ইসলামের দৃষ্টিতে বিবাহের গুরুত্ব - বিবাহের ফজিলত
ইসলামের দৃষ্টিতে বিবাহের গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো আজকের ব্লগে। এছাড়াও আজকের ব্লগে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো বিবাহের ফজিলত এবং বিবাহের সামাজিক গুরুত্ব নিয়ে। বিয়ে নিয়ে ইসলামিক আলোচনা বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ুন।
পেইজ সূচিপতঃ ইসলামের দৃষ্টিতে বিবাহের গুরুত্ব
- ইসলামের দৃষ্টিতে বিবাহের গুরুত্ব
- ইসলামের দৃষ্টিতে বিবাহের ফজিলত
- বিবাহের সামাজিক গুরুত্ব
- তাড়াতাড়ি বিয়ে করার উপকারিতা
- বিবাহের প্রয়োজনীয়তা
- ইসলামে বিয়ের উদ্দেশ্য কি
- ইসলামে বিয়ে করা কি ফরজ
- মন্তব্যঃ ইসলামের দৃষ্টিতে বিয়ের গুরুত্ব
ইসলামের দৃষ্টিতে বিবাহের গুরুত্ব
ইসলামের দৃষ্টিতে বিবাহের গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। ইসলামের দৃষ্টিতে বিবাহ একটি বিধিবদ্ধ ফরজ কাজ। বিবাহ সার্বজনীন এবং পবিত্র, ধার্মিক ও সামাজিক ব্যবস্থা। মানুষের জীবনকে সুন্দর করতে জীবনের শৃঙ্খলতা বজায় রাখতে ইসলাম ধর্মে বিবাহের বন্ধনে বাঁধা পড়ার জন্য জোর তাগিদ দেওয়া হয়। আর্থিক সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও বিবাহে রাজি না হওয়া ইসলামিক দৃষ্টিতে অপরাধ।
বিয়ে একটি সামাজিক বন্ধন। প্রত্যেক ধর্মের রীতিনীতির উপর ভিত্তি করে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার কিছুটা পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। নারী ও পুরুষের মধ্যে হয়ে বৈধ সম্পর্ক তৈরি করার জন্য ইসলাম চালু করেছে বিয়ের রীতি। তবে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা বিয়েকে অনেক কঠিন করে দিয়েছে যা ইসলামের বিপরীত। সমাজ ব্যবস্থা এবং অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে বিয়ে হয়ে গেছে অনেকটাই কঠিন একটি কাজ।
মানবতার ধর্ম ইসলামকে সুন্দর রাখতে নারী পুরুষের মধ্যে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করে দেওয়া হয়।। নোংরামি ও জিনা থেকে সুরক্ষা পেতে ইসলাম ধর্মে বিবাহের জন্য জোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে। নারী পুরুষের পবিত্রতা এবং সতীত্ব রক্ষার একমাত্র রাস্তা হল বিবাহ ব্যবস্থা। বিবাহর মাধ্যমে সামাজিক ব্যবস্থার অবক্ষয় রোধ হয়। নারী-পুরুষ বৈধ সম্পর্কে আবদ্ধ হয়। ইহকাল এবং পরকাল নিরাপদ থাকে।
বিয়ে বাধ্যতামূলক ফরজ একটি কাজ। অভিভাবকের উচিত সঠিক সময় সন্তানদের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করে দেওয়া। নতুবা নারী পুরুষ ভুল পথে পা বাড়ায় যা ইসলাম বিরোধী। বিয়ে নারী ও পুরুষের জীবন জীবনকে সুন্দর করে তুলতে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সাহায্য করে। বিবাহের মধ্যে রয়েছে আল্লাহর অশেষ রহমত। হাদিসে এসেছে আপনি যদি সফল হতে চান তাহলে বিয়ে করুন।
ইসলাম ধর্মে বিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিয়ে কে ইসলাম ধর্মের অর্ধেক হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়। হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি বিবাহ সম্পন্ন করে তার ঈমান অর্ধেক পূর্ণ হয়ে যায়। বিয়ের মূল উদ্দেশ্য মানব বংশের বিস্তার ঘটানো এবং জিনা থেকে মুক্তি পাওয়া। বিবাহ মানুষকে সুন্দর চরিত্র গড়ে তুলতে সাহায্য করে। দৃষ্টি সংযত করে এবং লজ্জাস্থান সংরক্ষণ করে। তাই ইসলাম ধরবে মুসলিমদের জন্য বিবাহ করা বাধ্যতামূলক বা ফরজ।
