ঘুম কমানোর উপায়

ঘুম কমানোর উপায় সম্পর্কে আজকে আপনাদের জানাবো। অতিরিক্ত ঘুম আমাদের দৈনন্দিন জীবনে একটি বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়াও আপনারা অনেকেই জানতে চান পড়ার সময় ঘুম কমানোর উপায় সম্পর্কে।
ঘুম-কমানোর-উপায়
৮০ শতাংশ মানুষেরই ঘুমের সমস্যা রয়েছে। তার মধ্যে কিছু মানুষের সমস্যা তাদের অতিরিক্ত ঘুম। যা আমাদের প্রতিদিনের কাজকে অনেক কষ্টকর করে তোলে। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক ঘুম কমানোর উপায় সম্পর্কে।
 

পেইজ সূচিপত্রঃঘুম কমানোর উপায়

ঘুম কমানোর উপায় 

ঘুম কমানোর উপায় আপনারা যারা জানতে চান তাদের আমি বলতে চাই, আপনার সুস্থ জীবন যাপন করতে হলে নিয়ম মেনে সব কাজ করতে হবে তার মধ্যে ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আপনাকে আগে নিজের উপর খেয়াল রাখতে হবে। দেখুন আপনার রাতে ঠিকমত ঘুম হচ্ছে কিনা। একটি সুস্থ মানুষের রাতে ৬ থেকে ৭ ঘন্টা নিশ্চিন্তে ঘুমানো উচিত। এটি সুস্থ থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

রাতে যদি ঘুম ঠিকমতো না হয় তাহলে আপনার দিনের বেলায় ঘুমের চোখ বন্ধ হয়ে আসবে। তাই আপনার সুস্থ থাকতে হলে কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে।তার আগে জানতে হবে ঘুমের সমস্যাটা হচ্ছে কেন। ঘুমটা কেন বেশি হয়ে যাচ্ছে। এ সম্পর্কে ধারণা রাখা উচিত। এবং নিজের পরিবর্তন খেয়াল করবেন। শারীরিক কিছু পরিবর্তন আসলে ঘুম বেড়ে যায়।

তাই আমাদের কিছু বিষয়ে নজর রাখতে হবে যে আমাদের কেন ঘুম আসছে। খাওয়া-দাওয়া বিশ্রাম ঠিকমতো হচ্ছে কিনা। সব দিকে খেয়াল রাখতে হবে। তবেই কিছু নিয়ম ফলো করে আমরা আমাদের ঘুমকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারব। যতটুকু ঘুমের দরকার ততটুকু অবশ্যই ঘুমাতে হবে এইটুকু ঘুম বাদ দিলে চলবে না। তাই চলুন জেনে নিই কিছু তথ্য। উপায় গুলো: 
 
