শবে কদরের ফজিলত - শবে কদরের রাত চেনার উপায়

শবে কদরের ফজিলত সম্পর্কে জানতে চান? আপনার উত্তর যদি হ্যাঁ হয় তাহলে, আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। শবে কদরের ফজিলত এবং শবে কদরের রাত চেনার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। তথ্যগুলো জানতে সম্পূর্ণ পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। 

শবে-কদরের-ফজিলত
এছাড়াও আজকের পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে শবে কদরের আমল সম্পর্কে। তাই আপনি যদি লাইলাতুল কদরের রাত চেনার উপায় এবং এ রাতের ফজিলত সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

পেইজ সূচিপত্রঃ শবে কদরের ফজিলত 

শবে কদরের ফজিলত 

শবে কদরের ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। শবে কদরের রাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মুসলিমদের জীবনে। এই দিনটি বছরে একবার আসে। হিজরী মাসের বর্ষপঞ্জিকা অনুসারে রোজা পালন করা হয়। রমজান মাসে ২০ টি রোজার পর থেকে যেকোন বিজোড় রোজার একটি রাতে শবে কদরের রাত পরে। এ রাতের ফজিলত অসীম যে মুখে বলে শেষ করা যাবে না। 

শবে কদরের রাতকে লাইলাতুল কদর বলা হয়। এ রাতের এবাদতের মাধ্যমে পূর্বের সব গুনাহ মাপ করে দেন মহান আল্লাহ তায়ালা। এ রাতে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে মনের সকল আশা পূরণ করা সম্ভব। শবে কদরের রাতে প্রার্থনা করার মাধ্যমে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করা সম্ভব। এই একটা মাত্র রাত যে রাতের মাধ্যমে মহান আল্লাহ তায়ালা বান্দার ভাগ্য লেখা পরিবর্তন করেন।

হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম এ রাত সম্পর্কে বলেছেন, "যে ঈমানের বিশ্বাস করে, সব লাভের আশায় রোজা পালন করে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় শবে কদরের রাতে নামাজে দাঁড়িয়ে প্রার্থনা করে তার পূর্বের সকল গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।"রমজান মাসের শেষের দশটি রোজার মধ্যে যেকোনো একটি বিজোর রোজার রাত শবে কদরের রাত।  

শবে-কদরের-ফজিলত
এখানে নির্দিষ্টভাবে বলে দেওয়া নাই। তাই সকল মুসলিম ভাই বোনদের উচিত রোজার মাসের প্রতিটি রাত একটু বেশি এবাদত করা এবং শেষের দশটি রোজার বিজোর রাতগুলো একটু বেশি গুরুত্ব দেওয়া। এ রাত গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মুসলিমদের জীবনে। তাই সময় নষ্ট না করে এবাদত করুন। মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। আপনার জীবনকে পরিবর্তন করে দিতে এই একটি রাতেই যথেষ্ট। 

বিনা কারণে রোজা ভোগ্য করবেন না। সালাত আদায় করুন, আল কুরআন পাঠ করুন। গরিবদের দান করুন এবং যারা আর্থিকভাবে অসচ্ছল তাদের সাহায্য করুন। আল্লাহর সন্তুষ্ট লাভ করার চেষ্টা করুন। আপনার জীবনে বরকত আসবে। সাংসারিক জীবনের সুখী হতে পারবে। আল্লাহ আপনাকে সফল করবেন। শবে কদরের রাত এত গুরুত্বপূর্ণ যা লিখে শেষ করা যাবে না। তাই আল্লাহ তায়ালার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করুন এবং জীবনকে সুন্দর করুন। 

শবে কদরের আমল 

শবে কদরের আমল সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। অনেকেই আছেন যারা শবে কদরের আমল সম্পর্কে জানেন না। তাদের জন্য এই ব্লকটি খুবই উপকারী হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক শবে কদরের আমল সম্পর্কে। ফরজ কাজগুলোর প্রতি সচেতন হন। অবশ্যই নিয়মিত সালাত আদায় করবেন এবং মহান আল্লাহর কাছে বারবার ক্ষমা প্রার্থনা করবেন।

