সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়
সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়, তা নিয়ে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো আজকের পোস্টে। আজকের পোস্টটি পড়ে এবং নিয়মগুলো ফলো করে আপনি দ্রুত শরীরের ওজন বাড়াতে পারবেন।
পেইজ সূচিপত্রঃসকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়
- সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়
- রাতে কি খেলে ওজন বাড়ে
- দ্রুত ওজন বাড়ে কি খেলে
- মোটা হওয়ার ব্যায়াম
- মেয়েদের মোটা হওয়ার ব্যায়াম
- ছেলেদের মোটা হওয়ার ব্যায়াম
- কোন ভিটামিন খেলে ওজন বাড়ে
- বাচ্চাদের ওজন বাড়ানোর উপায়
- পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই মোটা হওয়ার উপায়
- মন্তব্যঃ সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়
সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়
সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায় তা নিয়ে থাকছে আজকের আলোচনা। আপনারা অনেকেই নিজের ওজন নিয়ে চিন্তিত। ওজন কম হওয়ার কারণে আপনাকে অনেক রোগা দেখায়, যার কারণে অনেক অস্বস্তিকর মুহূর্তের সৃষ্টি হয়। মানুষের সাথে চলাফেরা করতে কমফোর্টেবল ফিল করেন না আপনি। আপনার রোগা চেহারা লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই যারা নিজের ওজন বাড়াতে চান সম্পূর্ণ পোস্টটি পূরণ।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে খুব দ্রুত মোটা হওয়া সম্ভব। সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায় তা যদি আপনি জেনে থাকেন তাহলে আপনার জন্য শরীরের ওজন বাড়ানো সহজ হয়ে যায়। আপনাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছে যারা তাদের বয়স অনুসারে ওজনটা ঠিক রাখতে পারেননি। বয়স অনুযায়ী ওজন অনেক কম। তো এই রোগা পাতলা মানুষগুলোর সব সময় একটাই চিন্তা, কিভাবে মোটা হওয়া যায়?
মোটা হওয়ার বিভিন্ন উপায় এর মধ্যে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে নিজের ওজন বাড়ানো সবচাইতে ভালো আপনার স্বাস্থ্যের জন্য। আবার অনেকেই আছেন কৃত্রিম ভাবে মোটা হওয়ার জন্য বিভিন্ন ঔষধ এবং বিভিন্ন সাপ্লিমেন্ট নিয়ে থাকেন। তবে মনে রাখবেন এটি সাময়িকভাবে একটি ভালো রেজাল্ট দেখালেও পরবর্তীতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া করবে।
এবং আপনি সে ঔষধ বা সাপ্লিমেন্ট খাওয়া বাদ দিয়ে দিলে আবার আগের মত হয়ে যাবেন। এছাড়াও শারীরিক ক্ষতি করতে পারে। আবার হরমোনাল পরিবর্তন করে ফেলতে পারে কৃত্রিম উপায় গুলো। তাই খাবার খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের ওজন বাড়ানো আপনার জন্য সঠিক উপায়। নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং পরিমিত খাবার খান আপনি ভেতর থেকে সুস্থ থাকবেন এবং স্বাস্থ্যবান হবেন।
দেখে নেওয়া যাক সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়। আপনারা অনেকেই সকালে ভারী খাবার খাওয়া পছন্দ করেন না। হালকা খাবার খেতে চান। অনেকেই আছেন যারা সকালের খাবারটি খেতে চান না। মনে রাখবেন এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।বিশেষজ্ঞরা বলে সকালের খাবার পেট ভরে খাওয়া উচিত। সকালের খাবার প্রতিদিন বাদ দিলে স্বাস্থ্যের সাথে স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- ডিমঃ খাদ্য তালিকায় নিয়মিত রাখার চেষ্টা করুন। শরীরের ওজন বাড়াতে ডিম কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। ডিমের কুসুমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট বা চর্বি এবং সাদা অংশে রয়েছে প্রোটিন। যা আপনার শরীরের ক্ষয় পূরণ করতে সাহায্য করবে। এবং আপনাকে স্বাস্থ্যকর হতে সাহায্য করবেন।
