অল্প পুঁজিতে ১০ টি লাভজনক ব্যবসার গোপন ট্রিকস

অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা করার উপায় আপনাদের জানাবো। অনেকেই বাজেট স্বল্পতার কারণে ব্যবসা শুরু করতে ভয় পান। কিছু করার অদম্য ইচ্ছা থাকলেও সাহস করে উঠতে পারেন না। তাদের জন্যই আজকের পোস্ট।

অল্প-পুঁজিতে-লাভজনক-ব্যবসা

আজকের পোস্টে আপনাদের জানাবো কি করে অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। এই গোপন ট্রিকস গুলো জানতে পুরো পোস্টটি পড়ুন। গ্রাম ও শহরের লাভজনক ব্যবসা গুলো তুলে ধরবো এই পোস্টে। 

পেইজ সূচিপত্রঃ অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা

অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা 

অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা করার আগ্রহ রয়েছে আপনাদের অনেকেরই মনে। কিন্তু সঠিক গাইডলাইনের অভাবে কোনো ধরনের ব্যবসাই শুরু করতে পারছেন না। সাহস করে উঠতে পারছেন না কাজ করার। আপনি কি অল্প পুঁজি দিয়ে নিজের ব্যবসার নিজেই মালিক হতে চান? তাহলে অবশ্যই আজকের পোস্টে আপনার জন্য। চলুন দেখে নেওয়া যাক কি ধরনের ট্রিকস ব্যবহার করা যায় নতুন ব্যবসা শুরু করতে। 

আগে নিজেকে যাচাই করবেন। আপনি কোন ধরনের কাজ পছন্দ করেন বা কোন ধরনের কাজে আপনার আগ্রহ বেশি। আগে থেকে যদি কোন কাজের দক্ষতা থাকে তাহলে এটি আপনার জন্য খুবই উপকারী হবে। নিজের পছন্দমতো এবং আগ্রহ আছে এমন কাজ নির্বাচন করুন। এতে আপনার সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। তাই এই পদক্ষেপটি অবশ্যই মাথায় রাখুনঃ

কফি বারঃ কফি আমাদের কম বেশি সকলের পছন্দ। আমাদের দেশে কফির চাহিদা ধীরে ধীরে বাড়ছে। আপনার যদি ছোটখাটো একটি জায়গা ভাড়া করার মতো সামর্থ্য থাকে তাহলে আপনি এই কফি বার তৈরি করতে পারেন। কফি আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় পানীয়। অফিস আদালত, বন্ধু বান্ধবের সাথে ঘুরতে যাওয়া, পড়াশোনার ফাঁকে, এভাবে আমরা প্রায় সবসময়ই কফি খেয়ে থাকি। 

তাই কফি বার তৈরি করা একটি লাভজনক ব্যবসা হতে পারে আপনার জন্য। আপনি একটি ভালো জায়গা নির্বাচন করুন। যেমনঃ কোন পার্ক, পর্যটক কেন্দ্র, স্কুল কলেজ ইউনিভারসিটির সামনে, ফাঁকা কোন নিরিবিলি জায়গা নির্বাচন করতে পারেন কফি বারের জন্য। মানুষ চা কফি একটু খোলামেলা জায়গায় খেতে বেশি পছন্দ করে। 

অবশ্যই যে জায়গাগুলোতে এ ধরনের দোকানের সংখ্যা কম বা নেই সেই ধরনের জায়গা নির্বাচন করুন। এতে আপনার বিক্রি ভালো হবে। যত্ন সহকারে কফি বানানোর চেষ্টা করবেন। কফি বানানো যদি আপনি জানেন তাহলে তো খুব ভালো না জানলেও কয়েকদিনের মধ্যে শিখে নিতে পারবেন। কাস্টমারের সাথে ভালো ব্যবহার করুন। এবং আপনার দোকানে বেশ কয়েক ধরনের কফি রাখার চেষ্টা করুন। যেমনঃ

  • ব্ল্যাক কফি 
  • ক্যাপাচিনো 
  • ল্যাটে 
  • ডপিও 
  • সুগার লেস কফি 
  • রেড আই কফি 
  • ট্রং কফি ইত্যাদি

বেশ কয়েক ধরনের অপশন রাখতে হবে। যেন কাস্টমার তার নিজের পছন্দমত কফি নির্বাচন করতে পারে। এ কয়েকটি পদক্ষেপ মাথায় রেখে একটি ছোট কফি বার তৈরি করতে পারেন। কিছুটা বিনিয়োগ করে এ ব্যবসার শুরুটা করতে পারবেন। এতে আপনার প্রতি মাসে বেশ ভালোই লাভ হবে। আবারও বলছি অবশ্যই কাস্টমারের চাহিদা মাথায় রাখবেন। এবং কাস্টমারের সাথে ভালো আচরণ করবেন। 

ফাস্টফুডের দোকানঃ আমাদের দেশে ফাস্টফুড বেশ জনপ্রিয়। খাদ্য রসিক বাঙালি যে কোন নতুন খাবারের সন্ধান পেলে সেখানে ছুটে যায়। ঘুরাঘুরির পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়াও বাঙালির ভীষণ প্রিয়। তাই যেকোনো পর্যটক জায়গায় একটি ফাস্টফুডের স্টল দিতে পারেন। এছাড়া বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, ছাত্র শিক্ষক একসাথে খেতে বের হয় অথবা কেউ কাউকে ট্রিট দেয়। 

