শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করার ১০ টি কার্যকারী উপায়

শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করার উপায় জানতে চাইলে পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে সম্পূর্ণ পড়ুন। রক্তস্বল্পতা একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে। আজকের পোস্টে আপনাদের রক্তবৃদ্ধির উপায় জানাবো।

শরীরে-রক্ত-বৃদ্ধি-করার-উপায়
এছাড়াও আজকের পোস্টে আপনি জানতে পারবেন শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করার খাবার সম্পর্কে। আরো থাকছে বাচ্চাদের শরীরে এবং গর্ভাবস্থায় শরীরের রক্ত বৃদ্ধি করার উপায়। আশা করছি পোস্টটি পড়ে উপকৃত হবেন।

পেইজ সূচিপত্রঃ শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করার উপায় 

শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করার উপায়

শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করার উপায় সম্পর্কে আজ আপনাদের বিস্তারিত জানাবো। অনেকেই রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন। যার কারনে নিত্যদিনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। রক্ত আমাদের শরীরে একমাত্র প্রধান পরিবহন ব্যবস্থা। অর্থাৎ রক্ত আমাদের শরীরের প্রতিটি অংশে প্রয়োজনীয় উপাদান গুলো পৌঁছে দেয়। এবং সেই জায়গা থেকে অপ্রয়োজনীয় বর্জ্য পদার্থগুলো ফিরিয়ে নিয়ে আসে।

একজন মানুষের শরীর থেকে সম্পূর্ণ রক্ত অপসারণ করা হলে সেই মানুষ এক মিনিটও বেঁচে থাকতে পারবে না। অক্সিজেন বহন করার একমাত্র মাধ্যম হলো রক্ত। তাই যদি দেখেন কোন অঙ্গে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে তাহলে বুঝতে হবে সে অঙ্গে রক্ত পৌঁছাতে পারছে না। এমন অবস্থা কিছুক্ষণ অব্যাহত থাকলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। রক্ত প্রত্যেকটি কোষে অ্যান্টিবডি পৌঁছে দেয়। 

শরীর থেকে তৈরি অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট রক্ত বের করে দেয়। আর এইসব কারণেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এবং শরীর বাইরের রোগ জীবাণুর সাথে যুদ্ধ করতে সক্ষম হয়। এজন্যেই রক্তের গুরুত্ব অপরিহার্য। আমাদের শরীরের প্রায় ৮% রক্ত। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের শরীরে  প্রায় ৫ থেকে ৬ লিটার রক্ত থাকে। এই রক্তের স্বল্পতা দেখা দিলে নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

তাই কোনো ভাবে শরীরে রক্তস্বল্পতা দেখা দিলে তা পূরণ করতে হবে। আজকের পোস্টে শরীরে রক্ত বদ্ধি করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। চলুন দেখে নেওয়া যাক কি কি নিয়ম মেনে চললে শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করা সম্ভব। শরীরে পরিমিত রক্ত বজায় রাখার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খুবই প্রয়োজন। এমন কিছু উপায় আছে যার মাধ্যমে আপনি কিছুদিনের মধ্যেই শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করতে পারবেন। 

  • পর্যাপ্ত শাকসবজি খাওয়াঃ শরীরের রক্ত বাড়াতে হলে আপনাকে পর্যাপ্ত শাকসবজি খেতে হবে। এতে রক্তস্বল্পতা থেকে মুক্তি পাবেন। আপনার শরীরে পর্যাপ্ত রক্তের পরিমাণ দেখা যাবে। তাই নিয়মিত টমেটো, বিট রুট, গাজর, বাঁধাকপি, ব্রকলি ইত্যাদি শাকসবজি খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
  • ফলমূলঃ শরীরের রক্তের পরিমাণ ঠিক রাখতে নিয়মিত পর্যাপ্ত ফলমূল খাওয়া খুবই প্রয়োজনীয়। তাই নিয়মিত ফলমূল খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এটি রক্ত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত আপনার খাবারের লিস্টে আপেল, কমলা, ডালিম, বেদানা, লেবু, কালো আঙ্গর, ইত্যাদি ফলমূল নিয়মিত খাবেন।
  • ভিটামিন-সিঃ ভিটামিন-সি রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে। তাই ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার অথবা ফল খাওয়ার চেষ্টা করবেন এতে রক্তস্বল্পতা থেকে রক্ষা পাবেন। 
  • পর্যাপ্ত প্রোটিনঃ আপনার শরীরে রক্ত বৃদ্ধির করার জন্য পর্যাপ্ত প্রোটিন খুবই জরুরী। তাই আপনারা যারা শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করার উপায় জানতে চান তাদের বলে রাখি প্রোটিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে রক্ত বৃদ্ধিতে।
  • ড্রাই ফুডঃ ড্রাই ফুড যেমনঃ ডার্ক চকলেট, বাদাম, শুকনো ফল, কালাই জাতীয় খাবার শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই এই ধরনের খাবার খেতে পারেন। 
  • পর্যাপ্ত ব্যায়ামঃ শরীরের জন্য পর্যাপ্ত ব্যায়াম খুবই প্রয়োজনীয়। এতে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। শরীর সুস্থ রাখতে এবং শরীরের কাজ অব্যাহত রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই নিয়মিত পরিমাণ মতো হাটাহাটি অথবা পর্যাপ্ত ব্যায়াম করুন। 
  • সামুদ্রিক খাদ্য গ্রহণঃ সামুদ্রিক খাদ্যে প্রচুর পরিমাণ আয়রন থাকে এবং খনিজ পুষ্টি উপাদান থাকে। তাই শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করার উপায় এর ক্ষেত্রে সামগ্রিক খাদ্য গ্রহণ করতে পারেন।
  • পর্যাপ্ত পানি পানঃ পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। পানি রক্তকে স্বচ্ছ করে। এছাড়াও শরীরে নানা রকম সমস্যার সাথে যুদ্ধ করে। তাই রক্ত বৃদ্ধিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পানি। পরিমাণ মতো প্রতিদিন পানি খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
  • স্যুপ বা স্মুদিঃ যেকোনো ফল বা সবজি দিয়ে নিয়মিত স্যুপ বা স্মুদি খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে পারেন এটি রক্ত বৃদ্ধিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • ঝোলের তরকারিঃ সব সময় শুকনা বা ভর্তা ভাত না খেয়ে ঝোলের তরকারি খাওয়ার চেষ্টা করবেন। ঝোলের তরকারি নিয়মিত খেলে শরীরের রক্ত বৃদ্ধি হতে সাহায্য করে।

শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করার খাবার

শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করার খাবার কি কি এটা নিয়ে আমরা অনেক দুশ্চিন্তায় থাকি। রক্তস্বল্পতা দেখা দিলে নানা রোগের সম্মুখীন হতে হয়। রক্ত শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়াও নানা রকম কাজ সম্পূর্ণ করে থাকে। রক্ত একমাত্র মাধ্যম পুরো শরীরে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়ার। তাই শরীরে সঠিক পরিমাণ রক্ত থাকা জরুরি। চলুন শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করার খাবার সম্পর্কে জেনে নিইঃ

  • লৌহ বৃদ্ধিঃ লহ বৃদ্ধি পায় এই ধরনের খাবার খাওয়া উচিত। কারণ এটি হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে। সামুদ্রিক মাছ থেকে লৌহ পাওয়া যায় যা হিমোগ্লোবিন বাড়াতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • ডালিমঃ নিয়মিত ডালিম খেলে শরীরের রক্ত বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • বেদানাঃ ডালিম এবং বেদানা আমরা অনেকে একই ফল মনে করি। তবে না এদের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। দুটোই রক্ত বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত বেদনা খেতে পারেন। বেদানার রসে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের রক্তের অভাব পূরণ করে।
  • আপেলঃ নিয়মিত আপেল খাওয়ার চেষ্টা করবেন এটি শরীরের রক্ত বৃদ্ধি করার একটি ভালো উপায়।
  • বিট রুটঃ আপনার আপনার খাবারের তালিকায় ভিডিওটি রাখতে পারেন। এটি নিয়মিত খেলে শরীরে রক্ত ধারণ ক্ষমতা এবং রক্ত বৃদ্ধি পায়। বিটরুটে রয়েছে আইরন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফোলাট যা রক্তবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • লাল আঙ্গুরঃ লাল আঙ্গুর রক্ত বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। 
  • ব্রকলিঃ ব্রকলি সবজি আপনি নিয়মিত খেতে পারেন। এটি রক্ত বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
  • আয়রনঃ আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাবেন শরীরে রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে।
  • ক্যালসিয়ামঃ ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার নিয়মিত খাবেন। 
  • ফাইবারঃ ফাইবার যুক্ত খাবার আমরা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তাই নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করবেন এদের রক্ত বৃদ্ধি পাবে।
  • ভিটামিন-সিঃ ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফলমূল খাওয়া খুবই জরুরী রক্তের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য। তাই নিয়মিত ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাবেন। 
  • কমলাঃ ফলমূলের মধ্যে কমলা আপনার খাবারের লিস্টে রাখবেন। এটি শরীরে রক্তের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করবে।
  • লেবুঃ শরীরের রক্ত গলাতে নিয়মিত লেবু খেতে পারেন। 
  • স্ট্রবেরিঃ স্ট্রবেরি খুবই উপকারী ভূমিকা পালন করে শরীরে রক্ত বাড়াতে। 
  • টমেটোঃ শরীরে রক্তের পরিমাণ বাড়াতে নিয়মিত টমেটো খেতে পারেন। 
  • গোলমরিচঃ উপকারী একটি উপাদান এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি। তাই নিয়মিত আপনার খাবারে গোল মরিচ এর ব্যবহার করতে পারেন।
  • প্রাণিজ খাবারঃ শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করতে পারিস খাবার একটি অন্যতম ভূমিকা পালন করে এটি আমাদের জন্য খুবই উপকারী। 
  • কলিজাঃ নিয়মিত কলিজা খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের রক্ত বৃদ্ধি করতে পারেন। 
  • ডিমঃ আমরা সকলেই জানি ডিম আমাদের শরীরের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত ডিম খাওয়ার চেষ্টা করুন। 
  • দুধঃ দুধে রয়েছে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এছাড়াও নানা পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। তাই নিয়মিত দুধ খাওয়ার চেষ্টা করবেন এটি শরীরে রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি করবে। 
  • মাংসঃ মাংসে রয়েছে পর্যাপ্ত প্রোটিন যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তাই নিয়মিত এবং পরিমাণ মতো মাংস খান। কবুতরের মাংস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এক্ষেত্রে। এছাড়াও আপনি আপনার পছন্দমত মাংস খেতে পারেন। 
  • ডুমুরঃ নিয়মিত ডুমুর সবজি খেতে পারেন এটি রক্ত বৃদ্ধিতে একটি বড় সাহায্য করে। 
  • কলার মোচাঃ কলার মোচা এবং ভেতরে থাকা কলার গাছের শাঁস নিয়মিত খাবেন এটি রক্ত বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

