কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চার গোপন টিপস জেনে নিন

কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। অনেকে জানতে চেয়েছেন কিভাবে কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা করা যায়। আজকের পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে জেনে নিন রূপচর্চার কিভাবে কাজে লাগাতে পারেন কলার খোসা।  

কলার-খোসা-দিয়ে-রূপচর্চা
ত্বকের যত্নে কলার খোসার উপকার অপরিহার্য। আমি নিশ্চিত আজকের পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে কেউ আর করার খোসা ফেলে দিবেন না রূপচর্চার কাজে লাগাবেন। তাই পদক্ষেপগুলো জানতে সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ুন।

পেইজ সূচিপত্রঃ কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা

কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা 

কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা করুন। কলা খুবই পুষ্টিকর একটি সুস্বাদু ফল। কলাতে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শারীরিক সুস্থতা দান করে। কলার পাশাপাশি কলার খোসাও বিভিন্ন কাজে লাগে। তার মধ্যে রূপচর্চা অন্যতম। করার খোসা দিয়ে খুব সহজে আপনার ত্বককে সতেজ রাখতে পারবেন। তাই প্রতিদিনের রূপচর্চায় কলার খোসা রাখুন। কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চার উপায়ঃ

  • মুখের ব্রণ দূর করে। 
  • ব্রণের দাগ দূর করে। 
  • ত্বক মসৃণ করে। 
  • দাঁত ঝকঝকে করে। 
  • মাড়ির ব্যথা দূর করে।
  • চুলকানি রোধ করে। 
  • অতি বেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষা দেয়।
  • পোকামাকড় কামড় দিলে কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন।

ব্রণ দূর করতে কলার খোসার ব্যবহার। 

ব্রণ দূর করতে কলার খোসার ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নিন। মুখে ব্রণের সমস্যা থাকলে নিয়মিত কলার খোসা মাখন। কিছুদিন ব্যবহার করার মাধ্যমে মুখের ব্রণ দূর করা সম্ভব। যারা বিভিন্ন রকম প্রোডাক্ট ব্যবহার করার পর বিরক্ত তারা একবার খোলার খোসা ব্যবহার করে দেখেন খুব ভালো ফলাফল পাবেন। রূপচর্চায় কলার খোসার উপকার অতুলনীয়। 

রাতে ঘুমানোর আগে কলার খোসা সম্পূর্ণ মুখে ঘষে নিন। অবশ্যই কলার খোসার ভেতরের অংশ মুখে লাগাবেন। তারপর ঘুমিয়ে পড়ুন। সকালে উঠে মুখ ধুয়ে নিন। এভাবেই কিছুদিন ব্যবহার করলে ফলাফল দেখতে পাবেন। কিছুদিন পর আপনার মুখের ব্রণ ঠিক হয়ে যাবে। আর একবার ঠিক হয়ে গেলে আর ব্রণ আসবে না আপনার মুখে। 

ব্রণের দাগ দূর করতে কলার খোসার ব্যবহার 

ব্রনের দাগ দূর করতে কলার খোসার ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। ব্রণের দাগ দূর করতে কলার খোসা অত্যন্ত উপকারী। তাই নিয়মিত কলার খোসা বেটে মুখে মাখন। কলার খোসার মধ্যে এক ফোঁটা মধু যুক্ত করতে পারেন এতে আরো ভালো ফলাফল পাবেন। কলার খোসায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। নিয়মিত ব্যবহারের মাধ্যমে অবশ্যই ফলাফল পাবেন। 

আরো পড়ুনঃ ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ দূর করার উপায়

নিয়মিত কলার খোসা ব্রণে ঘষে মুখের ব্রণ এবং ব্রণের দাগ দূর করতে পারেন। এদের ভেতর থেকে মুখের দাগ বিলুপ্ত হবে। আপনার ত্বকের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে নিয়মিত কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। তাই এখন থেকে কলা খাওয়ার পর করার খোসা আর ফেলে দিবেন না তা সংরক্ষণ করবেন রূপচর্চার জন্য। করছি ভালো ফলাফল পাবেন। 

