সিস্ট হওয়ার কারণ কি বিস্তারিত জানুন

সিস্ট হওয়ার কারণ কি? প্রায় ৮০ শতাংশ মেয়েরা সিস্টের সমস্যায় ভুগছেন। ইদানিং সবারই  সিস্ট এর সমস্যা দেখা যাচ্ছে। যাদের সিস্ট এর সমস্যা দেখা দিয়েছে তারা জানেন এটি কতটা বেদনাময়। আজকের পোস্টে জেনে নিন সিস্ট হওয়ার কারণ কি।
সিস্ট-হওয়ার-কারণ-কি
এছাড়াও জানতে পারবেন সিস্ট কি। সিস্ট সম্পর্কে আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর নিয়ে চলে এসেছি। তাই আজকের পোষ্ট পড়ে আপনি বিস্তারিত জানতে পারবেন সিস্ট কি এবং সিস্ট হওয়ার কারণ।

পেইজ সূচিপত্রঃ সিস্ট হওয়ার কারণ কি 

ফিস্ট হওয়ার কারণ কি 

সিস্ট হওয়ার কারণ কি এই প্রশ্নের উত্তর আমরা সকলেই খুজে থাকি। মেয়েদের সিস্ট এর সমস্যা যেন একটি নিত্যদিনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দৈনন্দিন জীবনে নানান কাজে যেন বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অনেক মেয়েরা তাদের জীবনের কোন না কোন এক সময়ে এই সিস্টের সমস্যায় পড়েছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডিম্বশয়ের সিস্ট চিরকাল স্থিতিস্থাপন করে না। এবং স্বাভাবিকভাবে চিকিৎসা ছাড়াই কয়েক মাসের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। 

তবে কোনভাবে ডিম্বাশয় যদি সিস্ট টি বড় হতে হতে এক সময় ফেটে যায় তাহলে অনেক জটিলতার মধ্যে পড়তে হয়। সে ক্ষেত্রে ভালোভাবে চিকিৎসা নেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়। না হলে এটি অনেক বড় আকার ধারণ করতে পারে। কিশোরীরা এই সমস্যাটি বেশি ফেস করে। এছাড়া গর্ভাবস্থায় ও নানা রকম জটিলতা দেখা দেয় সিস্ট থাকার কারণে। 

সিস্ট কিঃ সিস্ট হল ডিম্বাশয় এর ওপরে থাকা কঠিন অথবা তরলে পূর্ণ ছোট  গুটি। এই গুটিগুলো এক বা একের অধিক হতে পারে। আর এই ছোট ছোট গুটিগুলো সময়ের সাথে সাথে বড় হয়ে যায়। আর এক সময় তা ফেটে যায় তখন নানারকম জটিলতা দেখা দেয়। তবে ছোট থাকা অবস্থায় যদি কিছু নিয়ম মেনে চলা হয় এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলা হয় তাহলে কিছুদিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যায়। 

ফিস্ট হওয়ার কারণ কিঃ তাহলে এখন আপনাদের প্রশ্ন ফিস্ট হওয়ার কারণ কি?কেন এ জটিল সমস্যা দেখা দেয়? চলুন জেনে নেওয়া যাক। আমরা সকলেই জানি মহিলাদের দুইটি ডিম্বাশয় থাকে। জরায়ুর দুই পাশে দুইটি নালী বা টিউবের সাথে যুক্ত দুটি ডিম্বাশয় থাকে। আকৃতি অনেকটা কাজুবাদামের মতো। এই ডিম্বাশয় গুলো ডিম্বানু উৎপাদন করে থাকে। 

প্রতি মাসে ঋতুর চক্রের মাধ্যমে দেহ থেকে বেরিয়ে যায় ডিম্বাণুগুলো। সিস্ট এর সমস্যা হলে জরায়ুতে ছোট ছোট তরল যুক্ত গুটির সৃষ্টি হয়। যা জরায়ুর সাথে লেগে থাকে। এটি মাসিকের সময় অনেক ব্যথা অনুভব করায়। আবার গর্ভকালীন সময় নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এমনকি গর্ভপাতের কারণ হতে পারে সিস্ট। ভ্রূণের চেয়ে সিস্ট বড় হয়ে গেলে সে বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায়। 