  • আপনার অতিরিক্ত ওজন বেড়ে গেলে রাতে ক্লিপ অ্যাপনিয়া হয় যার কারণে দিনের বেলা ঘুম চলে আসে।
  • থাইরয়েড হরমোন এর ঘাটতি দেখা দিলে ঘুমের পরিমাণ বেড়ে যায়। 
  • নিয়মিত শরীরচর্চা ঘুমের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।তবে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন ঘুমাতে যাওয়ার আগে ব্যায়াম করবেন না।
  • পুষ্টি এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে এটি আপনাকে ঘুম থেকে রক্ষা করবে। 
  • ওজন নিয়ন্ত্রণ করবেন ওজন বেড়ে গেলে ঘুমের সমস্যা অনেক দেখা দেবে। মাত্র অতিরিক্ত ঘুম হবে।
  • খেয়ে উঠেই তখনই শুয়ে পড়বেন না এটি স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ এবং তখন শুয়ে পড়লে ঘুম চলে আসে। তাই খেয়ে উঠে একটু হাঁটাহাঁটি করবেন। 
  • নিয়মিত শোয়ার অভ্যাস করবেন একই সময়। প্রতিদিন একই টাইমে ঘুমাতে যাবেন একই টাইমে ঘুম থেকে উঠবেন। 
  • রক্তচাপের ঔষধ, আন্টিডিপ্রেসেন্ট ঔষধ এগুলোর সাইড ইফেক্ট হিসাবে অতিনিদ্রা ও ক্লান্তির মত সমস্যায় পরতে পারেন।
  • পানি পান করুন এটি সবচাইতে ভালো ঔষধ ঘুম দূর করার। পানি পান করলে দেহের কোষ গুলো উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। 
  • আপনাকে পরিমিত খাবার খেতে হবে। খাবার চাহিদা সম্পূর্ণ পূরণ না হলে আপনার অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যা হতে পারে। 
  • আপনি যদি শারীরিকভাবে দুর্বল থাকেন তাহলে ঘুমের সমস্যা অবশ্যই হবে।সারাদিন ঘুম পাবে।
  • আপনি যদি অতিরিক্ত জার্নি করেন তাহলে আপনার  ঘুমও অতিরিক্ত বেড়ে যাবে।
  • ঘুম কমানোর কোনরকম ঔষধ বা মেডিসিন থেকে দূরে থাকুন। স্লিপ হাইজিন মেনে চলুন। 
  • রাতে দশটার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ুন। বেশি রাত জাগলে দিনের বেলা ঘুম আসবে এটাই স্বাভাবিক। 
  • ঘুমানোর ৩০ মিনিট আগে মুঠোফোন, ল্যাপটপ, টিভি, এগুলা থেকে দূরে থাকুন। 
  • ঘুমানোর সময় কোন ইলেকট্রনিক যন্ত্র মাথার কাছে রাখবেন না। 
  • এলার্ম ব্যবহার করুন। আর এলার্ম যখন বেজে উঠবে তখন এটা মনে করবেন না যে আর ১০ মিনিট পরে উঠি। এলার্ম বাজার সাথে সাথে ঘুম থেকে উঠে পড়ুন। একবারে উঠতে না পারলে এক মিনিট পর পর তিনটি এলার্ম দিয়ে রাখেন।
  • অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকুন। অতিরিক্ত খাবার খেলেও ঘুমের পরিমাণ বেড়ে যায়। 
  • যেকোনো নেশা দ্রব্য,অ্যালকোহল এগুলো থেকে দূরে থাকুন।
  • অতিরিক্ত ঘুম থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি কাজ করতে পারেন ঘুমানোর আগে আপনার কাজের একটি লিস্ট করে রাখুন। আর প্রয়োজনীয় কাজটা সবার উপরে রাখুন। আপনার মস্তিষ্ক আপনাকে এলার্ট করে দেবে। 
  • ঘুমাতে গেলে ফোন অবশ্যই দূরে রাখবেন ।ঘুম হরমোন যখন নির্গত হয় তখন ঘুমের ঘোড় একবার কেটে গেলে আর ঘুম আসতে চায় না ফলে আপনার দিনের বেলায় অনেক বেশি ঘুম পায় না।
  • রাত বেশি রাত জাগবেন না। তাড়াতাড়ি ঘুমানোর অভ্যাস করুন এবং ভোর ভোর ঘুম থেকে উঠুন। কে আপনার মাইন্ড ফ্রেশ থাকবে। 

তন্দ্রাচ্ছন্নতা কি?

তন্দ্রাচ্ছন্নতা কি? তন্দ্রাচ্ছন্নতা হল ঘুমে ঝিমানো। কেউ যদি ঘুমে ঢলে ঢলে পড়ে যায় তাহলে তাকে তন্দ্রাচ্ছন্নতা বলে। অনিচ্ছাকৃত ভাবে ঘুমিয়ে পড়া বা পাতলা ঘুমও বলা হয়। এই অবস্থায় সাধারণত মানুষ অর্ধ জাগ্রত অর্ধ নিদ্রায় থাকে। তন্দ্রা হচ্ছে নিদ্রার পূর্ববর্তী ধাপ। অর্থাৎ বোঝানো হচ্ছে গভীর ঘুম পাওয়ার আগে মুহূর্ত। যেটাকে আমরা কাঁচা ঘুমও বলি। ঘুম সঠিক পরিমাণ হতে হবে। 

রাতে যদি ঘুমের কমতি থাকে তাহলে দিনের বেলায় তন্দ্রাচ্ছন্নতা ভাব দেখা দিবে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের রাতে ৬ থেকে ৭ ঘন্টা ঘুমানো উচিত। ঘুম কমানোর উপায় যারা জানতে চান তাদের বলে রাখি প্রয়োজন মত ঘুমাতে হবে এবং অতিরিক্ত ঘুম থেকে দূরে থাকতে হবে। দিনের বেলার অতিরিক্ত ঘুম আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কাজের বাধা হয়ে দাঁড়ায় এটি একটি বড় সমস্যা।
 