ফাস্টফুডের দোকানগুলো খুব কাজে আসে। তাই এটি হতে পারে আপনার জন্য লাভজনক ব্যবসা। স্টুডেন্ট বাজেটে খাবার রাখতে পারেন আপনার ফাস্টফুডের দোকানে। বাঙালির মুখে ঝাল খাবার খুবই প্রিয় তাই ঝাল আইটেম বেশি রাখতে পারেন আপনার ফাস্টফুডের দোকানে। আপনার দোকানে খাবারের মান ভালো রাখার চেষ্টা করবেন। 

কারণ এখন মানুষ অনেক বেশি স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে গেছে। তাই দোকানের পরিবেশ ভালো করুন এবং খাবার তৈরীর পরিবেশ অনেক পরিপাটি রাখুন। ফুটকোড টি সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। এমন করে রাখবেন না যেন মানুষ দেখার পরে খাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। কিছু টাকা বিনিয়োগ করে এই লাভজনক ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। এটি একটি ভালো পদক্ষেপ অল্প বাজেটের মধ্যে। 

খাবারগুলোঃ

  • পিজ্জা 
  • পাস্তা 
  • বার্গার 
  • চিকেন ফ্রাই 
  • কোমল পানীয় 
  • তান্দুরি চিকেন 
  • রোল ইত্যাদি। 

এ ধরনের খাবারের প্রতি মানুষের অনেক বেশি আগ্রহী। এ খাবার গুলোর ওপর আপনি যদি অভিজ্ঞ না হয়ে থাকেন বা আপনি যদি পারদর্শী না হন তাহলে একটি সেফ রাখতে পারেন। অবশ্যই পরিবেশ ভালো রাখবেন পরিষ্কার রাখবেন ফাস্ট ফুডের দোকানটি। খাবারগুলো ভালো মানের করার চেষ্টা করবেন এতে আপনার কাস্টমার বাড়বে। স্টুডেন্ট বাজেটের মধ্যে করলে এটি সবচাইতে ভালো হবে আপনার ব্যবসার জন্য। 

শরবত এর স্ট্রলঃ গরমের মধ্যে শরবত সবার অনেক পছন্দের। তীব্র গরমের মধ্যে মুখের সামনে শরবতের দোকান পরলে তা কেউ এড়িয়ে যেতে পারে না। আপনি আপনার দোকানে লেবুর শরবত, আমের শরবত, কমলার শরবত রাখতে পারেন। এই সবগুলো ফ্লেভারের ছোট অড়ভিট এর প্যাকেট পাওয়া যায়। মানুষের চাহিদা অনুযায়ী আপনি বানিয়ে দিতে পারেন। 

যেকোনো প্রতিষ্ঠানের সামনে আপনি আপনার দোকানটি বসাতে পারেন। স্কুল,কলেজ,অফিস,আদালত এমনকি পর্যটক জায়গাগুলোতেও রাখতে পারেন আপনার স্ট্রলটি। এ ব্যবসা অনেক অল্প টাকা দিয়ে শুরু করতে পারেন। এবং এটি আপনার জন্য অনেক বেশি লাভজনক হবে। কারণ শরবত এর দোকানে তেমন কিছু প্রয়োজন হয় না। প্রয়োজনীয় ছোটখাটো জিনিসগুলো কিনে যে কোন জায়গায় এই দোকানটি আপনি বসাতে পারবেন। 

প্লাস্টিকের দোকানঃ আপনি প্লাস্টিকের দোকান দিতে পারেন। এবং দোকানে ছোট ছোট আসবাবপত্র রাখতে পারেন। এছাড়াও মেয়ে মানুষের সাংসারিক জিনিস অনেক পছন্দ তো সেগুলোও রাখতে পারেন আপনার দোকানে। রান্নার প্রয়োজনীয় জিনিস রাখতে পারেন। প্লাস্টিকের দোকান খুবই প্রয়োজনীয়। এটি মানুষ নৃত্য প্রয়োজনে ব্যবহার করে থাকে। তাই এই ব্যবসাটি বেছে নিতে পারেন। 

ছাত্র-ছাত্রী, বাড়ির বউ, বা ছেলেমানুষ সবারই এই প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো দরকার। আপনি একটু ভেবেচিন্তে দেখবেন কোন জিনিসগুলো মানুষের প্রতিদিনের কাজে আসছে। সে জিনিসগুলো মানুষ একটু বেশি কেনাকাটা করে। এমন জায়গা নির্বাচন করবেন যে জায়গায় এ ধরনের দোকান কম থাকে। তবে এসবের প্রতি আগ্রহ রয়েছে সকলের। এমন জায়গা নির্বাচন করতে পারলে আপনি ব্যবসায় অনেক লাভবান হবেন। 

ব্যবসার প্রথমের দিকে একটু অল্প লাভ রাখার চেষ্টা করবেন এতে কাস্টমারের আগ্রহ বেড়ে যাবে। যার ফলে আপনার প্রোডাক্ট বিক্রি হবে বেশি। তাই এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে আপনি অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা করতে পারেন। আপনাকে সবার আগে খেয়াল রাখতে হবে মানুষের কোনটার প্রতি বেশি আগ্রহ। জিনিসের কমতি আছে সেই ধরনের জিনিসপত্র আপনার দোকানে রাখুন তাহলে কাস্টমার অবশ্যই অনেক বেশি আসবে।

