সিস্ট হওয়ার লক্ষণ কি কি
সিস্ট হওয়া লক্ষণ কি কি? আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন সিস্ট এর লক্ষণ সম্পর্কে। এর আগের পোস্টে আপনাদের জানিয়েছি সিস্ট হওয়ার কারণ কি। এই পোস্টে আপনাদের জানাবো সিস্ট হলে কি কি উপসর্গ দেখা দিবে।
পেইজ সূচিপত্রঃ সিস্ট হওয়া লক্ষণ কি কি
- সিস্ট হওয়ার লক্ষণ কি কি
- সিস্ট হলে কি হয়
- সিস্ট হলে কি বাচ্চা হয় না
- সিস্ট কি টিউমার
- সিস্ট ফেটে গেলে কি হয়
- সিস্ট কত প্রকার এবং কি কি
- সিস্ট হলে কি পেট ব্যথা হয়
- সিস্ট হলে কি ওজন বৃদ্ধি পায়
- সিস্ট হলে কি পিরিয়ড অনিয়মিত হয়
- মন্তব্যঃ সিস্ট হওয়ার লক্ষণ কি কি
সিস্ট হওয়ার লক্ষণ কি কি
সিস্ট হওয়ার লক্ষণ কি কি চলুন জেনে নেওয়া যাক। সিস্ট একটি মেয়েদের সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় ৮০ শতাংশ মেয়েরা সিস্ট এর সমস্যায় ভুগছেন। আবার অনেকে জানেনই না আপনার সিস্ট এর সমস্যা আছে কিনা। আজকে আপনাদের সামনে সিস্ট হওয়া লক্ষণ গুলো তুলে ধরবো। তাই নিজের সাথে মিলিয়ে দেখুন আপনিও সিস্ট এর সমস্যায় ভুগছেন কিনা।
লক্ষণগুলোঃ
- পেট ফুলে যাওয়াঃ আপনার যদি সিস্ট এর সমস্যা থাকে তাহলে খেয়াল করবেন পেট ধীরে ধীরে ফুলে যাবে। কারণ সিস্ট জরায়ুতে ছোট থেকে ধীরে ধীরে বড় হয়। এটি যত বড় হবে তত পেট ফুলে উঠবে।
- নিম্ন ব্যথাঃ সিস্ট এর সমস্যা শুরু হলে আপনি অনুভব করতে পারবেন।মাঝেমাঝে পেটে এক ধরনের নিম্ন ব্যথা হতে থাকবে। কিছুদিন পর পর পেটে ব্যথা হবে এবং ব্যথাটা থেমে থেমে হবে ।কিছুক্ষণ হবে তারপর থেমে যাবে আবার কিছুক্ষণ হবে।
- হজমে গোলমালঃ হজমের সমস্যা দেখা দিবে। আপনার সহজে খাবার হজম হতে চাইবে না এবং একটু বেশি পরিমাণে খাবার খেলে তা পেটের সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।
- বেদনাদায়ক তীব্র ব্যথাঃ শুধু নিম্ন ব্যথাতে সীমাবদ্ধ থাকবে না। সৃষ্টির গুটি গুলো যত বড় হতে থাকবে তত ব্যথা বাড়বে। আর যদি ফেটে যায় তাহলে অসম্ভব তীব্র ব্যথা হবে মাঝে মাঝে।
- ঋতুস্রাব এর সময় ব্যথাঃ মেয়েরা সকলেই জানেন ঋতুস্রাব এর সময় হালকা পেট ব্যথা হয়। তবে আপনার যদি ফিস্ট এর সমস্যা থাকে তাহলে সে হালকা পেটব্যথা তীব্র ব্যথায় পরিণত হবে। যা সহ্য করার মতো না।
- সহবাসের সময় ব্যথাঃ আপনার সিস্ট এর সমস্যা দেখা দিলে সহবাসের সময় ব্যথা অনুভব হবে অনেক বেশি।
- স্তন এর ব্যথাঃ অনেকের আবার এই উপসর্গটি দেখা দেয়। সিস্ট এর সমস্যা হলে অনেকেরই স্তনে ব্যথা হয়।
- ওজন বৃদ্ধিঃ অস্বাভাবিক ভাবে ওজন বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ আপনার যদি হঠাৎ করে ওজন বেড়ে যায় তাহলে টেস্ট করাতে পারেন এটি হতে পারে সিস্ট এর একটি উপসর্গ।
- অনিয়মিত মাসিকঃ অনিয়মিত মাসিক সিস্ট এর একটি উপসর্গ। আপনার যদি সিস্ট এর সমস্যা থাকে তাহলে অনিয়মিত মাসিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
- তলপেটে ব্যথাঃ সিস্ট এর প্রধান উপসর্গ হলো তলপেটে তীব্র ব্যথা অনুভব করা। কারণ আপনার যদি গ্যাসের সমস্যা হয় তাহলে কখনোই তলপেটে ব্যথা করবে না এটি বুকে বা পেটে ব্যথা করবে। তাই যদি তলপেটে ব্যথা অনুভব হয় তাহলে এটি সিস্টের কারণে হতে পারে।
