চুলের খুশকি দূর করার ঘরোয়া উপায়
চুলের খুশকি দূর করার ঘরোয়া উপায় জানতে চান? আপনার উত্তর হ্যাঁ হলে আপনি সঠিক
জায়গায় এসেছেন। আজকের ব্লক পোস্টে চুলের খুশকি দূর করার ঘরোয়া উপায় দিয়ে
বিস্তারিত আলোচনা করবো। এই উপায়গুলো ফলো করে খুব সহজেই চুলের খুশকি দূর করতে
পারবেন।
এছাড়াও আজকের ব্লগ পোস্টে জানতে পারবেন খুশকির কারণে চুলের কি কি ক্ষতি হয়। এই
ক্ষতিগুলো থেকে চুলকে বাঁচাতে এবং চিরতরে খুশকি দূর করতে চাইলে সম্পূর্ণ পোস্টটি
মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। আশা করছি উপকৃত হবেন।
পেইজ সূচিপত্রঃ চুলের খুশকি দূর করার ঘরোয়া উপায়
- চুলের খুশকি দূর করার ঘরোয়া উপায়
- চুলে খুশকি হওয়ার কারণ
- খুশকি চুলের কি কি ক্ষতি করে
- খুশকি হলে কি চুল পড়ে যায়
- মাথার খুশকি ও চুলকানি দূর করার উপায়
- চিরতরে খুশকি দূর করার উপায়
- ছেলেদের চুলের খুশকি দূর করার উপায়
- মেয়েদের মাথার খুশকি দূর করার উপায়
- লেবু দিয়ে খুশকি দূর করার উপায়
- মন্তব্যঃ চুলের খুশকি দূর করার ঘরোয়া উপায়
চুলের খুশকি দূর করার ঘরোয়া উপায়
চুলের খুশকি দূর করার ঘরোয়া উপায় দিয়ে বিস্তারিত আলোচনা থাকছে আজকের পোস্টে।
কমবেশি সব মেয়েই খুশকির সমস্যা নিয়ে চিন্তিত থাকেন। শুধু মেয়েরা নয় ছেলেদেরও
এই সমস্যা দেখা দেয়। খুশকির সমস্যা দেখা দিলে চুল অনেক দুর্বল হয়ে যায় এবং ঝরে
যায়। এছাড়াও প্রচুর চুলকানির সমস্যা দেখা দেয়। আজকের ব্লগ পোস্টে এমন কিছু
ঘরোয়া উপায় দিয়ে আলোচনা করবো যেগুলো এপ্লাই করলে খুব দ্রুত চুলের খুশকি দূর
করতে পারবেন।
- লেবুর রসঃ লেবুর রস খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। তেলের সাথে অথবা পানির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে মাথায় ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ফলাফল পাওয়া সম্ভব। তাই খুশকি দূর করতে নিয়মিত লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন।
- রসুনের রসঃ রসুনে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এন্টি ইনফ্লেমেটরি, সেলেনিয়াম, অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং ম্যাগনেসিয়াম যা খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। মাথার স্ক্যাল্পের যেকোনো ধরনের সংক্রামক থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও রসুনে রয়েছে ভিটামিন-সি ভিটামিন-এ যা চুলকে ঝলমলে এবং মজবুত করতে সাহায্য করে।
- পেঁয়াজের রসঃ পেঁয়াজের রস নিয়মিত ব্যবহারের মাধ্যমে মাথার খুশকি দূর করা সম্ভব। পেঁয়াজের রসে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি মাথার ত্বকের যেকোনো সংক্রামক থেকে রক্ষা করবে। এছাড়াও চুলকে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
- কফিঃ কফি ব্যবহারের মাধ্যমে চুলের খুশকি দূর করা সম্ভব। কফি কমবেশি সবার বাসায় থাকে। এক চামচ কফির সাথে এক গ্লাস পানি মিশিয়ে মাথার ত্বকে ব্যবহার করুন। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করুন।
- মেথিঃ মেথি চুলের খুবই উপকারী। চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং মাথার ত্বক ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। খুশকি দূর করতেও মেথি ব্যবহার করতে পারেন। মেথি বেটে মাথায় লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার ব্যবহার করলেই ভালো ফলাফল পাবেন।
- টক দইঃ চুলের খুশকি দূর করতে সপ্তাহে দুই একবার টক দই ব্যবহার করতে পারেন। রান্নার কাজে কম বেশি আমরা সকলেই টক দই ব্যবহার করে থাকি। তাই কমবেশি সকলের বাসায় টক দই থাকে। এই টক দই মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন এবং কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। চাইলে গোসলের আগে ব্যবহার করতে পারেন।