গর্ভাবস্থায় কি খেলে দ্রুত রক্ত বৃদ্ধি পায় 

গর্ভাবস্থায় কি খেলে দ্রুত রক্ত বৃদ্ধি পায় এ সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন। গর্ভাকালীন সময়  মায়েদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মায়ের ওপর নির্ভর করে বাচ্চার সুস্থতা। তাই নিয়মিত পরিমাণ মতো খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকের এই সময় রক্তের স্বল্পতা দেখা দেয়। যার কারনে নানা রোগের আক্রান্ত থাকে শিশু। নানারকম শারীরিক দুর্বলতায় পড়তে হয়।

তাই শারীরিক অবস্থা ঠিক রাখতে এবং শিশুর সুস্থতা নিশ্চিত করতে পরিমিত খাবার খাওয়া এবং প্রয়োজনীয় খাবার খাওয়া খুবই জরুরী। তাই গর্ভবতী মহিলাদের সঠিক গাইডলাইন এবং পরামর্শ খুবই জরুরী হয়ে দাঁড়ায়। অনেক সময় তৃতীয় ডেলিভারিতে একটি বিশাল পরিমাণে রক্তশূন্যতা দেখা দেয় তাই সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া খুবই জরুরী। তাই আপনাদের জানাবো গর্ভাবস্থায় কি খেলে রক্ত দ্রুত বৃদ্ধি পায়। 

আরো পড়ুনঃ নরমাল ডেলিভারির জন্য প্রস্তুতি কিভাবে নিবো 

আপনারা অনেকেই মনে করতে পারেন খাবার খাওয়ার মধ্যে দিয়ে শরীরের রক্তের পরিমাণ ঠিক করা যায় কিনা। অবশ্যই সম্ভব তবে থাকতে হবে আপনার মনোবল ও দৃঢ় প্রচেষ্টা। চেষ্টার মধ্যে দিয়ে আপনি পরিমিত খাবার খেয়ে নিজের শরীরের রক্ত সঠিক পরিমাণ বজায় রাখতে পারেন। এতে আপনার রক্তের স্যালাইন করার প্রয়োজন হবে না। চলুন খাবার সম্পর্কে জেনে নিইঃ

  • ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণঃ গর্ভবতী মায়েদের জন্য ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দিলে রক্তস্বল্পতা ও দেখা দেয়। তাই যেসব খাবারে পরিমিত আয়রন রয়েছে সেসব খাবার নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করবেন। 
  • আয়রন সমৃদ্ধ খাবারঃ আয়রনের চাহিদা পূরণ করতে পর্যাপ্ত শাকসবজি খাওয়া জরুরী। তাই পর্যাপ্ত শাকসবজি খাবেন। বাঁধাকপি, ব্রকলি, টমেটো, গাজর, বিট রুট, ইত্যাদি নানারকম সবজি আপনার খাবারের লিস্টে রেগুলার রাখার চেষ্টা করবেন। 
  • মসুর ডালঃ মসুর ডাল, শুটি, এছাড়াও নানারকম শস্য দানা আপনার খাবারে রাখার চেষ্টা করবেন। গর্ভবতী মায়েদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি আয়রনের চাহিদা পূরণ করবে।
  • বাদামঃ বিভিন্ন ধরনের বাদাম খেতে পারেন এটি শরীরের রক্ত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আপনার খাবারের লিস্টে দেশি অথবা বিদেশি বাদাম রাখতে পারেন। কয়েক পিস কাজুবাদাম, পিনাট বাদাম অথবা কাঠবাদাম খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে পারেন। 
  • খেজুরঃ গর্ভবতী মায়েদের জন্য খেজুর খুবই উপকারী এটি রক্ত উৎপাদনে সাহায্য করে। খেজুর খেতে পারেন। 
  • ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারঃ আমরা খাবারের লিস্টে অবশ্যই ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার রাখবেন এটি রক্ত বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই প্রতিদিন ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। লিস্টে নানা রকম ফলমূল অ্যাড করুন। 
  • ফলঃ আপেল, কমলা, লেবু, বেদানার, ডালিম, স্ট্রবেরি, কালো আঙ্গুর, পেয়ারা ইত্যাদি ফল নিয়মিত খান। গর্ভাবস্থায় ফল খাওয়া খুবই উপকারী গর্ভবতী মায়েদের জন্য। এটি শিশুর এবং গর্ভবতীর শরীরে রক্তের পরিমাণ ঠিক রাখে।
  • কবুতরের মাংসঃ গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত পরিমাণ কবুতরের মাংস খেলে তা রক্তের পরিমাণ ঠিক করতে ভীষণভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও খেতে পারেন বিভিন্ন রকম মাংস। ছোট কচি দেশি মুরগির মাংসও রক্ত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়াও পরিমাণ মতো গরুর মাংস খেতে পারেন।
  • কলার মোচা ও সাচঃ কলার মোচা ও সাচ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে রক্ত বৃদ্ধিতে তাই রক্তবৃদ্ধি করার জন্য নিয়মিত খেতে পারেন। 
  • পরিমিত পানি পানঃ পরিমিতা পানি পান করা খুবই উপকারী। আমাদের শরীরে পানির গুরুত্ব অপরিসীম। শরীরের রক্ত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং রক্ত সঞ্চালন অব্যাহত রাখে। 
  • নিয়মত ব্যায়ামঃ মায়েদের জন্য নিয়মিত ব্যায়াম খুবই উপকারী ভূমিকা পালন করে। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। নিয়মিত ব্যায়াম রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। 
  • ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবারঃ ফলিক এসিড সমৃদ্ধ সবজি বা যে কোন খাবার গর্ভাবস্থায় খাওয়া উচিত এতে রক্ত বাড়ে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য: শালগম, ওকোরা, স্পাউটস ইত্যাদি খেতে পারেন। 
  • স্যুপঃ অনেকেই গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন শাকসবজি এবং ফলমূল খেতে রুচি হারিয়ে ফেলেন। এই শাক সবজি এবং ফল দিয়ে স্যুপ বানিয়ে খেতে পারেন। এছাড়াও মাংসের সুপ খেতে পারেন। রক্ত বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • রঙিন শাকসবজি এবং ফলমূলঃ আরো সহজ ভাবে বলতে গেলে রঙিন শাকসবজি এবং ফলমূল নিয়মিত খাবেন। অবস্থায় রক্ত বৃদ্ধিতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 
  • ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াঃ যেসব খাবারে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন রয়েছে সে ধরনের খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন। গর্ভাবস্থায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, ফাইবার, পটাশিয়াম ইত্যাদি ভিটামিনের প্রয়োজন রয়েছে। এটি শরীরে রক্তকণিকা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • মধুঃ প্রতিদিন পরিমাণ মতো মধু খেতে পারেন এটি আয়রনের একটি ভালো উৎসব। এছাড়াও মধুতে রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ ও কপার। তার শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। 
  • ডিম ও দুধঃ ডিম ও দুধ গর্ভাবস্থায় নিয়মিত খাওয়া খুবই জরুরী। এটি শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন সঞ্চালন করতে সাহায্য করে। তাই গর্ভবতী মায়েদের নিয়মিত এবং পরিমাণ মতো ডিম ও দুধ খাওয়া উচিত।
  • মাছঃ আমি সেই প্রধান উৎস গুলোর মধ্যে মাছ অন্যতম। তাই নিয়মিত মাছ খাবেন। এছাড়াও মাছের কলিজা রক্ত বৃদ্ধিতে দারুন ভূমিকা পালন করে। তাই মাছের কলিজা আপনার খাবারের লিস্টে রাখতে পারেন।
  • টক ফলঃ নিয়মিত টক ফল খেতে পারেন। লেবু,কমলালেবু এছাড়াও রয়েছে নানারকম টক স্বাদ যুক্ত ফল। টক ফল শরীরে ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ করে।