ইসলামের দৃষ্টিতে বিবাহের ফজিলত
ইসলামের দৃষ্টিতে বিয়ের ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। ইসলাম ধর্মে বিয়ে করা ফরজ। বিবাহর মধ্যে রয়েছে মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমত। বিবাহর মাধ্যমে জিনা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। নারী পুরুষ পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে জীবন যাপন করার জন্য বিবাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিয়ে মহান আল্লাহ তায়ালার এক অশেষ নেয়ামত। ইসলামের দৃষ্টিতে বিবাহের ফজিলত সম্পর্কে জানুনঃ
আরো পড়ুনঃ ২০২৫ সালের রমজান কত তারিখে শুরু - রমজান মাস
চারিত্রিক পবিত্রতাঃ চারিত্রিক পবিত্রতা রক্ষা করতে বিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিয়ে করার মাধ্যমে অবৈধ কাজ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ইসলামের দৃষ্টিতে অবৈধ সম্পর্ক বা বিয়ের আগে প্রেমের সম্পর্ক অপরাধ বলে গণ্য করা হয়। এজন্য কঠিন সাজা হবে। ইসলাম ধর্মে পর্দার সহিত ছেলে মেয়েকে চলাফেরা করতে বলা হয়েছে এবং নিজের চরিত্রকে রক্ষা করতে বলা হয়েছে। ওরা অবৈধ সম্পর্কের ভুলেও জড়িয়ে পড়া যাবে না। তাই নিজের চরিত্র রক্ষা করতে বিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
দ্বীনের অর্ধেকঃ ইসলাম ধর্মে বিয়ে-কে দ্বীন অর্ধেক বলে বিবেচনা করা হয়। বিয়ে করলে একজন মুসলিম এর জীবনে অর্ধেক দ্বীন সম্পূর্ণ হয়। বাকি অর্ধেক আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করে এবং আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভ করে আদায় করতে হবে। ইসলাম কতটা সুন্দর ধর্ম চিন্তা করেন। একটি বৈধ সম্পর্কে আবদ্ধ হলে আপনার ইসলাম ধর্মের অর্ধেক দিন সম্পূর্ণ হচ্ছে। বিয়ের মাধ্যমে আপনি অবৈধ কাজ থেকে দূরে থাকতে পারছেন এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি আদায় করতে পারছেন।
আর্থিক সচ্ছলতাঃ বিয়েতে রয়েছে আল্লাহর অশেষ রহমত। বিয়ে করার মাধ্যমে আপনি আর্থিকভাবে সচ্ছল হবে আপনার রিজিক মহান আল্লাহ তায়ালা বাড়িয়ে দিবেন। অনেকেই মনে করেন আর্থিক অবস্থা ভালো না বিয়ে করে কিভাবে সংসার করবো। এটি সম্পূর্ণ ভুল সিদ্ধান্ত। আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ অনুযায়ী বান্দাকে বিবাহের জন্য বলা হয়েছে এবং কর্ম ব্যবস্থা মহান আল্লাহ তায়ালা করে দিবেন। বিবাহের মাধ্যমে আপনার আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন হবে। তাহলে বুঝতে পারছেন ইসলাম ধর্মে বিবাহের ফজিলত কতো নেয়ামত।
ইবাদতঃ চরিত্র সুন্দর রাখতে বিয়ে বাধ্যতামূলক। ইসলাম ধর্মে বিয়েকে ইবাদতের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। কেউ যখন তার স্বামীর সাথে অথবা স্ত্রীর সাথে বসে গল্প করে তখন মহান আল্লাহ তায়ালা তাদের সোয়াব দান করে থাকেন। তাহলে বুঝতেই পারছের ইসলাম ধর্মে বিয়ের ফজিলত। বিয়ে করার মাধ্যমে আপনি যেকোনো জেনা থেকে বিরত থাকতে পারছেন। ফলে মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভ করতে পারছেন।
বিবাহের সামাজিক গুরুত্ব
