ভাতের মাড়ের উপকারিতা এবং অপকারিতা
ভাতের মাড়ের উপকারিতা এবং অপকারিতা নিয়ে থাকছে আজকের পোস্ট। ভাতের মাড়ের গুনাগুন সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। চলুন আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করি ভাতের মাড়ের উপকারিতা এবং অপকারিতা নিয়ে।
আমাদের শরীরের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পূর্ণ করতে সাহায্য করে ভাতের মাড়। এছাড়াও ত্বকের যত্নে ভাতের মাড়ের উপকারিতা রয়েছে প্রচুর। এই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।পেইজ সূচিপত্রঃ ভাতের মাড়ের উপকারিতা এবং অপকারিতা
- ভাতের মাড়ের উপকারিতা এবং অপকারিতা
- ত্বকের যত্নে ভাতের মাড়ের উপকারিতা
- চুলের যত্নে ভাতের মাড়ের উপকারিতা
- ভাতের মাড়ের ঔষধি গুনাগুন
- পানি শূন্যতা দূর করতে ভাতের মাড়ের উপকারিতা
- ওজন কমাতে ভাতের মাড়ের উপকারিতা
- ভাতের মাড়ে কি ভিটামিন আছে
- ভাতের মাড়ের ব্যবহার
- ভাতের মাড়ের উপকারিতা
- শেষ কথাঃ ভাতের মাড়ের উপকারিতা এবং অপকারিতা
ভাতের মাড়ের উপকারিতা এবং অপকারিতা
ভাতের মাড়ের উপকারিতা এবং অপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো আজকের পোস্ট। ভাতের মাড় আমাদের সকলের কাছেই পরিচিত। আর যাদের কাছে এই শব্দটি নতুন লাগছে তাদেরকে বলে দেই ভাতের মাড় হলো ,ভাত রান্না করার আগে চাল ধুয়ে পরিমাণ মতো পানি নিয়ে রান্না তুলে দেওয়া হয়। এ সাধারণ বিষয়গুলো আমরা সকলেই জানি।
রান্নার মধ্য পর্যায় পাতিল যখন গরম হয়ে বলোক ওঠে তখন কিছু ফেনা যুক্ত এবং সামান্য পিচ্ছিল ধরনের পানি ভাতের কাঁসার ওপর উঠে আসে। সেই তরল কে বলা হয় ভাতের মাড়। বাঙালির সবচাইতে পছন্দের খাবার ভাত। ভাত ছাড়া যেন বাঙালির চলেই না। বাঙালির কাছে দিনের শুরু হয় ভাত দিয়ে। ভাতের পাশাপাশি অনেকের কাছেই একটি প্রিয় খাবার ভাতের মাড়।
ভাতের মাড় খাওয়ার অনেক আগের প্রচলন। এখন খুব একটা দেখা যায় না ভাতের মাড় খাওয়ার রেওয়াজ। কিন্তু ভাতের মাড়ে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান। ভাতের মাড়ের পুষ্টি উপাদানের প্রতি আমরা সচেতন না বলে অনেকেই তা ফেলে দেই। ফলে চালের অনেকটা পুষ্টি গুণাগুণ থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। তুলনামূলক আমাদের শরীরে পুষ্টি কম পরিমাণে প্রবেশ করছে।
বিশেষজ্ঞরা বলে থাকে ভাতের মাড় শরীরকে এবং ত্বককে সতেজ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও ভাতের মারে রয়েছে নানা পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন যার শরীর গঠনের সাহায্য করে। এছাড়াও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বিভিন্ন রকম রোগের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে আমরা নিয়মিত ভাতের মাড় খেতে পারি। চলুন দেখে নেই ভাতের মাড়ের উপকারিতাঃ
ভাতের মাড়ের উপকারিতাঃ
- ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে ।
- ত্বক সতেজ রাখে ।
- ব্রণ কমাতে সাহায্য করে।
- বয়সের ছাপ দূর করে
- শরীর চাঙ্গা রাখে।
- চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
- ডায়রিয়ার চিকিৎসায় কাজে লাগে।
- এনার্জি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
- ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- হজমের সমস্যা দূর করে।
- পানি শূন্যতা দূর করে।
ভাতের মাড়ের উপকারিতাঃ
গর্ভাবস্থায়ঃ ভাতের মাড় সাইড ইফেক্ট খুব একটা করে না। তেমন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নাই বললেই চলে। তবে গর্ভবতী মহিলারা একটু সাবধানে থাকবেন। পরিমাণ মতো খাবেন। অতিরিক্ত খেলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এলার্জি সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও ভাতের মার হালকা গরম গরম খাওয়ার চেষ্টা করবেন। অতিরিক্ত ঠান্ডা হয়ে গেলে বাচ্চার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ছোট বাচ্চাঃ ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে একটু সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না। বাচ্চা যখন বুকের দুধ খাওয়া ছেড়ে দেয় তখন অল্প অল্প করে ভাতের মাড় খাওয়ানোর অভ্যাস তৈরি করতে পারেন। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। তবে অতিরিক্ত খাওনা থেকে বিরত থাকবেন বাচ্চাদের এলার্জি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ত্বকের যত্নে ভাতের মাড়ের উপকারিতা
