বেগুন খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা
বেগুন খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানতে চান। আজকের পোস্টে আপনাদের জানাবো বেগুনের উপকারী দিক এবং অপকারী দিক সম্পর্কে। তাই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।
সব খাবারেরই ভালো দিক এবং খারাপ দিক রয়েছে। তাই আমাদের খাবার সম্পর্কে একটু সচেতন হতে হবে। আর খাবারের ভালো মন্দ দিক দেখে বিচার করবেন তা আপনার জন্য কতটা প্রযোজ্য।
পেইজ সূচিপত্রঃ বেগুন খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা
- বেগুন খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা
- বেগুন খাওয়ার উপকারিতা
- বেগুন খাওয়ার অপকারিতা বা বেগুনের ক্ষতিকর দিক
- বেগুন খেলে কি ওজন বাড়ে
- বেগুনি কি ভিটামিন আছে?
- গর্ভবতীদের জন্য বেগুন খাওয়া কতটা নিরাপদ?
- বেগুনের মৌসুম
- বিটি বেগুন
- বেগুনে বিভিন্ন রোগের লক্ষণ এবং প্রতিকার
- মন্তব্যঃবেগুন খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা
বেগুন খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা
বেগুন খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত ধারণা দিবো। বেগুন আমাদের নিত্য দিনের একটি প্রয়োজনীয় এবং পছন্দনীয় সবজি। অনেকের কাছেই বেগুন পছন্দের আবার অনেকের কাছে ভালো লাগে না। এখন সব সবজি ১২ মাস পাওয়া যায়। তবে মৌসুমের সবজি গুলোর টেস্টই আলাদা। এছাড়া অনেক অসাধু ব্যবসায়ী আছে যারা সবজি তোলার সময় না হতেই বেশি মুনাফার আশায় আগাম সবজি তুলে নিয়ে আসে।
বাজারে বিক্রি করে যার কারণে সবজির আসল টেস্ট পাওয়া যায় না। বেগুন খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তবে অনেকের অনেক সমস্যার কারণে কিছু সবজি থেকে দূরে থাকা ভালো। নিচে আপনাদের সাথে বেগুনের উপকারী দিক এবং অপকারী দিক নিয়ে আলোচনা করব। তাই চলুন প্রথমে জেনে নিই বেগুনের উপকারী দিক।তারপর জেনে নেব বেগুনের ক্ষতিকর দিক সমূহ।বেগুন আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় একটি সবজি।
রোজার মাসে যেন বেগুনের কদর আরো বেড়ে যায়। তৈরি হয় সবার পছন্দের বেগুনি। শুধু বেগুনি নয় বেগুনের নানা রেসিপি রয়েছে। বেগুনের ভর্তা ,বেগুনের ঝোল ,এছাড়া কালিজিরা বেগুন দিয়ে ইলিশ মাছের পাতলা ঝোল। বাঙালির যেন বেগুন ছাড়া চলে না। বেগুন কখনো খাইনি এমন বাঙালি হয়তো খুঁজেই পাওয়া যাবে না। বেগুন হাজারো পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে এর বিপরীতে হতে পারে। তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
বেগুন খাওয়ার উপকারিতা
বেগুন খুবই জনপ্রিয় একটি সবজি। আমরা কমবেশি সবাই বেগুনের সাথে পরিচিত। শাকসবজি মানব দেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমাদের পরিমিত শাকসবজি খাওয়া উচিত । শাক সবজির মধ্যে বেগুন অন্যতম। আপনার শরীরের কোষগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে সাহায্য করবে বেগুন। তাই অবশ্যই আপনার খাবারের লিস্টে বেগুন রাখুন।
- বেগুনে আছে প্রচুর পরিমাণ এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং রয়েছে পরিমাণ মতো ফাইবার। ফাইবার খাবার হজমে খুবই সাহায্য করে। আর এই উপাদান গুলো শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয় যা আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