- বমি ভাবঃ সিস্ট হলে অনেকেরই বমি বমি ভাব হয়। অর্থাৎ গা গুলায় বা বমি বমি পায় সারাদিন।
- মলত্যাগের সময় যন্ত্রণাঃ মলত্যাগের সময় যন্ত্রণা অনুভব হয়।
- অনিয়মিত পিরিয়ডঃ অনিয়মিত পিরিয়ড হতে পারে। সিস্ট হলে অনেকের দেখা যায় পিরিয়ড নিয়মিত হয় না।
- পিরিয়ডের আগে পেট ব্যথাঃ পিরিয়ড এর সময় তো পেট ব্যথা হয়ই সিস্ট এর জন্য আবার অনেকের পিরিয়ডের আগে তীব্র পেটব্যথা দেখা দেয়।
- দুর্বল হয়ে যাওয়াঃ সিস্ট এর সমস্যা হলে শরীর অনেক বেশি দুর্বল হয়ে যায়। এছাড়াও মাথা ঘোরা, বমি ভাব, অরুচি দেখা দেয়।
এমন নানা রকম উপসর্গের মাধ্যমে আপনারা বুঝতে পারবেন সিস্ট হওয়ার লক্ষণ। এগুলা যদি আপনাদের সাথে মিলে যায় তাহলে অবশ্যই টেস্ট করাবেন এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। অল্পতে চিকিৎসা করালে খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন। আর শেষ যদি ফেটে যায় তখন ওরে বড় সমস্যার সম্মুখীন হবেন। এমনকি বাচ্চা ধারণে বড় ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়তে পারেন।
সিস্ট হলে কি হয়
সিস্ট হলে কি হয়? চলুন জেনে নিয়ে সিস্ট হলে কি হয়। এতক্ষণ আলোচনা করেছি শ্রেষ্ঠ হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে। এখন আপনাদের জানাবো সিস্ট হলে কি হয়। এবং কি ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। সিস্ট ছোট্ট একটি গুটির মত তরল অথবা কঠিন পদার্থ হলেও একসময় তা বড় সমস্যার কারণ হতে পারে। চলুন আপনাদের জানাই সিস্ট হলে কি সমস্যা হয়।
সমস্যাগুলোঃ
- সিস্ট হলে অনিয়মিত ঋতুস্রাব দেখা দেয় ।
- মাসিকের আগে তীব্র পেট ব্যথা হয়।
- মাসিকের সময় ও খুবই তীব্র পেট ব্যথা হয়।
- ব্যথা প্রস্রাবে সমস্যা হয়।
- সিস্ট এর ইনফেকশন হতে পারে।
- অস্বাভাবিকভাবে ওজন বৃদ্ধি করে।
- ডায়রিয়ার মত সমস্যা দেখা দেয় অনেকেরই।
- এছাড়াও অনেকের কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা হতে পারে।
- সহবাসের ব্যথা ব্যথা অনুভব হয় এমনকি রক্ত ঝরতে পারে।
- বমি বমি ভাব হয়।
- হজমে সমস্যা হয় ।হজম শক্তি কমে যায়।
- শরীরে দুর্বলতা দেখা দেয়।
- নিয়মিত মাসিক হয় না। মাসিক হতে দেরি হয়।
- গর্ভধারণের সময় ভীষণ জটিলতা দেখা দেয়। এমনকি শেষ থাকাকালীন পেটে বাচ্চা আসলে সে বাচ্চা নষ্ট পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। তাই সিস্ট এর সমস্যা সমাধান করে গর্ভধারণ করা উচিত।
- সিস্ট এর সমস্যা জটিল পর্যায়ে চলে গেলে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।
- এমনকি হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাবে।
সিস্ট হলে কি বাচ্চা হয় না
সিস্ট হলে কি বাচ্চা হয় না এটি আপনারা অনেকেই জানতে চান। তাদেরকে বলি সিস্ট হলে বাচ্চা ধরনের একটি বড় জটিলতা দেখা দেয়। অনেক সময় বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায় আবার অনেক সময় বাচ্চা ধারণ করার ক্ষমতা থাকে না মায়ের। সৃষ্টির কারণে সেই ক্ষমতাই নষ্ট হয়ে যায়। চলুন জেনে নি ই কিভাবে বাচ্চা ধারণে বাধা হয়ে দাঁড়ায় সিস্ট।
