১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্য

১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্য নিয়ে থাকছে আজকের পোস্ট। ১৬ই ডিসেম্বর কি দিবস? ১৬ই ডিসেম্বর এর ইতিহাস? এগুলো নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা হবে আজকের পোস্টে।  

১৬ই-ডিসেম্বর-বিজয়-দিবস-বক্তব্য
১৬ই ডিসেম্বর সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে সম্পূর্ণ পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। ১৬ই ডিসেম্বর বাঙালির জীবনে গুরুত্বপূর্ণ কেন তা সম্পর্কেও জানানো  হবে বিভিন্ন তথ্য। আজকের পোস্ট থেকে জেনে  নিন ১৬ই ডিসেম্বর এর ইতিহাস।

পেইজ সূচিপত্রঃ ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্য 

১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্য 

১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্য অনেকেই জানতে চান। ১৬ই ডিসেম্বরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে নাচ-গান কবিতা আবৃত্তি সহ বক্তব্য দেওয়ার প্রতিযোগিতা হয়। এছাড়াও যারা উপস্থাপনা করে তাদের ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস সম্পর্কিত বক্তব্য দেওয়ার প্রয়োজন হয়। আজকের পোস্টে জেনে নিন ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্য।

  • বক্তব্যঃ মাননীয় সভাপতি, প্রধান অতিথি এবং অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ সহ সবাইকে জানাই বিজয় দিবসের আন্তরিক শুভেচ্ছা। মুসলমান ভাইদের জানাই সালাম, আসসালামু আলাইকুম / হিন্দুদের জানাই আদাব। 
  • আমরা সকলেই জানি আজ ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। আজকের দিনেই আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, তাদের জন্যই আমরা আজকের দিনটি উপহার পেয়েছি। 
  • শহীদদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ তাদের জীবন ও রক্ত দিয়ে আমাদেরকে স্বাধীনতার আলোয় আলোকিত করেছিলেন। শহীদ বীর সন্তান আমাদের গর্ব। আজকের এই বিজয় দিবস আমাদের আনন্দ অশ্রু মাখা মুক্তির দিন। 
  • প্রায় অর্ধশত বছর আগে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। বাংলার আকাশে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন হয়েছিল। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষের জীবনের বিনিময়ে পেয়েছিলাম আমরা আমাদের স্বাধীনতা। 
  • সেই বিজয়ের মধ্যে দিয়ে বিশ্বের বুকে আত্মপ্রকাশ করেছিল স্বাধীন সার্বভৌম বাঙালি জাতি। আমাদের স্বাধীন বাংলার গৌরবময় অশ্রু মাখা এক ইতিহাসের ফল এই বিজয় দিবস।

১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস 

১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা থাকছে আজকের পোস্টে। অনেকেই জানতে চান ১৬ ডিসেম্বর কি দিবস? ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস / স্বাধীনতা দিবস। প্রায় অর্ধশত বছর আগে এই দিনেই স্বাধীন হয়েছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বিশেষ দিন হিসেবে পালিত হয় ১৬ই ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালে ১৬ই ডিসেম্বর এই দিনটিতে পাকিস্তানিরা আত্মসমর্পণ করে।
 
১৯৭২ সালে ২২ জানুয়ারি প্রকাশিত হয় বাংলাদেশের এই বিজয় দিবস উদযাপন করা হবে এবং সরকারিভাবে ছুটি ঘোষণা করা হয়। পাকিস্তানি বাহিনীর প্রায় ৯২ হাজার সদস্য আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে নেয়। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রতিবছর ঢাকা সাভারে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধানমন্ত্রী সহ সকল নেতাকর্মী ফুল অর্পণ করেন।

বিজয় দিবস উদযাপন 

বিজয় দিবস উদযাপন করা হয় অনেক বড় করে। ১৯৭২ সাল থেকে বিজয় দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা হয় বাংলাদেশ। সাধারণ মানুষের কাছে বিষয়টি তুলে ধরা হয় বিভিন্ন চলচ্চিত্র, কবিতা, নিবন্ধন এবং গণমাধ্যম দ্বারা। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় প্যারেড স্কোয়ার এবং কুচকাওয়াজ। 