ত্বকের যত্নে ভাতের মাড়ের উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। ভাতের মাড় বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর। বিভিন্ন রোগ সারাতেও সাহায্য করে ভাতের মাড়। আদিকাল থেকেই ভাতের মাড়ের ব্যবহার চলে আসছে। ভাতের মাড় নিয়মিত ত্বকের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন। এটি খুব ভালো ফলাফল দেয়। রাতে ঘুমানোর আগে অথবা গোসলের আগে ত্বকে ভাতের মাড় লাগিয়ে রাখতে পারেন।
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেঃ
- ভাতের মাড় কে প্রাকৃতিক টোনার বলা হয়।
- গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত ভাতের মাড় ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের ছোট ছোট গর্ত বা পোর্স দূর হয়।
- ত্বকের উপরের জমে থাকা ময়লা দূর করতে সাহায্য করে।
- ত্বকের ওপরের মৃত কোষ আবরণ পরিষ্কার হয়।
- ত্বকের গ্লেজ বৃদ্ধি পায়।
- ব্রণের ছোট ছোট গর্ত দূর হয়।
ব্রন কমাতে সাহায্য করেঃ
- মুখে ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।
- ভাতের মাড়ে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বক সুন্দর রাখে।
- ভাতের মাড়ে থাকা ভিটামিন-ই মুখের ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।
- ভালো ফলাফল পেতে দিনে দুইবার ব্যবহার করুন ভাতের মাড়।
- ত্বকের ভেতরের প্রদাহের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
- ভাতের মাড় রয়েছে আন্টি-ইনফ্লেমেটারি যা ত্বকের ব্রণ রোধ করতে সাহায্য করে।
- ফলে কিছুদিন ভাতের মাড় ব্যবহার করলেই স্বাভাবিকভাবে ত্বকের ব্রণ কমে যায়।
বয়সের ছাপ দূর করেঃ
- বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে ভাতের মাড়।
- ভাতের মাড়ের পুষ্টি উপাদান ত্বকের রিংকেল দূর করে।
- ত্বক সতেজ রাখতে সাহায্য করে।
- ত্বকের ছোট ছোট দাগ দূর করে।
- মেস্তা দূর করতে নিয়মিত ভাতের মাড় ব্যবহার করুন।
চুলের যত্নে ভাতের মাড়ের উপকারিতা
চুলের যত্নে ভাতের মাড়ের উপকারিতা অপরিহার্য। চলুন বিস্তারিত আলোচনা করি: চুলকে সিল্কি ও শাইনি করতে সাহায্য করে ভাতের মাড়। চুলের যত্নে নিয়মিত ভাতের মাড় ব্যবহার করতে পারেন। গোসেলের কিছুক্ষণ আগে ভাতের মাড় চুলে লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। এরপর চুল শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে চুলটা ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন।
আরো পড়ুনঃ কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চার গোপন টিপস জেনে নিন
এতে চুলের গোড়া মজবুত হয়। চুলের পুষ্টির অভাব পূরণ করতে সাহায্য করে। স্কাল্পের খুশকি দূর করে। চুল অনেক বেশি সফট এবং ব্রাইট হয়। চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে নিয়মিত ভাতের মাড় ব্যবহার করতে পারেন। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন চুলে ভাতের মাড় লাগানোর আগে ঠান্ডা করে নেবেন। গরম মাড় লাগানো থেকে বিরত থাকুন এটি ক্ষতিকর হতে পারে।
ভাতের মাড়ের ঔষধি গুনাগুন
ভাতের মাড়ের ঔষধি গুনাগুন বিস্তারিত আলোচনা করবো। ভাতের মাড় বিভিন্ন প্রশ্ন উপাদানে ভরপুর। আদিকাল থেকেই পাচক হিসেবে ব্যবহার হতো ভাতের মাড়। দীর্ঘ সময় ধরে ভাতের মাড়ের ব্যবহার চলে আসছে। বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসেবে ভাতের মাড় ব্যবহার করা হয়। চলুন আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করি কি কি সমস্যা দূর করতে সক্ষম ভাতের মাড়ঃ
যথাঃ- এনার্জি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করেঃ ব্যায়ামের আগে নিয়মিত এক গ্লাস করে ভাতের মাড় খেলে শরীরে বিভিন্ন উপকারী অ্যামিনো এসিড বৃদ্ধি পায়। এটি ব্যায়ামের সময় পেশী গঠনে সাহায্য করে এবং শরীরকে সুস্থ রাখে। ভাতের মাড়ে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট। যা আমাদের শরীরে এনার্জি বৃদ্ধি করে।