স্টুডিওঃ স্টুডিও বলতে আপনাদের বোঝানো হচ্ছে ফটোগ্রাফির দোকান। আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান হল ফটোগ্রাফির দোকান। যেকোনো চাকরির আবেদন, পরীক্ষার আবেদন, সব ধরনের ফর্ম ফিলাপ, ছবি উঠানো, ছবি বের করে নেওয়া, এছাড়াও নানার সমস্যায় আমাদের ফটোগ্রাফির দোকানে যেতে হয়। দৈনন্দিন জীবনে আমাদের সকলেরই ফটোগ্রাফির দোকানে যেতে হয়। 

স্টুডেন্ট এর প্রয়োজন থেকে শুরু করে যে কোন প্রতিষ্ঠানের কাজে এই ফটোগ্রাফির দোকানগুলো আমাদের অনেক উপকারে আসে। অবশ্যই পজিশনটি মাথায় রাখবেন। এ ধরনের দোকান যেকোনো প্রতিষ্ঠানের সামনে রাখতে হবে এতে কাস্টমার বেশি আসবে। এছাড়াও বাজারে দোকান দিতে পারেন। তবে স্কুল ,কলেজ বা যেকোনো ধরনের অফিসের সামনে হলে বেশি ভালো ফলাফল পাবেন।

তবে এ ধরনের কাজের জন্য আপনার আগে থেকে কিছুটা ধারণা থাকতে হবে। প্রথমে একটি পিসি এবং একটি ফটোকপি মেশিন নিয়ে কাজটি শুরু করতে পারেন। তারপর ধীরে ধীরে উন্নতি করতে পারেন আপনার দোকানে। কাজগুলো শিখে ঠিকমতো করতে পারলে এটি খুবই লাভজনক হবে। কাস্টমারের চাহিদা মতো কাজ করে দেওয়ার দক্ষতা থাকতে হবে আপনার। এবং সময় জ্ঞান রাখতে হবে। 

কসমেটিক্স এর দোকানঃ নানা ধরনের প্রসাধনী প্রয়োজন হয় প্রতিনিয়ত। কমবেশি সব মেয়েরাই কসমেটিক্স পছন্দ করে। গ্রামের তুলনায় শহরের আগ্রহ আরো বেশি দেখা যায়। তবে কসমেটিক্স এর ক্ষেত্রে আপনার একটু সাবধান হতে হবে। কাস্টমারদের কাছে বিশ্বাসের জায়গা তৈরি করতে হলে ভালো মানের প্রোডাক্ট রাখতে হবে। এসব বিষয়ে খুবই সেনসিটিভ হয় মেয়েরা। 

তাদের চাহিদা মতো প্রোডাক্ট দোকানে রাখার চেষ্টা করুন। কসমেটিক্স এর জিনিসগুলো সাধারণত মুখ, চুল, শরীর, বা ত্বকে ব্যবহার করা হয়। তাই আপনার দোকানে সব সময় ভালো জিনিস রাখার চেষ্টা করবেন। কাস্টমারদের সাথে ভালো ব্যবহার। এছাড়াও প্রথমে একটু অল্প লাভে প্রোডাক্ট সেল করবেন। এতে আপনার প্রতি কাস্টমারের বিশ্বাস তৈরি হবে এবং আপনার দোকানে বারবার আসবে। 

কাস্টমারকে ধরে রাখতে হবে। না হলে কাস্টমার আপনার দোকানে বারবার আসবে না। ব্র্যান্ড এর প্রসাধনী শহরের দিকে খুবই জনপ্রিয়। শহরের মেয়েরা ব্র্যান্ড যুক্ত প্রোডাক্ট বেশি পছন্দ করে। তাই ধীরে ধীরে দোকানের উন্নতি করতে ভালো প্রোডাক্ট দোকানে তুলুন। কাস্টমারের কাছে ভালো জিনিস প্রেজেন্ট করুন। এছাড়াও ছোট বড় সব ধরনের প্রোডাক্ট আপনার দোকানে রাখতে হবে। এতে সব প্রয়োজনে কাস্টমার আপনার দোকানে আসবে। 

আপনি আপনার দোকানের নামে একটি পেজ খুলতে পারেন। পেজের মাধ্যমে সবার কাছে জানাতে পারেন আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে। এছাড়াও মাঝে মাঝে ডিসকাউন্ট দিয়ে কাস্টমার নিয়ে আসতে পারেন। অনলাইনে বিক্রির মাধ্যমে আয় করতে পারেন। অনলাইনে পিকচার পোস্ট করে তাদের সাথে মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করে ডেলিভারি ম্যানকে দিয়ে প্রোডাক্ট কাস্টমারের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন।

এটি আপনার জন্য খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা হবে। তবে আপনার ভালোভাবে পরিচালনা করতে হবে। কাস্টমারের সামনে ভালো প্রোডাক্ট প্রেজেন্ট করতে হবে। এবং ভালো ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের মন জয় করে নিতে হবে। ভালো প্রোডাক্ট সেল করে তাদের বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। এতে ধীরে ধীরে আপনার ব্যবসার উন্নতি হবে। এভাবেই ছোট দোকানকে একদিন বড় মার্কেটে পরিণত করা সম্ভব।

