নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ফাইভারে কাজ পাওয়ার উপায় সমূহ
ফাইভারে কাজ পাওয়ার উপায় অনেকেই জানতে চেয়েছেন। ফাইবারে কিভাবে কাজ পাওয়া যায়? এটা নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় আছেন। উপযুক্ত দক্ষতা থাকার পরেও কাজ পাচ্ছেন না এমন সমস্যায় যারা আছেন তাদের জন্য আজকের ব্লগ।
পেইজ সূচিপত্রঃ ফাইভারে কাজ পাওয়ার উপায়
- ফাইভারে কাজ পাওয়ার উপায়
- ফাইভারে কাজ পাওয়ার জন্য পারফেক্ট প্রোফাইল
- ফাইভার কি?
- ফাইভারে কাজ পাওয়ার জন্য সঠিক গিগ শিরোনাম
- ফাইভারে কাজ পাওয়ার জন্য আকর্ষণীয় গিগ ইমেজ এবং ভিডিও
- ফাইভারে কাজ পাওয়ার জন্য সেরা কিওয়ার্ড এবং ট্যাগ
- ফাইভারে কাজ পেতে সর্বোচ্চ এফোর্ট দিন
- ফাইবারে কাজ পেতে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন
- ফাইভারে কাজ পেতে কাজের কোয়ালিটি মেন্টেন
- শেষ কথাঃফাইভারে কাজ পাওয়ার উপায়
ফাইভারে কাজ পাওয়ার উপায়
ফাইভারে কাজ পাওয়ার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। পুরো বিশ্বজুড়ে ভীষণ জনপ্রিয় একটি অ্যাপ ফাইভার। লক্ষাধিক ফ্রিল্যান্সার নিজের দক্ষতা এবং স্কিল দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ডলার ইনকাম করছে এই ফাইবার অ্যাপের মাধ্যমে। আপনি যদি কোন বিষয়ে স্কিল অর্জন করে থাকেন তাহলে তা ফাইবারের মাধ্যমে ক্লায়েন্টদের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ফাইবার উপযুক্ত একটি প্ল্যাটফর্ম। ফাইবারের সফলতার মাধ্যম পারফেক্ট গিগ। একজন ফ্রিল্যান্সার ফাইবারের মাধ্যমে নিজের ক্যারিয়ার সফল করতে পারবে কিনা তা সম্পূর্ণ নির্ভরশীল গিগ এর ওপর।গিগ গুলো সঠিকভাবে সংঘটিত করলে তবেই একজন সফল ফাইভার ফ্রিল্যান্সার হওয়া সম্ভব। ফাইভার প্রতিযোগিতা মূলক প্ল্যাটফর্ম।
চলুন দেখে নিই ফাইভারে কাজ পাওয়ার উপায়ঃ
- প্রোফাইল তৈরিঃ প্রফেশনাল একটি প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। যেন সম্পূর্ণ প্রোফাইল দেখলেই বোঝা যায় আপনার কাজের ধরন। প্রোফাইলটা হতে হবে প্রফেশনাল সেলার প্রোফাইল।
- গিগঃ সঠিক এবং আকর্ষণীয় গিগ ব্যবহার করতে হবে।
- টাইটেলঃ টাইটেলটি সুন্দর ও আকর্ষণীয় হতে হবে।
- ডেসক্রিপশনঃ ডেসক্রিপশন সুন্দর ভাবে লিখতে হবে যেন ক্লাইন্ট পরে বুঝতে পারে আপনি কি ধরনের সেবা দিয়ে থাকেন।
- ইমেজঃ আকর্ষণীয় সুন্দর ইমেজ ব্যবহার করবেন।
- ভিডিওঃ এডিট করে সুন্দর ভিডিও এ্যাড করতে পারেন।
- কিওয়ার্ডঃ সঠিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করবেন।
- সোশ্যাল মিডিয়া গিগঃ সোশ্যাল মিডিয়াতে গিগ অবশ্যই প্রমোট করবেন।
- সর্বোচ্চ ইফোর্টঃ সর্বোচ্চ ইফোর্ট দেওয়ার চেষ্টা করবেন ।
- পর্যাপ্ত সময়ঃ পর্যাপ্ত সময় অনলাইনে থাকার চেষ্টা করবেন। আপনি ফাইভারে কাজ করতে চাইলে অবশ্যই দিনের বেশিরভাগ সময় অনলাইনে থাকতে হবে না হলে আপনার ক্লাইন্ট বিরক্ত হবে আপনাকে সময় মত না পেলে।
- স্কিলঃ আমি যে বিষয়ে কাজ করতে চান অবশ্যই সে বিষয়ের উপর স্কিল অর্জন করতে হবে। অবশ্যই আপনার স্কিল টেস্ট দিতে হবে।
- কোয়ালিটিঃ কাজের মান ও কোয়ালিটি ভালো হতে হবে।
- অ্যাক্টিভঃ অল টাইম ডেলিভারি দেওয়ার জন্য একটিভ থাকতে হবে।