- বেগুনে অতিরিক্ত ফাইবার থাকার কারণে আপনার খিদে কমাতে সাহায্য করবে।
- ওজন কমাতে চাইলে বেগুন খান। এটি পেট ভরা আছে এমন অনুভূতি দেয়। যার কারনে খিদে কম পায় এবং আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- বেগুন হার্টের রোগীর জন্য উপযোগী খাবার। বেগুন এ রয়েছে ভিটামিন-বি-৬ এবং ফ্ল্যাভনয়েডস যা হৃদপিন্ডের রোগ প্রতিরোধ করে।
- বেগুন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। কারণ বেগুনে রয়েছে পটাশিয়াম এবং অ্যান্থোসায়ানিন।
- বেগুনে রয়েছে ভিটামিন-এ ভিটামিন-সি ভিটামিন-ই ভিটামিন-কে।
- বেগুন স্বাস্থের পাশাপাশি ত্বক ও চুলকেও ভালো রাখে। ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এবং চুলের স্বাস্থ্য ঠিক করে।
- বেগুন চোখের যাবতীয় রোগের বিরুদ্ধে লরে এবং দৃষ্টিশক্তি বাড়িয়ে দেয়।
- পলিফেনাল বা প্রাকৃতিক উদ্ভিদ যৌগ পাওয়া যায় বেগুনের মধ্যে। এই উপাদানটি শরীরে চিনি শোষণ কমায়।
- বেগুনের মধ্যে উপকারী উপাদান গুলোর জন্য ইনসুলিন নিঃসরণ বেড়ে যায়। যার ফলে রক্তের শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। অর্থাৎ ডায়াবেটিক্স রোগীর জন্য খুবই উপকারী।
- যারা নিয়মিত বেগুন খান তাদের ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা তুলনামূলক কমে যায়। বেগুড়া আছে ক্যান্সার রোধকারী উপাদান। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ক্যান্সার হওয়া থেকে রক্ষা করে।
- বেগুনে আছে ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম। এই উপাদান গুলো দাঁত ও হাড়ের জন্য উপকারী। দাদ কে মজবুত করে দাঁতের মাড়ি হয় শক্তিশালী। এবং হাড়ের গঠন ও বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে হার হয় স্ট্রং।
- বেগুনে আছে নানা রকম ভিটামিন যা রক্ত জমাট বাধার বিরুদ্ধে কাজ করে। রক্ত চলাচল সচল থাকে।
- বেগুনে রয়েছে আয়রন যা রক্তশূন্যতা পূরণ করবে। এবং রক্তের পরিমাণ বাড়িয়ে দিবে শরীরে পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পাবে।
- অবসাদ দূর করতে বেগুন খেতে পারেন।
- জ্বর হলে অনেকের মুখের স্বাদ চলে যায়। সে সময় বেগুন খেয়ে মুখের স্বাদ ফেরানো সম্ভব।
- বেগুনে রয়েছে অনেকটা পরিমাণ ফাইবার। অর্থাৎ বেগুন আঁশ জাতীয় খাবার। এটি হজমের সাহায্য করে। আপনার যদি পায়খানার সমস্যা থাকে তাহলে সেটি ক্লিয়ার হবে। এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাবেন।
- বেগুন কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং রক্ত পরিষ্কার করে।
- বেগুনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ রিবোফ্লাবিন। যা মুখ ও ঠোঁটের কিংবা জিহ্বায় যদি কোন ধরনের ঘা হয় তা থেকে মুক্তি দেয়। তাই এ সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য নিয়মিত বেগুন খেতে পারেন।
- আপনার যদি ডায়রিয়া হয় তাহলে সুস্থ হওয়ার পর শরীরে পানি পূরণ করার জন্য এবং জিংকের ঘাটতি পূরণ করার জন্য বেগুন খেতে পারেন।
- বেগুনে রয়েছে ভিটামিন এ যার রাত কানা রোগ থেকে রক্ষা করে।
- বেগুনে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা হার্টের ধমনী সচল রাখে। এবং হার্ট অ্যাটাক এর সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।
- বেগুনে রয়েছে প্রোটিন ,ভিটামিন এবং খনিজ। রয়েছে অনেকটা কার্বোহাইড্রেট। তাই ওজন কমানোর জন্য এটি একটি পারফেক্ট খাবার।
