থার্টি ফার্স্ট নাইটের ইতিহাস-এ সম্পর্কে ইসলাম কি বলে
থার্টি ফাস্ট নাইট এবং থার্টি ফার্স্ট নাইটের ইতিহাস সম্পর্কে আপনাদের অনেক বেশি
জানার আগ্রহ। এই বিষয়গুলো নিয়ে আজকের পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
এছাড়াও আজকের পোস্টে আলোচনা করা হবে থার্টি ফাস্ট নাইট সম্পর্কে ইসলাম কি বলে?
আরো থাকছে থার্টি ফাস্ট নাইট কেন পালিত হয় তার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।
সম্পূর্ণ পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পেইজ সূচিপত্রঃ থার্টি ফার্স্ট নাইট
- থার্টি ফার্স্ট নাইট
- থার্টি ফাস্ট নাইট অর্থ কি
- থার্টি ফার্স্ট নাইট কেন পালিত হয়
- থার্টি ফার্স্ট নাইট এর ইতিহাস
- থার্টি ফার্স্ট নাইট সম্পর্কে ইসলাম কি বলে
- থার্টি ফাস্ট নাইট কি মুসলমানদের জন্য হারাম
- থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন
- বাইরের দেশে থার্টিফার্স্ট নাইট কেমন ভাবে উদযাপিত হয়
- শেষ কথাঃ থার্টি ফার্স্ট নাইট
থার্টি ফার্স্ট নাইট
থার্টি ফার্স্ট নাইট হলো ইংরেজি ডিসেম্বর মাসের ৩১ তারিখের দিবাগত রাত ১২ টা ১
মিনিটে পালিত হয়। সাধারণত বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান এর মাধ্যমে উদযাপিত হয় থার্টি
ফার্স্ট নাইট। বর্তমান বিশ্বের ভীষণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে থার্টি ফার্স্ট নাইট।
মূলত নতুন বছর কে স্বাগতম জানাতে পালিত হয় থার্টি ফার্স্ট নাইট। পুরো বিশ্ব মেতে
ওঠে এই অনুষ্ঠানে।
পুরনো বছরের শেষ দিনে এবং নতুন বছরের প্রথমে অর্থাৎ বারোটা এক মিনিটে পালিত হয়
থার্টি ফার্স্ট নাইট। এই অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং নতুন বছরের আগমনকে ঘিরে যে এত
উদযাপন করা হচ্ছে এটাকেই বলা হয় থার্টি ফাস্ট নাইট। থার্টি ফার্স্ট নাইট প্রায়
সকলের কাছেই পরিচিত। আর যাদের কাছে এটি অপরিচিত শব্দ আশা করি এখন বুঝতে পেরেছেন
থার্টি ফার্স্ট এইড কি।
থার্টি ফাস্ট নাইট অর্থ কি
থার্টি ফার্স্ট নাইট অর্থ কি অনেকেই জানতে চেয়েছেন। থার্টি ফার্স্ট নাইট কথাটি
ইংরেজি শব্দ। আমরা প্রায় সকলেই জানি থার্টি শব্দের অর্থ ত্রিশ। মূলত এখানে ৩০
তারিখকে বোঝানো হয়েছে। আর ফার্স্ট শব্দের অর্থ প্রথম এবং নাইট শব্দের অর্থ রাত।
অর্থাৎ থার্টি ফার্স্ট নাইট এর অর্থ একত্রিশ এর রাত। মূলত পুরনো বছরের শেষ দিন
এবং নতুন বছরের শুরুর দিনকে বোঝানো হয়।
ইংরেজি বছরের প্রথম দিন কে বরণ করার উদ্দেশ্যে এ দিবসটি পালিত হয়। বিশ্বের
বিভিন্ন দেশ মেতে ওঠে থার্টিফার্স্ট নাইট পালন করার উদ্দেশ্যে। আবার বিভিন্ন দেশে
এই দিনটি ছুটি ঘোষণা করা হয় অর্থাৎ হলিডে পালিত হয়। থার্টিফাস্ট নাইট নিউ
ইয়ার নামেও পরিচিত। হ্যাপি নিউ ইয়ার উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয় বা উদযাপিত হয়