ছোট বাচ্চাদের খেলনাঃ এখন অভিভাবক অনেক সচেতন। তাই বাচ্চাদের খাবারের পাশাপাশি খেলনার প্রতি ও সচেতন হয়েছে। আধুনিকতার মাঝে একটা বড় জায়গা পেয়েছে বাচ্চাদের খেলনা। বাচ্চাদের খেলার মধ্যেও পার্থক্য রয়েছে। এখনকার মা-বাবা বাচ্চাদের যেই সেই খেলনা দিয়ে বসিয়ে রাখে না। অভিভাবকরা বাচ্চাদের জন্য এমন ধরনের খেলনা বা প্রোডাক্ট খুঁজে যেটি দ্বারা বাচ্চারা কিছু শিখবে। 

তাই আপনি শহরে একটি এ ধরনের প্রোডাক্ট এর দোকান রাখতে পারেন। ছোট বাচ্চাদের একটু ইউনিক খেলনা এবং পড়াশোনার জিনিসপত্র রাখতে পারেন। ছোট বাচ্চার এমন অনেক প্রোডাক্ট পাওয়া যায় দাঁড়া তারা খেলার মাধ্যমে ভালো কিছু শিখতে পারে। এ ধরনের প্লাস্টিকের খেলনা অথবা কাগজের খেলনা রাখতে পারেন। যে খেলনা গুলোতে অনেক আলফাবেট লেখা থাকে। 

এছাড়াও ছোট বড় চিনতে সাহায্য করে এই ধরনের খেলনা বাচ্চাদের জন্য দোকানে রাখতে পারেন। আপনাকে আধুনিক যুগে এসে স্মার্টভাবে ব্যবসা করার পদ্ধতি জানতে হবে। না হলে আপনি কোন ধরনের ব্যবসা করতে পারবেন না। এবং কাস্টমার ধরে রাখতে পারবেন না। অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা হিসাবে আপনি এই বাচ্চাদের খেলনার দোকান নির্বাচন করতে পারেন। আশা করছি সফলতা পাবেন।

মা ও শিশুদের প্রয়োজনীয় পণ্যঃ মা ও শিশুদের পণ্যের প্রতি অনেক বেশি সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। এবং এখন মানুষ অনেক বেশি সচেতন এ বিষয়ে। নতুন বাচ্চা এবং মায়ের সুস্থতার জন্য নানান ধরনের প্রয়োজনীয় প্রোডাক্টের দরকার হয়। তাই এই দোকানটির আপনি সিলেক্ট করতে পারেন। এ দোকান অবশ্যই যেকোনো হাসপাতালের সামনে রাখতে হবে। 

সবাই আপনি কাস্টমার পাবেন। মা এবং শিশুর প্রয়োজনীয় পণ্য গুলোর প্রতি আপনার অনেক যত্নশীল হতে হবে। দোকান তাকে অবশ্যই সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে পরিপাটি রাখবেন। মানসম্মত জিনিসপত্র রাখার চেষ্টা করবেন। এতে কাস্টমারের আগ্রহ বাড়বে। যেকোনো ব্যবসা শুরু করার আগে আপনার বাজারে কোনটি প্রয়োজনীয়তা বেশি তার প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। 

অর্থাৎ আপনাকে এ বিষয়ে রিসার্চ করতে হবে। এ বিষয়ে আপনার জ্ঞান রাখতে হবে। তবে আপনি ব্যবসায় সফলতা নিয়ে আসতে পারবেন। জিনিস পত্রের প্রতি একটু দক্ষতা বাড়াতে হবে। কাস্টমারের পছন্দ মতো জিনিস আপনার দোকানে রাখতে হবে। তবেই দোকানে কাস্টমার বাড়বে। এবং সে ব্যবসায় উন্নতি করতে পারবেন। অল্প পুঁজিতে আপনি লাভজনক ব্যবসার হাল ধরতে পারেন। 

স্টেশনারি দোকানঃ স্টেশনারির দোকানে সারা বছরই বিক্রি হয় জিনিসপত্র। কারণ এই দোকানের প্রোডাক্টগুলো স্টুডেন্টদের জন্য প্রয়োজনীয়। সারা বছরই স্টুডেন্টরা কম-বেশি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংরক্ষণ করে। প্রাইমারি থেকে শুরু করে স্কুল,কলেজ,ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্টরা স্টেশনারির দোকানে আসে। এই দোকানের প্রোডাক্টগুলো আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয়। 

তাই অল্প পুঁজিতে আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কমবেশি সারা বছরই এই দোকানে বিক্রি হয়। এখন স্টুডেন্টরা শখের বসে ড্রয়িং, লিপেন আর্ট এছাড়াও নানা ধরনের ইউনিক কাজ করতে আগ্রহী। তাই এ ধরনের আসবাবপত্র আপনার দোকানে রাখলে এটি খুবই লাভজনক হবে আপনার জন্য। একটু ভালো পজিশনে এমন দোকান দিতে পারেন। স্কুল-কলেজের সামনে অথবা বাজারে।

