বিকাশ সেভিংস এর মুনাফার হার সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

বিকাশ সেভিংস এর মুনাফার হার আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন। বিকাশ আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যবহারকৃত একটি অ্যাপ। আজকের পোস্টে বিকাশ সেভিংস মুনাফা, টাকা তোলা এবং বিকাশ সেভিংস একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো।
বিকাশ-সেভিংস-এর-মুনাফার-হার
এছাড়াও জানতে পারবেন বিকাশ সেভিংস কতটা নিরাপদ, বিকাশ সেভিংস এর সুবিধা এবং কত টাকা রাখা যায়। টাকা লেনদেনে বিকাশ সবচাইতে বেশি এগিয়ে। মনোযোগ দিয়ে পোস্টটি পড়ুন আশা করি উপকৃত হবেন।

পেইজ সূচিপত্রঃ বিকাশ সেভিংস এর মুনাফার হার 

বিকাশ সেভিংস এর মুনাফার হার 

বিকাশ সেভিংস এর মুনাফার হার সম্পর্কে জানার অনেক বেশি আগ্রহ আপনাদের। নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আপনাদের বিশ্বাসের একটি বড় জায়গা জুড়ে কাজ করে বিকাশ। বিকাশ একাউন্টে টাকা জমানোর মাধ্যমে আপনি বছরে প্রায় ৩% লাভ অর্থাৎ ইন্টারেস্ট পেতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন এটি শুধুমাত্র বিকাশ ব্যবহারকারী অর্থাৎ কাস্টমারের জন্য প্রযোজ্য হবে।
 
মুনাফা বা ইন্টারেস্ট রেটঃ
  • ৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা জমা রাখলে আপনি বছরে প্রায় ০.৫ শতাংশ ইন্টারেস্ট পাবেন। 
  • ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষণ ৫০ টাকা জমা রাখলে আপনি বছরে প্রায় ১ শতাংশ ইন্টারেস্ট পাবেন। 
  • ১ লক্ষ্য ৫০ হাজার থেকে ২ লক্ষ্য ৫০ হাজার টাকা জমা রাখলে আপনি বছরে প্রায় ২ শতাংশ ইন্টারেস্ট পাবেন। 
  • ২ লক্ষ্য ৫০ হাজার থেকে ৩ লক্ষ্য প্লাস টাকা রাখলে বছরে প্রায় ৩ শতাংশ ইন্টারেস্ট পাবেন।
বিকাশে সেভিংস মুনাফার হার এভাবেই বৃদ্ধি পায়। বিকাশে আপনি এভাবে সেভিংস করতে পারেন। সর্বোচ্চ তিন শতাংশ ইন্টারেস্ট পাওয়ার সুযোগ পাবেন। তাই বিকাশ একাউন্ট ধারী এই সুযোগটি লুফে নিতে পারেন। এটি টাকা সেভিংস এর জন্য বিশ্বস্ত এবং লাভজনক একটি সাইট হবে আপনার জন্য। তাই আপনি চাইলে এই সুযোগটি নিতে পারেন। আর এই টাকার হিসাব অনুযায়ী বছরে মুনাফা পেতে পারেন। 