কেন এত বেশি ঘুম পায় 

কেন এত বেশি ঘুম পায় আপনারা যারা এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না তারা পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। যদি আপনার ঘুমের সমস্যা হয় তাহলে মনে রাখবেন আপনার শারীরিক গঠনে কোন পরিবর্তন এসেছে বা কোন অনিয়ম হচ্ছে। আর যদি অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়। তাহলে আপনার অভিজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ভালো ডাক্তার দেখানো উচিত। চলুন জেনে নেওয়া যাক অতিরিক্ত ঘুম পাওয়ার কারণঃ
 
তন্দ্রাচ্ছন্নতা কিঃ তন্দ্রাচ্ছন্নতা হল ঘুমে ঝিমানো। কেউ যদি ঘুমে ঢলে ঢলে পড়ে যায় তাহলে তাকে তন্দ্রাচ্ছন্নতা বলে। অনিচ্ছাকৃত ভাবে ঘুমিয়ে পড়া বা পাতলা ঘুমও বলা হয়। এই অবস্থায় সাধারণত মানুষ অর্ধ জাগ্রত অর্ধ নিদ্রায় থাকে। তন্দ্রা হচ্ছে নিদ্রার পূর্ববর্তী ধাপ। অর্থাৎ বোঝানো হচ্ছে গভীর ঘুম পাওয়ার আগে মুহূর্ত। যেটাকে আমরা কাঁচা ঘুমও বলে থাকি।

প্রচুর ঘুম আসার কারণ কিঃ হঠাৎ ঘুম বেড়ে যাওয়া বা প্রচুর ঘুম আসার কারনটা কি? আপনারা অনেকেই এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চান। আপনার মধ্যে যদি হঠাৎ পরিবর্তন আসে তাহলে আপনার শারীরিক অবস্থা খারাপ বুঝতে হবে। কিডনি বা লিভার জনিত সমস্যা হলে দিনের বেলায় মাত্রাতিরিক্ত ঘুমের ভাব হয়। এছাড়াও মস্তিষ্কের কিছু রোগ আছে যার কারণে দিনের বেলা অতিরিক্ত ঘুম হয়।
 
সারাদিন ঘুম ঘুম লাগার কারণ কিঃ হরমোনাল অনেক পরিবর্তনের কারণে অতিরিক্ত ঘুম এর সমস্যা হতে পারে। হার্টের কিছু রোগ এমনকি যদি ক্যান্সার হয় তবে এর থেকেও অতিরিক্ত ঘুম ঘুম ভাব হতে পারে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে স্লিপ এপনিয়া সিনড্রোম। তাই আপনার অতিরিক্ত সমস্যা দেখা দিলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। বড় সমস্যার করার এটি একটি পূর্ব লক্ষণ অতিরিক্ত ঘুম।

হঠাৎ ঘুম বেড়ে যাওয়ার কারণ কিঃ মেলাটোনিন হল ঘুম হরমোন। এটা দ্বারা উৎপন্ন হয় আপনার মস্তিষ্কের ফাইনাল গ্রন্থি। এটি শরীরের অন্যান্য অংশেও পাওয়া যেতে পারে অস্থিমজ্জা, চোখ, অন্ত্রে। মেলাটোনিন ঘুম বা জাগ্রত চক্র নিয়ন্ত্রণ করে। মেলাটোনিন হরমোন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে তখন ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়। এবং ঘুম বেড়ে যেতে পারে। তাই এসব কারণে আপনার ঘুম বেড়ে যেতে পারে।

কি খেলে ঘুম তাড়ানো যায়

কি খেলে ঘুম তাড়ানো যায় আপনি যদি যেকোনো সময় চট জলদি আপনার ঘুমকে তাড়াতে চান। বা পড়ার সময় যদি অনেক বেশি সমস্যা হয় তাহলে ঘুম কমানোর উপায় হিসেবে এই কাজটি আপনারা করতে পারেন। যখন দেখবেন ঘুম ঘুম আসছে তখন ঘুমটা কমানোর জন্য চা বা কফি খেতে পারেন চোখে মুখে পানি দিয়ে একটু হাটাহাটি করতে পারেন। এ কাজগুলো করলে আপনার সাময়িকভাবে ঘুম কেটে যাবে। ফ্রেশ শাক-সবজি খাবেন। 
ঘুম-কমানোর-উপায়
পরিমাণ মতো ভাত খাবেন অতিরিক্ত পরিমাণে ভাত খাবেন না। অ্যালকোহল ,নিকোটিন এই ধরনের নেশা জাতীয় পদার্থ থেকে দূরে থাকবেন। বেশি বেশি পানি খাবেন। পুষ্টিকর খাবার খাবেন।খাবারের কমতি হলে শরীর দুর্বল হওয়ার কারণে অতিরিক্ত ঘুম দেখা দিতে পারে। ঘুম কমানোর উপায় হিসেবে এসব নিয়ম মেনে চলতে পারেন। ইনস্ট্যান্ট চাপা কফি খেয়ে ঘুম তাড়াতে পারেন।