- কোষ্ঠকাঠিন্যে দূর করতে সাহায্য করেঃ যাদের পায়খানা কষা বা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত এক গ্লাস করে ভাতের মাড় খেতে পারেন। সর্বোচ্চ ফলাফল পেতে দিনে দুই গ্লাস ভাতের মাড় খান। বিশেষজ্ঞরা বলে নিয়মিত ভাতের মাড় খেলে বাওয়েল মুভমেন্ট এর উন্নতি ঘটে।
- ডায়রিয়া সমস্যা সমাধান করেঃ ডায়রিয়ার চিকিৎসায় কাজে লাগে ভাতের মাড়। পেটে ব্যথা, পাতলা পায়খানা এসব সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে ভাতের মাড় খেতে পারেন। পেটের যে কোন সমস্যা দেখা দিলে ভাতের মাড়ির সাথে অল্প একটু লবণ মিশিয়ে খেয়ে নিন। এটি শরীরের খনিজ এর শূন্যতা পূরণ করে। এতে রোগের আশঙ্কা কমে।
পানি শূন্যতা দূর করতে ভাতের মাড়ের উপকারিতা
পানি শূন্যতা দূর করতে ভাতের মাড়ের উপকারিতা বিস্তারিত আলোচনা করবো। শরীর কোন কারনে পানি শূন্য হয়ে গেলে নিয়মিত ভাতের মাড় খান। ভাতের মারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ভাত রান্না করার সময় চালের বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান ধীরে ধীরে ভাতের মাড়ের সাথে মিশে যায়। তাই ভাতের মাড় এত পুষ্টিকর।
ভাতের মাড়ের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি। যেমনঃ ভিটামিন-বি১, ভিটামিন-বি২, ভিটামিন-বি৬, ভিটামিন-বি৯। শরীরের শক্তি উৎপন্ন করতে সাহায্য করে এই ভিটামিন গুলো এবং কোষ কে সক্রিয় রাখে। শরীরে হাইড্রেশন এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। হাইড্রেশন এর মাত্রা কমে গেলে বেশি ক্ষুধা পায় এবং শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেয়। তাই শরীরে পানি শূন্যতা দূর করতে নিয়মিত ভাতের মাড় খেতে পারেন।
ওজন কমাতে ভাতের মাড়ের উপকারিতা
ওজন কমাতে ভাতের মাড়ের উপকারিতা বর্ণনা করা হলো। ওজন কমাতে ভাতের মাড় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভাতের মাড় খেলে বেশ কিছুক্ষণ পেট ভরা থাকে। তুলনামূলক ক্ষুধা কম পায়। ভাতের মাড়ে খুবই কম ক্যালরি থাকে। ফলে ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই যারা অতিরিক্ত ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তারা নিয়মিত ভাতের মাড় খেতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায় তার গোপন টিপস
নিয়মিত ভাতের মাড় খেলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি যুক্ত হয় না। এছাড়াও প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ এর শূন্যতা পূরণ হয়। ভাতের মাড়ে রয়েছে প্রয়োজনীয় পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস। এছাড়াও রয়েছে ফেরুলিক অ্যাসিড, অ্যালানটোইন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি এগুলো ভীষণ উপকারী ত্বকের যত্নে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
ভাতের মাড়ে কি ভিটামিন আছে
ভাতের মাড়ে কি ভিটামিন আছে? আপনারা অনেকেই এই প্রশ্ন করে থাকেন। অবশ্যই ভাতের মাড় ভিটামিন আছে। শুধু একটি নয় বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন গুনাগুনে ভরপুর ভাতের মাড়। নিয়মিত ভাতের মাড় খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করলে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা পাবেন। এছাড়াও শরীরকে সতেজ রাখতে ভাতের মাড় খেতে পারেন।
ভাতের মাড়ে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং খনিজ লবণ যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন-ই এটি চুলের সৌন্দর্য এবং ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। শারীরিক গঠনে সাহায্যে করে ভাতের মাড়। বিভিন্ন রোগের উপশম হিসেবে কাজ করে ভাতের মাড়। বিভিন্ন প্রাচীন গ্রন্থে ও মিলেছে ভাতের মাড় এর কথা। প্রাচীন কাল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত ভাতের মাড় কে কাজে লাগিয়ে শরীরকে রোগ মুক্ত রাখা সম্ভব হচ্ছে।
ভাতের মাড়ের ব্যবহার
ভাতের মাড়ের ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আদিকাল থেকেই চলে আসছে ভাতের মাড়ের ব্যবহার। তবে সময়ের সাথে সাথে ব্যবহার কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে এবং অনেকটাই কমে গেছে। আগেকার মানুষ ভাতের মাড় কখনোই ফেলে দিত না। তবে এখন বেশিরভাগ সময় ভাতের মাড় ফেলে দেওয়া হয়। তবে আপনি আপনার সমস্যার সমাধান করতে ভাতের বারের ব্যবহার করতে পারেন।