বিভিন্ন অনুষ্ঠান।
থার্টি ফার্স্ট নাইট কেন পালিত হয়
থার্টি ফার্স্ট নাইট কেন পালিত হয়? আপনারা যারা এই প্রশ্ন করে থাকেন আজকের
পোস্টটি তাদের জন্য। থার্টি ফাস্ট নাইট হলো খ্রিস্টীয় বা গ্রেগরিয়ান
ক্যালেন্ডার মাফিক ৩১ শে ডিসেম্বর দিবাগত রাত। বছরের শেষ দিনকে বোঝানো হচ্ছে। ৩১
শে ডিসেম্বর রাত বারোটার পর শুরু হয় পহেলা জানুয়ারির প্রথম প্রহর। ৩১ শে
ডিসেম্বর রাত বারোটার পর থেকে শুরু হয় সারা বিশ্বে আনন্দ উৎসব।
নতুন বছরকে স্বাগতম জানাতে বিভিন্ন রাষ্ট্রে বিভিন্ন অনুষ্ঠান, আতশবাজি, নাচ,
গান, ইত্যাদির মাধ্যমে পালিত হয়। মুসলিম রাষ্ট্রে সাধারণত এই দিনটি পালিত হয়
না। থার্টি ফাস্ট নাইট মূলত নতুন বছরকে ঘিরে উদযাপিত হয়। থার্টি ফার্স্ট নাইট এর
ইতিহাস থেকে জানা গেছে ১৭৫২ সাল থেকে এই নিউ ইয়ার বা থার্টিফার্স্ট নাইট ইভেন্ট
উদযাপিত হয়।
থার্টি ফার্স্ট নাইট এর ইতিহাস
থার্টি ফার্স্ট নাইটের ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। থার্টি ফার্স্ট
নাইট এর ইতিহাস লক্ষণীয়। জুলিয়াস সিজারের হাত ধরে খ্রিস্টপূর্ব ৬৪০ সালের দিকে
সর্বপ্রথম ইংরেজি নববর্ষ উদযাপিত হয়। পরবর্তীতে জানা যায় খ্রিস্টপূর্ব ৮০০
সালের দিকে পারস্য সম্রাট জামশেদ এই রেওয়াজ প্রচলন করেন। এই ধারাবাহিকতা মেনে
এখনো পারস্যে ঐতিহ্যময় ইংরেজি নববর্ষ পালিত হয়।
পরবর্তীতে পারস্য কে অনুসরণ করে ধীরে ধীরে এই প্রচলন মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশ ও
ভারত সহ আরো বিভিন্ন দেশে এই উৎসব পালিত হতে দেখা যায়। তবে যে যার নিয়ম অনুসারে
এই উৎসব উদযাপিত করে থাকে। ব্যাবিলনিয়ায় এই ইংরেজি নববর্ষ শুরু হতো মহাবিষুবের
দিন অর্থাৎ ২০ শে মার্চ। মূলত ইংরেজি নববর্ষের সূচনা এভাবেই শুরু হয়।
আবার এই দিকে গ্রীকদের ইংরেজি নববর্ষ শুরু হতো খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দি
পর্যন্ত ২১ শে ডিসেম্বর। এইরকম বিভিন্ন নিয়ম-নীতিমালা অনুযায়ী উদযাপন করা হতো
ইংরেজি নববর্ষ। এইসব তথ্যই মেলে ৩১ নাইট ইতিহাস থেকে। পরবর্তীতে গ্রেগরিয়ান
ক্যালেন্ডার অনুসারে ৩১ শে ডিসেম্বর খ্রিস্টীয় নিয়ম অনুযায়ী ইংরেজি নববর্ষ
পালিত হয়।
তবে মুসলিম দেশগুলোতে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসরণ করলেও ইংরেজির নববর্ষ পালিত
হয় না। যেমনঃ ইসরাইল, সৌদি আরব, নেপাল, আফগানিস্তান ও ইথিওপিয়া এই দেশগুলোতে
গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসরণ করলেও থার্টি ফার্স্ট নাইট পালিত হয় না। ইংরেজি
সাল বা তারিখ গণনার এই বিষয়টি ইংরেজিতে হাতে আবিষ্কৃত নয়।
তাই এটি ঠিক ইংরেজি নববর্ষ বলা যায় না এটি গ্রেগরিয়ান নববর্ষ বলা হয়। থার্টি
ফার্স্ট নাইট এর ইতিহাস থেকে জানা যায় ১৭৫২ সালে ইংরেজরা ১লা জানুয়ারি কে