বেগুন খাওয়ার অপকারিতা বা বেগুনের ক্ষতিকর দিক
বেগুন খাওয়ার অপকারিতা এবং বেগুনের ক্ষতিকর দিক নিয়ে আলোচনা করব। বেগুন অনেক পুষ্টিকর একটি সবজি তবে কারো কারো ক্ষেত্রে এটি মারাত্মক হতে পারে। তাই আপনার আগে নিশ্চিত হতে হবে যেটি আপনার জন্য উপকারী নাকি অপকারী। আপনি শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করবে খাবারের গুণগত মান। তাই চলুন বেগুনের উপকারিতা এবং কাদের জন্য ক্ষতিকর জেনে নেওয়া যাক।
আরো পড়ুনঃ ইলিশ মাছ চেনার ৫ টি উপায়
- যারা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য বেগুন ক্ষতিকর তারা বেগুন খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
- যাদের নাক দিয়ে রক্ত পড়া রোগ রয়েছে তারা বেগুন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন এটি আপনার জন্য ক্ষতিকর হবে।
- বেগুন পরিমাণ মতো খাওয়া উচিত অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার ফলে পেট ব্যথা ,বমি ,মাথা ব্যথা হতে পারে।
- এছাড়াও বেগুন খাওয়ার পরিমান বেড়ে গেলে চুলকানি, জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে। আবার কারো কারো বাতের ব্যথার সমস্যাও দেখা দেয়।
- বেগুন খেলে এলার্জির সমস্যা দেখা দেয় অনেকের। তাই আগে আপনি নিশ্চিত হবেন যে বেগুনে আপনার অ্যালার্জি আছে কিনা।
- বেগুনে এলার্জি থাকলে বেগুন থেকে দূরে থাকুন।
- অনেকের দেখা যায় ছোটবেলা থেকেই বেগুনে এলার্জি তারা বেগুন খেতে পারে না। তবে কারো কারো অনেক পরে এর সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- কারো যদি কোন চুলকানির সমস্যা থাকে যে কোন ধরনের চুলকানি থাকলে বেগুন থেকে দূরে থাকুন। বেগুন চুলকানি বাড়িয়ে দিবে।
- যারা পেটে কোন ধরনের সমস্যা আছে বা পেট সংক্রান্ত কোন রোগে ভুগছেন তাহলে বেগুন খাওয়া আপনার উচিত হবে না বেগুন থেকে দূরে থাকা উত্তম।
- আপনি যদি ডায়রিয়ার রোগী হন তাহলে বেগুন থেকে দূরে থাকুন। সে সময় বেগুন খাওয়া যাবেনা তবে সুস্থ হয়ে ওঠার পর বেগুন খেতে পারেন। আপনার শরীরের ক্ষয় পূরণে সাহায্য করবে।
- প্রেসারের রোগী হলে একটু বুঝেশুনে বেগুন খাবেন কারন বেগুন শরীরের রক্ত বাড়ায়। তাই প্রেসারের রোগীর সমস্যা হতে পারে।
- আপনাদের কারো যদি এমন সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই বেগুন থেকে দূরে থাকবেন ।তারপরও যদি বেগুন খাওয়া থেকে নিজেকে আটকাতে না পারেন তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
বেগুন খেলে কি ওজন বাড়ে
বেগুন খেলে কি ওজন বাড়ে? আপনারা যারা জানতে চান বেগুন খেলে ওজন বাড়ে কিনা তাদেরকে আজকে আমি এই প্রশ্নের উত্তর দেবো। বেগুন খেলে ওজন বাড়ে না। রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা আঁশ জাতীয়। ফাইবার খিদা কমাতে সাহায্য করে। যাদের অনেক বেশি খিদা পায় একটু পর পর পেট খালি হয়ে যায় তারা নিয়মিত বেগুন খেতে পারেন। বেগুন খেলে ওজন কমে।
বেগুনে অনেক পরিমাণ ফাইবার থাকার কারণে আপনার পেট ভরা অনুভূতি হবে। যার কারনে আপনার ওজন কমবে। যারা ওজন কমানোর জন্য নানা পদক্ষেপ নিয়ে ক্লান্ত। তারা তাদের ডায়েট চাটে বেগুন রাখতে পারেন। এটি আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে এবং আপনাকে ফিট রাখতে সাহায্য করবে। এটি হার্টের রোগ প্রতিরোধ করে। বেগুনে রয়েছে ভিটামিন-বি৬। যাদের ওজন বেশি তারা ওজন কমাতে এটি নিয়মিত খান।
বেগুনি কি ভিটামিন আছে?