আরো পড়ুনঃ ২০২৫ সালের রমজান কত তারিখে শুরু - রমজান মাস

  • এশা ও ফরজ নামাজ জামাতে আদায় করবেন। কদরের রাতের ফজিলত পেতে রাতভর নামাজ পড়েন এবাদত করেন কিন্তু জামাতে নামাজ পড়ার প্রতি গুরুত্ব দেন না। এই কাজ করা থেকে বিরত থাকবে। জামাতে নামাজ পড়ার চেষ্টা করবেন। 
  • নফল ইবাদতের পাশাপাশি ফরজ ইবাদতকে বেশি গুরুত্ব দিবেন। অনেকেই আছে নফল এবাদত করেন কিন্তু ফরজ ইবাদত গুলো বাদ পড়ে যায়। এই বিষয়গুলোতে সতর্ক হবেন।
  • শবে কদরে এশা ও ফজরের নামাজ  অন্তত জামাতে পড়ার চেষ্টা করবেন। জামাতে নামাজ পড়া কোনভাবেই মিস করবেন না। জামাতে নামাজ পড়লে, সারারাত দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ার সওয়াব পাওয়া যায় এটি হাদিসে এসেছে।
  • শবে কদরের রাতে রাত জেগে এবাদত করুন। রাত জেগে ইবাদত করার মধ্যে অনেক ফজিলত রয়েছে। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম বলেছেন "যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরের রাতে ঈমানের সাথে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় এবং সওয়াব লাভের আশায় রাত জেগে ইবাদত করেন তার পূর্বের সকল গুনাহ মাফ করা হবে।"
  • ঝগড়া বিবাদ থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবেন। শবে কদরের রাত হাদিসের নির্দিষ্ট করে বলে দেওয়া নাই। রমজান মাসের শেষের ১০ টি রোজার মধ্যে যেকোনো একটি বিজোড় রোজার রাত হবে শবে কদরের রাত। ইবাদত করতে হবে সাথে ঝগড়া-বিবাদ থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • হাদিসে এসেছে, এ রাত্রি সম্পর্কে রাসূল (সা:) সাহাবীদের জানাতে গিয়েছিলেন, কিন্তু দুই ব্যক্তির মধ্যে ঝগড়ার কারণে তা গোপন রাখা হয়। তাই ঝগড়া বিবাদ থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবেন।
  • ঝগড়া বিবাদ থেকে এমনি বিরত থাকা উচিত তবে রমজান মাসের শেষের ১০ টি রোজা মানুষের সাথে বিবাদ করা থেকে বিরত থাকবেন। কোন ঝগড়া ঝামেলায় লিপ্ত হবেন না।
  • এমন হতে পারে শবে কদরের রাত চলে গেল কিন্তু বুঝতে পারলেন না বিভিন্ন ঝগড়া ঝামেলায় লিপ্ত থাকার কারণে। তাই যেকোনো ঝগড়া ঝামেলা থেকে বিরত থাকুন। 
  • সালাতুত তাসবিহের নামাজ আদায় করুন। এই নামাজ আদায়ে  করলে অনেক ফজিলত রয়েছে।
  • গুনাহ মাফের দোয়া পাঠ করুন। রমজান মাসের শেষের ১০ টি রোজার মধ্যে একটি বিজোড় রোজার রাত হবে শবে কদরের রাত। এ রাতে আল্লাহ বান্দার সকল আশা পূরণ করেন। আল্লাহর কাছে বারবার ক্ষমা প্রার্থনা করুন। গুনহা দোয়া পাঠ করুন।
  • পর্দাশীল হয়ে চলাফেরা করুন। বেপর্দা হয়ে চলা থেকে বিরত থাকুন। যেকোনো অশ্লীল কাজ থেকে বিরত থাকুন। আল্লাহ তাআলার কাছে বারবার ক্ষমা প্রার্থনা করুন এবং রাত জেগে বেশি বেশি এবাদত করুন। শবে কদর রাতের ফজিলত পাওয়ার জন্য এ আমল গুলো পালন করুন।

