২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস এর বক্তব্য ও রচনা

২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আপনি কি ২৬শে মার্চ এর বক্তব্য জানতে চান? ২৬শে মার্চ এর তাৎপর্য জানতে চান? তাহলে আজকের পোস্ট আপনার জন্য।  

২৬শে-মার্চ-মহান-স্বাধীনতা-দিবস
২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস এর ইতিহাস জানতে সম্পূর্ণ পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। আশা করছি কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন। চলুন শুরু করা যাক আজকের আলোচনা ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতার দিবস সম্পর্কে।

পেইজ সূচিপত্রঃ ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস 

২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস 

২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস নিয়ে আলোচনা করবো। ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস ১৯৭১ সালে দিনটি ছিল মঙ্গলবার। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বীজ বপন হয় মহান স্বাধীনতার। পাকিস্তান বাহিনীর নির্মম অত্যাচার ও নির্যাতন থেকে মুক্তি লাভ হয় মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। তাই ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস সারাদেশে পালিত হয়।

২০০ বছর ব্রিটিশ শাসনের পরেও বাঙালি স্বাধীনতা লাভ করে নি। পাকিস্তান বাহিনীর শোষণ ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। ১৯৭১ সালে ১৬ই ডিসেম্বর দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর অর্জিত হয় স্বাধীনতা। বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ এর আত্মপ্রকাশ ঘটে। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাই এই দিনটিকে মহান স্বাধীনতা দিবস বলা হয়। 

ব্রিটিশ শাসনের হাত থেকে বাঁচার পর শুরু হয় পাকিস্তান বাহিনীর নির্যাতন। দেশ ভাগ হয় দুই ভাগে পূর্ব পাকিস্তান আর পশ্চিম পাকিস্তান। পূর্ব পাকিস্তান বর্তমানের বাংলাদেশ আর পশ্চিম পাকিস্তান বর্তমানে পাকিস্তান। পাকিস্তানের বৈষম্যের কারণে স্বাধীনতার চেতনা জেগেছে বাঙালির মনে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন চাকরির ক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তানকে গুরুত্ব দেওয়া হতো না। তাদের পিছিয়ে রাখার চেষ্টা করা হতো।

পাকিস্তানের এই নির্মম আচরণ বাঙালির মনে মুক্তির ক্ষোভ যোগায়। ২৬শে মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৬ই ডিসেম্বর স্বাধীনতা লাভ করে বাংলার মানুষ। ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালন করা হয়। ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের সংগ্রাম শুরু হয় তাই ২৬শে মার্চ কে বলা হয় স্বাধীনতা দিবস। 

২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস  এর বক্তব্য 

২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস এর বক্তব্যঃ আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত সুধীবৃন্দ, সবাইকে আমার সালাম আসসালামু আলাইকুম/এবং হিন্দুর ভাই-বোনদের আদাব। আমরা সকলেই জানি আজ ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস। আজকের এই বিশেষ দিনে আমরা গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করি মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের শহীদদের।

আরো পড়ুনঃ ২১শে ফেব্রুয়ারি ইতিহাস - আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

তাদের এই মহান আত্মত্যাগের ফলে আমরা আজ স্বাধীনতা পেয়েছি। আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। এটি বাঙ্গালীর জীবনে ইতিহাস হয়ে থাকবে। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশের গৌরবময় দিন আজ। মুক্তিযুদ্ধে বীর সন্তানদের এই কঠিন ত্যাগের মাধ্যমে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ এক ভূখণ্ড হিসেবে জায়গা পেয়েছে। 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেই স্বাধীনতা ঘোষণার মাধ্যমে সম্পূর্ণ বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধে প্রাণ গেছে প্রায় ৩০ লক্ষ শহীদের তার বিনিময়ে পেয়েছি আমরা আমাদের এই স্বাধীন বাংলাদেশ। স্বাধীনতার পর শূন্য থেকে শুরু হয়েছে আমাদের দেশের উন্নতি করার লক্ষ্য। আজও আমরা সেই লক্ষ্যে হেঁটে চলেছি।

বাংলাদেশের উন্নতি নিশ্চিত করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। স্বাধীনতা অর্জন করা শেষ কথা নয় এখন স্বাধীনতা রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মনে ধারণ করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আশা করি সবার ঐক্যবদ্ধ চেষ্টায় এগিয়ে যাবে আমাদের এই সোনার বাংলাদেশ। ধন্যবাদ।

২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস এর রচনা

২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস এর রচনা জেনে নিন। আপনি যদি কোন রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে চান তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য। ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে রচনা উপস্থাপন করা হবে আপনাদের মাঝে। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস এর রচনা। যথাঃ 