১৬ই-ডিসেম্বর-বিজয়-দিবস-বক্তব্য
দেশের সকল প্রতিষ্ঠান এবং প্রধান সড়ক গুলো জাতীয় পতাকা দিয়ে সুন্দর করে সাজানো হয়। বিজয় দিবসের এই দিনে শহীদের প্রতি সম্মান জানাতে সাভারে জাতীয় মুক্ত স্মৃতিসৌধে প্রধানমন্ত্রীসহ সকল নেতা কর্মী ফুল অর্পণ করে। সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনোদনের মাধ্যমে তুলে ধরা হয় সেই রক্তে মাখা রক্তের দিনগুলো। পুরো বাংলা মেতে উঠে বিজয় দিবস উদযাপনে। 

বিজয় দিবসের কিছু বিশেষ ঘটনা 

বিজয় দিবসের কিছু বিশেষ ঘটনা আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলোঃ ১৯৭১ সালে ১৬ই ডিসেম্বর স্বাধীন হয় সোনার বাংলাদেশ। এই দিনের পাকিস্তানি বাহিনীর প্রায় ৯২ হাজার সদস্য আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে। ১৯৭১ সালে স্টেট ব্যাংক অফ পাকিস্তান এই নামকরণ পরিবর্তন করে ব্যাংকের নামকরণ করা হয় বাংলাদেশ ব্যাংক। 

আরো পড়ুনঃ সরকারি ভাবে কানাডা যাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায়

বাংলাদেশ সরকারের প্রথম সংবিধান প্রকাশিত হয় ১৯৭২ সালে। বাংলাদেশ গ্যাজেট এর দ্বারা স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষভাবে অবদান রাখার জন্য রাষ্ট্রীয় খেতাব ঘোষণা করা হয় ১৫ই ডিসেম্বর। ২৫ বছর পূরণ উপলক্ষে এক বিশাল উৎসব এর আয়োজন করা হয়েছিল ১৯৯৬ সালে। এছাড়াও ২০২১ সালে ৫০ বছর পূরন উপলক্ষে উৎসব পালন করা হয়েছিল।

১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালের ইতিহাস 

১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালের ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। এটি বাঙালি জাতির কাছে অশ্রু মাখা আনন্দের দিন। ১৯৭১ সালে প্রায় ৯ মাস যুদ্ধের পর এই দিনে পাকিস্তান বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। প্রায় ৯২ হাজার পাকিস্তান সদস্য আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করেছিল। পাকিস্তান বাহিনীর পক্ষ থেকে আত্মসমর্পণের জন্য দলিল স্বাক্ষর করেছিলেন জেনারেল আমির আব্দুল্লাহ খান নিয়াজী। 

১৬ই-ডিসেম্বর-বিজয়-দিবস-বক্তব্য
যৌথ বাহিনীর প্রধান জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তান বাহিনী। বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিবাহিনী উপ-সর্বাধিনায়ক, ডেপুটি চিপ অফ টাফ গ্রুপ ক্যাপ্টেন আব্দুল করিম খন্দকার। এভাবেই পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমর্পণ সম্পন্ন হয়। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানী সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। এই আত্মসমর্পণ এর মাধ্যমে আমরা পাই মহান বিজয় দিবস।

১৬ই ডিসেম্বর বাঙালির জীবনে গুরুত্বপূর্ণ কেন

১৬ই ডিসেম্বর বাঙালির জীবনে গুরুত্বপূর্ণ কেন তা নিয়ে থাকছে বিস্তারিত আলোচনা। ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। এই দিনে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। পাকিস্তান বাহিনীর প্রায় ৯২ হাজার সদস্য আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করেছিল এই দিনে। আত্মসমর্পণ দলিল স্বাক্ষর করার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। এটি বাঙালির কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন ছিল। 