অর্থাৎ আমরা বলতে পারি গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত খাবার খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরের রক্তশূন্যতা দূর করা সম্ভব। খাবার খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে দ্রুত রক্ত বৃদ্ধি করতে পারি। শরীরের রক্ত প্রাকৃতিকভাবে দ্রুত বৃদ্ধি করার একমাত্র উপায় পর্যাপ্ত এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার। তাই গর্ভবতীর সুস্থতার জন্য এবং বাচ্চার সুস্থতার জন্য শরীরের রক্তের পরিমাণ ঠিক রাখতে উপযুক্ত খাবার খাওয়া প্রয়োজন।

বাচ্চাদের শরীরের রক্ত বৃদ্ধি করার উপায় 

বাচ্চাদের শরীরের রক্ত বৃদ্ধি করার উপায় সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জানাবো। বাচ্চার সুস্থতার জন্য রক্তের পরিমাণ ঠিক থাকা অত্যন্ত জরুরি। রক্ত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও বাচ্চার শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সাহায্য করে। তাই বড় হোক বা বাচ্চা সকলের শরীর সুস্থ রাখতে সঠিক পরিমাণ রক্ত থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

শরীরে-রক্ত-বৃদ্ধি-করার-উপায়
রক্তের পরিমাণ কম হলে বা রক্তস্বল্পতা দেখা দিলে নানা রকম রোগব্যাধির জন্ম হয় শরীরে। দৈনন্দিন জীবনে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই রক্তস্বল্পতা দেখা দিলে বাচ্চাদের কিছু পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানোর মাধ্যমে এবং সঠিক নিয়ম-কানুন মেনে চলার মাধ্যমে শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করতে পারেন। বাচ্চাদের শরীরের রক্ত বৃদ্ধি করার উপায় আজ আপনাদের জানাবো।