সিস্ট হওয়ার কারণ গুলোঃ

  • হরমোন জনিত সমস্যা 
  • অ্যান্ড্রমেট্রিওসিসে আক্রান্ত হলে
  • গর্ভাবস্থা
  • পেলভিক সংক্রমণ
  • স্থূলতা
  • বয়স 
  • বংশগত ভাবে 

কারণগুলো নিজে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। জেনে নিন সিস্ট হওয়ার কারণ কি তার সম্পর্কে। 

হরমোন জনিত সমস্যার কারণে সিস্ট হয়

হরমোন জনিত সমস্যার কারণে সিস্ট হয় অনেকের। ফার্টিলিটি ঔষধ খাওয়ার কারণে সিস্ট হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। এছাড়া নানা কারণে আমাদের শরীরের হরমোন প্রতিনিয়ত কোনো না কোনো ভাবে পরিবর্তন হয়ে থাকে। যার কারণে নানা সমস্যার মুখে পড়ে থাকি আমরা। এর মধ্যে সবচাইতে বড় সমস্যা সিস্ট এর সমস্যা। 

যখন শরীরে হরমোনাল ইমব্যালেন্স চলে আসে তখন সিস্ট সহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। সিস্টের কারণে দেখা দেয় অতিরিক্ত পেট ব্যথা। এটি পিরিয়ডের সময় বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে যায়। তখন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া বাধ্যতামূলক হয়ে যায়। এবং রোগটি শনাক্ত করতে আলট্রাসনোগ্রাফি করার প্রয়োজন হয়। তাই বলা যায় হরমোন জনিত সমস্যার কারণে সিস্ট হতে পারে। 

 অ্যান্ড্রমেট্রিওসিসে আক্রান্ত হলে সিস্ট হয়

এন্ড্রমেট্রিওসিসে আক্রান্ত হলে সিস্ট হয় অনেকেরই। যেসব মেয়েরা এ রোগে ভুগছেন তাদের একসময় সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা খুবই বেশি। সিস্ট কখনো একদিনে তৈরি হয় না এটি দিনে দিনে বাসা বাঁধে। জরায়ুরতে ছোট ছোট সিস্ট এর সৃষ্টি হয়। তারপর সেটি একসময় বড় আকার ধারণ করে। এবং তা ফেটে গেলে জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়। 

আরো পড়ুনঃঅল্প পুঁজিতে ১০ টি লাভজনক ব্যবসা

তাই যারা এন্ডোমেট্রিওসিসে আক্রান্ত আছেন তারা একটু আগে থেকে নিয়ম-কানুন মেনে চলতে পারেন অথবা ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। এতে সৃষ্টির সম্ভাবনা কমবে। আপনি জটিল সমস্যা থেকে সমাধান পেয়ে যাবেন। এই রোগের ফলে জরায়ুতে কোষগুলো বাহিরে বৃদ্ধি পেতে থাকে। এর মধ্যে কিছু জরায়ুর সাথে যুক্ত থাকতে পারে এবং তা একসময় বৃদ্ধি পেলে সিস্টে পরিণত হয়। 

গর্ভাবস্থায় সিস্টের কারণ

গর্ভবস্থায় সিস্টের কারণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। কারণ প্রতিমাসে মাসিকের সময় যে ডিম্বাণু নিঃসরণ হয় তখন যে সিস্ট গুলো গঠিত হয়ে থাকে তা সম্পূর্ণ গর্ভাবস্থা জুড়ে থেকে যায়। পরবর্তী সময়ে বাচ্চার সাথে সাথে এই সিস্ট ও বড় হতে থাকে। এটি বাচ্চার জন্য মারাত্মক। কারণ বাচ্চার ভ্রুনের চেয়ে যদি সিস্ট এর আকার বড় হয়ে যায় তাহলে গর্ভপাতের মত বড় অ্যাক্সিডেন্ট ঘটে যেতে পারে। 

