কুকুর কামড়ালে কত দিনে টিকা দিতে হয়
কুকুর কামড়ালে কত দিনে টিকা দিতে হয় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো । রাস্তায় বের হলেই যেখানে সেখানে কুকুর দেখা যায়। অনেক সময় কুকুরের হিংস্রতার শিকার হয়ে থাকি আমরা। আর তখন টিকার প্রয়োজন হয়।
পেইজ সূচিপত্রঃ কুকুর কামড়ালে কত দিনে টিকা দিতে হয়
- কুকুর কামড়ালে কত দনে টিকা দিতে হয়
- কুকুর কামড়ালে কি জলাতঙ্ক রোগ হয়
- যেসব প্রাণী থেকে জলাতঙ্ক জীবাণু ছড়ায়
- জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ কি কি
- জলাতঙ্ক রোগের টিকা কত দিনের মধ্যে দিতে হয়
- জলাতঙ্ক টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সমূহ
- কুকুর কামড়ালে কয়টি টিকা দিতে হয়
- পোষা কুকুর থেকে রোগ প্রতিরোধ করতে করণীয়
- কুকুর আঁচড় বা কামড় দিলে তৎক্ষণাৎ করণীয় কি
- মন্তব্যঃ কুকুর কামড়ালে কত দিনে টিকা দিতে হয়
কুকুর কামড়ালে কত দনে টিকা দিতে হয়
কুকুর কামড়ালে কতদিনে টিকা দিতে হয় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। কুকুর আমাদের সকলের কাছে পরিচিত একটি প্রাণী। রাস্তাঘাটে খুব সহজেই কুকুরের দেখা মেলে আবার অনেকে শখের বসে বাসায় পালন করে। কুকুর অনেকেই পছন্দ করে। তবে নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করে কুকুরের কাছে যাওয়া উচিত। কারণ অনেক কুকুর হিংস্র হয়ে থাকে।
কুকুর কামড় দিলে বা আঁচড় দিলে সে জায়গাটি পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। সর্বোচ্চ ফলাফল পেতে সাবান পানি দিয়ে ক্ষত স্থানটি ধুয়ে নিন। ক্ষত যদি বেশি হয় অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কুকুরে কামড় দিলে অতিরিক্ত আতঙ্কিত না হয়ে ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে টিকা দিয়ে নিন। ক্ষত যদি কম হয় তাহলে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। আর ক্ষতস্থান দিয়ে যদি রক্ত বের হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।
কুকুর কামড়ালে কি জলাতঙ্ক রোগ হয়
কুকুর কামড়ালে কি জলাতঙ্ক রোগ হয়? এ বিষয়ে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। আজকে ব্লগে আপনাদের সামনে এ বিষয়টি পরিষ্কার করবো। কুকুর হলো রেবিড প্রাণী। বিড়াল, কুকুর, শিয়াল, বাদুর ইত্যাদি এগুলো রেবিড প্রাণী। এ ধরনের প্রাণী আক্রমণ করলে জলাতঙ্ক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ধরনের প্রাণীর আঁচড় বা কামড় থেকে জলাতঙ্ক হওয়ার আশঙ্কা সবচাইতে বেশি হয়ে থাকে।
র্যবিস আক্রান্ত যে কোন প্রাণী যদি কাউকে কামড় বা আঁচড় দেয় তাহলে জলাতঙ্ক রোগের আশঙ্কা সর্বোচ্চ। উল্লেখিত এ সকল প্রাণীর মধ্যে কুকুর দ্বারা মানুষ বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। অনেকেরই ভুল ধারণা কুকুর কামড় বা আঁচড় দিলেই জলাতঙ্ক রোগ হয়। তবে এটি ভুল! কুকুর কামড় দিলে তখনই জলাতঙ্কর রোগ হবে যদি কুকুরের শরীরে আগে থেকেই র্যাবিস ভাইরাস থাকে।
যেসব প্রাণী থেকে জলাতঙ্ক জীবাণু ছড়ায়