ইংরেজি নববর্ষ হিসেবে পালন করে। এখান থেকেই বোঝা যায় থার্টি ফার্স্ট নাইট ইংরেজি
নববর্ষ নয় এটি গ্রিগরিয়ান নববর্ষ। এভাবেই শুরু হয় থার্টি ফার্স্ট নাইটের
ইতিহাস।
থার্টি ফার্স্ট নাইট সম্পর্কে ইসলাম কি বলে
থার্টি ফার্স্ট নাইট সম্পর্কে ইসলাম কি বলে জেনে নিন। ওপরে আলোচনা করেছি
থার্টি ফাস্ট নাইট এর ইতিহাস সম্পর্কে। এছাড়াও আপনাদের সাথে আলোচনা করেছি থার্টি
ফার্স্ট কেন পালিত হয়। থার্টি ফাস্ট নাইট সম্পর্কে ইসলাম কি বলে তা নিয়ে থাকছে
বিস্তারিত আলোচনা। বর্তমান বিশ্বের প্রায় সব দেশে এই উৎসব পালিত হতে দেখা যায়।
খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছে থার্টি ফার্স্ট নাইট উৎসব।
তবে মুসলিম দেশগুলোতে থার্টি ফার্স্ট নাইট এই দিনে কোন উৎসব পালিত হয় না। বছরের
শেষ দিনে মধ্যরাতে অর্থাৎ রাত বারোটার পর থেকে উৎসব পালন করা মূলত খ্রিস্টীয়
সংস্কৃতি। ইসলামে এই অনুষ্ঠানটি অবৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। থার্টিফার্স্ট নাইট
সম্পর্কে ইসলামের মতে অন্য কোন ধর্মের রীতিনীতি পালন করা বা উৎসব পালন করা
মুসলমানদের জন্য বৈধ নয়।
- মহান আল্লাহ তা'আলা কোরআনের মাধ্যমে এটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন। ইসলামের রীতিনীতি অনুসারে যে মুসলমান ইসলাম ধর্ম ব্যতীত অন্য কোন ধর্মের আচার অনুষ্ঠান নিয়মকানুন অনুসরণ করবে তার কোন আমল কখনো গ্রহণ হবে না। মৃত্যুর পরের জীবনে অর্থাৎ পরকালে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। (সূরা আল-ইমরান আয়াত:৮৫)
- শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ সম্পর্কে বলেছেন, যে ব্যক্তির অন্য ধর্মাবলম্বী বা অন্য ধর্মের আচার অনুষ্ঠান, সভ্যতার ও সংস্কৃতিতে যোগদান করবে তাকে ওই দলের বা ধর্মের অন্তর্ভুক্ত বলে বিবেচিত করা হবে।
- আবু দাউদ এ সম্পর্কে বলেছেন শুধুমাত্র অন্য জাতি বা ধর্মাবলম্বীর সংস্কৃতি বা আচার অনুষ্ঠান নয় মুশরিকদের থেকে কোন ধরনের সাহায্য গ্রহণ করতেন না আমাদের নবী।
- হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা এ সম্পর্কে বলেছেন, একজন মুশরিক ব্যক্তি বিশ্ব নবীর কাছে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে চাইলে নবী তাকে ফিরিয়ে দেন এবং তাকে বলেন তুমি ফিরে যাও মুশরিকদের সাহায্য চাই না।
এর কারণ হলো প্রতিটা ধর্মে রয়েছে একটি নির্দিষ্ট নিয়ম নীতি এবং আচার অনুষ্ঠান।
মুসলিম ধর্মেও রয়েছে সুনির্দিষ্ট পথ নির্দেশনা। কোন মুসলিম ব্যক্তি কখনো অন্য
ধর্মের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারে না। ইসলামিক রীতিনীতি আল-কোরআন
এবং হাদিসে স্পষ্টভাবে দেওয়া আছে এই নিষেধাজ্ঞা সমূহ। তাই উনারা ইসলাম ধর্মের
জন্য এই উৎসবকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেছেন।