পড়ার সময় ঘুম কমানোর উপায় 

পড়ার সময় ঘুম কমানোর উপায় কি? আমাদের মধ্যে এমন কোন স্টুডেন্ট নেই যাদের পড়ার সময় ঘুম আসেনা। পড়তে বসলেই ঘুম চলে আসে এমন রেকর্ড আমাদের অনেকেরই আছে। বলতে গেলে প্রায় সবারই পড়তে গেলে ঘুম চলে আসে। পড়ার সময় কিছু পদক্ষেপ নিয়ে আমরা সাময়িকভাবে ঘুম কমাতে পারি এবং পড়ায় মনোযোগী হতে পারি। চলুন দেখি নি উপায়গুলোঃ
  • আমাদের অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে না হলে যখন ব্রেনে প্রেসার পড়বে তখন ঘুম চলে আসবে। তাই পড়ার সময় খুব তাড়াতাড়ি ঘুম চলে আসতে পারে। 
  • আবার এমনটা ভাবলেও হবে না দিনরাত শুধু পড়তে পারব কিভাবে। প্রয়োজনমতো ঘুমিয়ে নিতে হবে তবে আপনি পড়ায় মনোযোগী হতে পারবেন এবং পড়ার সময় ঘুম আসবে না। 
  • পড়ার সময় ঘুম আসলে পানি পান করুন এতে ঘুমের ভাবটা কেটে যাবে। 
  • এছাড়াও যদি পড়ার সময় ঘুম ঘুম পায় তাহলে ঘুম কাটানোর উপায় কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন। 
  • কখনোই একটানা অনেকক্ষণ পড়বেন না এতে মাথায় পরা ঢুকবে না এবং ঘুমের সমস্যায় পড়বেন। তাই ৪৫ মিনিট পড়ার পরে দুই মিনিট হাটাহাটি করুন। বিশেষজ্ঞরা বলে টানা ৪৫ মিনিট একটা স্টুডেন্ট মনোযোগ ধরে রাখতে পারে। 
  • ঘুম কাটাতে চাইলে আপনি জোরে জোরে পড়তে পারেন। এবং বেশি বেশি লেখার অভ্যাস তৈরি করুন। 
  • ঘুম কাটানোর আরেকটি উপায় মাঝে মাঝে মুখ চোখ ধুয়ে দিন।চোখে পানির ঝাপটা দিন।এতে ঘুমের ঘোর কেটে যাবে।
  • আপনি যদি বিছানায় শুয়ে শুয়ে পড়েন তাহলে আপনার অবশ্যই ঘুম পাবে তাই টেবিল চেয়ারে পড়ার অভ্যাস তৈরি করুন। 
  • পড়ার সময় ঘুম আসার আরেকটি কারণ হলো পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া। আপনার শরীরের জন্য অবশ্যই পর্যাপ্ত ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 
  • রাতে পড়ার সময় কঠিন বিষয় গুলো থেকে দূরে থাকুন। ম্যাথ টাইপের বিষয়গুলো পড়ুন এবং খাতায় লেখার অভ্যাস তৈরি করুন। গণিত বিষয় পড়ার সময় ঘুম আসে না। লেখার সময় চাইলে লাল সবুজ কালি ব্যবহার করতে পারেন এতে ঘুমের ভাবটা কমে যাবে।হাতের কাছে পানির বোতল রাখুন প্রয়োজনমতো পানি খান।
  • আপনার অনেক বেশি ঘুম পেলে একটু বিশ্রাম নিন হাটাচলা করুন কারো সাথে দুই মিনিট কথা বলুন চা খান তারপরে আবার পড়তে বসেন। আর ওইভাবে একটানা পড়তে থাকলে আপনার মাথার মধ্যে কিছুই ঢুকবে না।

