বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানতে চাই।আর নিয়মটা যেন হয় এসইও (SEO) ফ্রেন্ডলি।বাংলা আর্টিকেল সঠিক নিয়মে লিখতে কিছু প্রয়োজনীয় ধাপ অনুসরন করতে হয়।আপনাদের সামনে আজ তুলে ধরবো বাংলা আর্টিকেল লেখার চমকপ্রদ নিয়ম সমূহ।
আপনাদেরকে প্রথমেই জানিয়ে রাখা ভালো সঠিক নিয়মে আর্টিকেল লিখলে বা আর্টিকেলটা এসইও(SEO)ফ্রেন্ডলি হলে সহজেই গুগলে র্যাংক করানো সম্ভব।তাই আমাদের সঠিক নিয়মে আর্টিকেল লিখতে জানা উচিৎ।অতএব আগে নিয়োমটা ভালোভাবে জেনে নিন তারপর আর্টিকেল লিখুন।
পেজ সূচিপত্রঃ বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম
- বাংলা আর্টকেল লেখার নিয়ম
- টাইটেল বা শিরোনাম লেখার নিয়ম
- ভূমিকা বাটন ব্যাবহারের নিয়ম
- ভূমিকা লেখার নিয়ম
- ফিচার ইমেজ ব্যাবহার করতে হবে
- পেজ সূচিপত্র লেখার নিয়ম
- পর্যায়ক্রমে হেডিং বা প্যারাগ্রাফ শিরোনাম
- লেখকের মন্তব্য লেখার নিয়ম
-
পোস্ট ফরম্যটিং
- আর্টিকেলের বডি
-
আর্টিকেলে আপনি আমি শব্দ ব্যবহার
-
আর্টিকেল অন্য কোথাও লিখে রাখা যাবে কি না??
- ফোকাস কিওয়ার্ড কী?
- কেন SEO ফ্রেন্ডলি কিওয়ার্ড বাছাই করতে হবে
- লেখকের মন্তব্যঃ বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম
বিষয় নির্বাচনঃ বাংলা আর্টিকেল
লেখার নিয়ম এর ক্ষেত্রে আমাদের প্রথমেই বিষয়টা নির্বাচন করে নিতে হবে এটা খুবই
গুরুত্বপূর্ণ। এমন একটা বিষয় নির্বাচন করতে হবে যেটা সম্পর্কে মানুষ জানতে
চায়। যেই বিষয় সম্পর্কে সব বয়সে মানুষের জানার আগ্রহ। এই বিষয় নির্বাচন সঠিক হলে
আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়বে।তাই বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম এর ক্ষেত্রে বিষয়
নির্বাচন করা খুবই জরুরি একটি ধাপ।
তাই আপনারা খেয়াল রাখবেন যে আমারা আর্টিকেল
লেখার জন্য কি বা কেমন বিষয় নির্বাচন করছি। এছাড়াও যে বিষয়ে আপনি আর্টিকেল টা লিখবেন সেটি কোথায় পাবলিক করবেন তা মাথায় রাখতে হবে। তাই প্রথমে একটি ওয়েবসাইট খুলে নেবেন। সেটা হতে পারে ব্লগার ওয়েবসাইট অথবা ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট। আপনার ওয়েবসাইটে একটি নাম দিবেন যাকে বলা হয় ডোমেন।
প্রাথমিক ধারনাঃবাংলা আর্টিকেল লেখার জন্য আমরা যে বিষয়টি নির্বাচন করবো
সেটার জন্য অমাদের অবশ্যই উপযুক্ত তথ্য পাঠকের সামনে উপস্থাপন করতে হবে। একটা
বিষয় নিয়ে যখন আমরা আর্টিকেল লিখার সিধান্ত নিবো অবশ্যই সেই বিষয়ে বিস্তারিত
ধারনা রাখতে হবে।আপনার আর্টিকেল পরে পাঠক যেন তৃপ্তি পায়। আর সেই সম্পর্কে
সম্পূর্ণ ধারণা পায়।
আপনার সেই বিষয়টা নিয়ে একটু ভালোভাবে রিসার্চ
করতে হবে।অনেক তথ্য কালেক্ট করতে হবে।আপনি এমন একটা বিষয় বাছাই করবেন যেটা
সম্পর্কে আপনার কিছু টা হলেও জ্ঞান আছে। আরেকটা কথা মাথায় রাখবেন। ওয়েবসাইট খুলে একটি ডোমেনের জন্য আপনার কিছু টাকা খরচ হবে। মানে ডোমেেটি টাকা দিয়ে কিনতে হবে।ব্লগারের ওয়েবসাইট হলে ডোমেন কিনলেই হবে হোস্টিং আপনি ফ্রিতে পেয়ে যাবেন।
আর ওয়েবসাইটটি যদি ওয়ার্ডপ্রেসে হয় তাহলে ডোম এর সাথে হোস্টিংও কিনতে হবে। বলে রাখা ভালো হোস্টিং বলতে বোঝানো হয়েছে একটি জায়গা যেখানে আপনি আপনার তথ্যগুলো লিখে রাখতে পারবেন এবং পাবলিক করতে পারবেন। তাই এ সম্পর্কে আপনার কিছুটা প্রাথমিক ধারণা থাকতে হবে। তবে একটি ওয়েবসাইট খুলতে সক্ষম হবেন। এবং সফলভাবে রোমান্টিক সেট করতে পারবেন।