আরো পড়ুনঃ নরমাল ডেলিভারির জন্য প্রস্তুতি কিভাবে নিবো
আমরা সকলেই জানি বাচ্চা ধরনের জন্য মেয়েদের দুইটি ডিম্বাশয় থাকে। মাসিকের কারণে সেই ডিম্বাশয় গুলোতে সৃষ্টির সৃষ্টি হয় এবং তা পুরো ডিম্বাশয় জুড়ে আবির্ভাব করে। এখন বাচ্চা ধারনের সময় যে টিউবের মাঝখান দিয়ে ডিম্বাশয় আসা-যাওয়া হয় বা ভ্রুন তৈরি হয় হে টিউব গুলো তখন একটি সঙ্গে আরেকটি আটকে যায়। এছাড়াও জরায়ু পেছনে ডিম্বাশয় খাদ্যনালী পেরিটোনিয়াম এর সঙ্গে আটকে যেতে পারে।
আর এই সমস্যার জন্য প্রতিমাসে পিরিয়ডের পর যে ডিম্বাণু তৈরি হয় তা নিয়ে এসে জরায়ুর ভেতরে দেওয়ার কাজটি ফেলোপিয়ান টিউব ঠিকঠাক মতো করতে পারে না। ফলে গর্ভধারণে সমস্যা হয়। এবং সিস্ট থেকে প্রবাহী জনিত রস ডিম্বাশয় থেকে ডিম বের হলে তার সাথে সাথেই নষ্ট করে দেয়। সিস্ট বড় হওয়ার সাথে সাথে ডিম্বাশয় এর অনেকটা জায়গা নষ্ট করে দেয়। ডিম্বাণুর রিজার্ভ অকেজো করে দেয়।
যার সন্তান না হওয়ার একটি বড় কারণ হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও সহবাসের সময় সিস্ট এর কারণে যে তীব্র ব্যথার অনুভব হয়, তার জন্য সহবাসে অনীহা দেখা দেয়। এমনকি এন্ড্রোমেট্রিওসিস থেকে নির্গত প্রধা ওজনিত এই মারাত্মক রস শুক্রাণুও নষ্ট করে দিতে সক্ষম হয়। তাই সিস্ট সম্পূর্ণ সেরে যাওয়ার আগে বাচ্চা ধারণ করা অনেকটাই কঠিন।
এক্ষেত্রে আরেকটি কথা বলে রাখি যদি বাচ্চা পেটে চলেও আসে। এবং পেটের মধ্যে সিস্ট অনেক বড় হতে থাকে বা বড় হয়ে গিয়েছে এমন হয় তাহলে গর্ভপাতের সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। অর্থাৎ কিছুদিন পর বাচ্চাটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই মায়ের ও বাচ্চার সুস্থতার জন্য আগে নিজেকে সুস্থ করুন সিস্ট এর সমস্যা সমাধান করুন। অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিন আশা করছি ফলাফল পাবেন।
সিস্ট কি টিউমার
সিস্ট কি টিউমার? আপনারা অনেকেই এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছেন। আপনাদের বলে রাখি সিস্ট টিউমার না তবে এটি একটি জটিল সমস্যা। টিউমার অপারেশন করে বের করা যায়। এমন কি সিস্ট যদি অনেক খারাপ রূপ ধারণ করে অথবা ওষধ খেয়ে নষ্ট করা সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে অপারেশন করার প্রয়োজন হয়। সিস্ট ফেটে গেলে অনেক জটিলতায় পড়তে হয়।
সিস্ট হলোঃ- সিস্ট হলো একটি তরল অথবা কঠিন পদার্থের ভরা গুটিবা থলি। আর টিউমার হল টিস্যুর শক্ত ভর।
- সিস্ট একটি সাধারণ সৌম্য অস্থিতিস্থাপক। প্রয়োজনের তাগিদে এবং সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিষ্কাশন বা অপসারণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
- টিউমার হল একটি বিশেষ ম্যালিগন্যান্ট। বেশিরভাগ সময় তাদের আশেপাশের টিস্যু ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। এবং অনেক জায়গা জুড়ে প্রভাবিত করার সম্ভাবনা থাকার কারণে আক্রমণাত্মক বা উচ্চমানের চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