যেসব প্রাণী থেকে জলাতঙ্ক জীবাণু ছড়ায় চলুন দেখে নেওয়া যাক। জলাতঙ্ক রোগ নিয়ে আমরা অনেক বেশি আতঙ্কে থাকি। আমরা অনেকেই মনে করি শুধু কুকুর কামড় দিলেই জলাতঙ্ক রোগ হয়। কিন্তু না। এমন অনেক গৃহপালিত বা বন্য প্রাণী আছে যাদের কামড়ে জলাতঙ্ক রোগের জীবাণু ছড়ায়। চলুন দেখে নেওয়া যাক কোন কোন প্রাণী থেকে জলাতঙ্ক রোগের জীবাণু ছড়াতে পারে।
আরো পড়ুনঃ সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায়
- গৃহপালিত প্রাণীঃ কুকুর ,বিড়াল, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, শুকর, গাধা, ঘোড়া, উট।
- বন্যঃ শেয়াল, খরগোশ, কাঠবিড়ালি, বেজি, টিকা, বন বিড়াল, বুনো শেয়াল, নেকড়ে, বানর ।
- অন্যান্যঃ বাদুর, ইঁদুর।
জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ কি কি
জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ কি কি? চলুন আলোচনা করা যাক জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ নিয়ে। আমাদের মধ্যে একটি ভুল ধারণা রয়েছে আমরা অনেকেই মনে করি কুকুরে কামড়ালেই জলাতঙ্ক রোগ হয়। কিন্তু এটি ভুল ধারণা। রাবিশ ভাইরাসে আক্রান্ত এরকম যে কোন প্রাণীর কামড়ে জলাতঙ্ক রোগ হতে পারে। কুকুর কামড়ালে তখন জলাতঙ্ক রোগ হবে যদি সে কুকুরটি আগে থেকে রেবিস ভাইরাসে আক্রান্ত থাকে।
লক্ষণ সমূহঃ- অস্বাভাবিক কথাবার্তা।
- উদ্দেশ্য ছাড়াই ঘুরে বেড়ানোর
- ভাব বিহীন।
- ক্ষুধা কমে যাওয়া।
- খাওয়া-দাওয়ায় অরুচি আসা।
- আওয়াজ পরিবর্তন হওয়া।
- কণ্ঠস্বর কর্কশ হয়ে যাওয়া।
- সব সময় মেজাজ খারাপ থাকা।
- অপ্রয়োজনে রাগারাগি করা।
- কোন কারণ ছাড়াই অন্যজনের ওপর আক্রমণ করা।
- কামড় দেওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি।
- অস্বাভাবিক চালচলন।
- মুখ দিয়ে লালা পরা।
- খাওয়া দাওয়া করতে না চওয়া ইত্যাদি।
জলাতঙ্ক রোগের টিকা কত দিনের মধ্যে দিতে হয়
জলাতঙ্ক রোগের টিকা কত দিনের মধ্যে দিতে হয় জেনে নিন। কুকুর কামড় দিলে অনেকেই ভয় থাকেন জলাতঙ্ক রোগ নিয়ে। কারণ কুকুরটি যদি রাবিশ ভাইরাসে আক্রান্ত হয় তাহলে এ ভাইরাসটি অবশ্যই কামড়ের মাধ্যমে মানুষের শরীরে পার হবে আর জলাতঙ্ক রোগের আশঙ্কা বেড়ে যাবে ৯৯%। তাই এ বিষয় নিয়ে অনেকেই চিন্তিত থাকেন।
চলুন জেনে নেওয়া যাক জলাতঙ্ক রোগের টিকা কত দিনের মধ্যে দিতে হয়। জলাতঙ্ক রোগের টিকা তিনটি ডোজের মাধ্যমে সম্পূর্ণ করা হয়।। প্রথম ডোজটি দিতে হবে জলাতঙ্ক রোগ সনাক্ত হবার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। এরপর দিতে হবে ৭ম দিনে। তারপর অতিরিক্ত তৃতীয় ডোজ ২১ দিনে অথবা ২৮ দিনের দিতে হবে। এই নিয়ম ফলো করে জলাতঙ্ক রোগের টিকা দেওয়া উচিত।
জলাতঙ্ক টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সমূহ
জলাতঙ্ক টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সমূহ উল্লেখ করা হলো। সকল ধরনের ভ্যাকসিন বা টিকার একটি ন্যূনতম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে। যেকোনো রোগের টিকা বলতে সেই রোগেরই অ্যান্টি বডি শরীরে ঢোকানো হয়। কিন্তু তা থাকে নিষ্ক্রিয় অবস্থায়। জলাতঙ্ক টিকা নেওয়ার পরে আপনার খুব একটা বেশি সমস্যা হওয়ার কথা নয়। সামান্য কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনুভব করবেন। যেমনঃ