  • শিশুর শরীরে আয়রনের ঘাটতি থাকলে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। 
  • শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য রক্তের পরিমাণ সঠিক থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রক্তস্বল্পতা দেখা দিলে শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে বাধাপ্রাপ্ত হয়। তাই প্রয়োজনীয় শাক সবজি খাওয়াতে হবে বাচ্চাদের। 
  • ধীরে ধীরে আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। যেমন: মাছ মাংস। 
  • অনেক বাচ্চারাই শাকসবজি খেতে চায় না। বাচ্চাদের শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করতে প্রতিদিন খাবারের তালিকায় শাক-সবজি রাখা উচিত। শাকসবজি বয়েল করে অথবা খিচুড়ির মধ্যে দিয়ে রান্না করে বাচ্চাদের খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন। 
  • ফলমূল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। শিশুরা খাবার খেতে চায় না সহজে। তাই সারাদিনে একটু একটু করে ফল খেতে দিন। এভাবে খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন।
  • প্রতিদিনের খাবারে আমিষ জাতীয় খাবার রাখার চেষ্টা করুন এটি রক্ত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। 
  • ভিটামিন-সি রয়েছে এমন ফল অথবা শাকসবজি রাখার চেষ্টা করুন প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা। 
  • লৌহ জাতীয় উপাদান আছে এমন খাবার প্রতিদিনের তালিকায় রাখুন। 
  • ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ান বাচ্চাকে। এতে বাচ্চার শরীরে রক্তবৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। 
  • ভিটামিন-বি১২ জাতীয় খাবার প্রতিদিন খাওয়ানোর চেষ্টা করুন এটি রক্ত বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। 
  • শিশুদের পেটে কৃমি রক্তস্বল্পতার একটি প্রধান কারণ। কৃমির কারণে অ্যানিমিয়া রোগের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। পেটে থাকা কৃমি সব পুষ্টি উপাদান বিনষ্ট করে ফেলে। ফলে কোন ভিটামিন বাচ্চার শরীরে কাজ করে না। তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে বাচ্চার সুস্থতা নিশ্চিত। করুন কৃমি রোগের চিকিৎসা করুন। 
  • এসব নিয়মে শিশুকে খাবার খাওয়ানোর পরেও যদি রক্তশূন্যতা লক্ষ্য করেন তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এবং টেস্টের মাধ্যমে সঠিক কারণ বের করুন রক্তশূন্যতার। 
  • দুগ্ধ জাতীয় খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস তৈরি করুন। দুগ্ধ জাতীয় খাবার রক্ত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। 
  • ডিম খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। একটু একটু করে ডিম খাওয়ানোর চেষ্টা করুন বাচ্চাকে এতে বাচ্চার শরীরে রক্ত বৃদ্ধি পাবে। 
  • ব্রকলি, টমেটো, গাজর, বাদাম জাতীয় খাবার একটু একটু করে খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। এই খাবারগুলো রক্ত তৈরিতে দারুন ভূমিকা পালন করে।

বাচ্চার সুস্থতা নিশ্চিত করতে রক্তস্বল্পতা দূর করতে হবে। একটি বাচ্চার শরীরে যদি রক্তের পরিমাণ কম থাকে সে বাচ্চা কখনোই সুস্থ সবল হতে পারে না। বাচ্চার শরীরে রক্ত কম থাকলে বাচ্চা নিজেকে দুর্বল অনুভব করে। তাই নিয়মিত খাবার গুলো একটু একটু করে খাওয়ানোর অভ্যাস তৈরি করুন। এতে বাচ্চা ভেতর থেকে স্ট্রং হবে। আশা করছি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর উপায় 

রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর উপায় আজ আপনাদের জানাবো। হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে নানা রকম রোগ ব্যাধি হতে পারে। শরীরের রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। তাই নিয়মিত খাওয়া-দাওয়া এবং কিছু নিয়ম ফলো করার মাধ্যমে শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ রক্তের জন্য। 

সাধারণত হিমোগ্লোবিন হলো রক্তে অবস্থিত একটি প্রোটিন। হিমোগ্লোবিন লোহিত রক্ত কণিকার মধ্যে অবস্থান করে। এটি রক্তের সান্দ্রতা এবং ঘনত্ব বজায় রাখে। রক্তের ঘনত্ব পরিবর্তন হলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই আমরা বুঝতেই পারছি রক্তে হিমোগ্লোবিন কতটা গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ আমাদের উচিত নিয়মিত এবং পরিমিত খাবার গ্রহণের মধ্যে দিয়ে হিমোগ্লোবিন নিয়ন্ত্রণে রাখা। 

রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর উপায় সমূহঃ

  • নিয়মিত ফল খেতে হবে কারণ ফলে পর্যাপ্ত আয়রন থাকে যা হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে। 
  • নিয়মিত আপেল খেয়ে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখা সম্ভব। আপেলকে আয়রনের উৎস বলা হয়। তাই নিয়মিত আপেল খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন।
  • পরিমিত শাকসবজি খেতে হবে। শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করলে শরীরে হিমোগ্লোবিন বাড়ানো সম্ভব। বিটরুট, গাজর, টমেটো, ব্রকলি ইত্যাদি সবজি খেতে পারেন এগুলো আয়রনের উৎস।
  • হিমোগ্লোবিন বাড়াতে ডার্ক চকলেট খেতে পারেন। এটি ভালো একটি ফলাফল দেয়।
  • ড্রাই ফুড খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে পারেন এটি হিমোগ্লোবিন বাড়ায়। যেমন: কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, পেস্তা বাদাম, কিসমিস, খেজুর ইত্যাদি।
  • সামুদ্রিক মাছে পর্যাপ্ত আয়রন থাকে। সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার মাধ্যমে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াতে পারেন। 
  • প্রাণিজ খাদ্য যেমন: কলিজা, ডিম, দুধ, মাংস ইত্যাদি খাওয়ার মধ্য দিয়ে খুব সহজে শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে পারেন। এই খাবারগুলো শরীর দ্রত। 
  • আমিষ জাতীয় খাবার কে বেশি গুরুত্ব দিবেন। সবচাইতে বড় ভূমিকা পালন করে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে।