গৃহপালিত পাখি পালনঃ গৃহপালিত পাখি পালন করতে পারেন। এর মধ্যে রয়েছে হাঁস, মুরগি, কোয়েল পাখি, কবুতর এবং নানা রঙের ছোট বড় পাখি। হাঁস মুরগির অল্প কিছু বাচ্চা কিনে তা বড় করতে পারেন এবং ডিম পাড়াতে পারেন। ধীরে ধীরে এ ব্যবসাটির উন্নতি করতে পারেন। এছাড়াও বাড়িতে কোয়েল পাখি পালন করতে পারেন। ফোন কোয়েল পাখির প্রতি মানুষের অনেক বেশি আগ্রহ। 

আবার কোয়েল পাখির ডিম অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তাই বাসায় কোয়েল পাখি পালন করতে পারেন। কোয়েল পাখি সহ পাখির ডিম বিক্রি হয়। এটি অনেক অল্প পুজিতে আপনি শুরু করতে পারবেন। এর জন্য আপনার কোথাও কোন জায়গা ভাড়া নিতে হবে না। নিজের বাসায় অল্প কিছু জায়গার মধ্যে লালন-পালন করতে পারবেন। এটি আপনার জন্য অনেক লাভজনক ব্যবসা হবে যদি আপনি ঠিকমত পরিচর্যা করতে পারেন। 

ব্যবসার পরিকল্পনা ও চিন্তাভাবনা

ব্যবসার পরিকল্পনা ও চিন্তাভাবনা আপনার আগে থেকেই করতে হবে। আপনি যখন একটা ব্যবসা দাঁড় করাতে আগ্রহী আপনার অবশ্যই মন স্থির রাখতে হবে। এবং কি ধরনের ব্যবসা আপনার জন্য ভালো হবে বা আপনি কিসে আগ্রহী সে বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে। যে বিষয়ে আপনার জ্ঞান নেই সে বিষয় নিয়ে যদি আপনি ব্যবসা শুরু করেন তাহলে সেখানে কখনোই উন্নতি করা সম্ভব না। 

বিষয়ে আপনার একটি স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। ব্যবসা শুরু করার জন্য একটি পরিষ্কার পরিকল্পনা থাকতে হবে। আপনার বাজেট কত তার ওপর নির্ভর করবে আপনি কি ধরনের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। এবং পরিশ্রম করার মনোবল তৈরি করতে হবে। পরিশ্রম ছাড়া কোন ব্যবসায় উন্নতি করা সম্ভব নয়। তাই ব্যবসায় উন্নতি করতে হলে সঠিক চিন্তাধারার প্রয়োজন। আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে ব্যবসার সাথ ধরতে হবে।

মানুষের কোনটির প্রতি বেশি আগ্রহ বা কোনটির প্রয়োজনীয়তা বেশি তার প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। সুন্দর পরিকল্পনার মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করলে আপনার উন্নতি অনিবার্য। ব্যবসা শুরুর আগে একটি সুন্দর লিস্ট তৈরি করুন আপনি কি ধরনের জিনিস পত্র কিনে ব্যবসা করতে চাচ্ছেন। টাকার হিসাব করুন। এবং সে বিষয়ে সুবিধা-অসুবিধা যাচাই করে নিন। পরিকল্পনা সঠিক হলে সফলতা পেতে সময় লাগে না।

ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা

ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে আপনার স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। যে কোন ব্যবসার শুরু করার আগে স্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে সে ব্যবসা সম্পর্কে। পরিকল্পনা করার পর ব্যবসার সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবেন। ব্যবসায় সংগঠন তৈরি করুন অর্থাৎ আপনি যে বিষয় নিয়ে কাজ করতে চান তার প্রয়োজনীয় সকল কিছু ম্যানেজ করার চেষ্টা করুন। এবং যাচাই করে দেখুন তা আপনার জন্য সঠিক কিনা। 

আরো পড়ুনঃ নকশি কাঁথা সম্পর্কে তথ্য

ব্যবস্থাপনা সঠিক থাকতে হবে তবেই একটি ব্যবসা দাঁড় করানো সম্ভব। আপনার ব্যবসায় সংগঠন এবং ব্যবস্থাপনায় ঘাটতি দেখা দিলে সে ব্যবসায় উন্নতি করা সম্ভব না। তাই সংগঠনের পাশাপাশি ব্যবস্থাপনায় মনোযোগ দেন। সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই সঠিক উপস্থাপনা সম্ভব। তাই মানুষের সামনে আপনার সার্ভিসটি তুলে ধরতে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। আশা করছি এতে আপনি লাভবান হবেন। 

বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা 

বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা সম্পর্কে আপনাদের সাথে। এখন আর আগের মত মানুষ শুধু চাকরির পিছনে দৌড়ায় না। এখন অনেকেই ব্যবসা করতে আগ্রহী। অনেকেই ব্যবসা করার মাধ্যমে উদ্যোক্তা হয়েছে। শুধু চাকরি করার মাধ্যমে ইনকাম করা সম্ভব এমনটা নয়। ব্যবসা করার মাধ্যমে আপনি উন্নতির শীর্ষে পৌঁছাতে পারেন। তাই আধুনিক সমাজ ব্যবস্থায় এবং স্মার্ট বাংলাদেশে অনেকেই ব্যবসায় আগ্রহ প্রকাশ করছে। 