আরো পড়ুনঃ শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার কার্যকারী গোপন ট্রিকস 

দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধে প্রায় ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাঙালি পেয়েছে এই স্বাধীনতা। প্রায় তিন লক্ষ মা-বোনদের ধর্ষণ হয়েছিল। এত ত্যাগ স্বীকার করার পরে বাঙালি পেয়েছে এই স্বাধীন সার্বভৌম দেশ বাংলাদেশ। আমরা সেই শহীদদের কাছে চিরঋণী। বাঙালির সকল উন্নয়ন চেতনার মূলে রয়েছে শহীদদের আত্মত্যাগ। তারা আমাদের অহংকার আমাদের গৌরব। এজন্য ১৬ই ডিসেম্বর বাঙালির জীবনে এত গুরুত্বপূর্ণ। 

মন্তব্যঃ ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্য 

১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্য নিয়ে আলোচনা করেছি। এছাড়াও আপনাদের জানিয়েছি ১৬ই ডিসেম্বর কি দিবস? আশা করি বিষয়গুলো আপনাদের কাছে এখন পরিষ্কার হয়েছে। ১৯৭১ সালে ১৬ই ডিসেম্বর এর ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। বাঙালির সেই গৌরবময় দিন কেমন ছিল তা জানতে পেরেছেন আজকের পোস্ট থেকে। 

১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস। এটি বাঙালির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং সকল কর্মকাণ্ডের মূলে রয়েছে শহীদের আত্মত্যাগ। আশা করি বিষয়গুলো আপনাদের কাছে পরিষ্কার হয়েছে। আজকের পোস্ট ভালো লাগলে কমেন্ট করে জানাবেন। বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে বন্ধুদের জানার সুযোগ করে দিন। ধন্যবাদ।

কিছু প্রশ্নের উত্তর 

প্রশ্নঃ ১৯৭১ সাল ১৬ ডিসেম্বর কি বার ছিল? 

উত্তরঃ ১৯৭১ সাল ১৬ই ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ছিল।

প্রশ্নঃ ১৬ই ডিসেম্বর কি দিবস? 

উত্তরঃ ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস/স্বাধীনতা দিবস। 

প্রশ্নঃ বিজয় দিবস বলতে কী বোঝায়? 

উত্তরঃ বিজয় দিবস বলতে বোঝানো হয়েছে ১৯৭১ সালে ১৬ই ডিসেম্বর অর্থাৎ এই দিনে স্বাধীনতা অর্জন করেছে এই সোনার বাংলাদেশ। পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছে। তাই ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস হিসেবে পালিত হয়। বিজয় দিবস বলতে আমাদের এই স্বাধীনতাকেই বোঝানো হয়েছে। 

প্রশ্নঃ ১৬ই ডিসেম্বর বাঙালির জীবনে গুরুত্বপূর্ণ কেন? 

উত্তরঃ ১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের পর প্রায় ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি এই স্বাধীন বাংলাদেশ। তাই বাঙালির জীবনের ১৬ই ডিসেম্বর এত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্নঃ আমাদের জীবনে ১৬ই ডিসেম্বরের তাৎপর্য কি? 

উত্তরঃ ১৬ই ডিসেম্বর আমাদের জীবনে এক বিশাল তাৎপর্য বহন করে। এটি শুধু বিজয় নয় এটি আমাদের এনে দিয়েছে স্বাধীনতা। ১৬ই ডিসেম্বর বিজয়ের মধ্য দিয়ে আমরা পেয়েছি নিজস্ব সত্তা। 16 ডিসেম্বর আমাদের গৌরবের প্রতীক। 

প্রশ্নঃ মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির অবদান কেমন ছিল? 

উত্তরঃ মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির অবদান ছিল অসামান্য। প্রতিটি মানুষ এগিয়ে এসেছে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। যে যেভাবে পেরেছে যুদ্ধে সাহায্য করেছে। এ যেন ছিল বাঙালির এক ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম এবং আত্মত্যাগের নিদর্শন।

 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডেইলি ডাইরির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url