বেগুনে কি ভিটামিন আছে? বেগুন নানা রকম পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন এ ভরপুর। বেগুনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফাইবার। বেগুনে রয়েছে ভিটামিন-এ ভিটামিন-সি ভিটামিন-ই এবং ভিটামিন-কে। বেগুন শরীরে কোষ গঠনে সাহায্য করে এবং ওজন কমাতে খুবই বড় অবদান রাখে। বেগুনে রয়েছে ভিটামিন -এ যা রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা করে। ভিটামিন-ই চুল ও স্কিনের জন্য উপকারী।
ভিটামিন-সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বক ভালো রাখে স্বাস্থ্য ঠিক করতে সাহায্য করে। এবং রয়েছে ভিটামিন-কে শরীর গঠনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বেগুনের সবচাইতে বেশি পরিমাণে রয়েছে ফাইবার যা খাবার হজম হতে সাহায্য করে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা আছে তাদের জন্য একটু উপযুক্ত খাবার। নানা রকম পুষ্টিগুণে ভরপুর যা আপনাকে ভেতর থেকে সুস্থ করে তুলবে। প্রয়োজনীয় সকল ভিটামিন বেগুনে রয়েছে।
গর্ভবতীদের জন্য বেগুন খাওয়া কতটা নিরাপদ?
গর্ভবতীদের জন্য বেগুন খাওয়া কতটা নিরাপদ? আমরা ইতিমধ্যে সকলেই জেনে গেছি বেগুন সকল পুষ্টি বনে ভরপুর। তবে গর্ভবত মায়েদের জন্য বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখা উচিত সকল খাবারের ওপরে। গর্ভবতী মায়েদের খাবারের লিস্টে বেগুন সবজিটি রাখতে পারেন। এটি মাঝে মাঝে খাওয়া যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন গর্ভবতী অবস্থায় অতিরিক্ত বেগুন খেলে মা ও ভ্রুণের ক্ষতির আশঙ্কা অনেকটাই বেড়ে যায়।
আরো পড়ুনঃ নরমাল ডেলিভারির জন্য প্রস্তুতি কিভাবে নিবো
তবে আপনি পরিমিত খেতে পারেন। গর্ভবতীদের জন্য অতিরিক্ত খাওয়া উচিত হবে না। বেগুনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন।গর্ভবতী মায়েদের খাবারের লিস্টে বেগুন রাখলে তা হবু সন্তানের জন্য উপকারী। মাঝে মাঝে বেগুন খেতে পারেন এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। বেগম খেলে শরীরে লোহিত রক্তকণিকা তৈরি হয়। শুধু বেগুন খাবেন বিষয়টা এমন নয়। গর্ভবতী মায়েদের জন্য শাকসবজি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
গর্ভাবস্থায় অনেকেরই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। তাই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনার খাদ্য তালিকায় বেগুন রাখতে পারেন। বেগুন হজমে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় অনেকের গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়। গ্যাসের সমস্যা দূর করবে ।যাদের ঘুম কম হয় তারা বেগুন খেতে পারেন গর্ভাবস্থায়। তবে মায়ের যদি এলার্জির সমস্যা থাকে তাহলে তার জন্য বেগুন একদম নিষিদ্ধ এতে বাচ্চারও স্কিনের ক্ষতি হবে।
বেগুনের মৌসুম
বেগুনের মৌসুম সম্পর্কে আজকে আপনাদের জানাবো। বেগুন হচ্ছে রবি মৌসুমের সবজি। শীতকালের জন্য সাধারণত আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বীজ বপণের উপযুক্ত সময় হিসেবে ধরা হয়। খরিপ মৌসুম অর্থাৎ বর্ষাকালীন বেগুন এর জন্য জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত বীজ বোপনের উপযুক্ত সময়। রবি মৌসুমের জন্য যে কোন জাতের বেগুন লাগাতে পারেন।
আর খরিপ মৌসুমের জন্য বারোমাসি জাত সমূহ লাগাতে হবে। এই দুই সময় বেগুন চাষ করার সঠিক সময় হলেও এখন ১২ মাস পাওয়া যায় এই সবজি। বিশেষ চাহিদা পূর্ণ এই সবজি বাজারে আমরা সব সময় দেখতে পাই। আগে বেগুনকে মৌসুমী ফসল বলা হলেও এখন আমরা প্রয়োজনের মাথায় সব সময় পেয়ে থাকি। এবং আমাদের চাহিদার মত সাপ্লাই দিয়ে যাচ্ছে চাষী ভাইয়েরা।