লেখার কৌশলঃ বাংলা আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে
লেখা যেন স্পষ্ট এবং পরিস্কার হয় এবং লেখার ভেতরে প্রমাণিত তথ্য উপাত্ত রাখতে
হবে। পাঠক এটি পড়তে পছন্দ করবে। যখন আপনি কোনো তথ্য উপাত্ত পাঠকের কাছে
প্রেজেন্ট করবেন, সেই তথ্যটা যে কার্যকরী তার কিছু স্কিনশট যক্ত করবেন। বা পিকচার অ্যাড করতে পারেন।
এতে পাঠকের
আর্টিকেল টা পড়ার আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে।আপনি চায়লে যেকোনো লিংকও এড করতে পারেন।এতে
পাঠক নিজে সেই লিংকে গিয়ে দেখে আসতে পারে প্রয়োজনীয় ডিটেইলস গুলো। এর মাধ্যমে পাঠকের কাছে আপনার তথ্যগুলো বিশ্বস্ত মনে হবে। এবং পাঠক তা পরে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো পেয়ে যাবে। কৌশল করে লিখতে হবে যেন আপনার লেখা পড়ে পাঠক খুশি হয়।
ত্রুটি পরিহারঃ বাংলা আর্টিকেল লেখার শেষে অবশ্যই দুইবার রিভিশন দিতে হবে
যেন কোন ভুল হলে আপনার চোখে অবশ্যই পরে। আর্টিকেলে বানান ভুল হলে সেইটা
গুগলের কাছে লো আর্টিকেল হয়। আর লো আর্টিকেল গুগলে র্যাংক করানো সম্ভব হয় না। তাই যেকোনো বানানের দিকে অত্যন্ত মনোযোগী হতে হবে। কোথায় বাংলা বানান ব্যবহার করছেন কোথায় ইংলিশ বানান ব্যবহার করছেন তা খেয়াল করবেন।
আর
আপনার ওয়েবসাইট যদি কোনো পাঠক পরার সময় দেখে বানান ভুল বা কোনো লিংকে ভুল তাহলে
সেই পাঠকটি আপনার আর্টিকেল পড়র আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।এতে আপনার ওয়েবসাইট থেকে
ভিজিটর কমে যাবে।আপনার আর্টিকেল র্যাংক করার সম্ভবনাও কমবে। আরেকটি কথা মাথায় রাখবেন। আর্টিকেল লেখার সময় যত ইংলিশ শব্দ ব্যবহার করা কম যায় ততই ভালো। বাংলাতে স্পষ্ট ভাবে লেখার চেষ্টা করবেন।
আর্টিকেলে পয়েন্ট ব্যবহার করাঃ বাংলা আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে আর্টিকেলে
পয়েন্ট ব্যবহার করা খুবই উপকারী। এটি পোস্ট আরও অ্যাট্রাক্টিভ করে।আমরা পরিক্ষার
খাতায় যেভাবে পয়েন্ট করি ঠিক সেভাবে।আমাদের আর্টিকেলে হেডিং এর পর কোনো কিছু নিয়ে
নিয়ে যখন আমরা জানাবো তখন আমার পয়েন্ট করে লিখতে পারি।
আর্টিকেল যদি এমন হয় যে
কোনো কাজ করার উপায় বা কোনো কিছুর সুবিধা অসুবিধা তখন আমরা যেন অবশ্যই পয়েন্ট
করে লেখি।এতে পাঠকের জন্য পড়া অনেক সুবিধাজনক হয়।তাই আপনার এই টিপস টা ফলো করুন। লেখার মধ্যে পয়েন্ট ব্যবহার করুন। অর্থাৎ যেকোন টিপস পয়েন্ট আকারে দিয়েন। এতে পাঠক পড়তে সুবিধা বোধ করবে এবং আপনার ভিজিটর বাড়বে।
কিওয়ার্ড রিসার্চঃ কিওয়ার্ড কে আর্টিকেলের হৃদপিণ্ড বলা হয়।আর্টিকেলের
জন্য
কিওয়ার্ড
খুবই প্রয়োজনীয়। একটা আর্টিকেলে ১০-১৫ বার কিওয়ার্ড রাখতে হবে।আর সেকেন্ডারি
কিওয়ার্ড ৮-১০বার রাখা উচিৎ। কিওয়ার্ড দিয়েই আপনার আর্টিকেলটা খুজে পাওয়া
যাবে।তাই কিওয়ার্ড সম্পর্কে যত বলবো ততই কম হয়ে যাবে। কীওয়ার্ড খোঁজার ক্ষেত্রে খুবই মনোযোগী হবেন।
গুগলে যখন কেউ কোনো কিছু
নিয়ে সার্চ দিবে তখন যে আর্টিকেলের মধ্যে সেই কথাটা (কিওয়ার্ড) বেশি আছে সেইটা
আগে দেখাবে।মানে সেই আর্টিকেলটা র্যাংক করবে।তাই রিসার্চ করে সঠিক কিওয়ার্ড