ত্বক মসৃণ করতে কলার খোসার ব্যবহার 

ত্বক মসৃণ করতে কলার খোসার ব্যবহার জেনে নিন। ত্বক মসৃণ করতে কলার খোসা খুবই উপকারী। মুখের খসখসে ভাব দূর করে কলার খোসা। ত্বকের কোমলতা বৃদ্ধি করে এবং ত্বক সতেজ রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিয়মিত কলার খোসা ব্যবহার করুন। দিনে একবার অথবা দুইবার কলার খোসার ভেতরের অংশ মুখে ঘষে নিতে পারেন। 

কলার-খোসা-দিয়ে-রূপচর্চা
শীতকালে ত্বক অনেক বেশি রুখ্য হয়ে যায়। ত্বকে হাত লাগলেই যেন নখের দাগ হয়ে যায়। ত্বকে খসখসে অনুভব হয়। এই সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত কলার খোসা ব্যবহার করুন। কিছুদিন ব্যবহার করলেই ফলাফল দেখতে পাবেন। ত্বকের রুক্ষতা দূর করে ত্বক কোমল করবে। তাই তোকে মোলায়েম রাখতে কলার খোসা ব্যবহার করুন।

দাঁত ঝকঝকে করতে কলার খোসার ব্যবহার 

দাঁত ঝকঝকে করতে কলার খোসার ব্যবহার করতে পারেন। দাঁত পরিষ্কার রাখতে এবং দাঁতের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে কলার খোসা অত্যন্ত উপকারী। যাদের দাঁতে হলদে ভাব আছে তারা নিয়মিত কলার খোসা দিয়ে দাঁত ঘষে পরিষ্কার করতে পারেন। কলার খোসায় রয়েছে এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়াও কলার খোসায় রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি।

তাই এটি দাঁতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যাদের দাঁত নিয়মিত ব্রাশ করার পরেও হলুদ হয়ে থাকে বা ভালোভাবে পরিষ্কার হতে চায় না তারা কলার খোসার ভেতরের অংশ দিয়ে দাঁত ঘষে মাজতে পারেন এতে ভাল ফলাফল পাবেন। এই পদ্ধতির কোন সাইড ইফেক্ট নাই। পাকা কলা খাওয়ার পরে খোসাটি ফেলে না দিয়ে দাঁতের ঘষে নিন। দাঁতের মাড়ি মজবুত হবে।

অতিবেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষা পেতে কলার খোসার ব্যবহার 

অতিবেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষা পেতে কলার খোসার ব্যবহার জানুন। আমরা সকলেই জানি অতিবেগুনি রশ্মি কতটা ক্ষতিকর। এটি ক্যান্সারের মত মারাত্মক রোগের সৃষ্টি করতে পারে। আপনার ত্বক ভালো রাখতে কলার খোসা ব্যবহার করুন। ব্লেন্ডারে কলার খোসার ফেসপ্যাক বানিয়ে মুখে ব্যবহার করতে পারেন। চোখের ছানি পড়া রোধ করতে সাহায্য করে। 

আরো পড়ুনঃ সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা

যাদের চোখে চুলকানি হয় বা চোখের অবসাদে ভুগছেন তারা নিয়মিত কলার খোসা মাখতে পারেন। কলার খোসায় রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট লুটিন। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনাকে সাহায্য করবে অতিবেগুনি রশ্মির কবল থেকে বাঁচাতে। আপনার ত্বক এবং চোখ কে সুস্থ রাখতে দারুন উপকারি চলার খোসা। তাই বাইরে বের হওয়ার আগে নিয়মিত কলার খোসা রেখে দিতে পারেন। 

চুলকানি রোধে কলার খোসার ব্যবহার

চুলকানি রোধে কলার খোসার ব্যবহার জেনে নিন। চুলকানি রোধ করতে নিয়মিত কলার খোসার পেস্ট মাখতে পারেন। যেকোনো ধরনের এলার্জি থেকে আপনাকে সুরক্ষিত করবে। এছাড়াও যদি কখনো আপনাকে কোন পোকামাকড় কামড় দেয় সঙ্গে সঙ্গে কলার খোসার পেস্ট লাগিয়ে দিন। ভালো উপকার পাবেন। 