বিবাহের সামাজিক গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। বিয়ের সামাজিক গুরুত্ব অপরিসীম। বংশবিস্তার করার একমাত্র মাধ্যম বিবাহ। বিবাহের মাধ্যমেই একটি পরিবারের সূত্রপাত হয় এবং স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য জীবন অভিহিত হয়। সম্পর্ক সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে বিয়ে একমাত্র মাধ্যম। অসভ্যতার আদি কাল থেকেই বিয়ের ব্যবস্থা প্রচলিত রয়েছে। অর্থাৎ বোঝানো হচ্ছে বিয়ে অত্যন্ত পুরানো সামাজিক একটি প্রথা। তাই সামাজিক দৃষ্টিতে বিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিবাহের গুরুত্বঃ- পরিবারের সূত্রপাত ঘটে বিয়ে থেকেই এবং বংশবিস্তার লাভ করে।
- বিবাহে সামাজিক এবং ব্যক্তিগত তাৎপর্য রয়েছে।
- নারী ও পুরুষের যৌন জীবন নিয়ন্ত্রণ করে।
- স্বাভাবিক ভারসাম্য বজায় থাকে। ছেলে মেয়ে অবৈধ কাজ থেকে বিরত থাকে।
- সামাজিক রীতিনীতি বজায় থাকে।
- ছেলে মেয়ে বিধি নিষেধ বেঁধে চলে।
- বিবাহের মাধ্যমে নারী পুরুষের বৈবাহিক সম্পর্ক সামাজিকভাবে চুক্তিবদ্ধ হয়।
- নারী পুরুষ অবৈধ কাজে লিপ্ত হওয়া থেকে বিরত থাকে এবং সন্তান বৈধ পিতা মাতা পেয়ে থাকে।
- সন্তান সামাজিকভাবে পরিচয় লাভ করে।
- বিবাহের মাধ্যমে অসামাজিক কাজ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। নারী পুরুষ তাদের যৌনজীবন সুষ্ঠু এবং সুন্দরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে।
- পারস্পারিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে বিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সামাজিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
- বিবাহের মাধ্যমে অনেকের কর্মসংস্থান তৈরি হয় বা বিভিন্ন কর্ম ক্ষেত্রে সুযোগ পায় কাজের।
- নারী পুরুষ বিবাহ বন্ধনের মাধ্যমে বৌদ্ধ সম্পর্কে আবদ্ধ থাকে।
- সামাজিক ভারসাম্য বজায় থাকে। সামাজিক কলহ থেকে বিরত থাকা যায়। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন বিবাহের সামাজিক গুরুত্ব কতটা।
তাড়াতাড়ি বিয়ে করার উপকারিতা
তাড়াতাড়ি বিয়ে করার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। ইসলাম ধর্মে তাড়াতাড়ি বিয়ের জন্য তাগিদ দেওয়া হয়েছে। বিয়ের মাধ্যমে আর্থিক সচ্ছলতা বৃদ্ধি পায়। বিয়েতে রয়েছে আল্লাহর অশেষ রহমত। অনেকেই মনে করেন তাড়াতাড়ি বিয়ে করলে ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে যাবে অথবা সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হবে। তবে আপনারা কি জানেন তাড়াতাড়ি বিয়ে করার কত উপকারিতা রয়েছে? চলুন জেনে নিন আজকের পোস্টেঃ
আরো পড়ুনঃ থার্টি ফার্স্ট নাইটের ইতিহাস - এ সম্পর্কে ইসলাম কি বলে
- যদিও বিয়ের সাথে অর্থনৈতিক বিষয়ে জড়িত থাকে তবুও তাড়াতাড়ি বিয়ে করা বুদ্ধিমানের মতো কাজ। এতে আপনার দায়িত্ব জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে। পরিবার সামলানোর পাশাপাশি ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন।
- বিয়ে করার পরে স্বামী বা স্ত্রীর সাথে কিছুটা সময় নিজেদের মতো করে জীবন যাপন করতে পারবেন। জীবনের অনেকটা সময় স্বামী স্ত্রী একসাথে থাকতে পারবেন। তাই অবশ্যই ৩০ বছর বয়সের আগে বিয়ে করা উচিত।
- তাড়াতাড়ি বিয়ে করলে সন্তান নেওয়ার চাপ থাকবে না। স্বামী স্ত্রী কিছুটা সময় নিজেদের মতো করে জীবনযাপন করার পর সন্তান নিতে পারবেন। সন্তানের পড়াশোনা বা ভবিষ্যৎ সম্পর্কে তাড়াহুড়া করতে হবে না। আরামে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
- নারী ও পুরুষের যৌন জীবন সুখময় হয়। অল্প বয়সে ছেলে-মেয়ে খারাপ কাজে লিপ্ত হয় না। তারা সঠিক পথ অবলম্বন করতে পারে এবং পাপ কাজ থেকে বিরত থাকে।