নির্বাচন করা। ঠিক এই কারণেই কিওয়ার্ডডকে আর্টিকেল এর হৃদপিণ্ড বলা হয়। তাই অনেক রিসার্চ করে কিওয়ারটি নির্বাচন করবেন।
টাইটেল বা শিরোনাম লেখার নিয়ম
আকর্ষণীয় শিরোনামঃ বাংলা আর্টিকেল
লেখার ক্ষেত্রে টাইটেল বা শিরোনাম হতে হবে আকর্ষণীয় কারন শিরোনাম দেখেই পাঠক
আপনার ওয়েবসাইটে ক্লিক করবে পড়ার জন্য।১০ জনের মধ্যে ৮ জন শিরোনাম দেখেই
সিদ্ধান্ত নেই যে সেই আর্টিকেলটা সে পড়বে কিনা।তাই এমন শিরোনাম রাখতে হবে যেটা
দেখে পাঠকের পরার আগ্রহ হয়।
এবং সেই সম্পর্কে জানার জন্য আর্টিকেল পরার জন্য
আসে।কিওয়ার্ড ভালো করে রিসার্চ করে তারপর টাইটেল বা শিরোনাম সিলেক্ট করুন।এতে
পাঠক বারবে আপনার ওয়েবসাইটে। এবং শিরোনামে ৫ অথবা ১০ টি উপায়, ১৫ টি অথবা ২০ টি কার্যকরী উপায় এই ধরনের কথা রাখবেন। অর্থাৎ সংখ্যা উল্লেখ রাখবেন। এতে পাঠকের পড়ার আগ্রহ বাড়বে।
টাইটেল বা শিরোনাম লেখার নিয়ম সমূহঃ
- পোস্ট টাইটেল বা শিরোনাম ৫ থেকে ৮ শব্দের মধ্যে হতে হবে।এর বেশি হওয়া যাবে না।বেশি হলে শিরোনাম নামটি শো করবে না গুগলে।(.....)এমন দেখবে।
- পোস্ট টাইটেল সর্বোচ্চ ৬০ কারেক্টরের মধ্যে রাখতে হবে। তার বেশি রাখা যাবে না।কম রাখতে হবে।
- টাইটেলটা লোভনীয় বা আকর্ষণীয় করতে হবে যেমন; ১০ টি উপায়, ২০ টি কার্যকরী উপায় , ১৫ টি গোপনীয় তথ্য ইত্যাদি।এতে পাঠকের আর্টিকেল পড়ার আগ্রহ বারবে।এবং টাইটেলে ক্লিক করবে।
- টাইটেলে কমা, হাইফেন, দাড়ি(, - । |) ছাড়া কোন বিশেষ চিহ্ন ব্যাবহার করা যাবেনা।তবে দুইটা কিওয়ার্ড থাকলে তার মাঝে হাইফেন (-) দিতে পারেন।
- টাইটেলের শুরুতে অবশ্যই মেইন ফোকাস কিওয়ার্ড (main keyword) রাখতে হবে।মেইন কিওয়ার্ড একটি বা দুইটি হতে পারে। সেই দুইটি ফোকাস কিওয়ার্ড এর মাঝে হাইফেন (-) ব্যাবহার করতে হবে তাহলে টাইটে টা দেখতে অনেক আর্কষনীয় হয়।
ভূমিকা বাটন ব্যবহারের নিয়ম
ভূমিকা বাটনঃ আপনি যে আর্টিকেল লিখবেন সে রিলেটেড একটা ভূমিকা বাটন
রাখতে হবে যেন পাঠক একটি আর্টিকেল পড়তে এসে সে রিলেটেড আরেকটা আর্টিকেল পড়তে
পারে।অনেকে মনে এই ভূমিকা বাটন দেওয়া কোনো প্রয়োজনীয়তা নাই।এটি না দিলেও চলবে।
কিন্তু না।এটা ভুল। ভূমিকা বাটন রাখার অবশ্যই প্রয়োজন রয়েছে। এটি আপনাকে সাহায্য করবে ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্টে।
আপনি আপনার আর্টিকেলের মধ্যে এই ভূমিকা বাটন এর মধ্যেমে আপনার
অন্য আর্টিকেল পড়ার সু্যোগ করে দিবেন পাঠক কে।তাই আপনারা অবশ্যই ভূমিকা বাটন এড
করবেন আপনাদের আর্টিকেলের মধ্যে।তাই সেখানে নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় এমন একটি ভূমিকা বাটন রাখতে পারেন। যেন মেইন কিওয়ার্ড দেখেই পাঠক পড়তে আগ্রহী হয় । এবং পড়ার জন্য লিংকে ক্লিক করে।
ভূমিকা বাটন তৈরির নিয়মঃ
- অবশ্যই পোস্টের শুরুতে একটি ভূমিকা বাটন বানাতে হবে। শেষে বা মাঝে রাখা যাবে না। শুরুতেই রাখতে হবে।
- বাটনের মাঝে উক্ত পোস্ট রিলেটেড আরো একটি পোস্টের ফোকাস কিওয়ার্ড বসিয়ে লিংক করতে হবে।
- বাটনের মধ্যে সর্বোমোট ৬টি শব্দ রাখা যাবে। খেয়াল রাখবেন বেশি করা যাবে না।
- মনে রাখবেন "ভূমিকা বাটন" এবং "আরো পড়ুন" সেকশন একই না।দুইটি আলাদা জায়গায় বসে এবং ডিজাইন ভিন্ন।যদিও দুইটার কাজ একই রকম।
