২০২৫ সালের রমজান কত তারিখে শুরু - রমজান মাস

২০২৫ সালের রমজান কত তারিখে শুরু তা কি আপনি জানতে চান? আপনার উত্তর হ্যাঁ হলে, আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকের ব্লগে জানাবো ২০২৫ সালের রমজান কত তারিখে শুরু তা সম্পর্কে। রমজান সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ুন। 

২০২৫-সালের-রমজান-কত-তারিখে-শুরু
এছাড়াও আজকের পোস্টে জানতে পারবেন ২০২৫ সালের রমজান ঈদ কত তারিখে বাংলাদেশে। তাই রমজান মাসের সকল তথ্য জানতে সাথে থাকুন। আশা করছি উপকৃত হবেন। 

পেইজ সূচিপত্রঃ ২০২৫ সালের রমজান কত তারিখে শুরু 

২০২৫ সালের রমজান কত তারিখে শুরু 

২০২৫ সালের রমজান কত তারিখে শুরু তা আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন। আজকের পোস্টে ২০২৫ সালের রমজান এর তারিখ সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালের পবিত্র  মাহে রমজান মাস শুরু হতে চলেছে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। 

২০২৫ সালের রমজান মাসের প্রথম রোজা শুরু হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বলে ধারণা করা হচ্ছে। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য থেকে মনে হচ্ছে ২০২৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি  রমজান মাসের চাঁদ দেখা যেতে পারে। ২৮ তারিখে সন্ধ্যায় চাঁদ ওঠার সম্ভাবনা অনেকটাই। চন্দ্র বর্ষপঞ্জিকা অনুসারে সাধারণত আরবি বা হিজরী বছর গণনা করা হয় 

তাই রমজান মাসের রোজা চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে। হিজরী অথবা আরবি মাস ৩০ দিলে হয় আবার ২৯ দিনেও হয়। এর ফলে বছর ৩৫৩-৩৫৫ দিনে পরিপূর্ণ হয়। কিন্তু ইংরেজি বর্ষ শেষ হয় ৩৬৫ দিনে। ইংরেজি বর্ষপঞ্জিকায় এবং আরবি বর্ষপঞ্জিকায় এই পার্থক্য দেখা দেয়। ফলে প্রত্যেক বছর রমজান মাসের রোজার তারিখ ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুসারে ১০ থেকে ১২ দিন এগিয়ে আসতে দেখা যায়। 

একটু খেয়াল করলেই বিষয়টি বুঝতে পারবেন। যেমন: ২০২৪ সালে অর্থাৎ গত বছরে বাংলাদেশের রমজান মাস শুরু হয়েছে ১২ মার্চ থেকে এবং তার আগের বছরে শুরু হয়েছিল ২৪ মার্চ। তাহলে এখান থেকে বোঝাই যাচ্ছে এক বছরে প্রায় ১২ দিন এগিয়ে এসেছে রমজান মাসের রোজা। এই হিসাবে এবার যদি রমজান মাসের রোজা ১২ দিন এগিয়ে আসে তাহলে ফেব্রুয়ারি ২৮ তারিখে শুক্রবারে রমজান মাসের রোজা শুরু হবে।

২০২৫ সালের রমজান ঈদ কত তারিখে বাংলাদেশে 

২০২৫ সালের রমজান ঈদ কত তারিখে বাংলাদেশের জেনে নিন। রমজান ঈদকে বলা হয় ফিতর। ঈদুল ফিতর বা ঈদুল আযহা নির্ভর করে চাঁদ দেখার ওপর। ঈদুল ফিতর কত তারিখে হতে পারে ২০২৫ সালে? রমজান ঈদ মুনসাইড বা নপেইজের হিসাব অনুসারে হিজরী বা আরবি সন ১৪৪৬ এর ঈদুল ফিতর অর্থাৎ রোজার ঈদ ৩০ শে মার্চ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

আরো পড়ুনঃ ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস এর বক্তব্য ও রচনা

অতএব হিজরি বা আরবি সন অনুযায়ী ঈদ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৩০ শে মার্চ। ৩০ শে মার্চ দিনটি সোমবার। তবে অবশ্যই মাথায় রাখবেন ঈদ যেহেতু চাঁদ ওঠার ওপর নির্ভর করে তাই এই তারিখের দুই একদিন আগে অথবা পরে হতে পারে রমজান ঈদ বা ঈদুল ফিতর। ফেব্রুয়ারি ২৮ তারিখে রমজান শুরু হলে হিসাব অনুসারে ৩০ শে মার্চ ঈদ হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তবে চাঁদের ওপর নির্ভর করে দুই একদিন এদিক-ওদিক হতে পারে।।

বাংলাদেশে কেন একদিন পর ঈদ উদযাপন হয় 

বাংলাদেশে কেন একদিন পর ঈদ উদযাপন হয় তা কি আপনি জানতে চান? তাহলে আজকে ব্লগ আপনার জন্য। আমরা সকলের জানি বাহিরে অন্য মুসলিম দেশগুলোর একদিন পরে আমাদের দেশে ঈদ উদযাপন হয়। এটি কেন হয়? চলুন জেনে নিই। বাংলাদেশের সাধারণ মাস অথবা বছর তার ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে একদিন পরে ঈদ হয়। 

