অ্যালোভেরার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

এলোভেরার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে আজকের ব্লগ পোস্টে। এছাড়াও খালি পেটে অ্যালোভেরা খাওয়ার উপকারিতা এবং ত্বকের যত্নে ও চুলের যত্নে অ্যালোভেরার উপকারিতা সম্পর্কে জানানো হবে। অ্যালোভেরা সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে সম্পূর্ণ পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। 

এলোভেরার-উপকারিতা
আজকের পোস্ট হতে জানতে পারবেন পুরুষদের জন্য অ্যালোভেরার উপকারিতা এবং অ্যালোভেরার পেস্ট বানানোর উপায়। এছাড়াও আজকের পোস্টে থাকছে অ্যালোভেরার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে। অ্যালোভেরা ব্যবহারের আগে সকল তথ্য জেনে নিন আজকের পোস্ট হতে।

পেইজ সূচিপত্রঃ অ্যালোভেরার উপকারিতা 

অ্যালোভেরার উপকারিতা

অ্যালোভেরার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন আজকের পোস্টে। কম বেশি আমাদের সকলের কাছেই এটি পরিচিত। শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী অ্যালোভেরা। এটি ঔষধি গুন সম্পন্ন। শারীরিক অবস্থার পাশাপাশি ত্বক ও চুলের যত্নে ভীষণ উপকারী। শরীরের পুষ্টি শূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা। প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদান সম্পন্ন এ উদ্ভিদ ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান পাবেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক অ্যালোভেরার উপকারিতাঃ