- নারকেলের তেলঃ নারকেলের তেল মাথার জন্য খুবই উপকারী। নারকেলের তেল ব্যবহার করলে চুলের গোড়া মজবুত হয় এবং মাথা ঠান্ডা থাকে। সপ্তাহে দুই একবার নারকেলের তেল মাথায় মালিশ করতে পারেন। এটি খুশকির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।
- নিম পাতার রসঃ যেকোনো তেলের সাথে নিম পাতার রস মিশিয়ে মাথার স্কাল্পে মালিশ করতে পারেন। নিম পাতার রস খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। নিম পাতার রসে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। দুই চামচ নিমপাতার রসের সাথে পাঁচ থেকে ছয় চামচ তেল মিশিয়ে মাথায় লাগান। কিছুক্ষণ পর শ্যাম্পু করে নিন। আশা করছি ভালো ফলাফল পাবেন।
- আপেল সিডার ভিনিগারঃ আপনার বাসায় যদি আপেল সিডার ভিনেগার থাকে তবে তা মাথায় ব্যবহার করতে পারেন। যেকোনো তেলের সাথে সামান্য আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে মাথায় লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ রাখার পর শ্যাম্পু করুন। এটি মাথার ফাঙ্গাস দূর করতে সাহায্য করে।
- মেহেদি পাতাঃ প্রাকৃতিক প্রসাধনীর মধ্যে মেহেদী পাতা অন্যতম। মেহেদী পাতা মাথার জন্য এবং চুলের জন্য খুবই উপকারী। মেহেদি পাতা চুলকে মজবুত করে পাশাপাশি মাথার ত্বক ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। মাথার খুশকির সমস্যা দূর করতে নিয়মিত মেহেদী পাতার রস ব্যবহার করতে পারেন। যেকোনো তেলের সাথে মেহেদি পাতার রস গোসলের আগে মাথায় লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। কিছুদিন ব্যবহারে খুশকির সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
চুলে খুশকি হওয়ার কারণ
চুলে খুশকি হওয়ার কারণ কি? এমন প্রশ্ন অনেকেই করে থাকেন। চুলে খুশকি হওয়া
প্রতিরোধ করতে পারলে খুশকি দূর করার উপায় জানার প্রয়োজন হবে না। কথায় আছে
প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ ভালো। তাই আজকে আপনাদের সামনে তুলে ধরবো কি কারনে চুলে
খুশকি হয়। কারণগুলো জানলে আপনারা সাবধান থাকতে পারবেন এই কাজগুলো থেকে।
- নোংরা স্ক্যাল্পঃ মাথার ত্বক বা স্ক্যাল্প নোংরা থাকলে বা অপরিষ্কার থাকলে খুশী হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তাই মাথার চুল এবং মাথার ত্বক সব সময় পরিষ্কার রাখুন
- তেলঃ মাথায় নিয়মিত তেল ব্যবহার করা উচিত। দীর্ঘদিন তেল ব্যবহার না করলে খুশকির উৎপাত দেখা দেয়। বিশেষ করে এই সমস্যা শীতকালে বেশি হয়। তাই নিয়মিত মাথায় তেল ব্যবহার করুন।
- অনিয়মিত ঘুমঃ পর্যাপ্ত খুব না হলে খুশকির সমস্যা দেখা দেয়। তাই নিয়মিত অন্তত সাত ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
- ঘামঃ যাদের মাথায় অর্থাৎ চুলের ভেতরে অতিরিক্ত ঘেমে যায় তাদের খুশকির সমস্যা একটু বেশি দেখা দেয়। এ সমস্যার সমাধান হলো নিয়মিত গোসল করুন এবং চুল সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করুন।
- ধুলাবালিঃ ধুলাবালিতে কাজ করলে মাথায় অনেক নোংরা লেগে যায় তখন ভালো ভাবে গোসল না করলে খুশকি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে নিয়মিত শ্যাম্পু দিয়ে মাথার স্ক্যাল্প এবং চুল পরিষ্কার করুন।
- অতিরিক্ত শ্যাম্পু করাঃ অতিরিক্ত শ্যাম্পু করলেও খুশকির সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সপ্তাহে দুইবার শ্যাম্পু করুন। বাকি দিনগুলোতে মাথায় বা চুলে তেল ব্যবহার করুন।
- ভেজা চুলঃ গোসলের পর চুল ভালো করে না শুকালে খুশকির সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেকেই আছেন ভেজা চুলে ঘুমিয়ে পড়েন অথবা মাথায় গামছা পেচিয়ে ঘুমিয়ে যান এটি খুবই ক্ষতিকর আপনার চুলের জন্য। চুল ভালোভাবে শুকাতে হবে খুশকি রোধ করতে।