বিকাশ সেভিংস এর শর্ত 

বিকাশ সেভিংস এর শর্ত আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। বিকাশ শেভিংস খুবই উপকারী একটি সাইট। তবে এখানে টাকা সেভিংস করতে হলে কিছু শর্ত পালন করতে হবে। তবে আপনি টাকা রাখতে পারবেন এবং বাৎসরিক মুনাফা পেতে পারেন। এটি আপনার জন্য খুবই নিরাপদ। বিকাশে সেভিংস করার আগে আপনার শর্তগুলো অবশ্যই চেনা উচিত। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিকাশ সেভিংস এর শর্ত সমূহঃ 
  • সবার প্রথমে আপনার বিকাশ একাউন্ট থাকতে হবে। 
  • যাদের বিকাশ অ্যাকাউন্ট রয়েছে তারাই বিকাশে সেভিংস এর মাধ্যমে মুনাফা পাওয়ার যোগ্য। 
  • নিয়মিত সর্বনিম্ন ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ব্যালেন্স রাখতে হবে।
  • মাস শেষে প্রতিদিনের ব্যালেন্স কত ছিল তার ওপর নির্ভর করে মুনাফার পরিমাণ হিসাব করা হয়।
  • বিকাশ অ্যাকাউন্ট থাকা অবস্থায় মাসে ৮ থেকে ১০ বার টাকা পয়সা আদান-প্রদান করতে হবে। 
  • মুনাফা পাওয়ার জন্য অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীর একাউন্ট সেটিংসে ইনকামিং লেনদেন অপশনটি একটিভ রাখতে হবে। এর ব্যতীত সে ইন্টারেস্ট পাওয়ার যোগ্য হবে না।
  • ইনকামিং লেনদেন অপশনটি একটিভ করে রাখার পরেও যদি ইন্টারেস্ট না পান। তাহলে কিছুদিন পর আবার চেষ্টা করতে পারেন। তারপরেও যদি না হয় তবে বুঝে যাবেন আপনি সেই ইন্টারেস্ট পাওয়ার জন্য বিবেচিত না। 
  • সরকারি তহবিলে ভ্যাট বা ট্যাক্স জমা হবে। তারপরে আপনি ইন্টারেস্টের টাকা পাবেন। ইন্টারেস্টের টাকা থেকে এই ভ্যাট বা ট্যাক্স কাটা হবে। 
  • বছরে ইন্টারেস্ট ২ বার প্রদানের মাধ্যমে পরিশোধ করা হবে। তাই বলা যায় বিকাশ সেভিংস এর মুনাফার হার আপনার জন্য লাভজনক হবে।

বিকাশ ডিপিএস এর মুনাফা 

বিকাশ ডিপিএস এর মুনাফা সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জানাবো। বিকাশ ডিপিএসে টাকা জমা করতে পারেন। এর বিনিময়ে ইন্টারেস্ট পাবেন। নির্ধারিত টাকা বিকাশ ডিপিএস তৈরি করার জন্য আপনি অবশ্যই পাবেন। আপনাদের দুই ধরনের ডিপিএস এর কথা জানাবো। সাপ্তাহিক ডিপিএস এবং মাসিক ডিপিএস। চলুন বিস্তারিত জেনে নিই ডিপিএস এর মুনাফা সম্পর্কে।
 
সাপ্তাহিক ডিপিএসঃ
  • সাপ্তাহিক ডিপিএসে আপনি সর্বনিম্ন ২৫০ থেকে টাকা রাখা শুরু করতে পারেন। ২৫০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত জমা করতে পারেন। টাকার পরিমান আপনার ইচ্ছা মত নির্ধারণ করবেন। যেমনঃ ২৫০/৫০০/১০০০/২০০০/৫০০০ টাকা জমা করতে পারেন। 
  • এখানে মেয়াদ নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে ৬ মাস অথবা এক বছর। ৬ মাস অথবা বারো মাস থাকবে আপনার সাপ্তাহিক ডিপিএস এর মেয়াদ। 
  • সপ্তাহ শেষে ডিপিএস এর ইন্টারেস্ট সহ পুরো টাকা আপনি বের করে নিতে পারবেন ক্যাশ আউট এর মাধ্যমে। ক্যাশ আউট করতে আপনার কোন খরচ করতে হবে না। অন্য টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। 
  • ডিপিএস খুলতে কাগজ-কলমে কোন ঝামেলা করতে হবে না আপনার।
মাসিক ডিপিএসঃ
  • মাসিক ডিপিএসে আপনি ৫০০ টাকা থেকে ১০০০০ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয় করতে পারবেন। আপনি আপনার সুযোগ-সুবিধা অনুযায়ী ৫০০/১০০০/২০০০ করে করে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত রাখতে পারবেন। 
  • মাসিক ডিপিএস এর মেয়াদ ২ থেকে ৪ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। 
  • সাপ্তাহিক ডিপিএস এর মতো মাসিক ডিপিএসও এবং মেয়াদ শেষে সম্পূর্ণ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। এখানে আপনার কোন খরচ হবে না। 
  • কোন কাগজপত্রের ঝামেলা ছাড়াই টিপিএস খুলে নিতে পারবেন।
মাসিক এবং সাপ্তাহিক ডিপিএস এর মুনাফা হলোঃ৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা রাখলে আপনি ০.৫০% মুনাফা পাবেন। ৫০ হাজার থেকে ১.৫ লক্ষ টাকা রাখলে ১% পারসেন্ট মুনাফা পাবেন। ১.৫ লক্ষ্য থেকে ২.৫ লক্ষ্য টাকা রাখলে আপনি প্রায় ২% মুনাফা পাবেন। ২.৫০ লক্ষ্য থেকে ৩ লক্ষ টাকা রাখলে আপনি প্রায় ৩% মুনাফা পাবেন।  