হিমোগ্লোবিনের মূল কাজ প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়া। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে অ্যানিমিয়া সহ আরো নানার সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। রক্ত সরবরাহ কমে গেলে বা না হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ সঠিক রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই খাবারগুলো নিয়মিত পরিমান মত খান তাহলে ভালো একটি ফলাফল পাবেন আশা করছি। 

শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধির উপায় 

শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধির উপায় আপনাদের জানাবো আজকের পোস্টে। শরীরের সঠিক ভাবে রক্ত সঞ্চালন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে শরীর সুস্থ থাকে। রক্ত সঞ্চালনে বাধা পেলে নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কিছু নিয়ম মেনে এবং খাদ্যাভাসের কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করা সম্ভব। চলুন উপায় গুলো জেনে নিই:

আরো পড়ুনঃ ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ দূর করার উপায়

  • শরীরের রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করবেন। সারাক্ষণ বসে থাকা শুয়ে থাকা এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই খারাপ। তাই পর্যাপ্ত হাঁটাচলা করা উচিত। 
  • পরিমিত খাবার খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে পারেন। আমাদের শরীরে খাবার খুব বড় একটি ভূমিকা পালন করে। সঠিক খাবার নির্বাচন করা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 
  • গোলমরিচ প্রতিদিনের খাবারের মধ্যে রাখতে পারেন। প্রতিদিনের খাবারে একটু করে গোল মরিচ মিশিয়ে খাবেন। এটি রক্ত সঞ্চালন করতে দারুন কাজ করে। আপনার খাদ্য তালিকায় গোলমরিচ রাখুন। 
  • ফলমূল আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রক্ত সঞ্চালনের জন্য পরিমিত ফল খাওয়া উচিত। প্রতিদিন কিছুটা ফলমূল খাওয়ার চেষ্টা করবেন এতে রক্ত সঞ্চালনে বাধা পাবে না। 
  • তরমুজ রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে দারুন ভূমিকা রাখে। তরমুজ খাওয়ার মাধ্যমে আপনার শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে পারেন। 
  • কফি, চা অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া বর্জন করুন। এটি রক্ত সঞ্চালনে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। 
  • সিগারেট এবং যেকোনো ড্রিংক খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। দীর্ঘ সময় ধরে এসব খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করলে রক্ত সঞ্চালনে বাধাপ্রাপ্ত হয়। 
  • আপনার যে জিনিসে অ্যালার্জি আছে তা থেকে বিরত থাকুন। 
  • হাটাহাটি, সাইকেল চালানো, সাঁতার যেকোনো প্রতিযোগিতার মধ্যে নিজেকে রাখুন। নিয়মিত শরীরচর্চার মাধ্যমে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে। 
  • রঙিন শাকসবজি বেশি খাওয়ার চেষ্টা করুন। 
  • সাইট্রাস জাতীয় খাদ্য বেশি খাওয়ার চেষ্টা করুন। শরীরের রক্তচলাচল বা সঞ্চালনে সাহায্য করে। 
  • বাদাম এবং বিভিন্ন ধরনের শুকনো খাবার বা ড্রাই ফুড খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন এটি রক্ত সঞ্চালনের সাহায্য করে। 
  • স্বাস্থ্যকর খাবার নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করবেন এটি সবচাইতে ভালো উপায় রক্ত সঞ্চালন বাড়ানোর। 
  • পেঁয়াজ, গাজর, বিটরুট, বেদনা, আঙ্গুর এ ধরনের খাবার নিয়মিত খান। শরীরে রক্ত সঞ্চালনের সাহায্য করবে।
  • কমলা , আমলকি, লেবু এছাড়াও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খান এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এগুলো রক্ত সঞ্চালন নিয়ন্ত্রণ করে। 
  • তামাক জাত এবং অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন। এগুলো রক্তনালি শুরু করে দেয়। এতে রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা দেখা দেয়। 
  • হাত-পা, গলা, ঘাড়, কোমর নিয়মিত মেসেজ করুন। এর ফলে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। 

এসব টিপস গুলো ফলো করে এবং এ ধরনের খাবার নিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে আপনার শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে পারেন। রক্ত সঞ্চালন সঠিকভাবে হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রক্ত সঞ্চালনে বাধা পেলে নানা রকম রোগব্যাধি দেখা দেয়। হাত পায়ে ব্যথা সহ মাথা ঝিমঝিম করে। তাই রক্ত সঞ্চালন সঠিক নিয়মে হওয়া আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে নিয়মগুলো মেনে চলুন। 

শরীরে রক্ত কম হওয়ার লক্ষণ 

শরীরে রক্ত কম হওয়া লক্ষণগুলো আপনাদের সাথে আলোচনা করব। নানা কারণে আমাদের শরীরের রক্তস্বল্পতা দেখা যায়। আর এই রক্তস্বল্পতার জন্য নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকি আমরা। এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবন নানা অসুস্থতার কারণে বাধা প্রাপ্ত হয়। তাই শরীরের রক্তের পরিমাণ সঠিক থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চলুন জেনে নিই শরীরের রক্ত কম হওয়ার লক্ষণগুলো: 

কোন একটি মানুষ এর শরীরে যদি রক্তস্বল্পতা দেখা দেয় তাহলে নানারকম উপসর্গ দেখা যাবে। দৈনন্দিন জীবনে সে নানা সমস্যায় ভুগবে। কারন আমাদের শরীরে রক্ত একমাত্র মাধ্যম যার সাহায্যে প্রতিটি অঙ্গপ্রতঙ্গে অক্সিজেন পৌঁছে যায়। আর বর্জনকারী খারাপ উপাদান গুলো ফিরে আসে। প্রয়োজনের তুলনায় শরীরের রক্তের পরিমাণ কমে গেলে যেসব লক্ষণের মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারবো তা নিচে দেওয়া হলোঃ