- দুধঃ নিয়মিত সকালে দুধ খাওয়ার মাধ্যমে ওজন বাড়ানো সম্ভব। দুধে রয়েছে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি। দুধে থাকা এসব উপাদান গুলো আপনার ওজন বৃদ্ধিতে বিশাল ভূমিকা পালন করবে।
- কার্বোহাইড্রেটঃ কার্বোহাইড্রেট পুষ্টি উপাদান রয়েছে এমন খাবার নির্বাচন করুন এবং নিয়মিত পরিমাণ মতো খাওয়ার চেষ্টা করুন। কার্বোহাইড্রেট বলতে ভাত সহ দানা জাতীয় খাবার কে বোঝানো হয়েছে। যেমনঃ রুটি, পাউরুটি, নান পরোটা এবং বিভিন্ন ধরনের কেক। এসব খাবারে পর্যাপ্ত ক্যালরি ও কার্বোহাইড্রেট থাকে তাই আপনি নিয়মিত খাবার লিস্টে রাখতে পারেন।
- ড্রাই ফুডঃ যেকোনো ধরনের ড্রাইভ ফুড খেতে পারেন এগুলো আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আপনার শরীরের ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে।
- কিসমিসঃ রোজ রাতে এক গ্লাস পানির মধ্যে এক মুঠো কিসমিস ভিজিয়ে রাখুন তারপর সকালে প্রতিদিন খান। নিজের পরিবর্তন নিজেই দেখতে পাবেন। কিসমিসে রয়েছে শর্করা ও ক্যালরি যা আপনার ওজন বাড়াতে ভীষণ সাহায্য করবে।
- বিভিন্ন ধরনের বাদামঃ বিভিন্ন ধরনের বাদাম খাওয়ার মাধ্যমে নিজের ওজন বাড়াতে পারেন। প্রতিদিন সকালে বাদাম খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করেন। কাঠবাদাম, পেস্তা বাদাম, কাজুবাদাম ইত্যাদি রাখতে পারেন আপনার খাবারের লিস্টে। বাদামে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন ও ফ্যাট। এসব পুষ্টি উপাদান ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
- ছোলাঃ রোজ রাতে ছোলা ভিজিয়ে রেখে সকালে খোসা ছিলিয়ে খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। ছোলাতে রয়েছে প্রোটিন ও ভিটামিন যা আপনার দ্রুত ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
- চেরি ফলঃ নিয়মিত চেরি ফল খেতে পারেন এটি আপনার ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করবেন। চেরি ফলে রয়েছে ক্যালোরি ও শর্করা যা ওজন বৃদ্ধিতে একটি দারুণ ভূমিকা পালন করে।
- মিষ্টান্নঃ সকালে মিষ্টি খেলে যদি একটু গা গুলায় তবুও সবচাইতে ভালো ফলাফল পেতে প্রতিদিনের খাবারে মিষ্টান্ন রাখতে পারেন। মিষ্টিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট এবং ক্যালরি যা আপনার ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
- চিনিঃ চিনি ওজন বৃদ্ধিতে দারুন ভূমিকা পালন করে। এজন্য মোটা মানুষদের চিনি থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। যেহেতু আপনি ওজন বাড়াতে চান তাই প্রতিদিনের খাবারে চিনি রাখতে পারেন। চিনি কার্বোহাইড্রেট এবং ক্যালরির শূন্যতা পূরণে করে। এসব উপাদান মোটা হতে সাহায্য করে।
- আখরোটঃ ছোলা,কিসমিস এবং বাদামের সাথে আখরোট খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে পারেন। আখরোটে রয়েছে শর্করা এবং প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি। এটি আপনাকে সাহায্য করবে ওজন বৃদ্ধিতে।
