নকশি কাঁথা সম্পর্কে তথ্য

পেইজ সূচিপত্র: নকশি কাঁথা সম্পর্কে তথ্য

নকশি কাঁথা সম্পর্কে তথ্য 

নকশি কাঁথার ইতিহাস 

নকশি কাঁথা যেভাবে তৈরি করা হয় 

যে যার পছন্দ মতো মাপ নিয়ে থাকে। কেউ চার হাত পাঁচ হাত, কে বা পাঁচ হাত ছয় হাত। এটি ছোট বড় হতে পারে। এরপর একটা একটা করে কাপড় বিছিয়ে নিয়ে চার পড়ল বা পাঁচ পরল কাপড় দেওয়া হয়। তারপর কাপড় গুলো চারিদিক থেকে সেলাই করে নেয়। কেউ চাইলে লেজ ও লাগাতে পারে চারি দিকে। কথাটা সেলাই করতে তো এক মাস বা দুই মাস সময় লাগবে। তাই পুরো কথা ঘুরে ঘুরে বড় বড় করে ১০ থেকে ১৫ লাইন সেলাই করে নেওয়া হয়।

নকশী কাঁথার নাম এবং সেলাইয়ের নাম 

• লেপ কাঁথাঃ লেপকথার সাধারণত শীতের সময় ব্যবহার করা হয়। এতে শীত থেকে বাঁচার জন্য ব্যবহৃত হয়। সাধারণত পুরু আর ভারি হয়। 
• সুজনী কাঁথাঃ সজনী কাঁথা সাধারণত বিছানার চাদর বানানো হয়। এটি পাতলা করে তৈরি করে উপরে নানা রকম ডিজাইন করা হয়।। এবং এই রঙিন কথাটি বিছানার ওপরে পেড়ে রাখা হয়। 
• রুমাল কাঁথাঃ এটি রুমাল হিসেবে ব্যবহার হয়। রুমাল এ নানা রকম ডিজাইন করে ব্যবহার করা হয়। আপনি চাইলে উপহারও দিতে পারেন। 
• বোচকা কাঁথাঃ এটি আগেকার মানুষ বেশি ব্যবহার করত। এর মধ্যে প্রয়োজনীয় জিনিস রেখে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া যেত। 
• গিলাফ কাঁথাঃএখানে আল কুরআন বা অন্যান্য ধর্মীয় যে কোন পুস্তক এর খোল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। 
• চাদর কাঁথাঃএটি শীতকালে গায়ে দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়। চাদরের মতো করে এটি ব্যবহার করা হয়।
• আসন কাঁথাঃ এটি হিন্দুদের আসন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। পূজার সময় বা বর কনেকে বসানোর জন্য এটি ব্যবহৃত হয়। 
• নকশি থলেঃ নকশিত থলে বিভিন্ন জিনিস পরিবহন করার জন্য ব্যবহৃত হয়। আগেকার দিনে বয়স্ক দাদা-দাদি এটাতে পান রাখত। 
• পাটি কাঁথাঃ বাসায় যখন আত্মীয়-স্বজন আসে তখন এই পার্টি কাঁথাতে বসতে দেওয়া হয়। 
• বেবি কাঁথাঃ এই কথাগুলো ছোট বাচ্চাদের জন্য তৈরি করা হয়। এই ছোট ছোট কাঁথা গুলো বাচ্চাদের ঘুমিয়ে রাখা বা গায়ের উপর দিয়ে রাখার কাজে লাগে।
• পাদানি কাঁথাঃএই কথাগুলো দরজার সামনে বা বিছানার নিচে রাখা হয়। ব্যবহৃত হয় সাধারণত পা মোছার জন্য। 
• এমন নানা নামের কাঁথা ব্যবহৃত হয় আমাদের দৈনন্দিন জীবনে। এগুলো এলাকা ভেদে নানারকম নামে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারে। কারণ অঞ্চল ভেদে ভিন্ন নামে পরিচিত হয় কথাগুলো।

নকশি কাঁথার আলপনা বা মোটিফ

নকশী কাথার কি সুতা ব্যবহৃত হয় 

নকশি কাঁথার মান ও বৈশিষ্ট্য 

• চাঁপাইনবাবগঞ্জের নকশি কাঁথাঃ চাপাইনবাবগঞ্জের নকশি কাঁথা, কাথার ফোর, কাঁথার কাপড় অন্যান্য এলাকা থেকে আলাদা হয়। এলাকার কিছু কথা খুব উন্নত এবং নামকরা। যেমন: লহরী কাথা, সুজনীকাঁথা, লিক কাঁথা, কার্পেট কাঁথা, চোখ টানা কাঁথা,।
• রাজশাহী বগুড়া ও কুষ্টিয়া অঞ্চলের নকশি কাঁথাঃ এইসব এলাকার নকশি কাঁথা আকারে বড় এবং পুরো হয়। তবে সেলাই তেমন সূক্ষ্ম হয় না। জ্যামিতিক নকশা ফুল লতাপাতা নকশা এবং নানান ধরনের ডিজাইন ব্যবহার করে থাকে। 
• যশোর ফরিদপুর ও খুলনা অঞ্চলের নকশি কাঁথাঃ এসব এলাকার নকশি কাঁথা আকারে একটু ছোট হয়। সেলাই হয় অত্যন্ত সুক্ষ। মানুষ ও পশু পাখি মোটিফ বেশি ব্যবহার করা হয় এসব নকশি কাঁথাতে।
• ঢাকার নকশি কাঁথাঃ ঢাকার নকশি কাঁথাগুলো খুব পাতলা হয়। ঢাকার নকশী কাঁথাগুলো হয় খুব সাধারন ডিজাইন। ছোট ছোট ফুল এবং পাতা এগুলোই থাকে ঢাকার নকশি কাঁথায় বেশি পরিমাণে।

নকশীকাঁথার দাম কত?

মন্তব্যঃ নকশি কাঁথা সম্পর্কে তথ্য