  • হজম শক্তিঃ হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে ভীষণ উপকারী অ্যালোভেরা। অ্যালোভেরায় রয়েছে ফাইবার যা হজমে সাহায্য করে। তাই হজমে গন্ডগোল থাকলে অ্যালোভেরা খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে পারেন। এটি হজমের সমস্যা দূর করবে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
  • পেট পরিষ্কারঃ অ্যালোভেরায় রয়েছে ল্যাক্টেটিভ, যা পরিষ্কার করতে ভীষণ সাহায্য করে। পেট পরিষ্কার করে বাথরুমের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। পেটের যে কোন সমস্যায় অ্যালোভেরার জুস খেতে পারেন এটি দ্বারা উপকৃত হবেন।
  • ক্লান্তিঃ ক্লান্তি দূর করে শরীরকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে অ্যালোভেরার জুস। বাহিরে থেকে এসে শুধু পানি না খেয়ে অ্যালোভেরার জুস খেতে পারেন। এটি শরীরের ক্লান্তি দূর করে ইনস্ট্যান্ট শক্তি যোগাতে সাহায্য করবে। এছাড়াও বাজারে এলোভেরার জুস এখন খুব সহজেই পাওয়া যায়।
  • রক্তচাপ কমায়ঃ হাই প্রেসার এর রোগীর জন্য এটি ভীষণ উপকারী এটি রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তাই প্রাকৃতিক উপায়ে রক্তচাপ কমানোর চেষ্টা করতে পারেন। নিয়মিত এক গ্লাস এলোভেরার জুস খাওয়ার মাধ্যমে আশা করছি উপকৃত হবেন।
  • হৃদরোগঃ হৃদ যন্ত্রের সমস্যা প্রতিরোধ করে হৃদরোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এছাড়াও যাদের শ্বাসকষ্ট রয়েছে তাদের জন্য ভীষণ উপকারী অ্যালোভেরা। নিয়মিত অ্যালোভেরা খাওয়ার মাধ্যমে হৃদরোগ এড়াতে পারেন।
  • কোলেস্টেরলঃ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে ভীষণ উপকারী অ্যালোভেরা। নিয়মিত অ্যালোভেরা খেলে শরীরের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ হয়। কোলেস্টেরল অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে গেলে স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাই সাবধান থাকা উচিত।
  • সুগারঃ সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগীর সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে এলোভেরার জুস খেতে পারেন। এটি শরীরের অতিরিক্ত সুগার কমাতে সাহায্য করে। অর্থাৎ সুগার নিয়ন্ত্রণে অ্যালোভেরা ভীষণ কার্যকর।
  • বিষাক্ত পদার্থ নিষ্কাশনঃ শরীরে ক্ষতিকর পদার্থ প্রবেশ করলে তা নিষ্কাশন করতে সাহায্য করে। শরীরে বিষাক্ত পদার্থ গুলো জমা হয় তার শরীরের বিভিন্ন ক্ষতি করতে পারে। এমনকি পেটে পাথর হয়ে যেতে পারে। কিন্তু অ্যালোভেরার গুনাগুন বিষাক্ত পদার্থ নিষ্কাশন করতে সাহায্য করবে।
  • চর্ম রোগঃ চর্ম রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে অ্যালোভেরা। চর্ম রোগ নিরাময়ে অ্যালোভেরা ভীষণ উপকারী। তাই প্রাকৃতিক উপায়ে চর্মরোগ নিরাময়ের চেষ্টা করতে পারেন। চর্মরোগের সমস্যা দূর করে ত্বক আরো মসৃণ করতে সাহায্য করবে অ্যালোভেরা।
  • ক্ষত নিরাময়ঃ ক্ষত নিরাময় করতে ভীষণ উপকারী অ্যালোভেরা। ক্ষতস্থানে প্রাকৃতিক উদ্ভিদ অ্যালোভেরা লাগাতে পারেন দ্রুত ক্ষত নিরাময় করতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি ক্ষতস্থানের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে অ্যালোভেরা।
  • হাইড্রেটঃ অ্যালোভেরা শরীর হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে কারন এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পানি। তাই শরীরে পানি শূন্যতা রোধ করতে অ্যালোভেরা খেতে পারেন। অ্যালোভেরা শরীরে পানির শূন্যতা পূরণ করে শরীরকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।
  • খাদ্যনালীঃ খাদ্যনালী পরিষ্কার করতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা। খাদ্যনালীর সমস্যা রোধ করতে অ্যালোভেরা খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে পারেন। এটি খাদ্যনালীর সংকোচন হয়ে যাওয়া রোধ করবে এবং খাদ্যনালীর সুস্থতা বজায় রাখবে।
  • পরিপাকতন্ত্রঃ পরিপাকতন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা। পরিপাকতন্ত্রের সমস্যাগুলো সমাধান করতে ভীষণ সাহায্য করে অ্যালোভেরা। ফলে হজমের সমস্যা রোধ করতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাঃ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা। নিয়মিত অ্যালোভেরা খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম স্ট্রং করা সম্ভব। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেলে জীবাণু আক্রমণও কমে যাবে।
  • শরীরের ভারসাম্যঃ শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা। শরীরের ভারসাম্য ঠিক থাকলে তবেই শরীর সুস্থ থাকবে এবং রোগ প্রতিরোধ করতে পারবে। তাই শরীরের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করতে ভীষণ উপকারী অ্যালোভেরা।
  • ওজন কমানোঃ ওজন কমাতে ভীষণ উপকারী অ্যালোভেরা। যারা অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগছেন তারা বাজারের বিভিন্ন কেমিক্যাল ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক উপায়ে চেষ্টা করতে পারেন। কেমিক্যাল ব্যবহার করলে বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অ্যালোভেরার মাধ্যমে প্রাকৃতিক উপায়ে চেষ্টা করতে পারেন এতে কোনো সমস্যা না হবার কথা।
  • মেদ কমানোঃ শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে শরীর ফিট রাখতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা। শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমে গেছে? কি করবেন বুঝতে পারছেন না? নিয়মিত অ্যালোভেরা খান। এটি শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমাতে ভীষণ উপকারী।
  • হাড়ঃ অ্যালোভেরা তে থাকা উপাদান গুলো হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরার রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম যা হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। নিয়মিত অ্যালোভেরা খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে পারেন এটি প্রাকৃতিকভাবে হাড় কে মজবুত করতে সাহায্য করবে।
  • মাংস পেশীঃ মাংসপেশী কে শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করে। যাদের হাত-পা ভীষণ দুর্বল তাদের জন্য উপকারী অ্যালোভেরা এটি মাংসপেশিকে মজবুত করে এবং কাজ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। তাই দুর্বলতার সমস্যা দূর করতে অ্যালোভেরা খেতে পারেন।
  • চুলকানিঃ চুলকানি রোধ করতে ভীষণ উপকারী অ্যালোভেরা। বিভিন্ন খাবার খেলে যাদের চুলকানির সমস্যা দেখা দেয় তারা অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন। এটি প্রাকৃতিক উপায়ে এলার্জি এবং চুলকানি রোধ করতে সাহায্য করবে।
  • ব্রণঃ অতিরিক্ত ব্রণের সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা। দীর্ঘদিন ধরে যারা ব্রনের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য অ্যালোভেরা ভীষণ উপকারী। বিশেষ করে শীতকালে ব্রণের সমস্যা বেশি দেখা দেয় বাজারের কেমিক্যাল ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক উপায় চেষ্টা করতে পারেন ব্রণ দূর করনে।
  • ত্বকের দাগঃ ত্বকে ব্রণের দাগ, র‍্যাস, রোদে পুড়ে যাওয়া দাগ যে কোন ধরনের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের যেকোনো দাগ দূর করে দাগ হীন ত্বক উপহার দিবে আপনাকে। গোসলের আগে অথবা রাতে ঘুমানোর আগে ব্যবহার করতে পারেন অ্যালোভেরা।
  • উজ্জ্বলতাঃ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং ত্বক সতেজ রাখে। নিয়মিত অ্যালোভেরা ব্যবহারের মাধ্যমে ত্বক ভেতর থেকে উজ্জ্বল হয়। বিভিন্ন কসমেটিক্স ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক উপায়ে এভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারেন।
  • বয়সের ছাপঃ বয়সের ছাপ দূর করনে অ্যালোভেরা ভীষণ উপকারী। বিভিন্ন কসমেটিকস ব্যবহার করার মাধ্যমে বয়সের ছাপ দ্রুত ফুটে ওঠে। ঔষধি গুনাগুন সম্পন্ন অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন এটি বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করবে।
  • খুশকিঃ খুশকি দূর করণে অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন এটি ভীষণ উপকারী। বিশেষ করে শীতকালে খুশকির সমস্যা বেশি দেখা যায়। ছেলে মেয়ে উভয় অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। কিছুদিন অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারের মাধ্যমে প্রাকৃতিকভাবে খুশকি দূর করতে পারবেন।
  • চুলের স্বাস্থ্যঃ চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ভীষণ সাহায্য করে। চুলের শুষ্ক ও রুক্ষ ভাব দূর করে কোমল করতে সাহায্য করে। গোসলের আগে অ্যালোভেরা জেল কিছুক্ষণ মাথায় মেসেজ করতে পারেন। তারপর গোসলের সময় ভালো করে ধুয়ে নেবেন কিছুদিনের মধ্যেই রেজাল্ট দেখতে পাবেন।
  • মাথার চুলকানিঃ অ্যালোভেরায় রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টিফাঙ্গাল যা মাথার যেকোনো চুলকানি দূর করতে সাহায্য করে। এমনকি মাথার উকুন ও দূর হয়ে যায়। মাথার ত্বকের যেকোনো ব্যাকটেরিয়া কে রোধ করতে সাহায্য করে আলোভেরা।
  • চুল পড়াঃ চুল পড়া রোধ করতে নিয়মিত অ্যালোভেরা জেল মাথায় লাগাতে পারেন। যাদের অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এটি একটি সঠিক উপায় হতে পারে। কিছুদিন অ্যালোভেরা ব্যবহার করলেই বুঝতে পারবেন এটি কতটা উপকারী চুল পড়া রোধ করতে।