সিস্ট-হওয়ার-কারণ-কি
তাই গর্ভাবস্থায় একটু সাবধানে থাকা উচিত এবং ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। গর্ভাবস্থায় সিস্ট এর সম্ভাবনা দেখা দেয়ার মূল কারণ হলো প্রতিমাসে মেয়েদের মাসিকের সময় যে ছোট ছোট সিস্ট এর সৃষ্টি হয় তা ডিম্বাশয়ে থেকে যায়। এবং গর্ভকালীন সময় তা ডিম্বাশয় জুড়েই থাকে তাই এটি বাচ্চার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। জন্যই বলা হয় গর্ভাবস্থায় সিস্ট এর দেখা মেলে।

পেলভিক সংক্রমণ হলে সিস্ট হয়

পেলভিক সংক্রমণ হলে সিস্ট হয়। সিস্ট এর ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। পেলভিক এ সংক্রান্ত হলে ডিম্বাশয় ছড়িয়ে পড়ে পরবর্তীতে সিস্ট এর আকার ধারণ করে। আর পেলভিক যদি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় বা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় তাহলে সিস্ট এর সমস্যা নাও হতে পারে। তাই প্রথম থেকে একটু নিয়ম-কনুনন এবং ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। 

আর যদি পেলভিক সংক্রমণ ডিম্বাশয় পুরোটা ছড়িয়ে যায়। তবে ডিম্বাশয় সিস্ট ধরা পড়ার একটি বড় সম্ভাবনা রয়েছে। পেলভিক সংক্রমনের কারণে সৃষ্টের নমুনা দেখা দেয়। এবং তা একসময় বড় আকার ধারণ করে। আর সিস্ট যদি ফেটে যায় তবে তা জটিল আকার ধারণ করে। আশা করছি পেলভিক সংক্রমণের কারণে সিস্ট হওয়ার কারণ কি বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন। 

স্থূলতার কারণে সিস্ট হয়

স্থূলতা কারণে সিস্ট হয়। সিস্ট এর একটি অন্যতম কারণ হিসেবে কাজ করে। যাদের ওজন বেশি তাদের ডিম্বাশয় সিস্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। কারণ সিস্টের সমস্যা দেখা দিলে বেদনাদায়ক একটি অবস্থায় পড়বেন।। এছাড়াও স্থূলতার কারণে শরীরে হরমোনের পরিবর্তন দেখা দেয়। যার কারনে সিস্ট হতে পারে। 

আরো পড়ুনঃ কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায় তার গোপন টিপস

তাই রোগা মানুষের তুলনায় মোটা মানুষের সিস্ট আর সম্ভাবনা কিছুটা বেশি। তবে এমনটা মনে করবেন না যে যারা রোগা বা শুকনা তাদের  সমস্যা হবে না। সিস্ট এর সমস্যা সবারই দেখা দিতে পারে। তবে মোটা মানুষের জন্য এটি আরো বেশি গুরুতর অর্থাৎ সিস্ট হওয়ার সম্ভাবনা আরো বেশি। তাই পরিমিত খাবার খান এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। 

নির্দিষ্ট বয়সে সিস্ট হওয়ার সম্ভাবনা

নির্দিষ্ট বয়সে সিস্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বয়স পার্থক্যের কারণেও সিস্টের দেখা মেলে। মানে আমি বলতে চাচ্ছি দুটি বয়সে সিস্টের সমস্যা দেখা দেয়। কিশোরী মেয়েদের সিস্ট এর সমস্যা হয়। অর্থাৎ যারা কিশোর বয়সে পা দিয়েছে বা ঋতুচক্র শুরু হয়েছে তাদের এ সমস্যায় পড়তে হয়। এবং কিছু নিয়ম মেনে চললে তা কয়েক মাসের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। 

আবার যারা একটু বয়স্ক মানুষ তাদের আবার সিস্টের সমস্যা দেখা দেয়। এই ধরুন যাদের বয়স ৪৫ এর ওপরে তাদের এক সময়  সমস্যায় পড়তে হয়। তাই যে শুধু কিশোর মেয়েরা সিস্ট সমস্যায় ভোগে এমনটা নয় বৃদ্ধ মহিলারাও এমন সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন। অল্পতে চিকিৎসা করলে কিছু দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে। আর যদি সিস্ট ফেটে যায় তাহলে জটিল সমস্যায় ভুগতে হয়। 