২০২৫-সালের-রমজান-কত-তারিখে-শুরু
মধ্যপ্রাচ্য বা বিশ্বব্যাপী সকল দেশগুলোর থেকে বাংলাদেশের সাধারণ ভৌগোলিক অবস্থার কারণে এই পরিবর্তন দেখা যায়। এর ফলে বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশ হিজরী বছর অনুসারে আমাদের একদিন আগেই ঈদ উদযাপন করে। ভৌগলিক অবস্থার কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো থেকে আমাদের দেশে হিজরী বছর একদিন পরে উদযাপন করা হয়। এই হিসাব অনুসারে রমজান মাসের রোজা, ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা পর্যায়ক্রমে একদিন করে পরে হয় বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম দেশের হিসাবে।

রমজান কি 

রমজান কি? আপনারা কি জানতে চান রমজান কি? চলুন আলোচনা করা যাক। রমজান শব্দটি এসেছে আরবি শব্দ রামাদ্বান থেকে। রমজান সাধারণত ইসলাম বর্ষপঞ্জিকা বা হিজরী বর্ষপঞ্জিকা অনুসারে নবম মাসে পালন করা হয়। এই মাসে বিশ্বব্যাপী সকল মুসলিম রোজা পালন করেন। রোজা পালন মুসলিমদের জন্য ফরজ কাজ। ইসলামে পঞ্চমস্তর রয়েছে।

আরো পড়ুনঃ থার্টি ফার্স্ট নাইট এর ইতিহাস - এ সম্পর্কে ইসলাম কি বলে

রমজান মাসে রোজা পালন পর্যন্ত স্তরের মধ্যে তৃতীয় স্তরে অবস্থান করে। তাই মুসলিমদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রোজা পালন করা। সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি লাভের আশায় রোজা রাখা হয়। রমজান মাসে হিজরী ক্যালেন্ডার অনুসারে চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে রোজা পালন। রমজান মাসে চাঁদ দেখে ২৯ অথবা ৩০ দিন রোজা পালন করতে হয় এটি নির্ভরযোগ্য হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।

রোজা পালন কেন বাধ্যতামূলক

রোজা পালন কেন বাধ্যতামূলক? রোজা পালন কেন গুরুত্বপূর্ণ বা বাধ্যতামূলক বিস্তারিত জেনে নিন। ইসলাম ধর্মের শরীয়ত অনুসারে প্রাপ্তবয়স্ক সকল নারী পুরুষের রোজা পালন ফরজ। রোজা এর আরবি শব্দ সাওম। রোজা বা সাওম পালন হলো নির্দিষ্ট সময়ের আগ পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার নিষিদ্ধ। যেকোনো গুনাহার কাছ থেকে বিরত থাকতে হবে এমনকি পঞ্চইন্দ্রিয় দ্বারা গুনাহের কাজও বিরত রাখতে হবে। 

২০২৫-সালের-রমজান-কত-তারিখে-শুরু
ব্যতীত রোজা ভঙ্গ হবে। স্বামী স্ত্রীর ক্ষেত্রেও মেলামেশা থেকে বিরত থাকতে হবে। অন্যান্য মাসের তুলনায় এ মাসে মুসলিমগণ বেশি এবাদত করে থাকেন। অন্যান্য মাসে তুলনায় রমজান মাস উত্তম। রমজান মাসের ইবাদতের বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি লাভের আশায় রমজান মাসের রোজা পালন করা হয়। তাই মুসলিম ভাই ও বোনদের জন্য এটি বাধ্যতামূল। 

কাদের ক্ষেত্রে রোজা বাধ্যতামূলক নয় 

কাদের ক্ষেত্রে রোজা বাধ্যতামূলক নয় তা জেনে নিন। মুসলিম প্রাপ্ত বয়স্ক ভাই ও বোনদের জন্য রোজা বাধ্যতামূলক। তবে কিছু সমস্যা এমন রয়েছে সেই সব সমস্যার জন্য রোজা মকুফ করা হয়েছে। চলুন দেখে নেওয়া যাক কি ধরনের সমস্যা হলে তার জন্য রোজা বাধ্যতামূলক নয়। কেউ যদি অসুস্থ থাকে তাহলে তার জন্য রোজা বাধ্যতামূলক নয়।

আরো পড়ুনঃ ২১শে ফেব্রুয়ারি ইতিহাস - আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

গর্ভবতী মহিলাদের জন্য রোজা বাধ্যতামূলক নয়। গর্ভাবস্থায় বাচ্চা ও মায়ের সুস্থতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য রোজা বাধ্যতামূলক নয়। আবার নারীদের ঋতুস্রাব এর সময় রোজা রাখা বাধ্যতামূলক নয়। এ সমস্যা গুলোতে রোজা শিথিল করা হয়েছে। তবে রোজা যেহেতু ফরজ তাই এই বাকি রোজাগুলো অন্যসময় তুলে নেওয়া উচিত।

শেষ কথাঃ ২০২৫ সালের রমজান কত তারিখে শুরু 

২০২৫ সালের রমজান কত তারিখে শুরু তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এছাড়াও ২০২৫ সালের রমজান ঈদ কত তারিখে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তা সম্পর্কে জানিয়েছি। আশা করি তথ্য গুলো দ্বারা কিছুটা হলেও উপকৃত হয়েছেন। ব্লক পোস্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

আজকের ব্লগে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি কেন মুসলিম ভাইবোনদের জন্য রোজা রাখা বাধ্যতামূলক এবং কাদের ক্ষেত্রে রোজা রাখা শিথিল করা হয়েছে। রোজার মাস মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি হাজার মাসের তুলনায় উত্তম। তাই সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি লাভের আশায় অবশ্যই প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম ভাই বোনদের সাওম পালন করা উচিত। ইসলাম ধর্মে এটি বাধ্যতামূলক।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডেইলি ডাইরির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url