- চুল না আঁচড়ানোঃ নিয়মিত চুল আঁচড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত চুল না আঁচড়ানো খুশকির সমস্যা দেখা দেয়।
- পর্যাপ্ত পানি পান না করাঃ পানি মানব দেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দৈনিক পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত। আপনার দেহে পানির স্বল্পতা দেখা দিলে খুশকির সমস্যা হতে পারে। তাই খুশকি প্রতিরোধ করতে পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
- বিভিন্ন রকম প্রসাধনীঃ বিভিন্ন রকম ভেজাল এবং নকল প্রসাধনীর ব্যবহার হতে পারে খুশকির কারণ। তাই বাজারের বিভিন্ন প্রসাধনী বার বার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
খুশকি চুলের কি কি ক্ষতি করে
খুশকি চুলের কি কি ক্ষতি করে? এ প্রশ্নের উত্তর অনেকেই জানতে চেয়েছেন। চলুন
আপনাদের সাথে আলোচনা করা যাক খুশকির ক্ষতিকর দিকসমূহ। খুশকি মেয়েদের সাধারণ একটি
সমস্যা। কম বেশি সকলেই এই সমস্যায় ভুগেন। শুধু মেয়েরা নয় পাশাপাশি ছেলেদেরও এই
সমস্যা দেখা দেয়। মাথার অতিরিক্ত খুশি লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শীতে এ সমস্যা
বেশি হয়।
আরো পড়ুনঃ গাজর খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা
ক্ষতিকর দিক সমূহঃ
- খুশকি হলে চুল ঝরে যায়।
- অতিরিক্ত খুশকির কারণে মাথার ত্বকে চুলকানি দেখা দেয়।
- যার মাথায় খুশকি আছে তার ব্যবহৃত চিরুনি যদি আপনি ব্যবহার করেন তাহলে আপনার মাথায় ও খুশকি হতে পারে। সাধারণত ফাঙ্গাস এর কারণে খুশকি হয়।
- অতিরিক্ত খুশকির কারণে মাথার ত্বকে ব্রণের মতো ছোট ছোট গুটি দেখা দিতে পারে।
- খুশকির কারণে মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়।
- চুল রুক্ষ হয়ে যায়।
- অতিরিক্ত খুশকির কারণে স্ক্যাল্প ইনফেকশন হতে পারে।
- চুলের পুষ্টি নষ্ট হয়ে যায়।
খুশকি হলে কি চুল পড়ে যায়
খুশকি হলে কি চুল পড়ে যায়? আপনাদের অনেকেরই মনে এই প্রশ্ন আসে। চলুন এই বিষয়
নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। খুশকি হলে চুল ঝরে যায়। হ্যাঁ, খুশকি হলে চুল
পড়ার সমস্যা দেখা দেয়। অতিরিক্ত খুশকির কারণে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যায়।
ফলে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়। ছেলে অথবা মেয়ে উভয়ই সমস্যার সম্মুখীন হয়ে
থাকে।
চুলে অতিরিক্ত খুশকি হওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে কাজ করে ভেজা চুল বেঁধে রাখা অথবা
ভেজা চুল নিয়েই ঘুমিয়ে পড়া। এই অভ্যাসটি মেয়েদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। চুল
ভেজা রাখার কারণে চুলে খুশকি হয় এবং চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যায়। ফলে চুল ধীরে
ধীরে পড়তে শুরু করে। চুলের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায় অতিরিক্ত খুশী দেখা দিলে।
ফলে খুশির কারণে চুল পড়তে শুরু করে।
মাথার খুশকি ও চুলকানি দূর করার উপায়
মাথার খুশকি ও চুলকানি দূর করার উপায় জেনে নিন। মাথায় অতিরিক্ত খুশকির কারণে
চুলকানির সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও চুলের বিভিন্ন ক্ষতিসাধন করে থাকে অতিরিক্ত
খুশকি। এই সমস্যা সমাধান না করলে স্ক্যাল্প ইনফেকশন হতে পারে। এছাড়াও চুল ঝরে
যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। চলুন জেনে দেওয়া যাক মাথার খুশকি ও চুলকানি দূর করার
উপায় সমূহঃ
- নারকেল তেলের সাথে কিছুটা লেবুর রস মিশিয়ে মাথায় লাগাতে পারে।
- নিয়মিত টক দইয়ের প্যাক খুশকি ও চুলকানি দূর করতে সাহায্য করে।