২৬শে-মার্চ-মহান-স্বাধীনতা-দিবস
ভূমিকাঃ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। বাঙালির জীবনে এই দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম। ১৯৭১ সালে ২৬ শে মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন প্রথম প্রহরে। দেশকে স্বাধীন করার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে বলেন। পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে বলেন সবাইকে। স্বাধীনতা ভাসনে বাঙালি জাতি গর্জে উঠেছিল। পুরো জাতি সেদিন স্বাধীনতা পেতে যোগদান করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধে। 

স্বাধীনতা অর্জনে মুক্তিযুদ্ধঃ স্বাধীনতা অর্জনে মুক্তিযুদ্ধে বাঙ্গালী জাতির ত্যাগ চোখে পড়ার মতো। তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে মুক্তি লাভের আশায়। প্রায় নয় মাস যুদ্ধে প্রাণ দিয়েছে ৩০ লক্ষ শহীদ। অত্যাচারিত হয়েছে প্রায় ৩ লক্ষ মা বোন। এত ত্যাগের বিনিময়ে অর্জন হয়েছে স্বাধীনতা। দেশকে ভক্তি করতে যখন সর্বস্তরের মানুষ ব্যস্ত স্বাধীনতায় তখন রাজাকারদের তাণ্ডবে প্রাণ গিয়েছে বহু মানুষের।

রাজাকাররা হত্যা করেছে অনেক মুক্তিযোদ্ধাদের। এমনকি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার কথা ও শোনা গেছে। দেশের ভেতরের এই শত্রু গুলোকে রোধ করতে গঠিত হয় অস্থায়ী সরকার। এটি গঠিত হয় তৎকালীন মেহেরপুর মুজিবনগর। মুক্তিযুদ্ধে সেনাপতি হিসেবে নিযুক্ত হন কর্নেল এমএজি ওসমানী। তার নেতৃত্বে এবং ভারতের সহযোগিতায় দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর অর্জিত হয় স্বাধীনতা।

বাঙালির স্বাধীনতা দিবসঃ ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস। এটি বাঙালির জীবনে তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। স্বাধীনতা দিবসকে জাতীয় দিবস ও বলা হয়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাত থেকে পূর্ব পাকিস্তান এর মুক্তিযোদ্ধারা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু করেন। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়। তবুও জনগণের কাছে বঙ্গবন্ধুর বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

২৬ শে মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর পক্ষ থেকে এম এ হান্নান চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে থেকে জনগণের উদ্দেশ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা পত্র পাঠ করেন। জনগণ কাছে এই ঘোষণা পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে যোগদান করে বাঙালিরা। যার কাছে যা আছে তাই নিয়েই যুদ্ধে নেমে এসেছে বাঙালি জাতি। এইজন্য ২৬ শে মার্চ জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। 

স্বাধীনতা দিবসের চেতনাঃ মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের এই বিশাল আত্মত্যাগের মাধ্যমে পেয়েছি আমরা আমাদের এই স্বাধীন বাংলাদেশ। তাদের প্রতি আমরা চির কৃতজ্ঞ থাকবো। আমাদের স্বাধীনতা রক্ষা করতে জানতে হবে। আজকের দিনে আমাদের ভালোভাবে অনুধাবন করতে হবে এদেশের জন্য লক্ষাধিক শহীদ প্রাণ দিয়েছে এর মূল্য আমাদের বুঝতে হবে। 

শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না আমরা। দেশপ্রেম হয়ে উঠতে হবে দেশের প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি করতে হবে। পাশাপাশি নিজের অধিকার বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ হয়ে দেশের উন্নতির পথে চলতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের উন্নতির কথা চিন্তা করতে হবে। স্বাধীনতা দিবসের চেতনা মাথায় রেখে বাংলাদেশে প্রতিবছর ২৬শে মার্চ জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন হয়।

উপসংহারঃ ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস আমাদের কাছে গৌরবময় একটি দিন। ১৯৭১ সালে ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা মাধ্যমে শুরু হয়েছিল মহান মুক্তিযুদ্ধ। শহীদদের তাজা প্রাণের বিনিময়ে পেয়েছি আমরা আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ। প্রতিবছর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পালিত হয় ২৬ শে মার্চ। আমরা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবো দেশের উন্নতির লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাব।

২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস এর তাৎপর্য 

২৬ শে মার্চ এর তাৎপর্য জানতে চান? তাহলে পোস্টটি সম্পন্ন পড়ুন। বাংলার ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকবে মার্চ মাস স্বাধীনতা সংগ্রামে। মার্চ মাসের আন্দোলন রূপ নেই মুক্তিযুদ্ধে। ১৯৭১ সাল ২৬ শে মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্যে দিয়ে শুরু হয় স্বাধীনতা যুদ্ধ। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালির মনের স্বাধীনতার চেতনা জাগে। পরপর ২৩ টি আন্দোলন সংগ্রামের চূড়ান্ত রূপ মুক্তিযুদ্ধ। 