আরো পড়ুনঃ শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করার ১০ টি কার্যকরী উপায়
- যেখানে টিকা দিয়েছেন সেখানে সামান্য ব্যথা
- মাথা ব্যাথা
- বমি ভাব
- পেটে ব্যথা
- পিসিতে টান লাগা
- হালকা জ্বর
- এলার্জির সমস্যা
- হালকা শ্বাসকষ্ট
- দ্রুত হৃদস্পন্দন
- মুখ ফুলে যাওয়া
- গলা ফুলে যাওয়া
- অরুচি
বেশিরভাগ মানুষের হালকা কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। মাথা ব্যথা,পেটব্যথা বা হালকা জ্বর। তবে কারো ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হতে পারে। শ্বাসকষ্ট,এলার্জি,দ্রুত হৃৎস্পন্দন এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন। আশা করছি বিষয়টি আপনার কাছে ক্লিয়ার। এলার্জির উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। ইদানিং এলার্জি বা চুলকানি বড় একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কুকুর কামড়ালে কয়টি টিকা দিতে হয়
কুকুর কামড়ালে কয়টি টিকা দিতে হয় চলুন জেনে নেই। কুকুর বিড়াল এগুলো আমাদের গৃহপালিত প্রাণী। আমরা অনেকেই শখের বসে কুকুর পালন করি। এছাড়াও রাস্তাঘাটে বের হলে অসংখ্য কুকুর দেখা যায়। বাড়িতে পোষা কুকুরগুলোর শরীরে আগে থেকেই ভ্যাকসিন দেওয়া থাকে। তাই সেসব কুকুর আঁচড় দিলে বা কামড় দিলে তেমন সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
তবে কিছু রাস্তার কুকুর রয়েছে তারা অনেক হিংস্র হয়। অনেক কুকুরের মুখ থেকে লালা ঝরতে দেখা যায়। সেইসব কুকুরের কামড় অত্যন্ত ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। চলুন দেখে নেওয়া যাক টিকার ডোজ। এ নিয়ম মেনে কুকুর কামড়ানোর পর টিকা দিলে আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। পাশাপাশি আপনার পরিবারের সুস্থতা নিশ্চিত করতে পারবেন।
- দুই বাহুতে দুইটি করে টিকা। প্রথম দিন অর্থাৎ কামড়ানোর দিন বাদ দিয়ে তৃতীয় দিন এবং সপ্তম দিন।
- কুকুর কামড়ানোর পর থেকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে টিকা দিয়ে নেওয়া উচিত।
- যদি বাড়িতে পোষা কোন কুকুর কামড়ায় তাহলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
- বাড়ির পোষা কুকুর আপনাকে কামড় দেওয়ার পর যদি পরবর্তী ১০ দিন কুকুর সুস্থ থাকে তাহলে ১৪ তম এবং ২৮ তম টিকা না দিলেও চলবে।
পোষা কুকুর থেকে রোগ প্রতিরোধ করতে করণীয়
পোষা কুকুর থেকে রোগ প্রতিরোধ করতে করণীয় আলোচনা করা হলো। আমরা অনেকেই শখের বসে কুকুর পালন করে থাকি। নিজের একাকীত্বতা দূর করতে অনেকেই পশু পালন পছন্দ করেন। তবে আগে নিজের স্বাস্থ্যের সুস্থতার প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। পাশাপাশি পরিবারের সুস্থতা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ আমরা সকলেই জানি এই প্রাণীগুলোর শরীরে বিভিন্ন জীবাণু থাকতে পারে।
প্রতিরোধের উপায়ঃ- নিয়মিত কুকুরের নখ কেটে দিন এবং পরিষ্কার করে দিন।
- কুকুরের গায়ের লোম পরিষ্কার রাখতে নিয়মিত গোসল করান শ্যাম্পু দিয়ে।
- পটি পরিষ্কার করুন দ্রুত।