বিটি বেগুন
বিটি বেগুন এর বৈশিষ্ট্য আপনাদের সামনে তুলে ধরব। বেগুন আমাদের খুবই জনপ্রিয় একটি সবজি। বারোমাসি বেগুনের চাহিদা থাকে খুবই বেশি। মানুষের প্রয়োজন মেটাতে নানা উন্নতি যাদের বেগুন আবিষ্কৃত হয়েছে। তার মধ্যে বিটি বেগুন অন্যতম। এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা সবসময় উন্নত জাতের বীজ আবিষ্কারের চেষ্টা করছে। ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে বপন করা হচ্ছে উন্নত জাত।
- বিটি বেগুনের কাছের ধরন হয় ছড়ানো। উচ্চতা হয় মিডিয়াম সাইজের।
- এখানে গুচ্ছাকারে সবজি ধরে থাকতে দেখা যায়।
- এ সবজির আকার হয় অনেকটা সিলিন্ডারের মত।
- সবজির রং হয় কিছুটা বেগুনি বা হালকা বেগুনি।
- এই সবজির ফলন মোটামুটি ভালো দেখা যায়।
বেগুনে বিভিন্ন রোগের লক্ষণ এবং প্রতিকার
বেগুন বিভিন্ন রোগের লক্ষণ এবং প্রতিকার নিয়ে আপনাদের সামনে আলোচনা করব। প্রতিটা জেলায় বেগুন অনেক বেশি চাহিদা সম্পন্ন একটি ফসল। কিন্তু বেগুনের রোগের লক্ষণ টাও বেশি দেখা দেয়। তাই এর প্রতিকারের ও দরকার রয়েছে। না হলে আমরা মন মত ফলন এবং বেগুনের চাহিদা পূরণ করতে পারবো না। তাই রোগমক্ত ফসল উৎপাদন করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ আমাদের জীবনে কৃষি গুরুত্বপূর্ণ কেন
বেগুনের বিভিন্ন রোগঃ
- বেগুন গাছে ফুল ফল আসার আগে বেগুন গাছ ঢলে পড়া।
- বেগুন গাছে কোন পোকা দেখতে পাওয়া না গেলেও গাছ নেতিয়ে পড়া।
- গাছের গোড়ার মাটিতে পর্যাপ্ত রস থাকার পরেও গাছ এর ডাল বা ডগা শুকিয়ে মারা যাওয়া।
- বেগুনের পাতায় পোকা ধরা।
- বেগুনের বোটা ছিড়ে পড়ে যাওয়া।
- বেগুনের রং নষ্ট হওয়া। ইত্যাদি নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
- বেগুনের বিভিন্ন রোগের প্রতিকার:
- যে জমিতে অম্লতা বেশি সেখানে বেগুনের চাষ না করা।
- যে জমিতে প্রথম বছর বেগুনের চাষ করার সময় গাছ ঢলে পড়ে সেই জমিতে পরের বছর আর বেগুনের চাষ না করাই ভালো। এখানে ভুট্টা চাষ করুন।
- আক্রান্ত গাছের ঝরে যাওয়া পাতা এবং পচা বেগুন জমিতে যেখানে সেখানে ফেলে না রেখে মাটির নিচে পুঁতে রাখুন।
- অনেক পুরনো পাতাগুলো ছিড়ে ফেলুন।
- বেগুনের বীজ বপন করার আগে অবশ্যই তা শোধন করে নিতে হবে।
- এক লিটার পানিতে দুই গ্রাম ব্যাভিস্টিন মিশান। বেগুন গাছ লাগানোর পর তা গোড়ায় স্প্রে করুন।
- ঢলে পড়ার রোগ প্রতিরোধ সম্পন্ন গাছ লাগাতে হবে।।
- এছাড়াও আক্রান্ত গাছে এক গ্রাম টিমসেন মেশানো পানি স্প্রে করতে পারেন।
- দশ দিন পর পর দুই তিনবার করে তিন গ্রাম ডাইথেন মিশ্রিত পানি স্প্রে করে দিতে পারেন।
মন্তব্যঃবেগুন খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা
বেগুন খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে আজকে আপনাদের জানিয়েছি। বেগুন যেমন পুষ্টি গুনে সমৃদ্ধ তেমনি কিছু ক্ষেত্রে ক্ষতিকর। তাই আপনার স্বার্থের ওপর নির্ভর করে যাচাই করবেন এটি আপনার জন্য ভালো হবে নাকি খারাপ। আপনার শরীরে যদি কোনরকম সমস্যা না থাকে তাহলে স্বাস্থ্যের ভালোর জন্য বেগুন খেতে পারেন।
তবে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা গেলে এটা থেকে দূরে থাকাই ভালো। আশা করি আজকের পোস্ট করে উপকৃত হয়েছেন। ভালো লাগলে কমেন্ট করে জানাবেন। যদি আপনাদের আর কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্টে বলে যাবেন। আমি অবশ্যই আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। বন্ধুদের সাথে আজকের পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ।
ডেইলি ডাইরির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url