বংশগত ভাবে সিস্টে আক্রান্ত হয়

বংশগত ভাবে সিস্টে আক্রান্ত হয়। আমরা যারা মনে করি অনিয়মের জন্য অথবা ঋতুস্রাব এর জন্য সিস্ট এর সমস্যা দেখা দেয় তারা ভুল। কারণ এটি একটি বংশীয় রোগ ও বলা যায়। মানে আপনার মায়ের যদি সমস্যা থাকে তাহলে বংশগতভাবে তা আপনার পার হতে পারে। আবার হবেই এমনটা নয়। কিছু ক্ষেত্রে নাও হতে পারে।

সিস্ট-হওয়ার-কারণ-কি
তাই বেশি জটিলতা দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। কারণ ছোট একটা জিনিস থেকে বড় সমস্যার মুখে পড়তে পারেন। শুরু থেকে বা অল্পতে চিকিৎসা করলে তার দ্রুত ভালো হয়ে যাবে। অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসা করার প্রয়োজন হয় না কিছুদিন পর সিস্ট সেরে যায়। তবে তা যদি অনেক বড় হয়ে যায় এবং ফেটে যায় তখন নানারকম জটিলতার সম্মুখীন হবেন। 

সিস্টের জটিলতা 

সিস্টের জটিলতা সম্পর্কে আপনাদের সাথে কিছু আলোচনা করি। অনেকেই আছেন যারা পেলভিন পরীক্ষা করার সময় জানতে পারেন সিস্ট এর সমস্যার কথা । আবার অনেকেই আছেন যারা অ্যান্ড্রমেট্রোসিস চেক করানোর সময় সিস্ট ধরা পড়ে। এর মধ্যে আবার কিছু মেয়ে এমন খুঁজে পাওয়া যাবে যারা  অতিরিক্ত পেট ব্যথার কারণে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করিয়েছেন। এবং তার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন পেটে সিস্টের কথা। 

আরো পড়ুনঃ শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করার ১০ টি কার্যকারী উপায়

তাই নিজেদের সুস্থতার কথা মাথায় রেখে মাঝে মাঝে পেলভিন টেস্ট করাতে পারেন। সিস্ট ওভারিয়ান অংশে মাসিকের পরবর্তী সময়ে তৈরি হয়। আপনি যদি সঠিক পদক্ষেপ না নেন এবং সুস্থ হওয়ার জন্য জরুরি কাজগুলো না করেন তাহলে পরবর্তীতে সিস্ট থেকে তা ক্যান্সারের রূপ ধারণ করতে পারে যাকে বলা হয় ম্যালিগন্যান্ট। 

ওভারিয়ান টর্শিঅনঃ চেয়ে সিস্টগুলো ডিম্বাশয় ধীরে ধীরে বড় হয় তা একসময় ডিম্বাশয় নড়াচড়া করার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই কারণে ডিম্বাশয় প্রচন্ড ব্যথা এবং ওভারিয়ান টারশিয়ন এর সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। অর্থাৎ এটিকে বলা হয় ডিম্বাশয় মুচড়ে যাওয়া। এর উপসর্গগুলোঃ

  • পেটে প্রচন্ড রকম ব্যথা অনুভব হয়। এতটাই ব্যথা হয় যা সহ্য করার মতো নয়। 
  • বমি বমি ভাব হয় অর্থাৎ সব সময় গা গুলাতে থাকে। 
  • আবার অনেক সময় হঠাৎ করে বমি হয়ে যায়। 
  • পেলভিকের প্রচণ্ড রকম ব্যথা অনুভব হয়। 
  • ঋতুচক্রে রক্ত প্রবাহের মাত্রা কমে যেতে পারে। 
  • আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ঋতুচক্রে রক্ত প্রবাহ একদম বন্ধ হয়ে গেছে। 
সিস্ট ফেটে যাওয়াঃ ওপরে আপনাদের সাথে অনেকবারই সিস্ট ফেটে যাওয়া নিয়ে কথা বলেছি। কারণ একবার সিস্ট ফেটে গেলে তা মারাত্মক জটিলতায় পরিণত হয়। সিস্ট ফেটে যাওয়ার উপসর্গ গুলোঃ
  • পেটে প্রচন্ড ব্যথা হতে পারে। 
  • অভ্যন্তরীণ অর্থাৎ ডিম্বাশয়ের রক্তক্ষরণ বেড়ে যাবে। 
  • মনে রাখবেন সিস্ট টি যত বড় হবে ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা তত বেড়ে যাবে।
  • পেলভিসের মারাত্মক ক্ষতি হয়। 
  • সহবাসের সময় পেলভিসের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। 