অল্প-পুঁজিতে-লাভজনক-ব্যবসা
বিশেষজ্ঞরা বলে পৃথিবীর ৮০ শতাংশ টাকা ব্যবসায়ীদের কাছে আর ২০ শতাংশ টাকা চাকরিজীবীদের কাছে। তাই সঠিক স্ট্যাটেজি ফলো করে আপনি বড় বিজনেসম্যান হতে পারেন। ব্যবসার সঠিক নিয়ম মেনে ব্যবসা করলে তবে ব্যবসায় উন্নতি করা সম্ভব। চলুন জেনে নেওয়া যাক বর্তমানে সবচাইতে জনপ্রিয় ব্যবসা গুলো কি কি। যে ব্যবসা গুলো করার মাধ্যমে আপনি জীবনে ভালো উন্নতি করতে পারবেন। 

  • ফাস্টফুড স্ট্রোল 
  • ব্লগিং বিজনেস 
  • সেলন বিজনেস 
  • অনলাইন বিজনেস 
  • কফি শপ 
  • টি স্টল 
  • কসমেটিক্স শপ 
  • গার্মেন্টস বিজনেস 
  • ফার্নিচার শপ 
  • ফটোগ্রাফি 
  • ইলেকট্রনিক শপ
  • ই-কমার্স বিজনেস 
  • ইউটিউব চ্যানেল 
  • ডিজিটাল মার্কেটিং 
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং 
  • কুরিয়ার সার্ভিস 
  • রেস্টুরেন্ট বিজনেস 
  • পল্টি খামার 
  • পশু খামার 
  • সবজি চাষ 

আপনাদের সামনে সবচেয়ে বেশি লাভজনক ব্যবসা গুলো তুলে ধরেছি। এই ব্যবসা গুলো শুরু করার মাধ্যমে আপনি স্বাবলম্বী হতে পারবেন। বর্তমান সময়ে ব্যবসাগুলো ভীষণ জনপ্রিয়। সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে ব্যবসা গুলো থেকে উন্নতি করা সম্ভব। তবে অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে। পরিশ্রম ছাড়া কখনোই উন্নতির শীর্ষে পৌঁছানো সম্ভব নয়।

গ্রামে অল্প পুজিতে ব্যবসা 

গ্রামে অল্প পুজিতে ব্যবসা শুরু করবো কিভাবে এমন প্রশ্ন আপনারা অনেকেই করে থাকেন। গ্রামের ছেলে মেয়েরা এখন আর পিছিয়ে নেই। তারাও নানারকম ব্যবসার মাধ্যমে উন্নতি লাভ করছে। আমি কিছু উল্লেখযোগ্য ব্যবসা রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি সফলতার শীর্ষে পৌঁছাতে পারেন। আপনাদের জানানো যাক গ্রামে কি ধরনের ব্যবসা শুরু করার মাধ্যমে আপনি লাভবান হতে পারবেন।

  • সবজি চাষ 
  • পশু খামার 
  • পোল্ট্রি খামার
  • বীজের দোকান 
  • সারের দোকান 
  • ঠিকাদারি ব্যবসা 
  • ইলেকট্রনিক দোকান 
  • মোবাইল সার্ভিসিং 
  • চায়ের দোকান
  • ভাজাপোড়ার দোকান ইত্যাদি। 

গ্রামে এ ধরনের ব্যবসা শুরু করার মাধ্যমে আপনি ভালো আয় করতে পারবেন। সব ধরনের ব্যবসা গ্রামে করা যায় না। শহরের ব্যবসা যদি আপনি গ্রামে করতে চান তাহলে সে ব্যবসায় লস হবে। তাই এই ধরনের ব্যবসা গুলো আপনি গ্রামের দিকে করতে পারেন। গ্রামে ব্যবসায় একটু লাভ কম হয়। তবে ধৈর্যের সাথে লেগে থাকলে ভালো ফলাফল পাওয়া সম্ভব।

শহরে অল্প পুজিতে ব্যবসা 

শহরে অল্প পুজিতে ব্যবসা সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। শহরে ব্যবসা করা খুবই লাভজনক। তবে একটু টেকনিক ফলো করে ব্যবসা করতে হয়। না হলে শহরে ব্যবসা করে টিকে থাকা যায় না। শহরে যে কোন ব্যবসা খুব লাভজনক এবং ভালোভাবে চলে। তার মধ্যে কিছু ব্যবসা অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। মানুষের অনেক বেশি আগ্রহ থাকার কারণে কিছু ব্যবসাতে অনেক বেশি লাভ হয়। চলুন দেখে নিইঃ

আরো পড়ুনঃ পিঠা উৎসব নিয়ে কিছু কথা

  • রেস্টুরেন্টের ব্যবসা 
  • ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর ব্যবসা 
  • যেকোনো ধরনের ফুড ডেলিভারির ব্যবসা 
  • আচার তৈরীর ব্যবসা 
  • ব্র্যান্ড যুক্ত কসমেটিক্স এর ব্যবসা 
  • জিম সেন্টার 
  • বিউটি পার্লারে হোম সার্ভিস 
  • অনলাইন ব্যবসা 
  • বুটিক ব্যবসা 
  • হ্যান্ডমেড ড্রেস বা কসমেটিক্স
  • ডিজাইনার বা হাতে প্রিন্ট করা পোশাক 