  • শরীরে রক্ত কমে গেলে অল্পতেই অনেক বেশি ক্লান্ত লাগবে। 
  • শরীরে দুর্বলতা অনুভব হবে রক্ত কম হয়ে গেলে। 
  • মাথা ঘোরার সমস্যা দেখা দিবে। 
  • এমনকি তীব্র মাথাব্যথা ও হতে পারে। 
  • শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। 
  • হৃদস্পন্দন বেড়ে যাবে। 
  • রক্ত অতিরিক্ত কমে গেলে হাত-পা কাঁপা সমস্যা দেখা দিবে। এমনকি মারা যাওয়ার মত অনুভূতি হবে। 
  • রক্তস্বল্পতার কারণে কারো কারো হাত-পা কলা গাছের মতো ফুলে যেতে পারে। 
  • রক্ত কমে গেলে হাত পা এবং চোখ হলুদ হয়ে যায়। মুখের কালার ফ্যাকাসে হয়ে যায়। 
  • অবসাদে ভুগবেন। রক্তস্বল্পতা দেখা দিলে মুখের স্বাদ থাকবেনা। 
  • শারীরিকভাবে এতটাই দুর্বল হয়ে যাবে যে কোন কাজ করার আগ্রহ তৈরি হবে না। 
  • অনেকেই দুর্বলতার কারণে মাঝে মাঝে মাথা ঘুরে পড়ে যায় এটি হতে পারে রক্তস্বল্পতার একটি লক্ষণ। 
  • নিয়মিত ঘুম হবেনা ঘুমের সমস্যা দেখা দিবে।    
  • খাবারের প্রতি একটি অনিহা সৃষ্টি হবে। 
  • বুক ধরফর করা এবং চোখের ঝাপসা দেখা এসব সমস্যা হতে পারে।

এমন নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে রক্তস্বল্পতার জন্য। এই লক্ষণ গুলো দেখে আমরা বুঝতে পারবো যে শরীরে রক্ত কম আছে। এটি আমাদের দেশে একটি অন্যতম সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নারী পুরুষ সকলেই রক্তশূন্যতায় ভুগছে। রক্তশূন্যতার কারন হাজার হাজার রোগ সনাক্ত করা হচ্ছে। তাই আমরা সকলে একটু সাবধানে থাকবো এবং জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করব। 

শরীরের রক্ত কম হওয়ার কারণ 

শরীরের রক্ত কম হওয়ার কারণ কি হতে পারে? চলুন জেনে নিই শরীরে রক্ত কেন কমে যায়? কেন আমরা রক্তস্বল্পতায় ভুগি। আর এত সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় আমাদের। রক্তস্বল্পতা আমাদের দেশে প্রধান সমস্যা কয়েক টির মধ্যে একটি হয়ে দাঁড়িয়েছে। নারী-পুরুষ সকলের মধ্যে এর সমস্যাটি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আর গর্ভবতীদের তো এই সমস্যা অহরহ। এর কারণ কি?

শরীরে-রক্ত-বৃদ্ধি-করার-উপায়
শরীরের রক্ত কম হওয়ার কারণ আমাদের সকলের কাছেই অস্পষ্ট। আমরা কেউই সঠিক ভাবে বলতে পারব না কেন শরীরের রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়? কি অনিয়ম করে থাকি আমরা? আপনাদের বলতে চাই পরিমাণ মতো খাবার খেতে হবে। সঠিক খাবার বাছাই করতে হবে। চলুন শরীরে রক্ত কম হওয়ার কারণগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। যেমনঃ
  • অতিরিক্ত রক্তপাত। অতিরিক্ত রক্তপাত হতে পারে রক্তস্বল্পতার একটি প্রধান কারণ। পিরিয়ডের সময় যাদের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয় তারা ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। জানতে হবে এটি স্বাভাবিক নাকি অস্বাভাবিক।
  • রক্তে লোহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন হ্রাস পেলে শরীরে রক্তের পরিমাণ কমে যায়।
  • লোহিত রক্তকণিকার অস্বাভাবিক ভাঙ্গনের কারণে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। 
  • এছাড়াও রক্তপাতের কারণ হতে পারে ট্রমা এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনার।
  • রক্তকণিকা উৎপাদন হ্রাস এবং লোহিত কণিকা ভাঙ্গনের কারণ গুলোর মধ্যে প্রধান কারণ হচ্ছে আয়রনের ঘাটতি।
  • এছাড়াও শরীরের রক্ত কম হওয়ার কারণ ভিটামিন বি১২ এবং থ্যালাসেমিয়ার ঘাটতি।
  • শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। 
  • শরীরে লৌহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই লৌহ এর পরিমাণ কমে গেলে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। 
  • প্রোটিনের চাহিদা পূরণ না হলে শরীরে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। 
  • গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায় সে সময় রক্ত রক্তস্বল্পতা একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। 
  • অনেক ক্ষেত্রে শরীরে হরমোনাল কারণে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। হরমোনের কারণে ঠিকমতো হিমোগ্লোবিন তৈরি হয় না ফলে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। 
  • অনেকের বংশগত কারণে শরীরে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। 
  • নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করলে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। 
  • ধুমপান করলে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। 
  • অ্যালকোহল সেবন করলে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয় ।