- মেয়োনিজঃ সকালের খাবারের সাথে মেয়োনিজ মিশিয়ে খেতে পারেন। মেয়োনিজে রয়েছে ইমালসন তেল, ডিম(কুসুম), কিছুটা ভিনেগার এবং কয়েক ধরনের মসলা। তাই প্রতিদিন খাবারের সাথে মেয়োনিজ মিশিয়ে খেলে এটি আপনার ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। এছাড়াও স্যালাদ এর সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। মেয়োনিজ খাবারের টেস্ট বাড়িয়ে দেয়। মিউ নিজের রয়েছে স্যাচুরেটেড ফ্যাট ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
এসব খাবার নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করুন। অল্প কিছু দিনের মধ্যে আপনি আপনার পরিবর্তন দেখতে পাবেন। এগুলো সব স্বাস্থ্যকর খাবার যা কোনো সাইড ইফেক্ট ছাড়াই আপনার ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় স্বাস্থ্যকর এই খাবারগুলো অ্যাড করুন। এবং প্রাকৃতিকভাবে নিজের ওজন বাড়ান। সকালে খালি পেটে এইসব খাওয়ার মাধ্যমে নিজের ওজন বাড়ানো সম্ভব।
রাতে কি খেলে ওজন বাড়ে
রাতে কি খেলে ওজন বারে তা নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। স্বাস্থ্যকর খাবার নিয়মিত ঘুম এবং হালকা ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন বাড়ানো সম্ভব। আপনাকে সঠিক খাবার নির্বাচন করতে হবে স্বাস্থ্যকর শরীর পেতে হলে। ফিট থাকার জন্য নিয়মিত খাবার এবং পর্যাপ্ত ব্যায়াম খুবই দরকার। আপনারা জানতে চেয়েছেন রাতে কি খেলে ওজন বাড়ে।
রাতে ঘুমানোর আগে ছোলা খেতে পারেন। এছাড়াও সন্ধার পরে কিছুটা ব্যায়াম করতে পারেন শরীরে ঘাম বেশি ঝরাবেন না। একটু করে ব্যায়াম করবেন এবং একটু করে রেস্ট করবেন তবেই আপনার স্বাস্থ্য ফিট রাখা সম্ভব। ওজন বৃদ্ধি করতে অবশ্যই রাতে পেট ভরে খাবেন। এবং কিছুক্ষণ পর ঘুমিয়ে পড়বেন। সাথে সাথে শুয়ে পড়বেন না দশ মিনিট হাটাহাটির পর শুয়ে পড়বেন তবে আর গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
অবশ্যই পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে না হলে শরীরের ওজন বাড়ানো সম্ভব নয়। সঠিক টাইমে ঘুমাতে যাবেন। রাত দশটার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়বেন আবার সকাল ছয়টা বা সাতটার মধ্যে ঘুম থেকে উঠবে। প্রতিদিন একই সময় ঘুমাতে যাবেন এবং একই সময় ঘুম থেকে উঠবেন। মানসিকভাবে সুস্থ থাকার চেষ্টা করবেন। নিয়ম গুলো মেনে চললে ওজন দ্রুত বাড়ানো সম্ভব।
দ্রুত ওজন বাড়ে কি খেলে
দ্রুত ওজন বারে কি খেলে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। ওজন বৃদ্ধি করার জন্য হয়তো অনেক উপায় অবলম্বন করেছেন। তবে মনে রাখবেন ভালো ফলাফলের জন্য সঠিক উপায় অবলম্বন করা জরুরী। তাই অপ্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিয়ে, দ্রুত ওজন বাড়ে এমন খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। সঠিক খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে আপনার ওজন বাড়ানো সম্ভব।
আরো পড়ুনঃ শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করার ১০ টি কার্যকারী উপায়
- ড্রাই ফুডঃ দ্রুত এবং ভালো ফলাফল পেতে নিয়মিত ড্রাই ফ্রুট খাওয়ার অভ্যাস করুন। ড্রাই ফুড এর মধ্যে রয়েছে কিসমিস,বাদাম , ছোলা,আখরোট ইত্যাদি। এই খাবারগুলো আপনি সারাদিনে ঘুরে ঘুরে খেতে পারেন। তবে সবচাইতে ভালো ফলাফল পেতে রাতে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন সকালে এগুলো ফুলে নরম হয়ে যায় তখন খেতে পারেন।