যেমনঃ- ভাতের মাড় খাওয়াঃ নিয়মিত ভাতের মাড় খাওয়ার মাধ্যমে আপনার শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন করতে পারবেন। শরীরে লুকায়িত বিভিন্ন রোগের উপশমের সাথে যুদ্ধ করবে ভাতের মাড়। ভাত রান্না করার পর ভাতের মাড় ঠান্ডা করে একটু লেবুর রস এক টুকরো দারচিনি এবং স্বাদ বাড়াতে অল্প একটু লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। ক্ষুধা কম লাগে এবং ভাতের মাড় খুব কম পরিমাণ ক্যালরি রয়েছে।
- পানীয়ঃ উচ্চ ক্যালরি এবং চিনি যুক্ত পানীয় খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এর বিকল্প হিসেবে নিয়মিত ভাতের মাড় খেতে পারেন। আপনি চাইলে এটি স্মুদি বা ভেষজ চায়ের সাথে ব্যবহার করতে পারেন।
- সুপঃ সুপ হিসাবে ভাতের মাড় খেতে পারেন। অথবা শুভ রান্নার সময় ভাতের মাড় যোগ করতে পারেন। এতে স্বাদ বৃদ্ধি পাবে এবং পুষ্টিগুণও বাড়বে।
ভাতের মাড়ের উপকারিতা
ভাতের মারের উপকারিতা চলুন জেনে নিই। ভাতের মাড়ে বিভিন্ন উপকারী পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এতে নিয়মিত খেলে শরীরের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। পানি শূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে ভাতের মাড়। যারা অতিরিক্ত ওজন নিয়ে সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য ভীষণ উপকারী। শরীর ও ত্বক সতেজ রাখতে নিয়মিত ভাতের মাড় খেতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় ভাতের মাড় এর উপকারিতাঃ
- শরীরের পানি শূন্যতা রোধ করে।
- শারীরিক দুর্বলতা দূর করে।
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
- হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।
- শরীর সতেজ রাখতে সাহায্য করে।
- অতিরিক্ত ওজন রোধ করতে সাহায্য করে।
- ঘুমের সমস্যা দূর করে।
- তৎক্ষণাৎ শক্তি বৃদ্ধি করে। কারণ এতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট।
তবে অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া ঠিক হবে না। অবশ্যই দিনে এক গ্লাস এর বেশি খাবেন না। ভাতের মাড়ের তেমন কোন সাইড ইফেক্ট নাই তবে অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অবশ্যই সাবধান থাকবেন। বাচ্চার ঠান্ডা লাগার সমস্যা হতে পারে। গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ঠান্ডা না করে হালকা গরম ভাতের মাড় খাওয়া বেশি উপযোগী। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ভাতের মাড়ের উপকারিতাঃ
- শরীরের সতেজ রাখে।
- হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।
- শরীর গঠনে সাহায্য করে।
- এনার্জি বৃদ্ধি করে।
তবে অবশ্যই বাচ্চাদের পরিমাণ মতো খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন। ভাতের মাড়ে থাকা অতিরিক্ত পুষ্টি উপাদান বাচ্চার ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এছাড়াও এলার্জির সমস্যা হতে পারে। তাই অবশ্যই পরিমাণ মতো খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন। বাচ্চা যখন বুকের দুধ খাওয়া ছেড়ে দিতে চায় তখন নিয়মিত খাওয়াতে পারেন। ভালো উপকার পাবেন।
শেষ কথাঃ ভাতের মাড়ের উপকারিতা এবং অপকারিতা
ভাতের মাড়ের উপকারিতা এবং অপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি আজকের পোস্টে। আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এছাড়াও জানিয়েছি ত্বকের যত্নে ভাতের মাড়ের উপকারিতা এবং শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রমে কিভাবে সাহায্য করে ভাতের মাড় তার সম্পর্কে। আশা করছি কিছুটা হলেও উপকৃত হয়েছেন।
ভাতের মাড় এর ব্যবহার চলে আসছে দীর্ঘদিন থেকে। এটি স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে। ভাতের মাড়ের তেমন কোন সাইড ইফেক্ট নেই। তবে বাচ্চাদের প্রতি এবং গর্ভাবস্থায় একটু সতর্ক থাকতে হবে। পরিমাণ মতো নিয়মিত খেলে কোন সমস্যা দেখা দিবে না আশা করছি। পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করে জানাবেন। এই সুন্দর তথ্য গুলো অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
ডেইলি ডাইরির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url