বিকাশ সেভিংসে একাউন্ট খোলার নিয়ম 

বিকাশ শেভিংসে একাউন্ট খোলার নিয়ম আপনাদের বিস্তারিত জানাবো। বিকাশ সেভিংস এ একাউন্ট খুলতে আপনারা অনেকেই আগ্রহী। কিন্তু এর সঠিক নিয়ম না জানায় কাজটি করতে পারছেন না। তাই সঠিক নিয়মে বিকাশ সেভিংস একাউন্ট খুলতে আপনার জন্য আজকের পোস্ট। পোস্টটি পড়ে সঠিক নিয়মে বিকাশ একাউন্টে বিকাশ সেভিংস চালু করুন।
বিকাশ-সেভিংস-এর-মুনাফার-হার
  • সপ্তাহের সপ্তাহে অথবা মাসে টাকা জমাতে বিকাশ সেভিংস একাউন্ট খুবই কাজে আসবে আপনার। বিকাশ অ্যাকউন্ট খুলতে আপনার একটি স্মার্টফোনের দরকার হবে।
  • এবং লাগবে আপনার এনআইডি কার্ড। আপনার যদি না থাকে তাহলে আপনার আব্বু আম্মুর এনআইডি কার্ড ব্যবহার করতে পারেন। 
  • বিকাশ অ্যাপ ইনস্টল করবেন। তারপর প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো দিয়ে একাউন্ট তৈরি করবেন। অর্থাৎ রেজিস্ট্রেশন করে নিবেন। 
  • আপনার ফোন নাম্বারটি অপারেটরে দিবেন। 
  • আপনার ফোন নাম্বারটি যাচাই করার জন্য একটি ভেরিফিকেশন কোড আসবে তা বসাবেন। 
  • পরের ধাপে এনআইডি কার্ডের ছবি দরকার হবে। এন আইডি কার্ডের সম্পূর্ণ ছবি তুলবেন অর্থাৎ সামনের সাইডে এবং পিছনের সাইডে দুই দিকেরই ছবি দরকার হবে। 
  • মনে রাখবেন যার এনআইডি কার্ড ব্যবহার করছেন তার উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক। তার ছবি তুলে ছবিটি ভেরিফিকেশন করতে হবে। 
  • এভাবেই পরবর্তী ধাপ গুলো এগিয়ে যান। প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করুন। 
  • সবকিছু ঠিকমত পূরণ করার পর সাবমিট করে জমা দিয়ে দিন। 
  • আপনার যাবতীয় তথ্যগুলো যাচাই করতে সময় লাগবে অপেক্ষা করবেন। ক্ষেত্রে দুইদিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। 
  • ভেরিফিকেশন কমপ্লিট হওয়ার পর আপনার কাছে একটি কোড অথবা পিন আসবে। তিন দিনের মধ্যে এই কোডটি অ্যাপে বসাতে হবে। সাধারণত পিনটি হয় পাঁচ সংখ্যার। 
  • এবার অ্যাকাউন্টটি বিকাশ অ্যাপ এ লগইন করতে পারেন। 
  • অবশ্যই আপনার কোড বা পিন নিজের কাছে রাখবেন। মনে রাখার চেষ্টা করবেন এটি প্রয়োজন পড়বে। এছাড়াও খেয়াল রাখবেন তা যেন অন্য কেউ জানতে না পারে। 

বিকাশ সেভিংসে টাকা তোলার নিয়ম 

বিকাশ সেভিংসে টাকা তোলার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। বিকাশ সেভিংস এ সাপ্তাহিক অথবা মাসিক ভাবে টাকা রাখতে পারেন। এই পদ্ধতিতে আপনার টাকা ব্যাংকে জমা হবে এবং আপনি মুনাফা পাবেন। আপনার ইচ্ছামত সাপ্তাহিক অথবা মাসিক বিকাশ সেভিংসে ডিপিএস রাখতে পারেন। সাপ্তাহিক ডিপিএস এ সর্বনিম্ন ২৫০ টাকা থেকে জমা রাখতে পারেন। মাসিক ডিপিএসে ৫০০ টাকা থেকে জমাতে পারেন। 
 