- নিয়মিত ঘুমঃ স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য এবং নিজেকে ফিট রাখার জন্য ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত ঘুমানোর চেষ্টা করুন। অতিরিক্ত রাত জাগবেন না এতে স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। সঠিক সময় ঘুমাতে যান এবং সঠিক সময় ঘুম থেকে উঠুন। ঘুমের ঘাটতি থাকলে স্বাস্থ্য ঠিক করা সম্ভব নয়।
- ভাত খানঃ হাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট তাই একটু বেশি পরিমাণে ভাত খান। দিনে তিনবারের জায়গায় চার থেকে পাঁচবার ভাত খান। ভাত আপনার ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। আপনি চাইলে পান্তা ভাতও খেতে পারেন।
- মিষ্টান্ন জাতীয় খাবারঃ মিষ্টান্ন জাতীয় খাবার আপনার ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। কারণ মিষ্টিতে থাকে দুধ এবং প্রচুর পরিমাণে চিনি যা আপনার ওজনকে বাড়াবে। তাই সারাদিনে অন্তত একবার একটি করে মিষ্টি খান।
- চিনি জাতীয় খাবারঃ চিনি মিশ্রিত অথবা চিনি জাতীয় খাবার আপনার শরীরের ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে। চিনিতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট এবং শর্করা যা ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে তাই প্রতিদিনের খাবারে চিনি রাখুন।
- ফাস্টফুডঃ যেকোনো তেল যুক্ত খাবার ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তবে খেয়াল রাখবেন অতিরিক্ত তেল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ। বা অনেক পুরনো তেলে রান্না করা কোন কিছু খাওয়া একদমই উচিত না। এতে গ্যাস্টিকের বিশাল সমস্যা দেখা দেয়। আপনি অবশ্যই ফাস্টফুড খেতে পারেন তবে তা বাসায় তৈরি স্বাস্থ্যকর হলে আপনার জন্য সবচাইতে ভালো হবে।
- প্রোটিনঃ প্রোটিন উপাদানে ভরপুর এমন খাবার আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনাকে ওজন বৃদ্ধিতে দারুন সাহায্য করবে। মাছ, মাংস, দুধ ইত্যাদি প্রতিদিন খাওয়ার চেষ্টা করুন। যেকোনো তৈলাক্ত বা চর্বিযুক্ত মাছ মোটা হওয়ার জন্য উপকারী। মাছ-মাংসে প্রচুর পরিমাণে চর্বি, প্রোটিন এবং পুষ্টি উপাদানে ভরপুর থাকে। তাই নিয়মিত প্রোটিন খান।
- বিটরুটঃ বিটরুটে রয়েছে শর্করা ও কার্বোহাইড্রেট। কার্বোহাইড্রেট আপনার ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। শর্করা অর্থাৎ চিনির পরিমাণ আপনার শরীরে বেড়ে গেলে আপনার ওজন এমনিতেই বৃদ্ধি পাবে।
- আলুঃ আলু ওজন বৃদ্ধিতে দারুন সাহায্য করে। আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট। আলু কমবেশি সব সবজিতেই ব্যবহার করা যায়। দ্রুত ওজন বাড়াতে আলুর প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। দিনের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই আলুর ব্যবহার রাখুন।
- নারকেলঃ নিয়মিত নারকেল খেতে পারেন নারকেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি উপাদান। তাই নিয়মিত নারকেল খাওয়ার মাধ্যমে আপনার ওজন দ্রুত বাড়াতে পারেন।
- খোরমাঃখুরমা আপনার ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে তাই খুরমা খাওয়ার চেষ্টা করুন।
- রসুনঃ সকালে খালি পেটে এক কোয়া রসুন এবং এক গ্লাস পানি খেতে পারেন এতে আপনার রুচি বৃদ্ধি পাবে ফলে ওজন বৃদ্ধিতেও সাহায্য করবে।