- পাঠক আপনার ওয়েবসাইটে যত বেশিক্ষন থাকবে আপনার ইনকাম তত বেশি হবে।তাই এই সেকশনটি অবশ্যই রাখন।এটা র্যাংক করতে সাহায্য করবে আপনার পোস্টটা।
ভূমিকা লেখার নিয়ম
ভূমিকাঃ এতক্ষণ আপনাদের সাথে আলোচনা করেছি ভূমিকা বাটন নিয়ে, এখন
আপনাদের জানাবো ভূমিকা লেখার নিয়ম সম্পর্কে।দুই টা মোটেও এক জিনিস না।ভূমিকা
বাটনের সাহায্যে আমরা সেই রিলেটেড অন্য পোস্ট পড়তে পারি।আর ভূমিকা তে তার সেই
পোস্ট সম্পর্কেই লেখা থাকে।আপনারা আপনাদের ওয়েবসাইটে যখন কোনো আর্টিকেল লিখবেন
অবশ্যই এই নিয়ম গুলো অনুসরণ করবেন।
নিয়মঃ
- ভূমিকা বাটনের নিচে দুইলাইন ভূমিকা লিখতে হবে।
- দুইলাইন ভূমিকা লেখার পর একটা ফিচার ইমেজ ব্যাবহার করতে হবে।
- ফিচার ইমেজের নিচে আরো দুইলাইন ভূমিকা লিখতে হবে।
- অর্থাৎ পোস্টের ভূমিকা বা মেটা ডেসক্রিপশন মোট ৪ লাইন হতে হবে।
- ভূমিকা এমনভাবে লিখতে হবে যেন পাঠক পড়ে বুঝতে পারেন যে আর্টিকের বিষয়বস্তু কি। ভূমিকার মধ্যে পাঠককে বিষয়বস্তু সংক্ষেপে বুঝিয়ে বলতে হবে।কারন এখানে ৪ লাইন এর বেশি লিখা যাবে না।
ফিচার ইমেজ ব্যাবহার করতে হবে
প্রয়োজনীয়তাঃবাংলা আর্টিকেল
লেখার নিয়ম এর
ক্ষেত্রে ফিচার ইমেজ ব্যাবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারন পাঠক শুধু লাইন বাই
লাইন পড়তে চায় না,কোনো কিছু একটানা করতে পছন্দ করবে না পাঠক।তাই আর্টিকেলের মাঝে
ইমেজ এড করা অত্যাবশকীয়। অবশ্যই সেই আর্টিকেল রিলেটেড কোনো ইমেজ দেখলে
পাঠকের পরার আগ্রহ বারবে।
আকর্ষণীয় একটি ইমেজ বানিয়ে নিবেন। কি মিষ্টি দেখে যেন পাঠকের পড়ার আগ্রহ বেড়ে যায়। মিষ্টি হতে হবে অবশ্যই বাস্তবের মতো। কোন কার্টুন ছবি এড না করাই ভালো।তাই আপনার ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লেখার সময় অবশ্যই ইমেজ
রাখবেন।ইমাজ ব্যবহার করার কিছু নিয়ম সম্পর্কে নিচে বলেে দেওয়া হলো। নিয়মগুলো ফলো করুন।
নিয়োমঃ
- ১.বাংলা আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে যে ফিচার ইমেজ ব্যাবহার করবেন অবশ্যই ইমেজটি সেন্টার এলানমেন্টে থাকতে হবে।এতে পোস্ট টি খুব আর্কষনীয় দেখাবে।
- ২.ইমেজের মধ্যে সেকেন্ড কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।একটি আর্টিকেলে ৩ টা ফিচার ইমেজ রাখা উচিৎ।প্রয়োজনের খাতিরে দুই একটা বাড়ানো যায়। তবে ৩ তা বেষ্ট হবে।
- ৩.ইমেজ গুগল বা কথাও থেকে কপি লিংক করে আর্টিকেলে বসানো যাবে না।কারন যদি সেই লিংক সোর্স ডিলিট করে দেওয়া হয় তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের ইমেজ গায়েব হয়ে যাবে।
- ৪.সব চাইতে বড় কথা কপি রাইট খাওয়ার ভয় থাকে।আর আপনার ওয়েবসাইটে কপিরাইট আসলে গুগল আপনার ওয়েবসাইট লক করে দিবে।
- ৫.আপনারা একটা কাজ করতে পারেন গুগলে গিয়ে যে ইমেজ ব্যবহার করার অনুমতি আসে সেই ইমেজ গুলো ব্যবহার করতে পারেন। চলুন আপনাদের সাথে নিয়ম টা শেয়ার করি।যে টপিকে আর্টিকেল লিখতে চান সেই টপিক লিখে সার্চ করুন তারপর ইমেজ সিলেক্ট করুন।এরপর টুলস এ গিয়ে ইউজেস রাইটস তারপর ক্রিয়েটিভ কমন লাইসেন্স। এখন সেভ করুন।এভাবে ইমেজ সেভ করতে পারেন।
- (topic-image-tools-usage right- creative common licenses)