- পারফেক্ট সেলারঃ ফাইভারে টিকে থাকতে হলে আপনাকে হাই লেভেলের সেলার হতে হবে।
- ফাইভার ফোরামঃ সাইবার ফোরাম ব্যবহার করতে হবে।
ফাইভারে কাজ পাওয়ার জন্য পারফেক্ট প্রোফাইল
ফাইভারে কাজ পাওয়ার জন্য পারফেক্ট প্রোফাইল হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ প্রোফাইল দেখলেই ক্রেতা আপনার কাজের ধরন ধারণা করতে পারবে। একজন ক্রেতা আপনার কাজের কিছুটা প্রমাণ পাবে বা প্রমাণ খুজবে আপনার প্রোফাইল দেখে। আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন পারফেক্ট প্রোফাইল হওয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ। সুপরিচিত প্রোফাইলের ওপর নেতাদের আগ্রহ বেশি থাকে।
পারফেক্ট প্রোফাইলের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়ঃ
- প্রোফাইল নামঃ চেষ্টা করবেন নিজের নাম প্রোফাইলে রাখতে। আগে ক্রেতার বিশ্বস্ততা অর্জন করতে হবে।
- প্রোফাইল পিকচারঃ আপনার প্রোফাইলে অবশ্যই আপনার নিজের একটি পেশাদার বা প্রফেশনাল পিকচার রাখবেন। প্রোফাইলে যেকোনো বিখ্যাত আর্টিস্টের ছবি রাখা থেকে অবশ্যই বিরত থাকবেন। এটি আপনার প্রোফাইলের প্রফেশনাল লুক ক্ষুন্ন করে। অবশ্যই ক্রেতার বিশ্বাস অর্জন করতে হবে।
- প্রোফাইল ডেসক্রিপশনঃ ডেসক্রিপশন এ অবশ্যই লিখে রাখবেন আপনার কাজের দক্ষতা সম্পর্কে। আপনার প্রোফাইলের বিবরণ দেখে ক্রেতা বুঝতে পারবে আপনার কাজের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা। তাই এ বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আপনার ফাইভার একাউন্টের জন্য।
- ভাষার দক্ষতাঃ ভাষার দক্ষতা আপনার প্রোফাইলে অবশ্যই হাইলাইট করবেন। ফাইভার একটি ইন্টারন্যাশনাল প্লাটফর্ম। যেহেতু বিশ্বব্যাপী এর বিস্তার রয়েছে তাই বিভিন্ন দেশ থেকে ক্রেতা আসবে আপনার সেবা নিতে। তাই আপনি যদি একাধিক ভাষা জেনে থাকেন তা অবশ্যই প্রোফাইলে হাইলাইট করবেন। কারণ অন্য দেশের ভাষার সাথে আপনার ভাষার মিল পেলে ক্রেতা আপনার প্রতি আগ্রহী হবে বেশি।
- অভিজ্ঞতাঃ আপনার অবশ্যই কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। অভিজ্ঞ মানুষের কাছে ক্রেতা কাজ করিয়ে নিতে বেশি কমফোর্টেবল ফিল করে।
- দক্ষতাঃ আপনার কাজের দক্ষতা অবশ্যই আপনার প্রোফাইলে হাইলাইট করবেন। এটি আপনার ফাইভ গিগ রেঙ্ক করতে অত্যন্ত সাহায্য করবে।
- সোশ্যাল মিডিয়া লিঙ্ক অ্যাডঃ আপনার ফাইভার একাউন্টে অবশ্যই আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার নির্দিষ্ট বিভাগে লিংক যুক্ত করবেন। ফাইভারের অ্যালগরিদম আপনার প্রোফাইল রেঙ্ক করতে সাহায্য করবে।
- যোগ্যতাঃ আপনার যে কোন ধরনের যোগ্যতা অথবা শিক্ষাগত যোগ্যতা আপনার প্রোফাইলে অবশ্যই হাইলাইট করবেন। আপনার কাজের যোগ্যতা বা শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখে ক্রেতা আপনার ওপর বিশ্বস্থতা স্থাপন করবে।
- সার্টিফিকেট অ্যাডঃ আপনার কাজের যেকোনো সার্টিফিকেট অ্যাড করতে ভুলবেন না। এতে ক্রেতা আপনার থেকে কাজ করিয়ে নিতে আরো বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করবে।
- টাইম মেন্টেনঃ অবশ্যই সময়ের দিকে খেয়াল রাখবেন।
- বিশ্বস্ততাঃ ক্রেতার বিশ্বস্ততা ধরে রাখতে কাজের কোয়ালিটি ভালো করবেন।
ফাইভার কি?