- কলাঃ নিয়মিত কলা খাওয়ার মাধ্যমে আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে পারেন কলায় অনেক পুষ্টি উপাদান আছে যা ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
এই খাবারগুলো নিত্যদিনের খাবার তালিকায় রাখুন এতে খুব দ্রুত আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে। শরীরের ওজন বৃদ্ধি করতে চাইলে কিছুদিন এই রুটিন অনুযায়ী খাবার খান। তাহলে ভালো ফলাফল পাবেন। রাতারাতি কখনো মোটা হওয়া বা ওজন বৃদ্ধি করার চেষ্টা করবেন না। এটা সম্ভব না। যদি সম্ভব হয়ও তাহলে এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই মারাত্মক হবে। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে নিজের ওজন বাড়ান।
মোটা হওয়ার ব্যায়াম
মোটা হওয়ার ব্যায়াম সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানতে চান। অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন কি ধরনের ব্যায়াম করার মাধ্যমে ওজন বৃদ্ধি করা যায়। নিয়মিত কিছু ব্যায়াম করার মাধ্যমে ওজন বৃদ্ধি করতে পারেন। প্রয়োজনের তুলনায় এবং বয়সের তুলনায় ওজন কম থাকলে নানা অস্বস্তিকর মুহূর্তে করতে হয়। তাই স্বাস্থ্যকে ফিট রাখতে কি ধরনের ব্যায়াম করা প্রয়োজন তা নিয়ে থাকছে বিস্তারিত আলোচনা।
যেমনঃ- হালকা হাটাহাটিঃ পেট ভরে খাওয়ার ২৫ থেকে ৩০ মিনিট পর হালকা হাঁটাহাঁটি করবেন। এটি আপনার খাবার হজমে সাহায্য করবে। অতিরিক্ত শুয়ে বসে থাকা শরীরের জন্য ভালো নয় এতে নানা রকম রোগের সৃষ্টি হয়। তাই প্রতিদিন কিছুটা হাটাহাটির চেষ্টা করবেন।
- সাইকেলিংঃ সাইকেলিং করার মাধ্যমে মোটা হওয়া সম্ভব। তবে খেয়াল রাখবেন অতিরিক্ত চাপ নিয়ে কোন কিছু করা যাবে না। বেশি জোরে জোরে সাইকেলিং করলে আপনার অতিরিক্ত ঘাম ঝরতে পারে। তাই তাড়াহুড়া না করে আস্তে আস্তে সাইকেল চালান কিছুক্ষণ।
- সাঁতারঃ নিজেকে ফিট রাখতে নিয়মিত সাঁতার কাটুন। সাঁতার কাটার মাধ্যমে ওজন বাড়ানো সম্ভব। তবে মনে রাখবেন রেসিং এ যাবেন না। এতে আপনার ওজন বৃদ্ধি না পেয়ে হ্রাস পাবে। তাই নিয়মিত হালকা পাতলা সাঁতার কাটা অভ্যাস করতে পারেন ফিট থাকতে।
- ওয়েট লিফটিংঃ ওয়েট লিফটিং এর মাধ্যমে আপনি খুব ভালো ফলাফল পাবেন। রেগুলার অল্প অল্প করে ওজন তোলার চেষ্টা করুন। দরকার হলে দুই কেজি থেকে ওজন তোলা শুরু করুন তারপর ধীরে ধীরে বাড়ান। এটি আপনার ওজন বৃদ্ধিতে দারুন সাহায্য করবে। তবে মনে রাখবেন যে ওজন আপনি তুলতে পারবেন না তা প্রথমেই চেষ্টা করবেন না কোন কিছুই অতিরিক্ত ভালো নয়।
- স্কোয়াডঃ নিয়মিত স্কোয়াড ব্যায়ামের অভ্যাস তৈরি করুন। খুব বেশি বার করার দরকার নেই ২-৩ বার করে করে রেস্ট নিন। অতিরিক্ত ঘাম ছড়াবেন না এতে আপনার ওজন না বেড়ে বরং কমে যাবে।
- যোগ ব্যায়ামঃ সুখী হওয়ার জন্য এবং সুস্থ জীবন যাপনের জন্য যোগাসন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার ফিটনেস ধরে রাখতে সাহায্য করবে। তাই নিয়মিত যোগাসন বা যোগব্যায়াম করতে পারেন।
- জিমঃ নিজেকে ফির রাখতে এবং ওজন বৃদ্ধি করতে জিমে যেতে পারেন। এটি আপনাকে ভালো ফলাফল দিবে। তবে খেয়াল রাখবেন অতিরিক্ত সময় ধরে জিম করা যাবে না অর্থাৎ অতিরিক্ত ঘাম ঝরানো যাবে না। একটু জিম করে একটু রেস্ট নিন।