সাপ্তাহিক ডিপিএস ৬ থেকে ১২ মাস রাখতে পারেন। আর মাসিক ডিপিএসে ২ থেকে ৪ বছর টাকা রাখতে পারেন। বিকাশ সেভিংসে টাকা তোলার নিয়ম হল এটি আপনি নির্ধারিত সময়ের পর উত্তোলন করতে পারবেন ক্যাশ আউটের মাধ্যমে। সবচাইতে বড় কথা এখানে টাকার পরিমান যতই হোক ক্যাশ আউট করতে কোন খরচের প্রয়োজন হবে না। আশা করি বুঝতে পেরেছেন বিকাশ সেভিংস এ টাকা উত্তোলনের নিয়ম। 

বিকাশ সেভিংস কতটা নিরাপদ 

বিকাশ সেভিংস কতটা নিরাপদ এ প্রশ্নটা কম বেশি আমাদের সবার মাথায় আসে। কারণ টাকা পয়সার বিষয়ে একটু বেশি সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। বিকাশ একটি জনপ্রিয় অ্যাপ আমাদের কাছে। এটি অন্যান্য অ্যাপের তুলনায় অনেক বেশি নিরাপদ একটি প্ল্যাটফর্ম। বিকাশ সেভিংস এ রয়েছে নানা রকম সুযোগ-সুবিধা। এছাড়াও রয়েছে ডিপিএস করে ইন্টারেস্ট নেওয়ার সুযোগ।  
 
আপনারা অনেকেই মনে করেন বিকাশে কিভাবে আবার টাকা রাখা যায়। বিকাশে টাকা রাখা মানে ফোনেই টাকা রেখে দেওয়া। কিন্তু না এটি বাংলাদেশ ব্যাংক আওতাভুক্ত। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদিত একটি বাণিজ্যিক প্ল্যাটফর্ম। আপনার টাকাগুলো বিকাশে রাখার মাধ্যমে ব্যাংকে জমা হয়। এটি আপনার জন্য যথেষ্ট নিরাপদ।
  • বিকাশ সেভিংসে টাকা রাখার জন্য আপনাকে একটি পিন দেওয়া হয়। আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে আপনার নিরাপত্তা অটুট রাখতে এই পিনটি কারো সাথে শেয়ার করবেন না অর্থাৎ কাউকে জানাবেন না। এটি আপনার সেফটি হিসাবে কাজ করে। 
  • বিকাশ সেভিংসে টাকা লেনদেন করার সময় যেকোনো কারণে আপনাকে মেসেজ বা ইমেইল করা হলে তার দিকে খেয়াল রাখুন। কোন সমস্যা হলে বা কোন প্রয়োজনে এই মেসেজ বা ইমেইলের মাধ্যমে আপনাকে সজাগ করে দেওয়া হয়। তাই বিকাশ সেভিংসের মেসেজ বা ইমেইল গুরুত্ব সহকারে দেখুন। 
  • আপনি আপনার বিকাশ সেভিংস এ বীমা করতে পারেন। আপনার জন্য রয়েছে বীমা সুবিধা এবং সুরক্ষা ব্যবস্থা। বিকাশ সাভিং বীমাতে আপনি সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা সুরক্ষিত রাখতে পারবেন। 
  • বিকাশ সার্ভিসিং আপনাদের জন্য চালু রয়েছে। গ্রাহকদের সহায়তা করার জন্য রয়েছে সহায়তা কেন্দ্র। আপনার যেকোনো সমস্যায় আপনি বিকাশ সার্ভিসিং সেন্টারে কল করতে পারেন। 
এমন নানা সুবিধা পাবেন আপনি বিকাশ সেভিংস এর মাধ্যমে। এখানে আপনার টাকা বা আপনার সেভিংস অত্যন্ত নিরাপদে থাকবে। টাকাটি ব্যাংকে জমা হয়। এখানে আপনার দুশ্চিন্তার কিছু নেই। নিশ্চিতে আপনি আপনার টাকা বিকাশ জিপিএসে জমা করতে পারেন। আশা করছি আজকের পোস্টটি পড়ে উপকৃত হবেন। এবং নিশ্চিন্তে বিকাশ ডিপিএসে সেভিংস করতে পারবেন। 