সিস্ট ফেটে গেলে কি হয়
সিস্ট ফেটে গেলে কি হয় এ সম্পর্কে যাদের জানার আগ্রহ আজকের পোস্ট তাদের জন্য। সিস্ট পেটের মধ্যে ধীরে ধীরে বড় হয়। এর অবস্থান জরায়ুর ডিম্বাশয়। এর নমুনা শুরু হয় পিরিয়ডের পর থেকে। জরায়ুকে ঘিরে সিস্ট এর অবস্থান। প্রথমের দিকে এটি খুব ছোট থাকলেও ধীরে ধীরে এর বৃদ্ধি ঘটে। এটি এক বা একের অধিক হতে পারে। বৃদ্ধি হতে হতে একসময় অনেক বড় হয়ে যায়।
প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো নেওয়া না হলে বড় হওয়ার এক পর্যায়ে সিস্ট টি ফেটে যায়। এবং তখন নানা রকম জটিলতার দেখা দেয়। সেখান থেকে সূচনা হতে পারে বড় কোন রোগের। এমনকি ক্যান্সারের মত মারাত্মক রোগে পরিণত হতে পারে। সিস্ট ফেটে গেলে আরো নানা সমস্যার মুখোমুখি পড়তে হয়। ডিম্বাশয় এর ক্ষতি সাধন করতে সক্ষম এই সিস্ট।
- ডিম্বাশয় সিস্ট ফেটে গেলে পেটের গহব্বরের ভেতরে রক্তপাত দেখা দিতে পারে।
- প্রচুর পরিমাণে রক্ত নষ্ট হবে।
- রক্তপাতের কারণে হাইপোভোলেমিক শক দেখা দিতে পারে।
- এক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং জরুরী বিভাগে ভর্তি হতে হবে।
- এমনকি অস্ত্রপচারের প্রয়োজনীয়তা।
- যাইহোক, এসব সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। এছাড়াও সবচাইতে বড় সমস্যা প্রচুর পরিমাণে রক্তপাত হবে।
সিস্ট কত প্রকার এবং কি কি
সিস্ট কত প্রকার এবং কি কি এ প্রশ্নের উত্তর অনেকেই জানতে চান। সিস্ট মেয়েদের
একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কমবেশি সব মেয়েদেরই সিস্ট সমস্যায় পড়তে
হয়। কিশোরী বয়সে নয়তো গর্ভবতী অবস্থায় সিস্ট এর সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও
বয়স্ক অবস্থায় অর্থাৎ বয়স পঞ্চাশের উর্ধ্বে চলে গেলে সে সময় সিস্ট দেখা দিতে
পারে। চলুন জেনে নিই সিস্ট কত প্রকারঃ
আরো পড়ুনঃ বেগুন খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা
বেশ কয়েক প্রকার সিস্ট দেখা যায়। যেমনঃ
- এন্ডোথেলিয়াল সিস্ট
- এপিথেলিয়াল সিস্ট
- পরজীবী সিস্ট
- ওভারি বা ডিম্বাশয় সিস্ট
- ফাংশনাল সিস্ট
- পলিসিস্টিক সিস্ট
- এডোনোমোনা সিস্ট
- ডারময়েড সিস্ট
- অ্যান্ড্রোমেট্রিয়টিক সিস্ট
- ফাংশনাল সিস্ট
- পিসিওএস সিস্ট ইত্যাদি।
এমন নানা ধরনের সিস্ট দেখা দেয়। ডিম্বাশয় পানি পূর্ণ গুটিকে বলা হয় সিস্ট। এই সিস্ট টি যেকোনো বয়সের নারীর হয়ে থাকে। সিস্ট এর কারণে নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় নিত্যদিনের কাজে। শারীরিক নানা সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও শরীর অনেক দুর্বল হয়ে যায়। পেট ব্যথার সমস্যা যেন লেগেই থাকে। খাবার রুচি কমে যায়। খুবই সমস্যা দেখা দেয় একবার এই সিস্ট হলে।
সিস্ট হলে কি পেট ব্যথা হয়
সিস্ট হলে কি পেট ব্যথা হয়? সিস্ট হলে পেট ব্যথা হয় কিনা এটি সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন। শেষ নানা ধরনের আছে। এর মধ্যে ওভারি সিস্ট মেয়েদের বেশি দেখা যায়। যা ডিম বাসায় অবস্থান করে। এবং এর সূচনায় দেখা দেয় পিরিয়ড শুরু হওয়ার পর থেকে। সিস্ট হলে তীব্র পেট ব্যথা হয়। প্রথমের দিকে যদিও মাঝে মাঝে অল্প অল্প পেট ব্যথা দেখা দেয়।