এই ব্যায়াম গুলো নিয়মিত করার মাধ্যমে শরীরের ওজন বৃদ্ধি করা সম্ভব। স্বাস্থ্যকর খাওয়া দেওয়ার পাশাপাশি হালকা পাতলা জিম করার চেষ্টা করুন। জিম শরীরকে ফিট রাখতে অত্যন্ত উপকারী ভূমিকা পালন করে। তাই দিনের কিছুটা সময় ব্যায়াম করুন। এ নিয়ম গুলো মেনে চললে আপনার শরীরের ওজন অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বৃদ্ধি পাবে।
মেয়েদের মোটা হওয়ার ব্যায়াম
মেয়েদের মোটা হওয়ার ব্যায়াম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। নিজেকে ফিট রাখতে হলে স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি ব্যায়াম করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে মনে রাখবেন মেয়েদের ক্ষেত্রে শুধু স্বাস্থ্যকর খাবার আর ব্যায়াম শরীরকে মোটা করতে পারে না। লাইফ স্টাইলের কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসতে হয়। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি সময়মতো খাবার খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এইজন্য মেয়েদের লাইফ স্টাইলের কিছুটা পরিবর্তন নিয়ে আসলে তবেই মোটা হওয়া সম্ভব। রাস্তার ধারের অস্বাস্থ্যকর ঝাল অথবা টক খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এটি মেয়েরা বেশি করে থাকেন। এই অভ্যাসটা পরিবর্তন করলে আপনার মোটা হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। এছাড়াও মেয়েদের বাজে অভ্যাস সময়ের খাবার সময়ে খেতে চায় না আবার দিনে তিন বেলার জায়গায় এক বেলা খাবার খেয়ে থাকে।
তাই এই অভ্যাসগুলো পরিবর্তন করতে হবে। এমনকি মেয়েদের মধ্যে এই প্রবণতা দেখা
যায়, যে রেডি হয়ে লিপস্টিক লাগানোর পর থেকে খাবার খাওয়া বন্ধ করে দেন। আপনি
যদি মোটা হতে চান তাহলে এই অভ্যাসগুলো বা লাইফস্টাইল পরিবর্তন করতে হবে।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি কিছুটা ব্যায়াম করতে হবে। চলুন দেখে নেই
মেয়েদের ব্যায়ামগুলোঃ
- হাটাহাটি
- সাইকেলিং
- সাঁতার
- যোগব্যায়
- ওয়েট লিফটিং
- স্কোয়াড ইত্যাদি।
ছেলেদের মোটা হওয়ার ব্যায়াম
ছেলেদের মোটা হওয়ার ব্যায়াম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। বেশিরভাগ ছেলেদের এই সমস্যাটি দেখা যায় বয়সের তুলনায় ওজন বৃদ্ধি পায় না। তাদের জন্য পরামর্শ থাকবে রাত জাগা কমিয়ে দেওয়ার। নিয়মিত ঘুমাতে যান এবং সঠিক সময় ঘুম থেকে উঠুন। শুধু ব্যায়াম করলেই হবে না স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। ড্রাই ফুড খাওয়ার চেষ্টা করুন এতে আপনার ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।
আরো পড়ুনঃ বেগুন খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা
ছেলেদের ওজন কম থাকলে খুব বেমানান দেখায়। এছাড়াও নানা অস্থিতিকর অবস্থার
সম্মুখীন হতে হয়। তাই ওজন বৃদ্ধিতে শুধু ব্যায়াম নয় পাশাপাশি খেতে হবে
স্বাস্থ্যকর খাবার। সুন্দর লাইফ স্টাইলের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ভালো রাখা সম্ভব।
ছেলেদের জন্য মোটা হওয়ার সবচাইতে কার্যকরী পরামর্শ নেশাদ্রব্য ত্যাগ করুন। নেশাদ
দ্রব্য আপনার শরীরের অবনতি করে। কার্টুন দেখে নেওয়া যাক ছেলেদের মোটা হওয়ার
ব্যায়ামঃ
- জিম
- সাঁতার
- সাইকেলিং
- বুক ডাউন
- ওয়েট লিফটিং
- স্কোয়াড ইত্যাদি।
কোন ভিটামিন খেলে ওজন বাড়ে