অ্যালোভেরার উপাদান

অ্যালোভেরার উপাদান সমূহ জেনে নিন। অ্যালোভেরা একটি প্রাকৃতিক ঔষধি গুন সম্পূর্ণ উদ্ভিদ। বিভিন্ন শারীরিক কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সাহায্য করে  অ্যালোভেরা। অ্যালোভেরা বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজ উপাদানে ভরপুর। শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে খুবই উপকারী অ্যালোভেরা। এছাড়াও ত্বক ও চুলের যত্নে ভীষণ অবদান রাখে অ্যালোভেরা। চলুন দেখে নেওয়া যাক অ্যালোভেরার উপাদান সমূহঃ 

এলোভেরার-উপকারিতা
যথাঃ

  • ক্যালসিয়াম 
  • ম্যাগনেসিয়াম
  • জিংক 
  • ম্যাঙ্গানিজ 
  • কপার 
  • পটাশিয়াম 
  • সোডিয়াম 
  • ক্রোমিয়াম
  • আয়রন
  • ফলিক এসিড 
  • কোলিন 
  • ফ্যাটি এসিড 
  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট 
  • অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল 
  • এন্টিফাঙ্গাল
  • অ্যামাইনো এসিড
  • ভিটামিন-এ
  • ভিটামিন-সি 
  • ভিটামিন-ই
  • ভিটামিন-বি 
  • ভিটামিন-বি ২ 
  • ভিটামিন-বি ৩ 
  • ভিটামিন-বি ৬ 
  • ভিটামিন-বি ১২