এ ধরনের ব্যবসা শহরে দাঁড় করাতে পারেন। সঠিক নিয়ম ফলো করে এগিয়ে যান ব্যবসায় উন্নতি করতে পারবেন। আপনি যেখানে ব্যবসাটি শুরু করতে চাচ্ছেন সে ব্যবসার সেখানে চাহিদাটা বুঝতে হবে। চাহিদা না থাকলে সে ব্যবসায় উন্নতি করা সম্ভব না। মানুষের প্রয়োজন অনুযায়ী সার্ভিস দেয়ার চেষ্টা করুন। আশা করছি এই উপায় গুলোর মাধ্যমে অল্প পুজিতে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

বাংলাদেশের সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা 

বাংলাদেশের সবচাইতে লাভজনক ব্যবসা সম্পর্কে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন বাংলাদেশে কোন ব্যবসাটি করে সবচাইতে বেশি লাভ করা সম্ভব। ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনার মাথায় অবশ্যই কিছু ধারনা থাকতে হবে। হুট করে ব্যবসা শুরু করা সম্ভব না আর শুরু করে দিলেও উন্নতি করা প্রায় অসম্ভব। তাই যে কোন কাজ জেনে বুঝে শুরু করবেন। 

  • রেস্টুরেন্টের ব্যবসা 
  • ফার্মেসির ব্যবসা 
  • অনলাইন বিজনেস 
  • অনলাইন শপ 
  • ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট 
  • গরুর খামার 
  • ইলেকট্রনিকের দোকান 
  • মোবাইল, ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের দোকান 
  • হস্তশিল্পের ব্যবসা
  • নার্সারি বা গাছের ব্যবসা 
  • জিম এর ব্যবসা 
  • কুরিয়ার সার্ভিস এজেন্সি 
  • উদ্যোক্তা 
  • ক্যাটারিং সার্ভিস

এগুলো বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয় ব্যবসা। এ ব্যবসা গুলো করার মাধ্যমে আপনি জীবনে উন্নতি করতে পারবেন। সব সময় যে চাকরির পেছনে দৌড়াতে হবে এমনটা নয় এ ব্যবসা গুলো করে আপনি নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবেন। তাই ব্যবসার সঠিক নিয়ম ফলো করে ব্যবসায় উন্নতি করুন। যে ব্যবসা করতে চান সেই সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন। এই সবগুলো ব্যবসাই বাংলাদেশে জনপ্রিয় এবং লাভজনক ব্যবসা।

ব্যবসা করতে প্রয়োজনীয় টাইপ সমূহ 

ব্যবসা করতে প্রয়োজনীয় টাইপ সমূহ আপনাদের সাথে আলোচনা করা হবে। হুট করে ব্যবসায় নেমে গেলে ব্যবসায় উন্নতি করা সম্ভব নয়। তার জন্য একটি সুন্দর পরিকল্পনার দরকার। এবং কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করার মাধ্যমে ব্যবসায় উন্নতি করতে পারেন। আপনি যদি ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনার মধ্যে যে ধরনের গুণ থাকা দরকার তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। টাইপ সমূহঃ

অল্প-পুঁজিতে-লাভজনক-ব্যবসা
যেমনঃ

  • ব্যবসা করার মনোভাব তৈরি করুন। 
  • কি ধরনের ব্যবসা করতে চান তা নির্বাচন করুন। 
  • টার্গেটকৃত ব্যবসার সম্পর্কে সকল তথ্য জেনে নিন এবং এ বিষয়ে সম্পূর্ণ ধারণা রাখার চেষ্টা করুন। 
  • যে ব্যবসাটি আপনি নির্বাচন করেছেন তা কতটা চাহিদা পূর্ণ সেই দিকে খেয়াল রাখুন। 
  • এছাড়াও আপনি অবশ্যই যাচাই করে নেবেন আপনার ব্যবসার প্রতিযোগিতা কেমন। 
  • অবশ্যই পুঁজির ওপর খেয়াল রাখবেন। ব্যবসা শুরু করার প্রথম শর্তই পুঁজি। মূলধনের ওপর নির্ভর করে ব্যবসা নির্বাচন করবেন। 
  • ব্যবসার সম্পর্কে সকল ধরনের জ্ঞান অর্জন করুন। এখানে প্রফেশনাল ওয়েতে কাজ করতে হবে। 
  • অনেক ছোটখাটো বিষয়গুলোতেও অনেক বেশি গুরুত্ব দিন। এতে ব্যবসায় উন্নতি করা সম্ভব। 
  • যে বিষয়টি নির্বাচন করবেন সে বিষয়ে প্রতি যাদের ধারণা আছে তাদের সাথে আলোচনা করে ব্যবসা শুরু করুন। অভিজ্ঞ মানুষের পরামর্শ নিন। সময়ের সাথে দক্ষতা বৃদ্ধি পায় তাই পরামর্শ আপনার অনেক বেশি কাজে আসবে। 
  • অনেক বেশি পরিশ্রম করুন। পরিশ্রম করার মানসিকতা তৈরি করুন। 
  • অধৈর্য হয়ে যাবেন না ধৈর্যের সাথে এগিয়ে যান। 
  • আপনি যে ধরনেরই ব্যবসায় নির্বাচন করেন,ব্যবসায় অবশ্যই সৎ থাকার চেষ্টা করবেন।
  • আপনার ব্যবসার জিনিসপত্রের গুণগত মান বজায় রাখুন। 
  • কাস্টমারের বিশ্বাস অর্জন করুন। 
  • কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী কাজ করার চেষ্টা করুন। 
  • প্রথমের দিকে বেশি লাভের আশা করবেন না তাহলে কাস্টমার হারিয়ে ফেলবেন। অল্প লাভ করুন এবং কাস্টমারকে সুযোগ করে দিন আপনার দোকানে আসার এতে আপনার সেল বেড়ে যাবে। 
  • ব্যবসার ক্ষেত্রে অনেক বেশি কৌশল অবলম্বন করতে হবে। মানুষের চাহিদা বুঝে ব্যবসায় মনোযোগী হন। 
  • আয় ব্যয় অবশ্যই হিসাব রাখবেন। যতটা সম্ভব মিতব্যায়ী হওয়ার চেষ্টা করবেন। 
  • ব্যবসাটাকে প্রচার করার চেষ্টা করবেন। অর্থাৎ যে কোন মাধ্যমে মার্কেটিং করবেন। পোস্টার, বিজ্ঞাপন ইত্যাদির মাধ্যমে মানুষের কাছে আপনার সার্ভিসের কথা পৌঁছে দিবেন।