- তবে আপনার জন্য সব চাইতে ভালো হয় এআই(AI) দিয়ে ইমেজ তৈরি করে নেওয়া।এতে আপনি আপনার ইচ্ছা মতো ইমেজ বানায়ে ব্যবহার করতে পারবেন।যেকোনো সাইজ অনুযায়ী আপনি ইমেজ বানাতে পারবেন।যা আপনার ওয়েবসাইটের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে কয়েক গুন বেশি।আর ওপরের নিয়ম অনুসরণ করে যদি ইমেজ ব্যাবহার করতে চান তাহলে আপনি আপনার মন মতো ইমেজ নাও পেতে পারেন।এতে আপনার ওয়েবসাইটা খুব একটা সুন্দর দেখবে না।এই কারনে ইমেজ এর সাইজ ঠিক রাখা জরুরি।
পেজ সূচিপত্র লেখার নিয়ম
প্রয়োজনীয়তাঃপেজ সূচিপত্র বাংলা আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রয়োজন।
এটি আর্টিকেলের সুন্দর ও চমকপ্রদ করে তুলে। আর পেজ সূচিপত্র প্রয়োজনীয়তাও
অনিবার্য।পাঠক আপনার ওয়েবসাইটে যখন ঢুকবে তখন আপনার ওয়েবসাইটের পেজ
সূচিপত্র থেকে তার পছন্দের বা প্রয়োজনীয় পয়েন্ট গুলো পড়তে
পারবে।পছন্দের টপিক গুলো পড়ার জন্য নিচ পর্যন্ত যেতে হবে না।পেজ সূচিপত্রে
ক্লিক করে প্রয়োজনীয় বা পছন্দের টপিকে চলে আসতে পারবেন।এতে সময়টা অপচয় কম
লাগবে।
পেজ সূচিপত্র তৈরির নিয়মঃ
- পেজ সূচিপত্রে কম করে ১০ টা হেডিং ব্যবহার করতে হবে।
- অবশ্যই ম্যনুয়াল ওয়েতে বানাতে হবে।
- পেজ সূচিপত্র সুন্দর দেখাতে ul এ গিয়ে class ="alert info"করতে হবে।
- হেডিং গুলো বোল্ড করে পেজ সূচিপত্রে লিখতে হবে কপি পেস্ট ও করতে পারবেন।
- আর্টিকেলে যে সিরিয়ালে হেডিং গুলো দেওয়া আছে।পেজ সূচিপত্রে সেই একই সিরিয়ালে দিতে হবে।
পর্যায়ক্রমে হেডিং বা প্যারাগ্রাফ শিরোনাম
বনর্নাঃএখন পর্যায়ক্রমে পয়েন্ট ব্যবহার করতে হবে।আর সব পয়েন্ট গুলোকে
হেডিং করতে হবে।পাঠক যা জানতে চায় সব সুন্দর করে সিরিয়ালে লিখতে হবে।বাংলা
আর্টিকেলে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।সুন্দর করে হেডিং করার মধ্যেমে আপনার আর্টিকেল
দেখতে হবে অনেক বেশি সুন্দর এবং আকর্ষণীয়।যখন কোনো বিষয়ে বিস্তারিত আর্টিকেল
লিখবেন তখন অবশ্যই প্রতিটি পয়েন্ট বা টপিক উল্লেখ করবেন।
আর সেটি অবশ্যই হেডিং
করবেন। হেডিং এর সুন্দর সুন্দর কিওয়ার্ড ব্যবহার করবেন। এটি মেইন কিওয়ার্ড না হলেও সেকেন্ডারি কি অর্ডের মতোই কাজ করবে। মানুষ যে ধরনের তথ্য জানতে চায় বা যেটা লিখে গুগলে সার্চ দেয়। সে ধরনের তথ্য জানানোর চেষ্টা করবেন এবং তা হেডিং এ রাখবেন। চলুন আপনাদের সাথে পর্যায়ক্রমে হেডিং বা প্যারাগ্রাফ শিরোনাম লেখার নিয়ম
শেয়ার করি।
নিয়োমঃ
- প্রতিটি হেডিং এ ৫-৮ টা শব্দ রাখতে হবে।মাথায় রাখবেন বেশি রাখা যাবে না।
- প্রতিটি হেডিং এর নিচে সবোর্চ্চ ৫-৬ টা প্যারা ব্যবহার করতে পারবেন।প্যারা তার বেশি হলে আলাদা হেডিং করতে হবে।
- প্রতিটি হেডিং এর নিচে সর্বনিম্ন ২ টা প্যারা রাখতেই হবে।এর কম করা যাবে না।২ টা রাখতেই হবে।
- প্রতিটি ২ টা হেডিং এর পর পর একটি করে আরো পড়ুন সেকশান রাখতে হবে।এতে আপনার ওয়েবসাইটের অন্য পোস্ট পড়ার সুযোগ পাবে পাঠক।
- প্রতিটি প্যারায় ৩ থেকে ৩.৫ লাইন লেখা রাখতে হবে।এতে পোস্ট টি দেখতে মার্জিত লাগবে।
- পোস্ট এর মধ্যে সব লেখা জাস্টিফাই ফরমেটে রাখতে হবে।ওয়েবসাইটে লেখা জাস্টিফাই ফরমেটে রাখলে আর্টিকেল দেখতে খুবই অ্যাট্রাক্টিভ লাগে।অবশ্যই আপনার আর্টিকেল এই ফরমেটেই রাখবেন।
- একটা আর্টিকেলে সর্বনিম্ন ১০ টা হেডিং রাখতে হবে।তার বেশিও রাখতে পারবেন।কিন্তু কম রাখা যাবে না।