তবে সিস্ট যখন বড় হয়ে যায় বা একের অধিক হয়ে যায় তখন তীব্র পেট ব্যথা হয়। মাসিকের সময় এবং মাসিক হওয়ার আগের মুহূর্তে প্রচুর পেটব্যথা দেখা দেয়। সহবাসের সময়ও তীব্র পেট ব্যথা। শুরুর দেখে হালকা পেট ব্যাথা হলেও যখন সিস্ট খারাপ পর্যায়ে চলে যায় তখন অসম্ভব ব্যথা হয় পেটে। আর সিস্ট যদি ফেটে যায় তাহলে অনেক জটিলতার মধ্যে করতে হয়। তাই অল্পতে চিকিৎসা করানো ভালো।
সিস্ট হলে কি ওজন বৃদ্ধি পায়
সিস্ট হলে কি ওজন বৃদ্ধি পায়? সিস্ট হলে ওজন বৃদ্ধি পায়। মেয়েদের এই সমস্যা খুবই দেখা যায়। তার মধ্যে কিছু কিছু মেয়ের হয়ে থাকে বংশগতিয় কারণে। এজন্য শরীরে হরমোনাল পরিবর্তন দেখা দেয়। যার কারণে অস্বাভাবিকভাবে ওজন বেড়ে যায়। যদিও শারীরিকভাবে অনেক দুর্বল হয়ে যায় শরীর সিস্ট হলে। তবে ওজন বৃদ্ধি দেখা দেয়।
সিস্ট হলে কি পিরিয়ড অনিয়মিত হয়
সিস্ট হলে কি পিরিয়ড অনিয়মিত হয়? সিস্ট হলে পিরিয়ড অনিয়মিত হয় কিনা তা জানতে চেয়েছেন। সিস্ট হলে পিরিয়ড তার নিজের নিয়মচক্র ভুলে যায়। তার কারণে পিরিয়ড অনেক পিছিয়ে যায়। সঠিক সময়ে হয়না। আর সঠিক সময় পিরিয়ড না হওয়ার কারণে কোমর ব্যথা, পেট ব্যথা, মাথা ব্যথা, চুল পড়া, হাত-পায়ে বাতের সমস্যা সহ আরো নানার সমস্যা দেখা দেয়।
আরো পড়ুনঃ শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করার ১০ টি কার্যকরী উপায়
সিস্টের কারণে যেন সবদিক থেকেই বিপদে পড়তে হয়। পিরিয়ডের আগে এবং পিরিয়ডের পরে প্রচুর পেট ব্যাথা তো হয়েই থাকে সাথে নিয়মিত পিরিয়ডও হয় না। তাই যত দ্রুত সম্ভব সিস্ট এর কোন একটি উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসা করা উচিত। এতে সিস্টের বড় জটিলতা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। তাই সুস্থ থাকতে এবং স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করতে সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নিন।
মন্তব্যঃ সিস্ট হওয়ার লক্ষণ কি কি
সিস্ট হওয়া লক্ষণ কি কি তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। পোস্টটি পড়ে আশা করি ভালো লেগেছে। মেয়েদের নানান রোগের মধ্যে সিস্ট একটি জটিল রোগ। এ রোগটি কোন না কোন সময় প্রায় সবারই দেখা দেয়। তাই আপনাদের উচিত প্রতিমাসে পিরিয়ডের সময় সাবধানে থাকা এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা।
আজকের পোস্ট থেকে বুঝে নিন এই লক্ষণগুলো আপনার আছে কিনা। আপনিও সিস্ট সমস্যায় ভুগছেন কিনা। আশা করছি আজকের পোস্টটি দ্বারা উপকৃত হবেন। এবং লক্ষণগুলো সাথে যদি আপনার কোন সমস্যা মিলে যায় তাহলে অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিন। পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করে জানাবেন। আর কিছু জানার থাকলে সেটিও কমেন্ট করে জিজ্ঞাসা করতে ভুলবেন না।
ডেইলি ডাইরির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url