কোন ভিটামিন খেলে ওজন বাড়ে আপনারা অনেকেই এ প্রশ্নের উত্তর জানতে চান। শরীরে ওজন বাড়াতে হলে স্বাস্থ্যকর খাবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খাবার খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম জরুরী। কিছুটা ব্যায়াম করার মাধ্যমে নিজেকে ফিট রাখা সম্ভব। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন ভিটামিন খেলে ওজন বাড়ে। নিচে উল্লেখিত ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন ওজন বাড়াতে।
- ভিটামিন-বি
- ভিটামিন-বি ১২
- ফলেট
- চর্বি বা ফ্যাট
- প্রোটিন
- কার্বোহাইড্রেট
- ফাইবার
- শর্করা
- খনিজ লবণ
- পানি
- আয়রন
এমন পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার আপনার ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। তাই ওজন বৃদ্ধিতে মাছ-মাংস, দুধ, ডিম, শাক-সবজি, মিষ্টান্ন, ভাত, পানি, চিনি, খেজুর,কলা, বাদাম, কিসমিস, ছোলা, আখরোট রুট, ফ্রেস ফল, মেয়োনিজ,মিষ্টি ইত্যাদি আপনার প্রতিদিনের খাবার তালিকায় রাখুন। এসব ভিটামিন আপনার স্বাস্থ্য ফিট রাখতে বা ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
বাচ্চাদের ওজন বাড়ানোর উপায়
বাচ্চাদের ওজন বাড়ানোর উপায় আপনারা অনেকেই জানতে চান। বাচ্চারা তেমন কিছু খেতে চায় না। ফলে স্বাস্থ্য ঠিক রাখা কষ্টকর হয়ে যায়। বাচ্চাদের সঠিক খাবার খাওয়ানোর মাধ্যমে শরীর ফিট রাখা সম্ভব। বাচ্চাদের ওজন ঠিক না থাকলে এটি একটি বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই স্বাস্থ্যকর এবং সঠিক খাবার খাওয়ানোর মাধ্যমে বাঁচার ওজন ঠিক রাখা জরুরী।
- বাচ্চা একটু বড় হওয়ার পর থেকে সুষম খাদ্য খাওয়ানোর চেষ্টা করুন।
- বাচ্চার স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রেখে বাহিরের খোলামেলা জায়গার কোন খাবার খাওয়াবেন না।
- ফ্রুট কালার ব্যবহৃত হয় এমন খাবার থেকে বাচ্চাদের দূরে রাখবেন।
- ফ্রুট কালার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই খারাপ এটি হরমোনাল পরিবর্তন করে ফেলে।
- চিপস এবং যেকোনো কোমল পানীয় থেকে বাচ্চাদের দূরে রাখুন।
- সারাদিনে বাচ্চাদের বেশ কয়েকবার সুষম খাওয়ার দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
- অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে বাচ্চাদের দূরে রাখুন। এসব খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস তৈরি করবেন না। সবসময় স্বাস্থ্যকর খাবার দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
- খাবারের পাশাপাশি ফ্রেশ ফ্রুট খেতে দিতে পারেন। যেকোনো ধরনের জাঙ্ক ফুড থেকে বাচ্চাদের দূরে রাখুন।
- বাচ্চাদের পুষ্টিকর খাবার খেতে দিন। ধীরে ধীরে মাছ-মাংস ডিম দুধ এগুলো খানার অভ্যাস তৈরি করুন।
- খাদ্য তালিকা বার বার পরিবর্তন করুন। একই খাবার বারবার দিবেন না এতে বাঁচার খাবারের প্রতি অরুচি চলে আসতে পারে।
- বাচ্চা একটু বড় হলে তাকে নিজে হাতে খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে সাহায্য করুন। এতে সে তার পছন্দমত খাবার নির্বাচন করে খেতে পারবে। এতে আপনি বুঝতে পারবেন বাচ্চা কোন খাবার খেতে পছন্দ করছে।
- প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে অবশ্যই আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়াবেন।
- বাচ্চাদের সব সময় স্বাস্থ্যবান খাবার দেবেন। নিয়ম গুলো ফলো করার মাধ্যমে বাচ্চার ওজন বাড়ানোর সম্ভব। এবং স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারবেন।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই মোটা হওয়ার উপায়