বিকাশ সেভিংস এর সুবিধা 

বিকাশ সেভিংস এর সুবিধা গুলো কি কি চলুন জেনে নেওয়া যাক । বর্তমান সময়ে বিকাশ খুবই জনপ্রিয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দৈনন্দিন জীবনে বিকাশ অ্যাপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আমাদের প্রয়োজনে। এটি আমাদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। মানে বলতে চাচ্ছি বিকাশ সেভিংস এর মাধ্যমে আমরা অনেকটা নিরাপদে সঞ্চয় করতে পারি। বিকাশ লেনদেন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। 
 
এখন বিকাশ লেনদেনের পাশাপাশি আমরা বিকাশ সেভিংস সুবিধা টাও পাচ্ছি। বিকাশ সেভিংস বলতে বোঝানো হয়েছে টাকা সঞ্চয় বা জমানো। এখানে আমরা সহজেই সাপ্তাহিক অথবা মাসিকভাবে টাকা জমাতে পারি। বিকাশের মধ্য দিয়ে এটি বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা হয়। অর্থাৎ বলা যায় বিকাশ আপনাদের জন্য যথেষ্ট নিরাপদ একটি প্ল্যাটফর্ম। বিকাশ সেভিংস এর সুবিধা গুলো জেনে নিনঃ
  • বিকাশ সেভিংসে খুব সহজে অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। আপনি যেখানেই অবস্থান করুন মুহূর্তের মধ্যে বিকাশ সেভিংস এ একাউন্ট খুলতে পারেন। 
  • এখানে কোনরকম ডকুমেন্ট বা কাগজের দরকার পড়ে না। আপনি মুহূর্তেই কোনরকম কাগজ ছাড়া যে কোন জায়গায় একাউন্ট খুলে নিতে পারবেন। 
  • আপনি সর্বনিম্ন ২৫০ টাকা থেকে জমা করা শুরু করতে পারবেন। টাকার পরিমান আপনার ইচ্ছামত বাড়াতে পারেন। 
  • আপনি সাপ্তাহিক অথবা মাসিকভাবে বিকাশ সেভিংস করতে পারেন। ছয় মাস থেকে চার বছর পর্যন্ত আপনাকে টাকা জমানোর সুবিধা দিচ্ছে বিকাশ সেভিংস। 
  • বিকাশ সেভিংসে মুনাফার হার রয়েছে প্রায় ৩% পর্যন্ত। যা আপনার জন্য অত্যন্ত লাভজনক হবে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় বিকাল সেভিংস এ টাকা রাখা আপনার জন্য লাভজনক হবে। 
  • বিকাশ সেভিংস এর আরেকটি বড় সুবিধা হল আপনি যে কোন সময় টাকা জমাতে পারেন এবং আপনার প্রয়োজনে টাকা তুলতে পারেন। টাকা লেনদেনের এই বড় সুবিধাটি আপনি পেয়ে যাবেন বিকাশ সেভিংসে। 
  • বিকাশ সেভিংস আপনার জন্য খুবই নিরাপদ হবে। আপনি নিশ্চিন্তে বিকাশ সেভিংস এ টাকা জমাতে পারেন। বিকাশ বাংলাদেশ ব্যাংক আওতাভুক্ত। তা আপনি আপনার সাবধানতা অবলম্বন করে বিকাশে সেভিংস করতে পারেন। আপনার জন্য খুবই উপকারী একটি ভূমিকা পালন করবে।