থার্টি ফাস্ট নাইট কি মুসলমানদের জন্য হারাম
থার্টি ফার্স্ট নাইট কি মুসলমানদের জন্য হারাম? অনেকেই এ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী।
ওপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি থার্টি ফার্স্ট নাইট সম্পর্কে ইসলাম কি বলে। আশা করি
ওখান থেকেই বুঝতে পেরেছেন থার্টি ফার্স্ট নাইট হারাম কিনা। তবুও বিস্তারিত জেনে
নিন থার্টিফার্স্ট নাইটে মুসলমানদের জন্য হারাম কিনা তা সম্পর্কে। ইসলামে
মুসলমানদের জন্য থার্টি ফার্স্ট নাইট কে হারাম বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
ডিসেম্বরে ৩১ তারিখ রাত বারোটার পর থার্টি ফার্স্ট নাইট অনুষ্ঠান উপলক্ষে অনেক
নাচ গান করা হয়। যা ইসলাম ধর্মে হারাম। আবার অনুষ্ঠান উপলক্ষে অনেকেই মদ্যপান
করার ব্যবস্থা করে থাকে। মদ্যপান ইসলাম ধর্মে সম্পন্ন হারাম। এই দিনে তোলা হয়
নগ্ন ছবি, করা হয় নাচ গান এবং ছেলেমেয়েদের অসামাজিক মেলামেশা, যা ইসলাম ধর্ম
সমর্থন করে না।
এছাড়াও অনেকে অনেক স্ট্যাটাস শেয়ার করেন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টে। এ
সকল বিষয় যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে অতিবাহিত করে। এই অনুষ্ঠানটি মূলত মধ্যরাতে
অনুষ্ঠিত হয়। মধুরাত মুসলমানদের তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সময়। এ সময় মহান আল্লাহ
তায়ালা সাত আসমান নিচে এসে নিজে বান্দাদের ডাকেন এবাদত করার জন্য। মহান আল্লাহ
তায়ালার কাছে ক্ষমা এবং বিভিন্ন সাহায্য প্রার্থনা করার জন্য।
তাই এ সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ। থার্টি ফার্স্ট নাইট পালন করতে গিয়ে এইসব নাচ গান
এবং অশ্লীল কাজে মগ্ন থাকার জন্য ইহকাল এবং পরকাল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যেহেতু এই
দিনকে ঘিরে সকল কাজ মুসলমানদের জন্য নিষিদ্ধ এজন্য থার্টি ফার্স্ট নাইট কে ইসলাম
ধর্মে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে সোশ্যাল
মিডিয়ায় স্ট্যাটাস দাও হারাম।
থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন
থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। থার্টি ফার্স্ট নাইট
কিভাবে উদযাপিত হয় জেনে নিন। থার্টি ফার্স্ট নাইট অর্থাৎ পুরনো বছরের ডিসেম্বর
মাসে রাত বারোটার পর থেকে আনন্দ উৎসব শুরু হয়। স্বাগতম জানানো হয় জানুয়ারি
মাসের ১ তারিখের মাধ্যমে পুরো বছরটিকে। বিভিন্ন জায়গায় থার্টি ফার্স্ট নাইট
উপলক্ষে কনসার্ট হয়। করা হয় পিকনিক এর আয়োজন।
রাত বারোটার পর নাচ গান হয়। থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে অনেকেই বন্ধুদের সাথে
মদ্যপান করে থাকে। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও যোগদান করে এসব অনুষ্ঠানে। তবে