- হেডিং এ কমা,হাইফেন, দাড়ি (, -। )চিহ্ন ব্যবহার করবেন। এগুলো ব্যাতিত অন্য কন চিহ্ন ব্যবহার করা যাবে না।
- হেডিং গুলো অবশ্যই বল্ড(B) করতে হবে । এটা বাধ্যতামূলক।
- আর্টিকেলের মধ্যে বেশি গ্যাপ রাখা যাবে না।অর্থাৎ ইন্টার চিহ্ন অপ্রয়োজনে ব্যবহার করা যাবে না।বেশি গ্যাপ রাখলে আর্টিকেল খুবই বাজে দেখায়।
লেখকের মন্তব্য লেখার নিয়োম
আর্টিকেল লেখার শেষে
অবশ্যই লেখকের একটা মন্তব্য রাখতে হবে।আপনি সেই বিষয়ে নিজের মতামত জানাবেন।আপনার
কাছে সেই বিষয় টা ভালো লাগলো নাকি মন্দ লাগলো তা জানবেন।লেখকের মন্তব্য
অবশ্যই ৯০-১০০ শব্দের মধ্যে হতে হবে।অতএব ৪ লাইন এর ভিতরে আপনি আপনার মতামত
জানাবেন।তাহলে আপনার পোস্ট টা দেখতে অনেক মার্জিত হবে।
যেকোনো আর্টিকেল লেখার
ক্ষেত্রে লেখকের মতামত রাখা প্রয়োজন। পাঠকের কাছে এটি খুব ভালোলাগার বিষয়। তাই বাংলা আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে, আর্টিকেল লেখার শেষে অবশ্যই একটা লেখকের
মন্তব্য রাখবেন।এটি আর্টিকেলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে কয়েক গুন বেশি।তাই আপনাদের
ওয়েব সাইটে অবশ্যই লেখকের মতামত রাখবেন।সেখানে আপনি সেই আর্টিকেলের বেপ্যারে
আপনার নিজের মতামত পোষণ করবেন।
আপনার যদি সেই বিষয় নিয়ে নিজের কিছু জানানার থাকে
তাহলে আপনি লেখকের মন্তব্য এই হেডিং এ লিখে পাঠকে জানাতে পারেন।তাই লেখকের
মন্তব্য হেডিং তা অবশ্যই রাখবেন। মন্তব্যের পাশে আর্টিকেলের মেন কিওয়ারটাও রাখবেন। এছাড়াও মন্তব্যে লিখে রাখতে পারেন পাঠকদের উদ্দেশ্যে আর্টিকেলটা কেমন লাগলো তা জানানোর কথা।
পোস্ট ফরম্যটিং
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়মের ক্ষেত্রে আপনাদের কিছু বিষয় এর ওপরে বিশেষ ভাবে
খেয়াল রাখতে হবে।কারন এই বিষয় গুলো আপানার লেখার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে।ইমেজ
হবে সেন্টার এলাইমেন্টে।লেখা রাখতে হবে জাস্টিফাই ফরম্যাটে। আর্টিকেলে
অ্যাট্রাক্টিভ ডাউনলোড লিংক রাখতে হবে।আবার যেকোনো শব্দের ওপরে লিংক
করে রাখতে পারেন যদি আপনার সেই বিষয়ে আর্টিকেল লিখা থাকে।
বাংলা আর্টিকেল লেখার
নিয়ম এর ক্ষেত্রে পোস্ট ফরমেটিং ঠিক রাখা খুবই জরুরি। পাঠক যেন আপনার ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পড়তে সাচ্ছন্দ্য অনুভব করে।আপনার লেখার
ফরম্যাট রাখতে হবে বই এর লেখার মতো। এটি দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগে।আর লেখা
গুলো অবশ্যই প্যারা করে এতে পাঠকের আর্টিকেল টা পড়াতে সুবিধা হবে।
তাই আপনার
আর্টিকেল দেখতে যেন বাজে না হয় পাঠক যেন বিরক্ত অনুভব না করে সেই দিকে বিশেষ ভাবে
খেয়াল রাখবেন।আপনার লেখার সাইজ নরমাল রাখবেন।এবং মেইন পয়েন্ট গুলো হেডিং করবেন
সম্পূর্ণ আর্টিকেল জাস্টিফাই ফরমেট রাখবেন। ছবিগুলোর ও কিছু নির্দিষ্ট ফরমেট আছে সেগুলো ফলো করবেন। ইমেজগুলো ৫০ কেবির নিচে রাখবেন। এসব বিষয়গুলোতে খেয়াল রাখলে তবেই আর্টিকেলটা সঠিকভাবে সম্পূর্ণ হবে।
আর্টিকেলের বডি
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম অনুযায়ী আর্টিকেলের ফুল বডি সুন্দর করে প্যারা প্যারা
করে লিখতে হয়।এতে পাঠক পড়ে সাচ্ছন্দ্য বোধ করে।এবং আর্টিকেল টা দেখতে খুব
অসাধারণ হয়।অপ্রয়োজনে আর্টিকেলে কোনো গ্যাপ বা এন্টার দেয়া যাবে না।লেখার মধ্যে