তাহলে বুঝতেই পারছেন অ্যালোভেরার কত ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এই প্রত্যেকটি উপাদান মানবদেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত অ্যালোভেরা ব্যবহারের মাধ্যমে শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। অ্যালোভেরা এখন হাতের কাছে খুব সহজেই পাওয়া যায়। বাজারে সব সময় অ্যালোভেরা কিনতে পাওয়া যায়। এছাড়াও আপনি বাড়ির ছাদে দুই একটা গাছ লাগিয়ে রাখতে পারেন এতে প্রয়োজনে হলেই ফ্রেশ অ্যালোভেরা পাবেন।

অ্যালোভেরার রস খাওয়ার উপকারিতা 

অ্যালোভেরার রস খাওয়ার উপকারিতা অনেক এটি মানব দেহের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত অ্যালোভেরার রস খেলে শরীরের বিভিন্ন পুষ্টি শূন্যতা পূরণ হয়। নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস খাওয়ার মাধ্যমে শরীর ফ্রেস রাখা সম্ভব। এছাড়াও অ্যালোভেরার রস খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করলে বিভিন্ন খনিজ উপাদান এর শূন্যতা পূরণ হয়। চলুন দেখে নেওয়া যাক অ্যালোভেরার রস খাওয়ার উপকারিতাঃ

  • হজম শক্তির বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • পেট পরিষ্কার রাখে। 
  • ক্লান্তি দূর করে। 
  • রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। 
  • হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। 
  • কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে। 
  • সুগার নিয়ন্ত্রণ করে। 
  • শরীরের বিষাক্ত পদার্থ গুলো নিষ্কাশন করতে সাহায্য করে। 
  • চর্মরোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। 
  • ক্ষত নিরাময়ে ভীষণ উপকারী। 
  • শরীরের পানি শূন্যতা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
  • পরিপাকতন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। 
  • খাদ্যনালী সুরক্ষিত রাখে। 
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। 
  • ওজন কমাতে সাহায্য করে। 
  • অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।  
  • হাড় মজবুত করে। 
  • মাংস পেশী শক্তিশালী করে। 
  • চুলকানি রোধ করতে সাহায্য করে।

খালি পেটে অ্যালোভেরা খেলে কি হয় 

চলুন জেনে নেওয়া যাক খালি পেটে অ্যালোভেরা খাওয়ার উপকারিতা। অনেকেই জিজ্ঞাসা করেছেন খালি পেটে অ্যালোভেরা খেলে কি হয়? আজকে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। অ্যালোভেরা বিভিন্ন ভেষজ উপাদানে ভরপুর। এটি প্রাকৃতিক উদ্ভিদ এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।। নিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যা এড়ানো সম্ভব। চলুন জেনে নেওয়া যাক খালি পেটে অ্যালোভেরা খেলে কি হয় তার সম্পর্কেঃ