ফাইভার কি? আপনারা অনেকেই জানতে চান ফাইভার কি। ফাইভার সম্পর্কে আপনাদের অনেকেরই কোন ধারণা নেই। অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং শিখে নিয়েছেন কিন্তু বুঝতে পারছেন না ফাইভার এর কাজ কি। আপনি যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য ফাইবার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি মার্কেটপ্লেস বা প্লাটফর্ম। আপনাদের সকল সেবা এখানে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম
ফাইবার একটি ইন্টারন্যাশনাল এবং ভীষণ জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম। এখানে হাজার হাজার ফ্রিল্যান্সার ক্রেতাদের সেবা দিয়ে থাকে। ক্রেতারা অর্থের বিনিময়ে শেষ সেবা ক্রয় করে থাকে। এখানে যেকোনো কাজের মূল্য সর্বনিম্ন ৫ ডলার থেকে সর্বোচ্চ ৫০০০ ডলার পর্যন্ত হতে পারে। আপনি যে বিষয়ে সেই সেবাটি ক্রেতার কাছে বিক্রি করতে পারেন একটি অ্যাকাউন্ট খুলে তার মাধ্যমে।
ফাইভারের কাজগুলোঃ
- ওয়েবসাইট তৈরি
- ওয়েবসাইট ডিজাইন
- ডেভেলপমেন্ট
- লোগো তৈরি
- ব্যানার তৈরি
- টি শার্ট ডিজাইন
- কনটেন্ট writing
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- ভিডিও এডিটিং
- গ্রাফিক ডিজাইন ইত্যাদি।
ফাইভারে কাজ পাওয়ার জন্য সঠিক গিগ শিরোনাম
ফাইভারে কাজ পাওয়ার জন্য সঠিক গিগ শিরোনাম ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফাইভার প্লাটফর্মে সফল হতে সঠিক গিগ এর প্রয়োজনীয়তা বাধ্যতামূলক। বর্তমান সময়ে ফাইভারে একটি গিগ এর রেঙ্ক নির্ভর করে বেশিরভাগই শিরোনাম বা শিরোনামের বর্ণনার ওপর। তাই সঠিক নিয়মে গিগ শিরোনাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলুন বর্ণনা করা যাক সঠিক গিগ শিরোনামের বৈশিষ্ট্যঃ
গিগ শিরোনামঃ গিগ শিরোনাম ক্রেতার সামনে তুলে ধরবে আপনার কাজের পরিষেবা কে। ক্রেতার সামনে আপনার সেবা তুলে ধরার মাধ্যম হিসেবে এটি কাজ করে। তাই আকর্ষণীয় গিগ শিরোনাম নির্বাচন করা খুবই জরুরি আপনার ফাইবার একাউন্টের জন্য। তাই গিগ শিরোনাম এর ওপর অত্যন্ত মনোযোগী হবেন। আপনার সফলতার বেশিরভাগ অংশ এটার ওপর নির্ভর করে।গিগ বর্ণনাঃ অবশ্যই গিগ বর্ণনা সঠিক হতে হবে। এটি রেঙ্ক করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক কিওয়াড বা ট্যাগ রাখার চেষ্টা করুন। ফাইভার সার্চের সর্বোচ্চ চূড়ায় থাকতে হলে অবশ্যই সঠিক এবং উচ্চমানের গী বিবরণ রাখতে হবে। ১৩০০ থেকে ১৫০০ শব্দের পরিষেবা গিগ বিবরণ লিখতে পারেন। আপনার লক্ষ্য যুক্ত কিওয়ার্ড গিগ বিবরনে বারবার রাখার চেষ্টা করুন।
শীর্ষ গিগ অনুসরণঃ শীর্ষ গিগ অনুসরণের মাধ্যমে আপনি আপনার ফাইবার একাউন্ট রেঙ্ক করাতে পারেন। অবশ্যই কপি করা থেকে বিরত থাকবেন। শীর্ষস্থানের দিকগুলো অনুসরণ করুন এবং রিসার্চ করুন। ভালো মানের দিক শিরোনাম বা বিবরণ লিখতে বিভিন্ন কৌশল অনুসরণ করুন তবে অবশ্যই কপি করা থেকে বিরত থাকবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন শীর্ষ গিগ অনুসরণ এর বিষয় টি।
ফাইভারে কাজ পাওয়ার জন্য আকর্ষণীয় গিগ ইমেজ এবং ভিডিও
ফাইভারে কাজ পাওয়ার জন্য আকর্ষণীয় গিগ ইমেজ এবং ভিডিও সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। ইমেজ এবং ভিডিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ক্রেতা আপনার থেকে কাজ করিয়ে নেওয়ার আগে ইমেজ এবং ভিডিও দেখে আপনার ওপর বিশ্বস্ততা স্থাপন করতে পারবে। তাই প্রোফাইলে অবশ্যই এটি এড করতে ভুলবেন না। এমন ভাবে ইমেজ এবং ভিডিও সেট করুন যেন ক্রেতা তার ওপর আকৃষ্ট হয়।