- নিম পাতার রস মাথার ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা চুলকানি দূর করতে সাহায্য করবে।
- যেকোনো তেলের সাথে আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগাতে পারেন।
- আমলকির রস মাথার ত্বকে লাগালে খুশকি ও চুলকানি দূর করতে সাহায্য করবে।
- খুশকি দূর করতে পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
- মাথার স্ক্যাল্প সব সময় পরিষ্কার রাখুন।
- ধুলোবালিতে কাজ করলে বা অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা থাকলে নিয়মিত গোসল করুন এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন।
চিরতরে খুশকি দূর করার উপায়
চিরতরে খুশকি দূর করার উপায় জেনে নিন। চুল ঝরে যাওয়ার বড় কারণ হয়ে
দাঁড়িয়েছে অতিরিক্ত খুশকি। এছাড়া অতিরিক্ত খুশকি এবং চুলকানি আত্মবিশ্বাস
করিয়ে দেয়। তাই চিরতরে খুশকি দূর করা খুবই জরুরী। আজকে কিছু গোপন টেকনিক
আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। এই টেকনিক গুলো ফলো করে চিরতরে খুশকি দূর করতে পারবেন।
চলুন দেখে নেওয়া যাকঃ
আরো পড়ুনঃ কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চার গোপন টিপস জেনে নিন
চিরতরে খুশকি দূর করতে চাইলে সপ্তাহে তিন দিন যেকোনো তেলের সাথে পাঁচ থেকে ছয়
চামচ নিমপাতার রস মিশিয়ে মাথায় ম্যাসেজ করুন। কিছুক্ষণ পর শ্যাম্পু করে নিন।
চাইলে এটি গোসলের আগে ব্যবহার করতে পারেন। এভাবে এক মাস করলে ভালো ফলাফল পাবেন
বলে আশা করছি। আমি এই টেকনিক অবলম্বন করে খুশকির সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি
পেয়েছি।
আরেকটি উপায় রয়েছে তা হলোঃ তেলের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে মাথার স্ক্যাল্পে
ব্যবহার করতে পারেন। এতে খুশকি প্রতিরোধ হবে এবং আপনার মাথার ত্বক ঠান্ডা থাকবে।
সপ্তাহে তিন থেকে চারবার ব্যবহার করতে পারেন। মাথায় যখন তেল ব্যবহার করবেন তখন
দুই চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিবেন। কিছুদিন ব্যবহার করলেই ফলাফল পেয়ে যাবেন।
এছাড়াও ব্যবহার করতে পারেনঃ
- ডিমের সাদা অংশ
- অলিভ অয়েল
- আমলকির রস
- তেতুলের রস
- টক দই
- মেথি
- মেহেদি পাতা
ছেলেদের চুলের খুশকি দূর করার উপায়
ছেলেদের চুলের খুশকি দূর করার উপায় জেনে নিন। মেয়েদের পাশাপাশি খুশকির সমস্যা
ছেলেদের ও হয়ে থাকে। মাথার মধ্যে হাত দিলেই যেন ঝরঝর করে সাদা সাদা খুশকি ঝরে
পড়ে। এছাড়াও চুলকানির সমস্যা দেখা দেয়। চুল ঝরে পড়ার বড় কারণ হিসেবে কাজ করে
চুলের অতিরিক্ত খুশকি। ছেলেদের চুল একবার ঝরতে শুরু করলে তা রোধ করা অনেক কঠিন
হয়ে দাঁড়ায় পরবর্তীতে চুল অনেক হালকা হয়ে যায় এবং ভবিষ্যতের টাক পড়ে। তাই
ছেলেদের চুলের খুশকি দূর করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- নারকেল তেলঃ নিয়মিত নারকেলের তেল ব্যবহার করার মাধ্যমে খুশকি রোধ করা সম্ভব।
- লেবুর রসঃ তেলের সাথে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে মাথায় ব্যবহার করতে পারেন। খুশকি রোধ করতে সাহায্য করবে।
- টক দইঃ মাঝে মাঝে টক দই দিয়ে মাথার স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করতে পারেন। খুশকি রোধ করতে সাহায্য করবে।
- পরিষ্কার পরিচ্ছন্নঃ মাথার চুল অথবা মাথার ত্বক সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করবেন। ছেলেদের ক্ষেত্রে মূলত মাথার ত্বক অপরিষ্কার থাকার কারণে খুশকি বেশি দেখা দেয়। গোসলের সময় নিয়মিত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
মেয়েদের মাথার খুশকি দূর করার উপায়
মেয়েদের মাথার খুশকি দূর করার উপায় সমুহ নিয়ে থাকছে আজকের পোস্ট। খুশকি চুলের
জন্য খুবই ক্ষতিকর। অতিরিক্ত খুশকির কারণে চুল ঝরে যায়। আর যেসব মেয়েদের লম্বা