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা

  • হজম শক্তির বৃদ্ধিঃ হজম শক্তির বৃদ্ধি করতে ভীষণ উপকারী। যাদের হজমে গন্ডগোল রয়েছে তারা নিয়মিত সকালে অ্যালোভেরা খেতে পারেন খালি পেটে। হজম শক্তি বৃদ্ধি করবে পাশাপাশি পেটে সকল সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে। 
  • পেট ব্যথাঃ যেকোনো ধরনের পেট ব্যথা রোধ করতে সাহায্য করে। তাই পেটে ব্যথা হলে অ্যালোভেরার জুস খেতে পারেন। এটি হজম শক্তি বৃদ্ধি করে পেট ব্যথার মতো সমস্যার রোধ করতে সাহায্য করবে।
  • গ্যাস্ট্রিকঃ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা। নিয়মিত অ্যালোভেরা খেলে পেটের সমস্যা দূর হয়। গ্যাসের সমস্যা দূর করতে অ্যালোভেরা খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে পারেন।
  • কোষ্ঠকাঠিন্যঃ যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে তারা খালি পেটে অ্যালোভেরা জুস খেতে পারেন। ঘুমাতে যাওয়ার আগেও অ্যালোভেরা জুস খাওয়া যায়। খাওয়ার আগে অথবা খাওয়ার পরে যখন ইচ্ছা খেতে পারেন। তবে সকালে খালি পেটে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। 
  • ইমিউনিটি বৃদ্ধিঃ ইমিউনিটি বৃদ্ধি করতে ভীষণ উপকারী অ্যালোভেরা। সকালে খালি পেটে অ্যালোভেরা খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। 
  • পানি শূন্যতা পূরণঃ অ্যালোভেরার প্রচুর পরিমাণে পানি রয়েছে যা শরীরকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে। তাই শরীরের পানি শূন্যতা পূরণ করতে নিয়মিত অ্যালোভেরা খেতে পারেন। 
  • পুষ্টি শূন্যতা পূরণঃ অ্যালোভেরা তে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টি এবং খনিজ পদার্থ। তাই শরীরে বিভিন্ন পুষ্টির অভাব পূরণ করতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা। ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম, ভিটামিন-সি সহ বিভিন্ন উপাদান রয়েছে অ্যালোভেরা তে।
  • ত্বকের যত্নেঃ ত্বকের যত্নে ভীষণ উপকারী অ্যালোভেরা। ত্বকের ব্রণ, ব্রণের দাগ, মেসতা, ত্বকের রুক্ষতা এবং বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে। ত্বক কোমল রাখে। অ্যালোভেরা তে থাকা ভিটামিন সি ত্বকের যত্নে ভীষণ উপকারী। এছাড়াও এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের উপকার করে। 
  • চুলের যত্নেঃ নিয়মিত অ্যালোভেরা জুস খেলে চুলের জন্য ভীষণ উপকারী। চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে চুলের খুশকি দূর করে এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। চুল সতেজ ঝলমলে করে তোলে।

ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার উপকারিতা 

ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা ভীষণ উপকারী। নিয়মিত ত্বকে ব্যবহার করলে বিভিন্ন উপকার পাওয়া যায়। বাজারের কেমিক্যাল ব্যবহার না করে প্রাকৃতিকভাবে ত্বক এর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারেন। অ্যালোভেরা জেল নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। যারা দীর্ঘদিন যাবত ব্রণের সমস্যায় ভুগছেন তারা এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন এটি ভীষণ উপকারী। 

এছাড়াও মুখে ছোট বড় কালো সাদা দাগ থাকলে তার রিমুভ করতে সাহায্য করে। মুখের দাগ দূর করনে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। কিছুদিন নিয়মিত ব্যবহার করলে ফলাফল দেখতে পাবেন। মুখের রেশ দূর করতে সাহায্য করে পাশাপাশি মুখের চুলকানিও দূর করে। রোদে পোড়া দাগ সহজে যেতে চায় না, মুখের ত্বকের সাথে আটকে যায়। 

অ্যালোভেরা ব্যবহারের মাধ্যমে এটিও দূর হয়ে যাবে। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে ত্বক উজ্জ্বল করে তোলে ভেতর থেকে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ত্বক মসৃণ ও কোমল রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও সবচেয়ে বড় সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা জেল তা হলো বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে। তাই অ্যালোভেরার সাহায্যে প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের যত্ন নিতে পারেন।

চুলের যত্নে অ্যালোভেরার উপকারিতা 

চুলের যত্নে ভীষণ উপকারী অ্যালোভেরা। নিয়মিত অ্যালোভেরা ব্যবহারের মাধ্যমে চুলের স্বাস্থ্য ভালো হয়। মেয়েদের সৌন্দর্য কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয় ঘন মজবুত লম্বা চুল। তবে এই চুল পড়তে শুরু করলে টেনশনের শেষ থাকে না। শুধু মেয়েদের নয় চুল পড়ার সমস্যা ছেলেদেরও রয়েছে। আপনি চাইলে প্রাকৃতিক উপায়ে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করে চুল পড়া রোধ করতে পারেন।চুল পড়া রোধ করতে ভীষণ উপকারী এটি। 

আরো পড়ুনঃ চুলের জন্য থানকুনি পাতার উপকারিতা

এছাড়াও চুলের শুষ্কতা দূর করে চুল কোমল করতে সাহায্য করে। চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিয়মিত  অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন মাথার ত্বকে। চুল সুন্দর করার পাশাপাশি মাথার ত্বকের চুলকানি দূর করতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা জেল। অ্যালোভেরা জেল এ রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টিফাঙ্গাস। এটি চুলকানি রোধ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও যাদের চুলে খুশকির সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এটি ভীষণ উপকারী।