- কুকুরের নখের আঁচড়ে কোথাও ছিলে গেলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শে ক্রিম লাগান বা টিকা দিন।
- কুকুরকে আদর করতে গিয়ে এমন ভাবে কামড় দেবেন না যেন কামড়টা চামড়া ভেদ করে ভেতরে চলে যায়। এতে আপনারই ক্ষতি হবে।
- সব সময় কুকুরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখেন।
- কুকুরকে নিয়মিত ভ্যাকসিন দিয়ে নিন।
- কুকুরের লোম যেন আপনার পেটে কোনভাবে চলে না যায় সে বিষয়ে খেয়াল রাখুন।
- কুকুরের যত্ন নিন এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। নিয়মিত গোসল করান কুকুরের জন্যো উপযোগী প্রোডাক্ট দিয়ে।
কুকুর আঁচড় বা কামড় দিলে তৎক্ষণাৎ করণীয় কি
কুকুর আঁচড় বা কামড় দিলে তৎক্ষণাৎ করণীয় কি তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। অনেক সময় অসাবধানতার কারণে আমাদের পালিত প্রিয় প্রাণীর নখের আঁচল লেগে যায় শরীরে। অবহেলা না করে সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে এবং উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সাধারণত পোষা কুকুর গুলোর শরীরে ভ্যাকসিন দেওয়া থাকে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম তবুও সাবধান থাকা উচিত।
আরো পড়ুনঃ নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ফাইভরে কাজ পাওয়ার উপায়সমূহ
তৎক্ষণাৎ করণীয়ঃ
- আক্রান্ত স্থান টি বারবার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
- সাবান ব্যবহার করা আপনার জন্য বেশি উপকারী হবে। কারণ সাবানে রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক যা ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে।
- যেকোনো জীবনুনাশক ব্যবহার করতে পারেন।
- আক্রান্ত স্থান সরাসরি হাত দিয়ে টাচ করবেন না।
- মাটি বা ময়লা থেকে ক্ষতস্থান নিরাপদে রাখুন।
- ক্ষতস্থানে তেল বা চক লাগাবেন না।
- দ্রুত টিকা দিয়ে নিন।
- টিকা দিলে ইমিউনোগ্লোবিন দেওয়া যাবে না একই সিরিজে।
- ক্ষতস্থান যথেষ্ট সাবধানে রাখার চেষ্টা করবেন।
মন্তব্যঃ কুকুর কামড়ালে কত দিনে টিকা দিতে হয়
কুকুর কামড়ালে কত দিনে টিকা দিতে হয় তা নিয়ে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এছাড়াও কুকুর কামড়ালে জলাতঙ্ক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু তা নিয়ে জানানোর চেষ্টা করেছি। টিকা দেওয়ার নিয়ম নীতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ বর্ণনা করেছি ওপরের আলোচনায়। আশা করছি কিছুটা হলেও উপকৃত হয়েছেন। ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
আমরা অনেকেই শখের বসে এবং নিজের একাকীত্বতা দূর করতে কুকুর বিড়াল পালন করে থাকি। শুধু পশু প্রাণী পালন করলেই চলবে না এ সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে হবে। নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন হতে হবে। এবং পরিবারের সুস্থতা নিশ্চিত করতে হবে। আশা করি বোঝাতে পেরেছি। অবশ্যই বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করে তাদেরও জানার সুযোগ করে দিবেন।
ডেইলি ডাইরির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url