কলার খোসার পেস্ট লাগানোর মাধ্যমে পোকা কামড় দেওয়া জায়গাটি আর জ্বালা করবে না বা চুলকানি ও থাকবে না। এছাড়াও দাদ রোগের ওষুধ হিসেবে কাজ করে কলার খোসা। দ্রুত সমাধান পেতে দাদ রোগের ঔষধ হিসেবে কলার খোসা ব্যবহার করুন। কলার খোসা পানির সাথে সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে চুলকানির জায়গাটি মুছে নিতে পারেন। আশা করছি উপকৃত হবেন।

চুলের যত্নে কলার খোসার ব্যবহার 

চুলের যত্নে কলার খোসার ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নিন। কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা করে আপনি ভালো উপকার পাবেন। ত্বকের যত্নে কলার খোসার উপকার যেমন অপরিহার্য তেমনি চুলের যত্নে কলার খোসার জুড়ি মেলা ভার। কলার খোসা দিয়ে চুলের যত্ন নিতে পারবেন। কলার খোসায় রয়েছে ভিটামিন-সি এটি কোলাজেন উৎপাদন করতে সাহায্য করে। চুলের যত্নে কলার খোসার ব্যবহার দেখে নিনঃ 

কলার-খোসা-দিয়ে-রূপচর্চা
যথাঃ

  • চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করেঃ কলার খোসায় রয়েছে ভিটামিন-সি যা কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে। আর চুল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে কোলাজেন। তাই চুল বৃদ্ধিতে খোলার খোসার উপকারিতা অপরিসীম। 
  • চুল পড়া রোধ করেঃ চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে কলার খোসা। ফলিক শক্তিশালী করতে সাহায্য করে এতে চুল পড়া রোধ হয়। চুলের স্বাস্থ্য ভালো করে। তাই চুল পড়া রোধ করতে এবং চুলকে মজবুত করতে নিয়মিত কলার খোসা ব্যবহার করুন। 
  • খুশকি রোধ করেঃ কলার খোসা ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার চুলের খুশির রোদ হবে। নিয়মিত চুলে ব্যবহারের মাধ্যমে চুলের খুকসি দূর করতে পারেন।

উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে কলার খোসার ব্যবহার 

উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে কলার খোসার ব্যবহার করতে পারেন। এটি ত্বকের গভীরে পৌঁছায় এবং বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে। নিয়মিত কলার খোসার পেস্ট মুখে মাখতে পারেন। কলার খোসা ব্লেন্ডারের ব্লেন্ড করে এক ফোঁটা মধু মিশিয়ে রাতে ঘুমানোর আগে মুখে লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। তারপর ঘুম থেকে উঠে মুখ ধুয়ে ফেলুন এবং নিজে চোখেই নিজের ত্বকের উজ্জ্বলতা দেখুন। 

আরো পড়ুনঃ গাজর খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা

পার্থক্য আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন। অথবা গোসলের আগে এই প্যাকটি মুখে ও ঘাড়ে ১০ মিনিট লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছুটা শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। তবে একদিন ব্যবহার করেই ফলাফল পাবেন না কিছুদিন চালিয়ে যেতে হবে কলার খোসার ব্যবহার। 

মন্তব্যঃ কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা 

কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি আপনাদের সাথে। কলার খোসা কিভাবে আমাদের ত্বককে স্বাস্থ্যকর রাখে তা নিয়ে সম্পূর্ণ জানানোর চেষ্টা করেছি। কলার খোসা ব্রণ এবং ব্রনের দাগ কিভাবে দূর করে তা আপনারা উপরে পড়ে জানতে পেরেছেন। আশা করছি কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন আজকের পোস্ট থেকে। 

নিয়মিত কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা করতে পারেন। কিছুদিন রূপচর্চা করলে নিজেই পার্থক্য দেখতে পাবেন। আর সবচাইতে বড় কথা এখানে কোন কেমিক্যাল ব্যবহার করা নেই তাই কোন সাইড ইফেক্ট হওয়ার আশঙ্কাও নেই। প্রাকৃতিকভাবে আপনার ত্বক ভেতর থেকে স্বাস্থ্যবান হবে। পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করে জানাবেন। আর বন্ধুদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করবেন।

 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডেইলি ডাইরির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url