দীর্ঘদিন ধরে খুশকির সমস্যায় ভুগছেন? কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না? তাহলে অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন এটি প্রাকৃতিক উপায়ে চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। চুলকে ভেতর থেকে মজবুত করে তুলে। চুলে খুশকি দেখা দিলে চুল ঝরে যায়। বিশেষ করে শীতকালে খুশকির সমস্যা বেশি হয়। তাই গোসলের আগে চুলের গোড়ায় অ্যালোভেরা ম্যাসাজ করতে পারেন এবং গোসলের সময় ধুয়ে নিন। কিছুদিন ব্যবহারই ফলাফল দেখতে পাবেন।

পুরুষদের জন্য অ্যালোভেরার উপকারিতা

পুরুষদের জন্য অ্যালোভেরার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। অ্যালোভেরা শুধু নারীরা ব্যবহার করতে পারবেন এমন না। সকলেই ব্যবহার করতে পারবেন। ব্যবহার করলেই উপকৃত হবেন। চাইলে নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন অথবা অ্যালোভেরা ব্যবহারের মাধ্যমেও উপকার পাবেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক পুরুষদের জন্য অ্যালোভেরার উপকারিতাঃ 

  • চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে। ছেলে মানুষের মাথার চুল একবার পড়তে শুরু করলে তা কিছুতেই থামতে চায় না। অ্যালোভেরা জেল মাথায় দিয়ে দেখতে পারেন আশা করছি উপকৃত হবেন। 
  • ভাইরাস এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। শরীরে জীবাণুর আক্রমণ রোধ করতে ভীষণ উপকারী অ্যালোভেরা।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। নিয়মিত অ্যালোভেরা খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করলে শরীর ভেতর থেকে সুস্থ থাকবে।
  • ওজন কমাতে ভীষণ উপকারী অ্যালোভেরা। যারা অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তায় আছেন তারা অ্যালোভেরা খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে পারেন। এটি শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে ফেলে।  
  • হাড় মজবুত করতে ভীষণ উপকারী অ্যালোভেরা। এটি হাড় এবং দাঁতের মাড়ি মজবুত করে কারণ অ্যালোভেরাই রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম। হাড় মজবুত করার পাশাপাশি মাংস পেশি শক্তিশালী করতেও সাহায্য করে।
  • হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা। তাই নিয়মিত অ্যালোভেরা খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে পারেন এটি হৃদ রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে দিবে।
  • শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যারা শারীরিকভাবে একটু দুর্বল তারা নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস খেতে পারেন। 
  • হজম শক্তির বৃদ্ধি করে ও পেটের গন্ডগোল দূর করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে এবং পেট পরিষ্কার রাখে।
  • ত্বকের অবাঞ্ছিত ব্রণ ও দাগ দূর করতে ভীষণ উপকারী অ্যালোভেরা। ছেলেরা মেয়েদের মত এত ত্বকের যত্ন নিতে পারেন না তাই বেশি কিছু না করে অ্যালোভেরা ব্যবহার করে ত্বক মসৃণ, কোমল এবং উজ্জ্বল রাখতে পারেন। বয়সের ছাপ দূর করে।

অ্যালোভেরা জেল বানানোর নিয়ম 

অ্যালোভেরা জেল বানানোর নিয়ম জেনে নিন। অ্যালোভেরা জেল চাইলে আপনি বাড়িতেই তৈরি করতে পারবেন। এটি প্রাকৃতিক উদ্ভিদ এটি ত্বকে অথবা চুলে ব্যবহার করা যায়। এতে তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। চাইলে আপনি নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস ও খেতে পারেন। অ্যালোভেরার গাছ দুই একটা বাড়ির ছাদে লাগিয়ে রাখতে পারেন। তাহলে সব সময় টাটকা অ্যালোভেরা হাতের নাগালে পাবেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক অ্যালোভেরা জেল বানানোর নিয়মঃ

এলোভেরার-উপকারিতা
প্রথমেই একটি বড় অ্যালোভেরার পাতা নিয়ে নিন। অ্যালোভেরার পাতা বাইরের শক্ত গাঢ় সবুজ অংশ গুলো কেটে বাদ দিন অর্থাৎ শুধু ভেতরের নরম অংশটুকু নিন। তারপরে মিক্সার এর বাটিতে ভেতরের জেল একটু ছোট ছোট করে কেটে রাখুন। তার মধ্যে ভিটামিন-ই ক্যাপসুল, গোলাপজল মিশিয়ে নিন। চাইলে সুগন্ধি ও যোগ করতে পারেন। এরপরে মিক্সার ব্লাইন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।