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। স্বাস্থ্যকর খাবার ও কিছুটা ব্যায়াম করার মাধ্যমে মোটা হওয়া সম্ভব কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়ায়। আপনি যদি মেডিসিন অথবা সাপ্লিমেন্ট নিয়ে থাকেন তাহলে এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ হবে। এছাড়াও কোন এক সময় এই কৃত্রিম উপাদান গুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিবে।
আরো পড়ুনঃ ইলিশ মাছ চেনার ৫ টি উপায়
তাই কোন কিছু সেবন করার মাধ্যমে মোটা হওয়ার চেষ্টা করবেন না এটি আপনার জন্য ক্ষতিকর। এছাড়াও ঔষধ খাওয়ার মাধ্যমে মোটা হলে ঔষধ খাওয়া ছেড়ে দিলে তার তীব্র প্রভাব দেখা যায়। শারীরিক অবস্থা আরো অবনতি হয় এমনটাও লক্ষ্য করা যায়। প্রাকৃতিকভাবে অর্থাৎ স্বাস্থ্যকর খাবার এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে নিজেকে ফিট করার চেষ্টা করুন।
- সকালে খালি পেটে আগের রাতে ভিজিয়ে রাখা বাদাম, কিসমিস, ছোলা খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন।
- পর্যাপ্ত প্রোটিন খাওয়ার চেষ্টা করুন।
- নিয়মিত খাবার খান।
- এক বেলার খাবারও বাদ দেওয়া যাবেনা।
- পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন।
- পরিমিত পানি খান।
- পুষ্টিকর খাবার খান।
- খাবারের শাকসবজি রাখেন।
- নিয়মিত দুধ খান।
- প্রতিদিন ডিম খান।
- ফ্রেশ ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন।
- মুখের রুচি বাড়াতে মধু খান।
- তৈলাক্ত মাছ খান।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
- তিনবারের জায়গায় দিনে চার-পাঁচবার খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
- স্বাস্থ্যকর ফাস্টফুড খান।
- কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বেশি খান।
- স্বাস্থ্যকর খাবার এবং নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে আপনার ওজন বৃদ্ধি করা সম্ভব কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই। তাই পর্যাপ্ত খাবার গ্রহণ করুন। এবং শরীরকে ফিট রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
মন্তব্যঃ সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়
সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এছাড়াও দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করার উপায় এবং বাচ্চাদের ওজন বৃদ্ধি করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনারা অবশ্যই কৃত্রিমভাবে চেষ্টা না করে, স্বাস্থ্যকর খাবার এবং হালকা ব্যায়াম এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য ফিট রাখা এবং ওজন বৃদ্ধি করার চেষ্টা করবেন।
এটি আপনার জন্য সবচাইতে ভালো হবে। কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা সাইড ইফেক্ট এর সম্ভাবনা নাই। ফলে আপনি ভেতর থেকে সুস্থ থাকবেন এবং শারীরিকভাবে ফিট হতে পারবেন। আশা করছি পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন। ভালো লাগলে কমেন্ট করে জানাবেন। এগুলোর বাহিরে যদি আর কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট সেকশনে জানাবেন আমি আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ।
ডেইলি ডাইরির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url