চুল তাদের অনেক বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আমার মাথার চুলে যখন খুশকি
হয়েছিল তখন আমি অনেক বেশি দুশ্চিন্তায় ছিলাম। সেই সময় মাথার খুশকি দূর করতে
কিছু পদক্ষেপ অবলম্বন করেছিলাম আজকে আপনাদের সাথে সেই টেকনিক গুলো শেয়ার করবো।
- মাথার ত্বক সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। নিয়মিত শ্যাম্পু করতে হবে।
- আবার অতিরিক্ত শ্যাম্পু খুশকির কারণ হতে পারে। তাই ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে দুইবার শ্যাম্পু করুন।
- নিয়মিত তেল ব্যবহার করুন। আপনার ব্যবহৃত তেলে লেবুর রস মিশিয়ে মাথায় ব্যবহার করতে পারেন। এটি খুশকি দূর করতে সাহায্য করে।
- গোসলের আগে মাথায় কফি পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন খুশকি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে।
- তেলের সাথে মিশিয়ে রসুন অথবা পেঁয়াজের রস ব্যবহার করতে পারেন। খুশকি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে।
- মাঝে মাঝে মাথায় টক দইয়ের প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
- চুলের খুশকি দূর করতে এবং চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে রিঠা পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে দুইবার রিঠা পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। আধাঘন্টা চুলে লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন খুশকি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে।
- নিয়মিত চুল আঁচড়ানো অভ্যাস করুন।
- ভিজা চুলে ঘুমিয়ে পড়বেন না। গোসলের পর চুল ভালোভাবে শুকিয়ে নিন।
লেবু দিয়ে খুশকি দূর করার উপায়
লেবু দিয়ে খুশকি দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। লেবুর রস ব্যবহার
করে মাথার খুশকি দূর করা যায়। নারকেল তেলের সাথে দুই চামচ লেবুর রস মিশিয়ে
মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন। গোসলের কিছুক্ষণ আগে মাথায় এই প্যাকটি লাগিয়ে রাখতে
পারেন। তারপর গোসলের সময় শ্যাম্পু করে নিন। কিছুদিন এই নিয়ম ফলো করে মাথার
খুশকি দূর করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ ভাতের মাড়ের উপকারিতা এবং অপকারিতা
চাইলে আপনার ব্যবহৃত যে কোন তেলের সাথে লেবুর রস মিশাতে পারেন। লেবুর রস চুল
সিল্কি করে। এছাড়াও মাথার টক ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে লেবুর রস। সপ্তাহে দুই
দিন এভাবে লেবুর রস তেলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করলে খুশকি প্রতিরোধ হবে বলে আশা
করছি। এক থেকে দেড় মাস ব্যবহার করুন সবচেয়ে ভালো ফলাফল পেতে।
মন্তব্যঃ চুলের খুশকি দূর করার ঘরোয়া উপায়
চুলের খুশকি দূর করার ঘরোয়া উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি আজকের ব্লক
পোস্টে। এছাড়াও আপনাদেরকে জানিয়েছি চুলে খুশকি হওয়ার কারণ কি এবং খুশকির কারণে
চুলে কি কি ক্ষতি হয়। আশা করছি আজকের পোস্ট থেকে কিছুটা হলেও উপকৃত হয়েছে।
সম্পর্ক পোস্ট পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো লাগলে কমেন্ট করে জানাবেন।
আর চুলের খুশকি থেকে রক্ষা পেতে ওপরের আলোচিত বিষয়গুলো মেনে চলবে আশা করছি দ্রুত
ভালো ফলাফল পাবেন। সুন্দর ত্বক এবং সুন্দর চুলের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম ও পরিমাণ মতো
পানি পান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি খুশকি প্রতিরোধ সাহায্য করে ইতিমধ্যে
জেনে গিয়েছেন। চুলের খুশকি দূর করার ঘরোয়া উপায় সমূহ বন্ধুদের সাথে শেয়ার
করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।
ডেইলি ডাইরির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url