- পরিবারের সাথে ভালো সম্পর্ক ভালো থাকবে। সংসারে মনোযোগী হওয়া যায়। অল্প বয়সেই অনেক কিছু শেখা যায়। পরিবারের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের প্রতি সচেতন হওয়া যায়।
- নিজের আনন্দ দুঃখ প্রকাশ করার মতো একটি মানুষ পাওয়া যায়। মন খারাপের কথাগুলো শেয়ার করে মন কে হালকা করা যায়।
- একটি বিশ্বস্ত মানুষ পাশে পাওয়া যায়। সফলতার ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী উপকার হয়। ফলে মানসিক চাপ কমে যায়।
- বয়স বেশি হয়ে গেলে সন্তান ধারণে সমস্যা দেখা দেয়। বিভিন্ন জটিলতায় পড়তে হয় নারী ও পুরুষের।
- এছাড়াও বেশি বয়সে বিয়ে করলে সন্তান লালন পালনে যথেষ্ট সময় পাওয়া যায় না।
- হঠাৎ করে পারিবারিক সিদ্ধান্তে বিয়ে করার ফলে ডিভোর্সের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। আর অল্প বয়সে বিয়ে হলে তাদের মধ্যে একটি সুন্দর সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং দুইজন দুইজনকে বুঝতে শেখে ফলে সম্পর্ক খুব সহজে নষ্ট হয় না।
- ফলে অল্প বয়সে বিয়ে হলে ডিভোর্স হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। আর কোন কারণে তাদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো না হলেও যথেষ্ট সময় থাকে সে সম্পর্ক থেকে বের হয়ে নতুন করে সম্পর্ক তৈরি করার।
- অন্যদিকে বেশি বয়সে বিয়ে করলে বাচ্চা নেওয়ার একটি তাড়াহুড়া থাকে। তারপর যদি স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক ভালো না হয় তাহলে আরো বিপদ। বাচ্চার করুর অবস্থা হয়। বাবা মায়ের ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হয়।
- আশা করছি বুঝতে পেরেছেন অল্প বয়সে বিবাহ করার উপকারিতা।
বিবাহের প্রয়োজনীয়তা
বিবাহের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আজকে ব্লগে বিস্তারিত আলোচনা করবো। বিবাহ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় মানব জীবনে। নিজের একটি স্থায়ী ঠিকানা তৈরি করতে বিবাহের বিকল্প কিছু নেই। মানুষের স্থায়ী সংগঠন পরিবার। পরিবারের সূত্রপাত হয় বিবাহের মাধ্যমে। আরবি ভাইয়ের মাধ্যমেই বংশবৃদ্ধি করা সম্ভব। বিবাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মানব জীবনে। বিবাহের প্রচলন চলে আসছে আদিকাল থেকে। এটি প্রাচীনতম সমাজ ব্যবস্থা।
চরিত্র রক্ষা করতে এবং সামাজিক বন্ধন অটুট রাখতে বিবাহের প্রয়োজনীয়তা অনিবার্য। ইসলাম ধর্মে বিবাহ ফরজ। স্বামী স্ত্রীর বৈবাহিক জীবন শুরু হয় বিবাহের মাধ্যমে। বিবাহের বিবাহের মাধ্যমে সামাজিক অবক্ষয় রোধ করা যায়। বিবাহযোগ্য নারী ও পুরুষকে অবিবাহিত রাখা উচিত নয়। কারণ অবৈধ কাজে লিপ্ত হতে পারে এবং সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে তাই বিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় একটি কাজ।
বিয়ের মাধ্যমে একটি বিশ্বস্ত সঙ্গী পাওয়া সম্ভব। এছাড়াও জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে বিয়ে করা প্রয়োজনীয়। বিয়ের মধ্যে রয়েছে আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমত। ইসলামের দৃষ্টিতে বিবাহের গুরুত্ব অপরিহার্য। বিবাহ মানুষকে সুন্দর চরিত্র দান করে এবং যৌবন হেফাজত করতে সাহায্য করে। বিবাহের মূল উদ্দেশ্য চরিত্র হেফাজত করা এবং বংশবিস্তার করা। তাই বিবাহের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
