য উপকারী হবে। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।

গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিম খেলে কি এলার্জির সমস্যা হয়

গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিম খেলে কি এলার্জির সমস্যা হয়? চলুন এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। গর্ভাবস্থায় নিয়মিত কোয়েল পাখির ডিম খেলে এলার্জির সমস্যা হয় না। তবে আপনার যদি আগে থেকেই এলার্জির সমস্যা থাকে তাহলে ডিম খাওয়ার মাধ্যমে তা উদ্দীপ্ত হতে পারে। তবে আপনি জেনে অবাক হবেন যে কোয়েল পাখির ডিম এলার্জির মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

যাদের জ্বর, সর্দি, কাশি এ ধরনের সমস্যা লেগে থাকে তারা নিয়মিত কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে পারেন। এমনকি এলার্জি প্রতিরোধেও সাহায্য করে কোয়েল পাখির ডিম। তবে আমার মতে গর্ভাবস্থায় সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত। আপনার যদি আগে থেকেই এলার্জির সমস্যা থাকে তাহলে গর্ভাবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিম খেলে কি ওজন বেড়ে যায় 

গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিম খেলে কি ওজন বেড়ে যায় এমন প্রশ্ন অনেকেই করে থাকেন। চলুন এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাকঃ গর্ভাবস্থায় ওজন বৃদ্ধির সমস্যায় অনেকেই ভুগেন। অস্বাভাবিক ভাবে ওজন বৃদ্ধি পায় এ সময় অনেকেরই। তাই কোয়েল পাখির ডিম খেতে অনেক সময় ভয় পান যদি ওজন বেড়ে যায়। এ বিষয়টি আপনাদের সামনে পরিষ্কার করবো আজকের আলোচনায়ঃ

গর্ভাবস্থায়-কোয়েল-পাখির-ডিমের-উপকারিতা
নিয়ম মেনে অর্থাৎ পরিমান মত খেলে কখনোই কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার কারণে আপনার ওজন বাড়বে না। গর্ভাবস্থায় অন্যান্য সমস্যার কারণে বা হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। সঠিক পরিমানে অর্থাৎ দিনে দুই থেকে চারটি কোয়েল পাখির ডিম খেলে ওজন বৃদ্ধি পাবে না। ১০ গ্রাম কোয়েল পাখির ডিমে ৮৪ গ্রাম কোলেস্টেরল থাকে। তাই অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে যেতে পারে। কিন্তু আপনি যদি সঠিক নিয়মে খান তাহলে ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম বা অসম্ভব।।

কোয়েল পাখির ডিমের অপকারিতা 

কোয়েল পাখির ডিমের অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন আজকের পোস্টে। কোয়েল পাখির ডিমের অনেক উপকারিতা আছে তবে অতিরিক্ত খাওয়ার মাধ্যমে তা অপকারিতায় পরিবর্তন হতে পারে। তার মানে সঠিক পরিমাণে খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায় এ বিষয়গুলো আরো ভালো ভাবে খেয়াল রাখা উচিত। চলুন দেখে নেওয়া যাক কোয়েল পাখির ডিমের অপকারিতাঃ 

আরো পড়ুনঃ কলার মোচার ১৫ টি কার্যকারী উপকারিতা

  • ১০ গ্রাম কোয়েল পাখির ডিমে ৮৪ গ্রাম কোলেস্টেরল থাকে তার মানে বুঝতেই পারছেন অন্যান্য ডিবের তুলনায় কোয়েল পাখি ডিমে কোলেস্টেরল বেশি থাকে। তাই কোয়েল পাখি ডিম অতিরিক্ত পরিমানে খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
  • আর কোলেস্টরেলের মাত্রা বেড়ে গেলে হৃদরোগের ঝুঁকি রয়েছে। যাদের আগে থেকেই হৃদরোগ রয়েছে তারা কোয়েল পাখির ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। 
  • কোয়েল পাখির ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট যা ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই আপনি যদি ওজন কমাতে চান তাহলে কোয়েল পাখির ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। আর ডিম খেলেও কুসুম বাদ রাখতে হবে অর্থাৎ কুসুম খাওয়া যাবেনা কুসুমে ফ্যাট থাকে। 
  • ডায়বেটিস রোগীদের জন্য কোয়েল পাখির ডিম থেকে দূরে থাকা ভালো। কারণ কোয়েল পাখির ডিম খেলে ডায়াবেটিসের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।

আশা করি বুঝতে পেরেছেন কি ধরনের সমস্যা থাকলে কোয়েল পাখির ডিম না খাওয়া উচিত। কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতার তুলনায় অপকারিতা খুবই কম। আপনি সঠিক নিয়ম ফলো করে অর্থাৎ অতিরিক্ত মাত্রায় না খেয়ে সঠিক পরিমনে কোয়েল পাখির ডিম খেতে পারেন এতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে আপনি যদি হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিস এর রোগী হন তাহলে কোয়েল পাখির ডিম থেকে দূরে থাকাই ভালো আপনার জন্য।

মন্তব্যঃ গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা 

গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি আজকের পোস্টে। আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছি। গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা আলোচনা করার পাশাপাশি কি ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন তা নিয়েও করেছি বিস্তারিত আলোচনা। এই নিয়ম গুলো ফলো করে অর্থাৎ সঠিক পরিমাণে কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার চেষ্টা করুন। 

সঠিক নিয়মে কোয়েল পাখির ডিম খেলে আশা করছি গর্ভাবস্থায় কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। দিনে দুই থেকে চারটি কোয়েল পাখির ডিম খেয়ে নিজের স্বাস্থ্য ভালো রাখেন এবং বাচ্চার সুস্থতা নিশ্চিত করেন। আর যাদের ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগ রয়েছে তারা দয়া করে কোয়েল পাখির ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকের পোস্টটি কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডেইলি ডাইরির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url