বিকাশ সেভিংস এর অসুবিধা 

বিকাশ সেভিংস এর অসুবিধা গুলো আপনাদের সাথে আলোচনা করব। বিকাশ সেভিংসে কিছু ঝুঁকি রয়েছে। যা আপনারা নিজেদের ভুলের মাধ্যমে তৈরি করতে পারেন। তাই টাকা পয়সার ক্ষেত্রে একটু সাবধান হওয়া প্রয়োজন বিকাশ সেভিংস এর অসুবিধা গুলো জেনে রাখলে সেখানে আপনি সাবধানতা অবলম্বন করতে পারবেন। এবং এর সম্ভাব্য ঝুঁকি গুলো এড়ানো সম্ভব হবে।
বিকাশ-সেভিংস-এর-মুনাফার-হার
  • অনেক সময় বিকাশ সেভিংস সাইবার হামলার শিকার হয়। অন্যান্য সাইটের মত বিকাশ সেভিংসকেও এ সমস্যায় পড়তে হয়। সাইবার হামলার কথা চিন্তা করলে বিকাশ একটু ঝুঁকিপূর্ণ। এবং এটি বিকাশের সবচাইতে বড় অসুবিধা। 
  • নাম্বার ভুল হওয়ার মাধ্যমে আপনি একটি বড় অসুবিধায় পড়তে পারেন। অনেক সময় ভুল নাম্বারে টাকা চলে যায় তখন অনেক অসুবিধায় পড়তে হয়। এটি একটি বিকাশের অসুবিধা ভুল নাম্বারে টাকা গেলে তা ফিরে পাওয়া খুবই কষ্টকর হয়। তাই নাম্বার লেখার সময় সাবধানতা অবলম্বন করবেন। 
  • অনেক সময় দেখা যায় আপনারা পিন হারিয়ে ফেলেন এটি বিকাশের একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনার পিন যদি হারিয়ে যায় বা অন্য কেউ জানতে পারে তাহলে সে আপনাকে বিপদে ফেলতে পারবে। তাই আপনার পিন নাম্বার গোপনীয় রাখার চেষ্টা করবেন। ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে পারবেন

বিকাশ সেভিংস এর সর্তকতা 

বিকাশ সেভিংস এর সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। বিকাশ সেভিংস এ কিছু সতর্কতা ব্যবস্থা পালন করার মাধ্যমে আমরা আমাদের সেভিংস নিরাপদে রাখতে পারব। তাই বিকাশ সেভিংস সতর্কতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাদের কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে বিকাশ সেভিংস একাউন্টের ক্ষেত্রে। তাহলে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা থেকে মুক্তি পাবেন।  
 
  • আপনার একাউন্টে একটি শক্তিশালী মজবুত পিন ব্যবহার করবেন। অর্থাৎ আমি বুঝাতে চাচ্ছি এমন পিন ব্যবহার করবেন না যা মানুষ সহজেই জেনে যাবে বা ধারণা করতে পারবে। তাই আনকমন পিন এবং শক্তিশালী পিন নির্বাচন করুন। 
  • শুধু শক্তিশালী পিন নির্বাচন করলেই হবে না। সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করতে পিন টি মাঝে মাঝেই পরিবর্তন করুন। এতে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে। 
  • আপনি সপ্তাহে অথবা মাসে কতবার কার সাথে লেনদেন করছেন সে বিষয়গুলো ক্লিয়ার রাখুন। এবং নিশ্চিত হতে পুরনো লেনদেনে একটু চোখ বুলিয়ে নিন। এতে আপনার ভুল ভ্রান্তি থাকলে চোখে পড়বে। 
  • আপনার যতই কাছের মানুষ হোক বিকাশ সেভিংস অথবা আর্থিক লেনদেনের কোন তথ্য কারো সাথে শেয়ার করবেন না। এতে আপনি নিজেই নিজের ক্ষতি করবেন। একসময় বড় সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই এই তথ্যগুলো গোপনীয় রাখুন। 
  • অস্বাভাবিক আদান-প্রদান যদি আপনার চোখে পড়ে তাহলে বিকাশ সার্ভিস সেন্টারে জানান। এতে অনৈতিক কাজগুলোর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো যাবে। 

মন্তব্যঃ বিকাশ সেভিংস এর মুনাফার হার 

বিকাশ সেভিংস এর মুনাফার হার নিয়ে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করেছি আজকের পোস্টে। এছাড়াও আপনাদের জানিয়েছি বিকাশ সেভিংস একাউন্ট খোলার নিয়ম, টাকা তোলার নিয়ম সম্পর্কে। বিকাশ সেভিংস কতটা নিরাপদ, ব্যবহারের সুবিধা- অসুবিধা এবং সতর্কতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনি পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন।
 
আপনি আপনার প্রয়োজন এবং সুবিধা অনুযায়ী বিকাশ সেভিংস একাউন্ট খুলতে পারেন। এতে সর্বোচ্চ তিন শতাংশ মুনাফা পাবেন। তবে আমার নিজস্ব মতামত বিকাশ সেভিংস এ টাকা রাখলে নিজস্ব সতর্কতা অবলম্বন করবেন। টাকা পয়সা যেখানে রাখুন এ বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করার প্রয়োজন রয়েছে। পোস্টটি পড়ে কেমন লাগলো কমেন্টে জানাবেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডেইলি ডাইরির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url