সকালের ঘুম দূর করার উপায় 

সকালের ঘুম দূর করার উপায় আমরা অনেকেই জানতে চাই কারণ এতে আমাদের বড় একটি সমস্যা সকালে ঘুম ভাঙতে চায় না। সকালের ঘুমটা অনেক গভীর হয় ঘুম থেকে উঠতেই মন চায় না। কিছু নিয়ম মেনে চলুন এবং সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠুন। আমাদের সকলের উচিত তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যাওয়া এবং সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠা।
 
  • প্রতিদিন একই সময়ে বিছানায় ঘুমাতে যাবেন এবং একই সময় ঘুম থেকে উঠার চেষ্টা করবেন। 
  • রাতে একেক দিন একেক সময় ঘুমাতে যাবেন না। ঘুমানোর জন্য সময় নির্ধারিত করে রাখুন। 
  • সঠিক সময় ঘুম থেকে ওঠার জন্য এলার্ম ব্যবহার করুন। এবং এলাম বাজার সঙ্গে সঙ্গে ঘুম থেকে উঠে পড়বেন এতে অভ্যাস ভালো হবে। 
  • রাতে ঘুমানোর আগে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করুন। ভোরবেলা যদি উঠতে নাও পারেন ।তাহলে সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস তৈরি করুন।
  • সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ এটি স্বাস্থ্য ভালো রাখে। 
  • অ্যালকোহল, নিকোটিন গ্রহণ করবেন না এটি ঘুমের বড় সমস্যা তৈরি করে। 
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খান। অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন ।অতিরিক্ত খাবার খাওয়া আপনার ঘুম কেও বাড়িয়ে দিবে।
  • সারাদিনের রুটিন পরিকল্পনা করুন। এবং রুটিন মেনে চলার চেষ্টা করুন। 
  • সকালে ঘুম থেকে ওঠা বাধ্যতামূলক ভাবে নিন। এবং ঘুম থেকে উঠে একটি জরুরী কাজ রাখুন। এটি আপনার মস্তিষ্ককে এলার্ট করে দিবে। 
  • তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাবেন এবং রুমটা যেন এমন হয় সূর্য ওঠার সাথে সাথে আপনার ঘরে আলো পড়বে এবং আপনি তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠবেন। রুম যত অন্ধকার থাকবে আপনার ঘুম থেকে উঠতে তত দেরি হবে। 
  • শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকার চেষ্টা করুন। মাইন্ড সবসময় ফ্রেশ রাখুন। দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকুন। আশা করছি পরিমিত ঘুম হবে এবং ঠিকমত ঘুম থেকে উঠতে পারবেন। 

দুপুরে ঘুম তাড়ানোর উপায় 

দুপুরে ঘুম তাড়ানোর উপায় সম্পর্কে জেনে নিই চলুন। দুপুরে ঘুমানো এটি সম্পূর্ণ অভ্যাসের ওপর নির্ভর করে। আপনি যদি ছোটবেলা থেকে কোন বাচ্চাকে দুপুরে ঘুমানোর অভ্যাস তৈরি করেন তাহলে সে দুপুর বেলা রোজ ঘুমিয়ে পড়বে। আর আপনি যদি এটা থেকে বিরত থাকতে চান তাহলে অবশ্যই সম্ভব। তবে শারীরিক অনেক দুর্বলতার কারণে দুপুরে অনেকে ঘুম চলে আসে। 

তাই কিছু নিয়ম মেনে চলুন। দুপুরে সময় মতো গোসল এবং খাওয়া-দাওয়া কমপ্লিট করুন। খাওয়ার সাথে সাথে শুয়ে পড়বেন না। তাহলে শরীর ক্লান্ত হয়ে যাবে এবং আপনার চোখে ঘুম চলে আসবে। কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন তাহলে ঘুম আসার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে। আবার হরমোনাল অনেক পরিবর্তন এর কারণে ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

