সরকারি ভাবে কানাডা যাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায়
সরকারি ভাবে কানাডা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো আজকের পোস্টে। যারা সরকারি ভাবে কানাডা যেতে চান কিন্তু সঠিক গাইড লাইনের অভাবে সাহস করতে পারছেন না আজকের পোস্টটি তাদের জন্য।
সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানানোর পাশাপাশি কানাডা ভিসার প্রকারভেদ নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করবো আজকের ব্লগে। সম্পূর্ণ জানতে সাথে থাকুন।পেইজ সূচিপত্রঃ সরকারি ভাবে কানাডা যাওয়ার উপায়
- সরকারি ভাবে কানাডা যাওয়ার উপায়
- কানাডা ভিসার প্রকারভেদ
- সরকারি ভাবে কানাডা যাওয়ার খরচ
- সরকারিভাবে কানাডা যেতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- মন্তব্যঃ সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায়
সরকারি ভাবে কানাডা যাওয়ার উপায়
সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। অনেকেই কানাডা যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন আবার অনেকের স্বপ্ন সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার। তবে সঠিক পরামর্শ এবং গাইডলাইন না পাওয়ায় স্বপ্ন যেন স্বপ্নই থেকে যায়। বর্তমানে কানাডা যাওয়ার বিভিন্ন লেভেলের ভিসা রয়েছে। আপনার পছন্দমতো ভিসায় কানাডা যেতে পারেন। সাধারণত বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসাকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
যেমনঃ
- স্থায়ী ভিসাঃ নির্দিষ্ট কোন মেয়াদ নেই।
- অস্থায়ী ভিসাঃ নির্দিষ্ট মেয়াদ রয়েছে।
যেকোনো ধরনের ভিসায় আপনি সরকারি অথবা বেসরকারি ভাবে কানাডা যেতে পারেন। তবে আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করবো শুধু সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায়। আপনারা অনেকেই জানতে চান খরচ কেমন হয়। সরকারি ভিসায় গেলে খরচ অনেকটাই কম হয় তাই সরকারি ভিসায় যাওয়ার প্রবণতা এত বেশি। সেই তুলনায় বেসরকারি ভিসায় গেলে খরচ অনেকটাই বেশি পড়ে যায়।
সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায়ঃ- যোগ্যতাঃ সরকারিভাবে কানাডা যেতে চাইলে কিছু যোগ্যতা থাকতে হয়। আপনার যে ধরনের যোগ্যতা আছে সেই ক্যাটাগরির ভিসা সিলেক্ট করতে পারেন।
- স্টুডেন্ট ভিসাঃ স্টুডেন্ট ভিসায় খুব সহজেই এবং অল্প খরচে কানাডা যেতে পারেন সরকারিভাবে। স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে IELTS টেস্ট দিতে হবে। তার স্কোর অবশ্যই ৬ থাকতে হবে তাহলে সরকারিভাবে স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডা যেতে পারবেন। এছাড়াও কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চাইলে ওয়ার্ক পারমিট থাকতে হবে।
- আবেদনঃ সব ধরনের যোগ্যতা থাকলে কানাডা যাওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং আপনার সকল ডকুমেন্টস আর আপনার মেডিকেল টেস্ট রিপোর্ট যাচাই-বাছাইয়ের পর সব ঠিকঠাক থাকলে আপনাকে ভিসা প্রদান করা হবে।
- ব্যবসা ভিসাঃ ব্যবসা ভিসা এর মাধ্যমে কানাডা যেতে পারেন। আপনি যদি একজন ব্যবসায়িক হন এবং আপনার ব্যবসা কানাডায় সরিয়ে দিতে চান বা কানাডায় স্থাপন করতে চান তাহলে এটি আপনার জন্য খুবই সহজ। কানাডার কোন কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে খুব সহজেই কানাডা যেতে পারেন সরকারিভাবে।
- ভ্রমণ ভিসাঃ ভ্রমণ বিষয়ের মাধ্যমে আপনি কানাডা যেতে পারেন খুব সহজেই সরকারিভাবে। তবে এই ভিসা পেতে কিছুটা সময় লাগে। তবে অবশ্যই আপনাকে এটা নিশ্চিত করতে হবে ভ্রমণ শেষে আপনি দেশে ফিরে আসবেন। যদি এটা কোনভাবে বুঝা যায় যে আপনার ওইখানে পার্মানেন্ট থেকে দেয়ার ইচ্ছা আছে তাহলে আপনার ভিসা পাওয়া অনেক কঠিন বা অসম্ভব।
- ফ্যামিলি ভিসাঃ ফ্যামিলি ভিসার মাধ্যমে আপনি কানাডা যেতে পারেন। তবে অবশ্যই এর অনেক নিয়ম নিতে রয়েছে যা আপনাকে অনুসরণ করতে হবে।
- স্থায়ীভাবে বসবাসের ভিসাঃ স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য সরকারিভাবে ভিসা করতে পারেন। তবে এজন্য আপনার সঠিক জবাবদিহি করতে হবে এবং অবশ্যই আপনার কর্মক্ষেত্রের বিষয় উল্লেখ করতে হবে। আপনার প্রতি কোন সন্দেহ থাকলে আপনার ভিসা বা অনেক কঠিন হবে।
কানাডা ভিসার প্রকারভেদ