আর যদি ক্রেতা ইমেজ বা ভিডিওর ওপর গ্রহ না দেখায় আপনি র্যাংকিংয়ে অনেকটাই পিছিয়ে যাবেন। অন্যদের পিছিয়ে ফেলে এগিয়ে যেতে অবশ্যই আপনার সেরা কাজের পিকচার ও ভিডিও হাইলাইট করুন। এই পরিকল্পনাটির মাধ্যমে আপনি অন্যদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে থাকবেন। তাই ক্রেতাকে আকৃষ্ট করতে সর্বোচ্চ ভালো পিকচার এবং ভিডিও এড করুন।
ফাইভারে কাজ পাওয়ার জন্য সেরা কিওয়ার্ড এবং ট্যাগ
ফাইবারে কাজ পাওয়ার জন্য সেরা কিওয়ার্ড এবং ট্যাগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সবচাইতে ভালো কিওয়ার্ড নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিওয়ার্ডের মাধ্যমেই ক্রেতার কাছে আপনার সেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। একমাত্র কিওয়ার্ডই পারে দ্রুত আপনার ফাইবার একাউন্ট র্যাংক করাতে। তাই অবশ্যই সঠিক এবং চাহিদা সম্পন্ন কিওয়ার্ড যুক্ত করুন।
আরো পড়ুনঃ দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করার অ্যাপ সম্পর্কে জানুন
আপনি যে বিষয়ে সেবা দিতে চান সে বিষয়টির কিওয়ার্ড সহ পারিপার্শ্বিক আরো কিওয়ার্ড এড করুন। যেন যে কোন কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করলেও আপনার প্রোফাইলটা আগে আসে। এ বিষয়টি রেঙ্ক করানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই কিওয়ার্ড সর্বোচ্চ বার ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। কিওয়ার্ডকে বলা হয় হৃদপিণ্ড। এ বিষয়টি মাথায় রাখলে আপনি খুব দ্রুত উন্নতি লাভ করতে পারবেন আপনার জীবনে।
ফাইভারে কাজ পেতে সর্বোচ্চ এফোর্ট দিন
ফাইভারে কাজ পেতে সর্বোচ্চ এফোর্ট দিন। ফাইভার একটি ইন্টারন্যাশনাল প্লাটফর্ম তা আপনারা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন। এমন অনেক দেশ রয়েছে যে দেশগুলোতে আমাদের দেশের সময়ের সাথে পার্থক্য অনেক বেশি। কোন দেশের গভীর রাত অথচ আমাদের দেশে দিন। আবার কোন দেশে দিনের বেলা আমাদের দেশে গভীর রাত।
এই সময়ের ব্যবধানের জন্য কখন ক্লাইড আপনাকে কাজের জন্য নক দিবে তা বুঝা সম্ভব নয়। তাই সর্বোচ্চ সময় অনলাইনে থাকার চেষ্টা করুন। খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ফাইভারে কাজ পেতে। দেশের বা বাইরের যে কোন ক্রেতা কাজ করিয়ে দেওয়ার জন্য একসাথে অনেকগুলো ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করে যে আগে রেসপন্স করে কাজটি সে পেয়ে যায়।
তাই ফাইবারে চাকরি পেতে যতক্ষণ সম্ভব অনলাইনে থাকার চেষ্টা করবেন। আর আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এ বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। এটি সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করে ফাইভারে কাজ পেতে। আপনি সবসময় মোবাইলে ফাইভার সাইড একটিভ রাখার মাধ্যমে ক্রেতার যেকোনো বার্তার জবাব দিতে পারবেন। এতে ক্রেতা আপনাকে মেসেজ করে হয়রানি বা হতাশার শিকার হবে না।
ফাইবারে কাজ পেতে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন
ফাইবারে কাজ পেতে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার কাজের দক্ষতা যত বৃদ্ধি পাবে আপনার ক্লাইন্ট ততো বাড়বে। কাজ করার মাধ্যমে আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে পাশাপাশি আপনি অভিজ্ঞ হয়ে উঠবেন।। ফাইভারে কাজ করতে আপনাকে স্কিল টেস্ট দিতে হবে তাই দক্ষতা অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়ে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন।