এভাবেই তৈরি হয়ে যাবে অ্যালোভেরা জেল। ব্লেন্ড করা হয়ে গেলে পাতলা কাপড় দিয়ে ছেকে নিতে পারেন। এতে ভেতরে ছোট ছোট কোন কিছুর টুকরা থাকবে না। তারপর এটি চুলে অথবা মুখে ব্যবহার করতে পারেন নিয়মিত। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং ত্বক সতেজ রাখতে সাহায্য করবে। এটি চুলের যত্নেও কতটা উপকারী তা উপরে আলোচনা করেছি। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

অ্যালোভেরার অপকারিতা 

অ্যালোভেরার অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন আজকের ব্লগ পোস্টে। প্রতিটি জিনিসের একটি ভালো দিক আছে এবং একটি খারাপ দিক আছে। এছাড়াও ব্যবহারবিধি সঠিক নিয়মে পালন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবহার বিধি সঠিক নিয়মে পালন না করলে ভালো জিনিসও খারাপ গুন দিতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক অ্যালোভেরার কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কেঃ

আরো পড়ুনঃ থানকুনি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

অ্যালোভেরার অনেক উপকারী দিক রয়েছে। অ্যালোভেরা উপকারিতার কথা ভাবতে গেলে অপকারিতা খুবই সামান্য। একটি জিনিসের ভাল খারাপ দুই দিকে থাকতে পারে। এতো উপকারী দিক যখন রয়েছে দুই একটা ক্ষতিকর দিক ও থাকবে এটি স্বাভাবিক। অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া বা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন তাহলে অনেকটাই অপকারিতা এড়ানো সম্ভব। 

  • অতিরিক্ত অ্যালোভেরা জুস গ্রহণ করলে এটি কিডনির ক্ষতি করতে পারে। এমনকি এক সময় কিডনি অকেজো পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়ার চেষ্টা করবেন অতিরিক্ত খাওয়া এড়িয়ে চলবেন।
  • গর্ভাবস্থায় অ্যালোভেরা খাওয়া অথবা মাখা থেকে বিরত থাকবেন। এটি বিরূপ আকারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া করতে পারে। মায়ের সাথে সাথে বাচ্চার ও ক্ষতি হয়ে যেতে পারে তাই সাবধান থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 
  • বেশি পরিমাণে খেলে অনেক সময় পেটে ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে। এছাড়াও পেটের যেকোনো সমস্যা হতে পারে। পেট ব্যথা, গ্যাস্টিক অথবা পেট জ্বালা করতে পারে। তাই দিনে ২-৩ বার অ্যালোভেরা জুস খেতে যাবেন না।
  • অ্যালোভেরা খাওয়ার আগে কেটে কিছুক্ষণ রেখে দিতে হয় তাহলে হলুদ আঠার মতো একটি পদার্থ বের হয়, ওইগুলো বাদ দিয়ে খেতে হবে অথবা ত্বকে বা চুলে ব্যবহার করতে হবে। হলুদ আঠা শরীরের ক্ষতি করতে পারে তাই এটি থেকে বিরত থাকবেন।
  • অ্যালোভেরা ব্যবহারে এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অ্যালোভেরার এলার্জি রয়েছে এমন ব্যক্তি অ্যালোভেরা খাওয়া অথবা ব্যবহার করা থেকে অবশ্যই বিরত থাকবেন।

শেষ কথাঃ অ্যালোভেরার উপকারিতা 

অ্যালোভেরার উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি আজকের ব্লক পোস্টে। আপনাদের সকল প্রশ্নের সঠিক তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করছি কিছুটা হলেও উপকৃত হয়েছেন। অ্যালোভেরার উপকারিতা সম্পর্কে এবং অ্যালোভেরা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। খাওয়ার পাশাপাশি ত্বকে, চুলে ব্যবহারের উপকারিতাও তুলে ধরেছি আপনাদের সামনে। 

এছাড়াও পুরুষদের জন্য অ্যালোভেরার উপকারিতা সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছি। অ্যালোভেরার কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অর্থাৎ অপকারিতা রয়েছে তার সম্পর্কেও আপনাদের আজকের ব্লগে জানিয়েছি। আজকের ব্লগ পোস্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন আর বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডেইলি ডাইরির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url