ঘুম ও অলসতা দূর করার উপায় 

ঘুম ও অলসতা দূর করার উপায় সম্পর্কে জেনে নিন। ঘুম ও অলসতা দূর করতে হলে আপনাকে শারীরিকভাবে ফিট থাকতে হবে। এবং মেন্টালি স্ট্রং থাকতে হবে। আপনি নিজেকে কাজের মধ্যে ব্যস্ত রাখুন। কোন কাজ পরে বা কাল করবো বলে ফেলে রাখবেন না। মনে রাখবেন অলস মস্তিষ্কে শয়তান বাস করে। আপনার দৈনন্দিন জীবনের নিত্যদিনের কাজ সম্পন্ন করুন। অতিরিক্ত শুয়ে না থেকে হাঁটাহাঁটি করুন।
ঘুম-কমানোর-উপায়
আর আপনার শরীরে যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। শারীরিক অনেক অসুস্থতার কারণে অলসতা এবং মাত্রাতিরিক্ত ঘুম এর লক্ষণ দেখা যায়। তাই অনেক চেষ্টা করে নিজেকে পরিবর্তন করতে না পারলে অবশ্য অভিজ্ঞোর মতামত নিন। কিডনি, লিভার, হার্ট, ইত্যাদির অনেক কঠিন রোগের কারণে আপনার অতিরিক্ত ঘুম এবং অলসতা দেখা দিতে পারে। 

অতিরিক্ত ঘুম কোন রোগের লক্ষণ 

অতিরিক্ত ঘুম কোন রোগের লক্ষণ এমন প্রশ্ন আপনারা অনেকেই করে থাকেন। আপনাদের বলে রাখি শরীরে নানারকম রোগের কারণে মাত্রা অতিরিক্ত ঘুম দেখা দেয়। যেমন: হাই প্রেসার। যাদের হাইপ্রেশার আছে তাদের রাতের পাশাপাশি দিনে অনেক বেশি ঘুম লক্ষ্য করবেন। এছাড়া ক্যান্সারের রোগীদের ঘুমাতে দেখা যায় মাত্র অতিরিক্ত।
 
আবার যাদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে তারাও অতিরিক্ত ঘুমায়। মানসিক চাপ বিষন্নতার মতো কিছু মানসিক সমস্যা দিনের বেলায় অতিরিক্ত ঘুমের কারণ হতে পারে।। মানসিক সমস্যার জন্য যেসব ওষুধ দেয়া হয় সেইসবের প্রতিক্রিয়া হিসেবেও অতিরিক্ত ঘুম লক্ষ্য করা যেতে পারে। কিছু রোগ উপসর্গ হতে পারে দিনের বেলায় অতিরিক্ত ঘুম ঘুম ভাব এর জন্য। 

যেমন হাইপোথাইইউডিজম, থাইরয়েড হরমোন এর ঘাটতি, কিডনি বা লিভার জনিত সমস্যা, এছাড়াও নানা রকম মস্তিষ্কের সমস্যা, এমনকি ক্যান্সারের ও একটি বড় লক্ষণ অতিরিক্ত ঘুম। তাই অভিজ্ঞর পরামর্শ নিয়ে। এবং পর্যাপ্ত খাবার, পর্যাপ্ত তরল, রুটিন মাফিক জীবন, ওজন কমানো, এবং দীর্ঘমেয়াদি নানার রোগের চিকিৎসা করা। ঘুমের মতো এই ছোট্ট একটু উপসর্গ দেখা দিয়ে বড় রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। 

মন্তব্য: ঘুম কমানোর উপায় 

হোম কমানোর উপায় সম্পর্কে আজকে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। ছাড়াও আপনাদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছি আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে পোস্টটি। ঘুমের সমস্যায় আমরা অনেকেই ভোগী। তাই তাই দৈনন্দিন জীবনে কিছু নিয়ম-কানুন ফলো করা উচিত আমাদের সকলের। ছোট্ট সমস্যা থেকে অনেক বড় কিছু হয়ে যেতে পারে।
 
তাই আশা করব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ আপনারা গ্রহণ করবেন। ঘুমের সমস্যা যদি মাত্রা অতিরিক্ত হয়ে যায় অবশ্যই অভিজ্ঞদের পরামর্শ নেবেন বা ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন। ঘুমের সমস্যা একটি সূচনা হতে পারে কোন বড় রোগের লক্ষণ হিসাবে। তাই সুস্থ থাকতে হলে প্রয়োজনীয় নিয়ম-কানুন খাবার দাবার এবং ঔষধ সবকিছু আমাদের প্রয়োজন। আশা করি আজকের পোস্ট আপনাদের ভাল লেগেছে ।ধন্যবাদ।

 






এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডেইলি ডাইরির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url