বেশি গ্যাপ ব্যবহার করলে লেখা দেখতে মোটেও সুন্দর লাগে না।তাই নিয়ম মেনে গ্যাপ
ব্যবহার করতে হবে।
আমাদের আর্টিকেল লেখার সময় খেয়াল রাখতে হবে আর্টিকেল এর লুক টা
কেমন আসছে।পাঠক এর কাছে ভালো লাগতে হবে।বাংলা আআর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে আমরা অবশ্যই খেয়াল রাখবো আর্টিকেল টা দেখতে যেন
আর্কষনীয় হয়।আপনারা আপনাদের আর্টিকেল প্যারা প্যারা করে লিখবেন।লেখার মাঝে
কিছু টা গ্যাপ রাখবেন।একটা নিদিষ্ট দূরত্ব পর পর একটা করে গ্যাপ রাখবেন।
তাহলে
দেখতে ভালো লাগবে আপনার আর্টিকেল। পাঠকের জন্য ও অনেক সুবিধা আর্টিকেল পড়তে। আর
হ্যাঁ এটা ও খেয়াল রাখবেন সুন্দর করতে গিয়ে আবার প্রয়োজন এর বেশি গ্যাপ দেওয়া
যাবে না।নিয়ম মেনে করতে হবে কাজটা। আর্টিকেলের বডির সাথে ইমেজ যেন ঠিকঠাক হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। ইমেজের উচ্চতা এবং দৈর্ঘ্য সঠিক পরিমাণ রাখবেন। উচ্চতা রাখবেন ৬০০ সেন্টিমিটার এর নিচে। দৈর্ঘ্য রাখবেন ১১০০ সেন্টিমিটার।
আর্টিকেলে আপনি আমি শব্দ ব্যবহার
বাংলা আর্টিকেল লেখার সময় এমন ভাবে বনর্না করতে হবে যেন পাঠকের মনে হয় আপনি
তার সাথে গল্প করছেন।আর্টিকেল অবশ্যই সহজ এবং সাবলীল ভাষায় লেখা
উচিৎ। যেন একটা সাধারণ মানুষও আর্টিকেল পরে বুঝতে আপনি কি বুঝাতে চাচ্ছেন। অনেক
কঠিন শব্দ ব্যবহার না করা।কোনো খারাপ শব্দ বা নেগেটিভ কথা ব্যবহার করা থেকে
বিরত থাকুন।
কারন এসব আপনার আর্টিকেল টা লো ভ্যালু আর্টিকেল করে ফেলে।তাই আপনার
আর্টিকেল পাঠকের সামনে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেন।পাঠকের যেন মনে না হয় লেখা পড়ে কিছুই বুঝা যাচ্ছে না।এবং পাঠকের আর্টিকেল টা যেন
জটিল মনে না হয়। তাই অবশ্যই সাধারন ভাবে আর্টিকেল লেখার চেষ্টা করেন।আমাদের
টার্গেট সকল বয়সের পাঠক যেন আমদের আর্টিকেলটা পরে।
এবং ভালো ভাবে বুঝে।যে বিষয়
জানতে চায় তার সম্পূর্ণ ধারনা নিতে পারে আমাদের আর্টিকেল থেকে।তাই আমরা আমাদের
মতো করে সুন্দর ভাষায় আর্টিকেল টি উপস্থাপন করবো। সহজ এবং সাবলীল ভাষায় পাঠককে বোঝানোর চেষ্টা করবেন। পাঠকের কাছে যেন বিরক্তিকর অনুভূতি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। আশা করছি আপনারাও এই বিষয় খেয়াল
রাখবেন।
প্রোফেশনাল স্কিনশট নেওয়ার নিয়ম
বাংলা আর্টিকেল লেখার প্রয়োজনে অনেক সময় স্ক্রিনশট নেওয়ার প্রয়োজন হয়।তখন আমরা
আর্টিকেলের ভিতরে স্ক্রিনশট ব্যবহার করি।তবে এই স্ক্রিনশট নেওয়ার ক্ষেত্রে একটু
সচেতন হতে হবে।স্ক্রিনশটে যেটুকু প্রয়োজন সেই টুকু কেটে নেওয়া।তার ওপরে নিচে অংশ
টুকু কেটে বাদ দিতে হবে।না হলে স্ক্রিনশট মোটেও প্রফেশনাল মনে হবে না।দেখতে খুব
বাজে লাগবে ।তাই নিয়ম ফলো করুন।
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম এর ক্ষেত্রে এটা ও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার
লেখার পাশাপাশি পিকচার গুলো ও হতে হবে প্রফেশনাল। আসেপাশের অপ্রয়োজনীয় অংশ কেটে না
দিলে পোস্ট টা খুব অকওয়ার্ড দেখাবে।তাই আপনার আর্টিকেল টা প্রফেশনাল দেখাতে
স্কিনশটটা ও হতে হবে প্রফেশনাল।আপনাদের মনে
হতে পারে এই সিম্পল বিষয় আবার কেন এতো গুরুত্ত্ব দিতে হবে।মনে রাখবেন, আগে
লক্ষনদারি তারপর গুন বিচারি।
আর্টিকেল অন্য কোথাও লিখে রাখা যাবে কি না??