শবে কদরের রাত চেনার উপায়

শবে কদরের রাত চেনার উপায় জানতে চান? তাহলে পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। রমজান মাসে মুসলিম ভাই বোন একটু বেশি এবাদত করার চেষ্টা করেন। কারণ এ মাসে এবাদত করলে অনেক বেশি ফজিলত পাওয়া যায়। হাদিসে এসেছে রোজার মাস হাজার মাস থেকে বেশি উত্তম। কিন্তু শবে কদরের রাত কোনটা তা নির্দিষ্ট করে বলে দেওয়া নাই। চলুন জেনে নওয়া যাক শবে কদরের রাত চেনার উপায়ঃ

আরো পড়ুনঃ ২১শে ফেব্রুয়ারি ইতিহাস - আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

  • রোজার মাসের শেষের ১০ টি রোজার মধ্যে একটি রোজার রাত শবে কদরের রাত হবে। 
  • যেকোনো বিজোড় রোজার রাত শবে কদরের রাত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
  • এ রাতের ফজিলত কিয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
  • শবে কদরের রাত রমজান মাসের শেষের সাতটি রোজার মধ্যে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। 
  • ২১, ২৩, ২৫, ২৭, ও ২৯ তম রোজার রাতে শবে কদরের রাত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। 
  • অনেকেই মনে করেন ২৭ তম রোজার রাত শবে কদরের রাত। এটি ভুল। যেকোন বিজোড় রাতে শবে কদরের রাত সংঘটিত হতে পারে। মহান আল্লাহ তায়ালা সঠিক পরিকল্পনাকারী। 
  • শবে কদরের রাত গভীর অন্ধকারে ছেয়ে যাবে না। সে রাত উজ্জ্বল হবে। 
  • শবে কদর এর দিনটি গরম বা শীত কোনটার তীব্রতাই বেশি থাকবে না। অর্থাৎ নাতিশীতোষ্ণ হবে।
  • হালকা বাতাস প্রবাহিত হবে। 
  • অন্য রাতের তুলনায় অপেক্ষাকৃত বেশি তৃপ্তিবোধ বা আরামদায়ক অনুভূতি হবে সে রাতে এবাদত করে। 
  • কোন ঈমানদার ব্যক্তিকে মহান আল্লাহ তায়ালা ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে জানিয়ে দিতে পারেন। 
  • এ রাতে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 
  • সকালে কিছুটা আলোক রশ্মি সহ সূর্য উদয় হবে। এটি দেখতে পূর্ণিমার চাঁদের আলোর মতো।
  • মনোরম পরিবেশ থাকবে। এই লক্ষণ গুলো দেখে আমরা শবে কদরের রাত চিনতে পারবো।

লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব 

লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। লাইলাতুল কদরের রাত মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত পূর্ণময় রজনী। মুমিন বান্দাদের জন্য রয়েছে সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমত। আল্লাহ তায়ালা বান্দর বরকত বাড়িয়ে দেন। ইবাদাতকারী বান্দার পূর্বের সকল গুনাহ মাফ করে দেন মহান আল্লাহ তায়ালা। তাই এটি মুসলিম ভাই-বোনদের জন্য অত্যন্ত রহমতের রাত। 

শবে-কদরের-ফজিলত
এ রাতে পবিত্র আল-কুরআন নাযিল হয়েছিল। মানব জীবনের সার্বিক কল্যাণ ও শিক্ষার পথ প্রচারক আল কুরআন। মানবজাতির জীবনে উন্নতি লাভ করতে হলে আল কুরআনের দেখানো পথে অনুসরণ করতে হবে। ইহকালের শান্তি ও পরকালের মুক্তির জন্য পবিত্র আল কুরআনের ব্যতিক্রম কিছু হয় না। তাহলে বুঝতেই পারছেন লাইলাতুল কদরের রাত কতটা গুরুত্বপূর্ণ। 