আরো পড়ুনঃ থার্টি ফার্স্ট নাইটের ইতিহাস-এ সম্পর্কে ইসলাম কি বলে

দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের পর বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ ভূখণ্ড জায়গা করে নেয়। বাংলাদেশ সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিয় লাভ করে। ১৯৭১ সাল ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতার আত্মপ্রকাশ ঘটলেও এর চূড়ান্ত আন্দোলনের সূচনা হয় পহেলা মার্চ থেকে। ১৯৭১ সাল ২৬শে মার্চ এর এই ঘটনাগুলোর মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা উন্মোচিত হয়। 

২৬ শে মার্চ বাঙালির জীবনে গুরুত্বপূর্ণ কেন 

২৬ শে মার্চ বাঙালীর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ কেন? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে সাথে থাকুন। ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস। বাঙালি জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন ছিল। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি একটি স্মরণীয় দিন। এই দিনের মধ্যে দিয়েই আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হয়েছিল। বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে গিয়ে জীবন দিয়েছে প্রায় 30 লক্ষ শহীদ। ৩০ লক্ষ শহীদের প্রাণের বিনিময়ে পেয়েছি এই বাংলাদেশ।  

২৬শে-মার্চ-মহান-স্বাধীনতা-দিবস
আমরা সেই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই এবং চির কৃতজ্ঞ থাকবো শহীদদের কাছে। ২০০ বছর ব্রিটিশ শাসন করার পরেও আমরা মুক্তি পায়নি। বাংলাদেশের মানুষ নির্যাতিত হয়েছে পাকিস্তান বাহিনীর কাছে। ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্য দিয়ে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। আমাদের স্বাধীনতার যুদ্ধ। এসব কারণেই ২৬ শে মার্চ বাঙালির জীবনে এত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। প্রত্যেক বছর পুরো বাংলাদেশ এ দিনটিকে স্মরণ করে এবং শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।

২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস এর অনুষ্ঠান 

২৬ শে মার্চ এর অনুষ্ঠান সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। ২৬ শে মার্চ উপলক্ষে সকল প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ক্রিয়া প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন  করা হয়ে থাকে। যেমন: পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর বক্তব্য, প্যারেড, দেশাত্মবোধক গান, জাতীয় সংগীত, নাটক ইত্যাদি। এসব অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শহীদের প্রতি সম্মান জানানো এবং তাদের স্মৃতি ধরে রাখা হয়।

আরো পড়ুনঃ মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার ১৫ টি কার্যকারী উপায় 

এছাড়া অনুষ্ঠিত হয় বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ২৬ শে মার্চ এর অনুষ্ঠান। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিফলকে ফুল অর্পণ করা হয়। খেলাধুলার আয়োজন করা হয় বিভিন্ন জায়গায়। এসব আচার অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়েই ২৬ শে মার্চ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়। আশা করি জানতে পারলেন ২৬শে মার্চ এর অনুষ্ঠান সম্পর্কে। 

মন্তব্যঃ ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস

২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আজকের ব্লগে আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এছাড়াও জানিয়েছি ২৬ শে মার্চ এর তাৎপর্য সম্পর্কে। বাঙালির জীবনে কেন এত গুরুত্বপূর্ণ ২৬ শে মার্চ তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন। ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। 

২৬ শে মার্চ সেই মহান দিনের স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। সেই দিনের জন্যই আজকে আমরা পেয়েছি এই স্বাধীন বাংলাদেশ। পাকিস্তান বাহিনীর শোষণ এবং নির্যাতন থেকে মুক্তি পেয়েছি। আমাদের সকলের উচিত শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং শহীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা। পোস্টটি ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। 

আরো কিছু প্রশ্নের উত্তর 

প্রশ্নঃ ২৬ শে মার্চ কি দিবস? 

উত্তরঃ ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস।

প্রশ্নঃ জাতীয় দিবস কবে?

উত্তরঃ ২৬ শে মার্চ জাতীয় দিবস।

প্রশ্নঃ ১৯৭১ সাল ২৬ শে মার্চ কি বার ছিল? 

উত্তরঃ ১৯৭১ সাল ২৬ শে মার্চ মঙ্গলবার ছিল। 

প্রশ্নঃ ১৯৭১ সাল ২৬ শে মার্চ কি হয়েছিল? 

উত্তরঃ ১৯৭১ সাল ২৬ শে মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তাই ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালিত হয়। 

প্রশ্নঃ ২৬ শে মার্চ কেন স্বাধীনতা দিবস? 

উত্তরঃ ১৯৭১ সালে ২৬ শে মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়েছিলেন। এই দিনের ঘোষনার মধ্যে দিয়েই শুরু হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধ। তাই ২৬ শে মার্চ কে স্বাধীনতা দিবস বলা হয়।

প্রশ্নঃ ২৬ শে মার্চ কি সরকারি ছুটি? 

উত্তরঃ হ্যাঁ। ২৬ শে মার্চ সরকারি ছুটির দিন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডেইলি ডাইরির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url