এই টেস্টের মাধ্যমে বোঝা যায় একজন ফ্রিল্যান্সার যেকোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর কতটা দক্ষ বা অভিজ্ঞ। এভাবে যদি আপনার প্রোফাইলের স্কিলস স্কোর বৃদ্ধি পায় তাহলে আপনার প্রোফাইলের গুরুত্বও বেড়ে যাবে। এতে ক্রেতার বিশ্বস্ততা বৃদ্ধি পাবে। তাই আপনি যদি যেকোনো বিষয়ে পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে ফাইবার স্কিল টেস্টে অংশগ্রহণ করতে পারেন।দিনে দিনে আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা যত বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার ফাইবার একাউন্ট যত পুরনো হবে সেটি তত বেশি জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্থতা অর্জন করবে। তবে অবশ্যই কাজ করে যেতে হবে। সাইড খুলে বসে থাকলে সম্ভব না। দিনের ও রাতের বেশিরভাগ সময় অনলাইনে থাকার চেষ্টা করবেন। এবং যথাসময়ে ক্রেতার যেকোনো বার্তার উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এই কাজগুলোর মাধ্যমেই ধীরে ধীরে আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পাবে।
ফাইভারে কাজ পেতে কাজের কোয়ালিটি মেন্টেন
ফাইভারে কাজ পেতে কাজের কোয়ালিটি মেন্টেন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফাইবার একটি ইন্টারন্যাশনাল প্ল্যাটফর্ম। তাই এখানে টিকে থাকতে হলে আপনাকে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে হবে। যে যত ভালো কাজ করতে পারবে সে ততো বেশি এগিয়ে যাবে। এবং তার ট্রাফিক বা কাজের সংখ্যা তত বাড়বে। আপনার কাজের কোয়ালিটি ভালো হলে বা অন্য ক্রেতা আপনার কাজের রিভিউ দেখলে সে কাজ করিয়ে নিতে আগ্রহী হবে।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে রাতারাতি কোটিপতি হবেন জেনে নিন কার্যকারী উপায়
তাই কাজের প্রতি অত্যন্ত মনোযোগী হবেন। আর সময় মেনটেন করার চেষ্টা করবেন।। আপনার প্রোফাইলে আপনার কাজের কোয়ালিটি বা দক্ষতা যত বেশি হাইলাইট হবে আপনার ক্রেতার সংখ্যা তত বেশি বৃদ্ধি পাবে। তাই শুধু কাজের দিকে মনোযোগ না দিয়ে কোয়ালিটি ফুল কাজ করায় মনোযোগী হন। যেন ক্লাইন্ট একবার কাজ করিয়ে চলে না যায়। প্রতিটা কাজে যেন আপনাকে খুঁজে।
শেষ কথাঃফাইভারে কাজ পাওয়ার উপায়
ফাইভারে কাজ পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এ বিষয়গুলো মেনে চললে খুব সহজেই নতুনরা ফাইবারে কাজ পাবেন। অবশ্যই যে কোন কাজের দক্ষতা অর্জন করবেন সবার আগে। তারপর সার্ভিস দেবেন ক্রেতাদের। অভিজ্ঞতা ছাড়া এই কাজগুলো করা সম্ভব নয়। ওপরে ফাইভারে কাজ পাওয়ার কৌশল বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
আমার মনে হয় ফাইভারে দ্রুত কাজ পেতে আপনার সব কাজের পেছনে না ছুটে একটি কাজে দক্ষ হওয়া উচিত। এই বিষয়গুলো মেনে চলার চেষ্টা করুন দ্রুত কাজ পাবেন। গিগ শিরোনামের প্রতি মনোযোগী হন আশা করছি ভালো ফলাফল পাবেন। পোস্টটি পড়ে কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন। আশা করি কিছুটা হলেও উপকৃত হয়েছেন। আর হ্যাঁ বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।
ডেইলি ডাইরির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url