কানাডা ভিসার প্রকারভেদ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। অনেকেই কানাডা যাওয়ার জন্য আগ্রহী। বর্তমানে বিভিন্ন ক্যাটাগরি রয়েছে কানাডা ভিসার। আপনি যোগ্যতা অনুযায়ী কানাডার ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। কানাডার সকল ভিসার ক্যাটাগরিকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা: স্থায়ী ভিসা এবং অস্থায়ী ভিসা। এর যেকোনো একটি আপনি বাছাই করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ কুয়েত হোটেল ভিসা বেতন কত
যে সকল ভিসার জন্য সময় নির্ধারিত করে দেওয়া নেই তা সাধারণত স্থায়ী ভিসা। নির্দিষ্ট সময়ের পর এই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে না। আর যে সকল ভিসার সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয় তা সাধারণত অস্থায়ী ভিসা। একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর অস্থায়ী ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন কানাডা ভিসার প্রকারভেদ গুলো।
সরকারি ভাবে কানাডা যাওয়ার খরচ
সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। সরকারিভাবে কানাডা যেতে খরচ অনেকটাই কম হয়ে থাকে। তাই সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার প্রবণতা এত বেশি মানুষের মাঝে। সরকারিভাবে কানাডা গেলে আপনি আপনার প্রায় ১.৫ থেকে ২ লাখ টাকা বাঁচাতে পারবেন। এজেন্সির মাধ্যমে গেলে এই খরচ অনেকটাই বেশি হয়।
কানাডা যাওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি মানুষের মাঝে। যেকোনো ভিসায় মানুষ কানাডা যাওয়ার প্রতি উদগ্রীব হয়ে পড়ে। সরকারিভাবে কানাডা গেলে ভিসা খরচ প্রায় ৫ থেকে ৫.৫ লাখ টাকা হয়ে থাকে। আর সব মিলিয়ে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হবে। তবে এর ব্যতিক্রম হতে পারে। সর্বনিম্ন ৭ লাখ টাকা খরচ অবশ্যই হবে। আর যদি এজেন্সির মাধ্যমে যান তাহলে খরচ আরো বেশি পড়বে।
সরকারিভাবে কানাডা যেতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
সরকারিভাবে কানাডা যেতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আপনি আপনার যোগ্যতায় যে ভিসাই কানাডা যান অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বা ডকুমেন্টস প্রয়োজন। ভিসা রিলেটেড প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হবে। ভিসা ক্যাটাগরির ওপর নির্ভর করবে কি ধরনের কাগজপত্র প্রয়োজন।
আরো পড়ুনঃ শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার কার্যকারী গোপন ট্রিকসপ্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ
- সর্বনিম্ন ছয় মাস থেকে এক বছর মেয়াদী একটি পাসপোর্ট
- এনআইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্র
- এন আই ডি কার্ড না থাকলে জন্ম নিবন্ধন
- আইইএলটিএস সার্টিফিকেট (স্কোর সর্বনিম্ন ৬)
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- কানাডার ভিসার আবেদন ফরম
- মেডিকেল টেস্টের রিপোর্ট
- বিবাহিত আবেদনকারীর জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস বা প্রমাণপত্র
- স্টুডেন্ট ভিসা হলে কানাডার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লেটার অফার।
- পুলিশ এজেন্সি থেকে ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ।
মন্তব্যঃ সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায়
সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এছাড়াও প্রয়োজনীয় সকল বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এই তথ্যগুলো অক্ষরে অক্ষরে পালন করে খুব সহজেই সরকারিভাবে কানাডা যেতে পারেন। এই তথ্যগুলো কানাডা যাওয়ার ভিসা তৈরিতে আপনাকে সাহায্য করবে। ভিসা তৈরি হতে কিছুদিন সময় লাগে তাই হাতে সময় রেখে কাজ করবেন।
আমি মনে করি আপনি যেই দেশেই যান অবশ্যই সে সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা অর্জন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাহিরের দেশ যেহেতু অবশ্যই চোখ কান খোলা রাখবেন। নিয়ম নীতির মধ্যে চলার চেষ্টা করবেন তাহলে কোন সমস্যার মুখে পড়বেন না। আশা করছি পোস্টটা পড়ে কিছুটা হলেও উপকৃত হয়েছেন। ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
ডেইলি ডাইরির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url