মন্তব্যঃ সিস্ট হওয়ার কারণ কি 

সিস্ট হওয়ার কারণ কি এ সম্পর্কে ছিল আজকের পোস্ট আশা করি আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর আপনারা পেয়ে গেছেন। সিস্ট একটি ছোট তরল অথবা কঠিন পদার্থের গুটি হলেও এটি একসময় বড় আকার ধারণ করতে পারে। এটি হতে পারে বড় কোন সমস্যার কারণ। গর্ভবতী মায়েদের জন্য মারাত্মক একটি বিষয়। কারণ গর্ভপাতের মত বড় সমস্যা ও দেখা দেয়। 

আশা করছি সিস্ট হওয়ার কারণ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেয়েছেন। তাই সমস্যার সমাধানের জন্য উপরের আরেকটি পোস্ট পড়তে পারেন। আপনাদের জানানো হয়েছে সিস্ট দূর করার ঘরোয়া কিছু উপায়। আশা করছি আজকের পোস্ট টি বুঝতে পেরেছেন। এছাড়াও যদি আপনার মনে আর কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। 

আরো কিছু প্রশ্নের উত্তর 

প্রশ্নঃ সিস্ট হলে কি বাচ্চা হয় না? 

উত্তরঃ সিস্ট যতদিন জরায়ুতে থাকবে ততদিন বাচ্চা হবে না। বাচ্চা পেটে আসলেও তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। ভ্রুণ এর চেয়ে সিস্টের আকার বড় হলে সে বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাবে। তাই গর্ভধারণের আগে সুস্থতা নিশ্চিত করুন। 

প্রশ্নঃ সিস্ট হলে কি সমস্যা হয় ?

উত্তরঃ সিস্ট হলে সবচাইতে বড় সমস্যা হল প্রচন্ড রকমের পেটব্যথা হয় মাসিকের সময়। এছাড়াও সহবাসের সময় অত্যন্ত পেটব্যথা হয়। গর্ভধারণের নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। 

প্রশ্নঃ সিস্ট হলে কি কি পরীক্ষা করাতে হয়?

উত্তরঃ সিস্ট নিশ্চিত হওয়ার জন্য পেলভিন আল্ট্রাসাউন্ড, আল্ট্রাসনোগ্রাফি, ল্যাপারোস্কপি, হরমোন টেস্ট করাতে হয়। এছাড়াও রক্ত পরীক্ষা, প্রস্রাব পরীক্ষা ইত্যাদি করাতে হয়।

প্রশ্নঃ ডিম্বাশয় সিস্ট হলে কি চিকিৎসা করানো হয়? 

উত্তরঃ সিস্ট এর অবস্থান বিবেচনা করে চিকিৎসা করানো হয়। সিস্ট টি কঠিন তরল নাকি মিশ্র পদার্থের গঠিত এবং তারা আকার কতটুকু তার ওপর নির্ভর করে সৃষ্ট এর চিকিৎসা। এবং আপনার কি কি সমস্যার উপসর্গ দেখা দিয়েছে তার ওপর নির্ভর করবে ডিম্বাশয়ে সিস্ট এর চিকিৎসা। গর্ভবতীদের জন্য আলাদা চিকিৎসা রয়েছে। 

প্রশ্নঃ কোন ডাক্তার সিস্ট এর সমস্যা সম্পর্কে সাহায্য করতে পারবে?

উত্তরঃ গাইনোকোলজির বিশরদ ডিম্বাশয় সিস্টার ব্যাপারে সাহায্য করতে পারবে এবং উপযুক্ত পরামর্শ দিতে পারবে।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডেইলি ডাইরির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url