মুসলিম রাষ্ট্র এই অনুষ্ঠান পালিত হয় না। বাহিরের দেশগুলোতে এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে
বিভিন্ন আয়োজন করা হয়। পুরো শহর লাইট দিয়ে সাজানো হয়। খাওয়া দাওয়া নাচ গান
আনাদার মধ্যে দিয়ে পালিত হয় এই অনুষ্ঠানটি।
থার্টি ফার্স্ট নাইট বিশ্বের বিভিন্ন দেশ উদযাপন করলেও মুসলিম রাষ্ট্রগুলো এই অনুষ্ঠান পালন করে না। মুসলিমদের জন্য থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন হারাম। এটি ইসলাম অবৈধ বলে ঘোষণা করেছে। থার্টি ফার্স্ট নাইট মূলত রাত বারোটার পর উদযাপিত হয়। এ সময় ইসলাম ধর্মে এবাদত করার সময়। থার্টি ফার্স্ট নাইটে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমের সকল বিষয় ইসলামের রীতিনীতের বাহিরে। তাই থার্টি ফার্স্ট নাইট পালন ইসলাম ধর্মে হারাম।
বাইরের দেশে থার্টিফার্স্ট নাইট কেমন ভাবে উদযাপিত হয়
বাহিরের দেশে থার্টিফার্স্ট নাইট কেমন ভাবে উদযাপিত হয় চলুন জেনে নিই। মুসলিম
দেশগুলো ব্যতীত প্রায় বিশ্বের সকল দেশই মেতে ওঠে এই অনুষ্ঠানে। হাজার হাজার ডলার
খরচ করে তারা অনুষ্ঠান উদযাপন করে। নাচ গান কনসার্ট এবং খাওয়া-দাওয়ার মধ্যে
দিয়ে পালিত হয় থার্টি ফার্স্ট নাইট। পুরো শহর লাইট দিয়ে সুন্দর করে সাজানো হয়
এই দিনে।
আরো পড়ুনঃ সরকারি ভাবে কানাডা যাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায়
বিভিন্ন রকম পানীয় যেমনঃ বিয়ার সহ বিভিন্ন মদ্যপানে লিপ্ত হয় ছেলে ও মেয়েরা।
নাচ এর আয়োজন করা হয়। ছেলেমেয়েরা উভয় যোগদান করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পিকচার
পোস্ট স্ট্যাটাস শেয়ার এগুলোর মধ্যে দিয়েই পালিত যায় থার্টি ফার্স্ট নাইট। আশা
করছি বুঝতে পেরেছেন। বাহিরের দেশে গুলো অনেক বেশি প্রস্তুতি নিয়ে থাকে এই
অনুষ্ঠানের জন্য।
শেষ কথাঃ থার্টি ফার্স্ট নাইট
থার্টি ফার্স্ট নাইট সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এছাড়াও জানিয়েছি থার্টি
ফার্স্ট নাইট এর ইতিহাস সম্পর্কে। আশা করি কিছুটা হলেও উপকৃত হয়েছেন। থার্টি
ফাস্ট নাইট কেন পালিত হয়? এ সম্পর্কে বিস্তারিত আল জানিয়েছি। থার্টি ফার্স্ট
নাইট বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনেক বড় অনুষ্ঠান করে পালিত হয় তবে মুসলিম দেশগুলোর
জন্য এটি নিষিদ্ধ ।
মুসলমানদের জন্য থার্টি ফার্স্ট নাইট বা যেকোনো অন্য ধর্মাবলম্বী সাংস্কৃতিক
অনুষ্ঠানে যোগদান করা হারাম। এমনকি এই উপলক্ষে যেকোনো স্ট্যাটাস সোশ্যাল
মিডিয়াতে শেয়ার করা ও খারাপ বলা হয়েছে ইসলাম ধর্মে। তাই মুসলমান ভাই-বোনেরা
একটু সচেতন হবে। এই দুই দিনের জীবনের জন্য পরকাল নষ্ট করবেন না। পোস্টটি ভালো
লাগলে কমেন্ট করে জানাবেন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।
ডেইলি ডাইরির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url