আপনি যদি ব্যবসা করার ডিসিশন নিয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে তবেই জীবনে উন্নতি করতে পারবেন। কোন কিছুই রাতারাতি সম্ভব নয় তাই ধৈর্য সহকারে এগিয়ে যাবেন। পরিশ্রম ও সততার মাধ্যমে ব্যবসায় সফল হওয়ার চেষ্টা করবেন। মানুষের চাহিদা অনুযায়ী সার্ভিস দেওয়ার চেষ্টা করবেন এতে আপনার কাস্টমার বাড়বে ফলে ইনকাম বেড়ে যাবে।

উৎপাদনমুখী ব্যবসা 

উৎপাদনমুখী ব্যবসা সম্পর্কে আপনারা অনেকে জানতে চেয়েছেন। উৎপাদনমুখী ব্যবসা শুরু করতে আপনার বিনিয়োগ করতে হবে। এখানে একটু বেশি বিনিয়োগের প্রয়োজন হয় লাভের মুখ দেখতে চাইলে। তবে অল্প বিনিয়োগের মাধ্যমেও ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। উৎপাদন মুখী ব্যবসাতে অনেক কিছুর দিকে খেয়াল রাখতে হয়। এই ব্যবসায় শুধু উৎপাদন নিশ্চিত করলেই হবে না। 

আরো পড়ুনঃ ইলিশ মাছ চেনার ৫ টি উপায়

উৎপাদন করার পর তা তোমাদের হাতে পৌঁছে দেওয়া এবং বিক্রি নিশ্চিত করা পর্যন্ত বেশ কিছু পদক্ষেপ অবলম্বন করতে হয়। ব্যবসায় অবশ্যই বিনিয়োগ করতে হবে। বিনিয়োগ নিশ্চিত করে ব্যবসা শুরু করলে লাভবান হতে পারবেন। উৎপাদনমুখী ব্যবসা দাঁড় করাতে পারলে এতে আপনার সফলতা নিশ্চিত। তবে এই ব্যবসায় সকল দিকে খেয়াল রাখতে হবে। না হলে লস হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। ব্যবসা গুলোঃ

  • সার উৎপাদনের ব্যবসা 
  • মৎস্য চাষের ব্যবসা 
  • দুধ তৈরির ব্যবসা 
  • পোশাক তৈরির ব্যবসা 
  • চামড়া জাত বিভিন্ন পণ্য তৈরির ব্যবসা
  • বাচ্চাদের খেলনা তৈরি 
  • ঘরের পাপোস তৈরি 
  • জানালার পর্দা তৈরি 
  • ঘরের আসবাবপত্র তৈরির ব্যবসা 
  • ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র তৈরির ব্যবসা 
  • প্লাস্টিকের জিনিসপত্র তৈরির ব্যবসা 
  • ঝাড়ু তৈরির ব্যবসা 
  • বোতল তৈরির ব্যবসা  ইত্যাদি। 

মন্তব্যঃ অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা 

অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা সম্পর্কে আজকের পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনাদের জানিয়েছি অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসার শুরুটা করার গোপন কয়েকটি ট্রিকস। এছাড়াও আলোচনা করেছি গ্রাম এবং শহরে কিভাবে ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন। আপনি চাইলেই এই পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতে পারেন। নিজের একটি ব্যবসার দাঁড় করিয়ে উন্নতি লাভ করতে পারেন।

যাদের বাজেট অল্প অর্থাৎ পুঁজ কম বিশেষ করে তাদের জন্য ছিল আজকের পোস্টটি। আমি মনে করি মানুষ চেষ্টা করলে সবই করা সম্ভব। দরকার শুধু সঠিক গাইডলাইন এবং দৃঢ় মনোভাব। জীবনে কিছু করতে হলে সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই চেষ্টা করলে আপনিও আপনার ব্যবসা দাঁড় করাতে সক্ষম হবেন পরিশ্রম করার মাধ্যমে। পোস্টটি পড়ে কেমন লাগলো কমেন্ট সেকশনে জানাবেন। ধন্যবাদ।

 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডেইলি ডাইরির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url