মানুষের জীবনে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, বিনোদন, যেমন মৌলিক চাহিদা বা মৌলিক অধিকার বিয়ে ও তেমন মৌলিক কাজ। মানব জীবনে বাধ্যতামূলক। বিয়ের মাধ্যমে যৌন জীবন সুষ্ঠ ও সুন্দর হয়। সামাজিক ভারসাম্য বজায় রাখতে বিয়ে করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সমাজে অবৈধ কাজ এবং পাপ ব্যভিচার রোধ করা সম্ভব। জীবন সুন্দর করতে এবং সামাজিক সৌন্দর্য বজায় রাখতে বিয়ের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
ইসলামে বিয়ের উদ্দেশ্য কি
ইসলামে বিয়ের উদ্দেশ্য কি? অনেকেই জানতে চেয়েছেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক। বিয়ে একটি সর্বজনীন পবিত্র ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে নারী-পুরুষ সামাজিক ভাবে এবং ইসলামিক ভাবে বৈধ সম্পর্কে আবদ্ধ হয়। যৌবনকে রক্ষা করতে এবং অবৈধ সম্পর্ক থেকে বিরত থাকতে ইসলাম ধর্মে তাড়াতাড়ি বিয়ে করার তাগিদ দেওয়া হয়। ইসলামে বিয়ে করার মূল উদ্দেশ্য নিজের চরিত্র হেফাজত করা এবং বংশবৃদ্ধি করা।
ইসলামে বিয়ে করা কি ফরজ
ইসলামে বিয়ে করা কি ফরজ? এ প্রশ্ন অনেকেই জানতে চান। চলুন জেনে নেওয়া যাক: ক্ষেত্র বিশেষ বিয়ে বিভিন্ন রকম হতে পারে। চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য রক্ষা করতে এবং এ ধরনের বড় গুনহার সম্ভাবনা থাকলে বিয়ে করা ফরজ। এতে বিভিন্ন পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা যায় এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি আদায় করা যায়। আবার যে সব পুরুষের স্ত্রীর হক আদায় করার মত যোগ্যতা নেই তাদের ক্ষেত্রে বিয়ে করা নাজায়েজ।
আরো পড়ুনঃ ২১শে ফেব্রুয়ারি ইতিহাস - আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
তবে বিয়ে করার সামর্থ্য থাকলে অবশ্যই বিয়ে করা উচিত। বিভিন্ন ক্ষেত্রের ওপর নির্ভর করে বিয়ে কখনো ওয়াজিব, কখনো নফল, আবার কখনো মুস্তাহাব ও হয়ে থাকে। তবে অবশ্যই বলে রাখবেন চরিত্রকে রক্ষা করতে এবং যৌন জীবন সুন্দর করতে বিয়ে করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সামর্থ্য থাকলে বিয়ে করা উচিত। স্ত্রীর প্রয়োজন মেটানোর ক্ষেত্রে পুরুষ ব্যর্থ হলে বিয়ে করা নাজায়েজ। আশা করি আপনাদের কাছে এ বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে।
মন্তব্যঃ ইসলামের দৃষ্টিতে বিয়ের গুরুত্ব
ইসলামের দৃষ্টিতে বিয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি কিছুটা হলেও উপকৃত হয়েছে। এছাড়াও আজকের ব্লগে আলোচনা করেছি বিয়ের ফজিলত সম্পর্কে। বিয়ে মানব জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তার ধারণা পেয়েছেন। তাই বিয়ে করার সামর্থ্য থাকলে চরিত্রকে রক্ষা করতে বিয়ে করা উচিত। বিয়েতে রয়েছে আল্লাহর অশেষ রহমত।
আজকের ব্লগে তাড়াতাড়ি বিয়ের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করেছি। ছাড়াও আজকের ব্লগে জানতে পেরেছে বিয়ের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে। আশা করছি আপনাদের কাছে পরিষ্কার হয়েছে ইসলামের দৃষ্টিতে বিয়ের গুরুত্ব। তাই সামাজিক অবক্ষয় রোধ করতে এবং বংশবৃদ্ধি করে সুখময় জীবনযাপন করতে তাড়াতাড়ি বিয়ে করুন। আজকের ব্লগ পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।
ডেইলি ডাইরির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url