লাইলাতুল কদর বান্দার জীবন পরিবর্তন করে দিতে পারে। লাইলাতুল কদর এর রাতে ফজিলত পেতে হলে রাত জেগে ইবাদত করুন। আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন আল্লাহ তায়ালা পূর্বের সকল গুনাহ মাফ করে দেবেন। মানুষের সাথে বিবাদ করা থেকে বিরত থাকুন। জামাতে সালাত আদায় করুন। আল্লাহ তায়ালা আপনার জীবনে সুখ-শান্তি দিয়ে ভরিয়ে দেবে। আপনার সকল মনের ইচ্ছা পূরণ করবেন এবং পূর্বের সকল গুনা মাফ করে দিবেন। 

লাইলাতুল কদর সম্পর্কে আলোচনা 

লাইলাতুল কদর সম্পর্কে আলোচনা করবো আজকের পোস্টে। শবে কদর বা লাইলাতুল কদর শব্দটি আরবি শব্দ। এর অর্থ হলো "পবিত্র রজনী" বা "অতিশয় সম্মানিত ও মহিমান্বিত রাত"। লাইলাতুল কদরের "লাইলাতুল" আরবি শব্দ যার অর্থ হলো "রাত্রি বা রাত বা রজনী"। শবে কদরের "শবে "শব্দটি ফারসি শব্দ। এর অর্থ হল "সম্মান, মর্যাদা, মহাসম্মান, সম্মানিত, মহিমান্বিত, পবিত্র,"।

আরো পড়ুনঃ ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস এর বক্তব্য ও রচনা

এছাড়াও লাইলাতুল কদর বা শবে কদর এর অন্য একটি অর্থ হলো "ভাগ্য নির্ধারণ বা পরিমাণ নির্ধারণ বা তাকদির নির্ধারণ"। এ রাতের ইবাদতের মাধ্যমে মহান আল্লাহ তায়ালা সন্মান বৃদ্ধি করে দেন। বান্দার ভাগ্য পুনঃ নির্ধারণ করেন মহান আল্লাহ তায়ালা। তাহলে বুঝতে পারছে লাইলাতুল কদরের রাত কতটা গুরুত্বপূর্ণ মুসলিমদের জীবনে। 

লাইলাতুল কদর একমাত্র রাত যে রাতে বান্দার ভাগ্য ও পরিবর্তন করে দেন মহান আল্লাহতালা। মুমিন বান্দারা মন থেকে ইবাদত করলে পূর্বের সকল গুনাহ মাফ করে দেন সৃষ্টিকর্তা। লাইলাতুল কদর মুমিনদের জন্য সৌভাগ্য বয়ে নিয়ে আসে। লাইলাতুল কদর এর রাতের এবাদত হাজার বছর রাতের এবাদত এর সমান। রমজান মাস হাজার মাসের থেকে উত্তম। রমজান মাসে রাত জেগে এবাদত করার চেষ্টা করুন। মহান আল্লাহ তাআলা আপনার ভাগ্য পরিবর্তন করে দেবেন।

মন্তব্যঃ শবে কদরের ফজিলত 

শবে কদরের ফজিলত সম্পর্কে আজকের ব্লগে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এছাড়াও আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি শবে কদরের রাত চেনার উপায়। এই বৈশিষ্ট্যগুলো মাথায় রেখে শবে কদরের রাত চিহ্নিত করতে পারেন । আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন এবং রমজান মাসে একটু বেশি বেশি এবাদত করার চেষ্টা করুন। রমজান মাসের এবাদত আপনার ভাগ্য পরিবর্তন করে দেবে। 

এছাড়াও আজকের পোস্টে আলোচনা করেছি লাইলাতুল কদরের আমল সম্পর্কে। আপনার কাছে যদি এ বিষয়গুলো অজানা হয়ে থাকে তাহলে এখান থেকে জেনে নিন এবং এগুলো পালন করার চেষ্টা করুন। মহান আল্লাহতায়ালার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করুন। মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের চেষ্টা করুন। আশা করছি ব্লকটি পড়ে কিছুটা হলেও উপকৃত হয়েছেন। নিজে জানুন এবং অন্যকে জানতে সাহায্য করুন বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডেইলি ডাইরির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url