অর্থাৎ আমরা বলতে পারি উপরোক্ত কারণে শরীরে রক্তের পরিমাণ কমে যায়। এসব কাছ থেকে বিরত থাকুন। সে রক্তের পরিমাণ ঠিক রাখতে নিয়মিত এবং পরিমাণ মতো খাবার খান ব্যায়াম করুন। রক্তস্বল্পতার কারণে নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই নিয়ম গুলো মেনে চলুন। শরীরে আয়রন, লৌহ, এবং হিমোগ্লোবিন এর পরিমাণ সঠিক রাখার চেষ্টা করুন।

শরীরের রক্ত কম হলে কি রোগ হয় 

শরীরের রক্ত কম হলে কি রোগ হয় আজকে আপনাদের এ বিষয়ে কিছুটা ধারণা দিব। রক্তস্বল্পতা একটি মারাত্মক সমস্যা। নানান কারণে শরীরে রক্ত স্বল্পতা দেখা দেয়। এবং তার লক্ষণগুলো উপরে আলোচনা করেছি। আপনাদের এখন জানাতে চাই শরীরের রক্ত কমে গেলে কি রোগের সম্মুখীন হতে হবে। এছাড়াও কি কি সমস্যা হতে পারে সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। 

রক্ত আমাদের শরীরে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি যোজক কলা। রক্ত একমাত্র মাধ্যম যার শরীরের প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গে অক্সিজেন পৌঁছে দেয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং নানা রকম রোগ থেকে আমাদের মুক্তি দেয়। এজন্য শরীরের রক্ত কমে গেলে নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। শরীরের সঠিক পরিমাণ রক্ত থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চলুন দেখে নিন শরীরে রক্ত কমে গেলে কি রোগ হয়ঃ

আরো পড়ুনঃ বেগুন খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা

  • একটি মানুষের শরীরে ৮ শতাংশ রক্ত থাকে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ৫ থেকে ৬ লিটার রক্ত থাকে তার বডিতে। শরীরে রক্ত কমে গেলে অক্সিজেন পরিবহনে এক বিশাল সমস্যা দেখা দেয়। 
  • এছাড়াও অল্প কাজ করলেই ক্লান্তি চলে আসে। 
  • দুর্বলতা অনুভব হয়। 
  • শ্বাসকষ্ট হয়। 
  • মাথাব্যথা হয়। 
  • ব্যায়াম করার সক্ষমতা হারিয়ে যায়। অল্পতেই অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। 
  • হৃদ স্পন্দন বেড়ে যায়। বুক ধরফর করে। 
  • এছাড়াও রক্তস্বল্পতা দেখা দিলে একটি বড় সমস্যা হয় তাহলে অ্যানিমিয়া। রক্তস্বল্পতার কারণে এই রোগটি হয়ে থাকে। 
  • রক্তের প্রধান প্রোটিন হলো হিমোগ্লোবিন যা অক্সিজেন পরিবহনের সাহায্য করে। রক্ত কমে গেলে অক্সিজেন পরিবহনে এক বিশাল বাধা হয়ে দাঁড়ায়। যার ফলে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। 
  • অক্সিজেন পরিবহন কোনভাবে রোধ হয়ে গেলে রক্তস্বল্পতার কারণে সেই মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। 
  • রক্তস্বল্পতার কারণে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে। 
  • জীবাণু ধ্বংস করতে ব্যর্থ হবে। 
  • এলার্জি প্রতিরোধে ব্যর্থ হবে। 

এমন নানার সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। শরীরে নানা রোগব্যাধি বাসা বাঁধবে। তাই রক্তস্বল্পতা একটি মারাত্মক রোগ বলা যায়। রক্তস্বল্পতার কারণে অ্যানিমিয়া পর্যন্ত হতে পারে। তাই শরীরে সঠিক পরিমাণ রক্ত থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক কথায় বলা যায় বাধ্যতামূলক সুস্থ জীবন যাপন করার জন্য। তাই আমরা সঠিক নিয়ম মেনে চলবো এবং পর্যাপ্ত খাবার খাবো 

মন্তব্যঃ শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করার উপায় 

শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করার উপায় সম্পর্কে আজকের পোস্টে আলোচনা করেছি। ছাড়াও জানিয়েছি, কি খেলে রক্ত বৃদ্ধি পাবে, বাচ্চাদের রক্ত বৃদ্ধির উপায়, গর্ভাবস্থায় রক্ত বৃদ্ধির উপায়। আশা করি উপকৃত হয়েছেন। আমার নিজস্ব মতামত হল বেঁচে থাকতে হলে এবং সুস্থ জীবন যাপন করতে হলে শরীরে সঠিক পরিমাণ রক্ত থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দৈনন্দিন জীবনের নানা কারণে রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে। 

সঠিক খাদ্য খাওয়ার মাধ্যমে আমরা তা পূরণ করার চেষ্টা করবো। সুস্থভাবে বাঁচতে হলে সুষম খাদ্য খুবই প্রয়োজনীয়। তাই আমাদের সকলের উচিত নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখা। পর্যাপ্ত পরিমাণ শাক-সবজি ফলমূল খাওয়া প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং অভিজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া। আশা করি পোস্টটি পড়ে ভালো লেগেছে। আর কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন। ধন্যবাদ।

 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডেইলি ডাইরির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url