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়মের ক্ষেত্রে আর্টিকেল একমাত্র ওয়েবসাইট ছাড়া অন্য কথাও
লিখে রাখা যাবে না।এতে আপনার কন্টেন্ট এ কপি রাইট খাওয়ার সম্ভবনা আছে১০০%।তাই
সাবধান!আপনি চাইলে নিউ পোস্ট এ গিয়ে ডার্ফে রাখতে পারেন। দুই তিন দিনে পোস্টটা
লিখে রেখে পরে পোস্ট করতে পারেন।তবে ভুলেও মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅপ, নোটপ্যাড
এগুলো থেকে কপি করবেন না।
কোনো জায়গা থেকেই আপনি লেখা কপি করতে পারবেন না।এই বিষয়ে
আপনার অনেক বেশি সাবধান থাকা জরুরী।আপনি কোথাও কন্টেন্ট লিখে রাখতে পারবেন না আবার কারো কন্টেন্ট কপি ও করতে পারবেব।
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম এর ক্ষেত্রে এই বিষয় গুলো খুব ভালো ভাবে যেনে বুঝে
নিতে হবে।আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটে আসব ভুল করে থাকেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইট লক
হয়ে যাবে।
তাই অবশ্যই খেয়াল রাখবেন আর্টিকেল অন্য কোথাও থেকে কপি করসেন কি না।এমন
চিন্তা ভাবনা করে থাকলে সাবধান হয়ে যান।এই কাজ ভুলেও করবেন না।আপনার ওয়েবসাইট এই
লিখে রাখেন। আর ভুলেও যদি এ কাজ করে থাকেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইট কপিরাইট এ রিপোর্ট খাবে। এমনকি লক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই এই কাজগুলো থেকে বিরত থাকুন এবং সাবধানে কাজ করুন। যেন ভুল না হয়।
ফোকাস কিওয়ার্ড কী?
আমরা কোন বিষয়
বিস্তারিত জানার
জন্য গুগলে যেটা লিখে সার্চ দেই সেইটাই হলো ফোকাস কিওয়ার্ড।এখন আপনি যদি বাংলা
আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান কি করবেন?গুগলে সার্চ দিবেন নিশ্চই? কি
লিখে সার্চ দিবেন?গুগল এ গিয়ে লিখবেন হয়তো বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম অথবা বাংলা
আর্টিকেল কিভাবে লিখতে হয়??
আপনি যেটা লিখে সার্চ দিচ্ছেন এটাই কিওয়ার্ড। আশা করি
বুঝতে পেরেছেন। আমরা প্রতি নিয়ত কোনো কিছু জানার জন্য কোনো সার্চ ইঞ্জিনে যেটা
লিখে সার্চ করি সেইটাই হলো কিওয়ার্ড।আর্টিকেলের জন্য কিওয়ার্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনাদের সাথে শেয়ার করি কিছু ফোকাস
কিওয়ার্ড রিসার্চ করার অ্যাপ।যেমনঃgoogle keyword, planner ,semrushAherfs,moz
ইত্যাদি।
আপনারা ওয়েবসাইটে একটা আর্টিকেল লেখার আগে অবশ্যই কিওয়ার্ড
রিসার্চ করে নিতে হবে। এই কি ওয়ার্ডের মধ্যেমেই আপনার ওয়েবসাইট পাঠকের সামনে
আসবে।আশা করছি আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পেরেছি বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম এর
ক্ষেত্রে ফোকাস কিওয়ার্ড টা কি। একের অধিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন আপনার আর্টিকেলে। আশা করছি নিয়মগুলো মেনে চললে ফলাফল পাবেন।
কেন SEO ফ্রেন্ডলি কিওয়ার্ড বাছাই করতে হবে
যেকোনো আর্টিকেলের কিওয়ার্ড কে তার হৃদপিণ্ড বলা হয়। অতএব আর্টিকেলে কিওয়ার্ড
এতটাই জরুরি। এই কিওয়ার্ড ওপর নির্ভর করে সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ দিলে আপনার ওয়েব
সাইট আসবে কিনা।তাই অনেক রিসার্চ করে কিওয়ার্ড বের করতে হয়।গুগলে র্যাংক করানো
জন্য কি ওয়ার্ড খুবই জরুরী। আপনার আর্টিকেলে ১০-১৫ বার আপনার পোস্টের কিওয়ার্ড
রাখতে হবে।
তাই আপনার ওয়েবসাইট যদি র্যাংক করাতে চান তাহলে অবশ্যই এসইও ফ্রেন্ড্রলি
কিওয়ার্ড রিসার্চ করে নিতে হবে। এবং আপনার ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লেখতে
হবে।বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম এর ক্ষেত্রে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ
একটা বিষয়। তাই আপনারা যে আর্টিকেল লিখবেন অবশ্যই চেষ্টা করবেন সেইটা যেন
হয় এসইও ফ্রেন্ড্রলি কিওয়ার্ড। অনেক ধৈর্য নিয়ে রিসার্চ করে বের করবেন এসইও
ফ্রেন্ড্রলি কিওয়ার্ড।
লেখকের মন্তব্যঃ বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম
বাংলা আর্টিকেল লেখার এক্সক্লুসিভ নিয়ম আপনাদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে।আশা করছি
আপনারা এই নিয়ম গুলো অনুসরণ করে ভালো একটা
ফলাফল পাবেন।অতএব
নিয়ম মেনে আপনার ওয়েবসাইটে নিয়মিতভাবে আর্টিকেল লিখে যান সফলতা
পাবেন,ইনশাআল্লাহ।আপনার আর্টিকেল গুগলে র্যাংক করাতে নিয়ম গুলো সাহায্য
করবে।
সর্বোচ্চ ফলাফল পেতে সবগুলো নিয়ম পালন করুন। চেষ্টা করেছি আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়া।আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম আপনাদের কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।যদি আর
কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলেও জানাবেন।আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করব।
ডেইলি ডাইরির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url