ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ দূর করার উপায়

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ দূর করার উপায় আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব। মেয়েদের খুব বহুল এবং বড় একটি সমস্যা এই ব্রণের সমস্যা। এই ব্রণ আর ব্রণের দাগ কিছুতেই যেতে চায় না। জেনে নিন ব্রণের দাগ দূর করার উপায়।

ঘরোয়া-পদ্ধতিতে-ব্রণ-দূর-করার-উপায়
ব্রণের সমস্যা দূর করার জন্য নানারকম ওষুধ ও ক্রিম বাজারে পাওয়া যায় কিন্তু বেশিরভাগই ত্বকের জন্য অনেক ক্ষতিকর।তাই আজকের পোস্টে আপনাদের জানাবো ঘরের কিছু উপকরণ দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়।

পেইজ সূচিপত্র: ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ দূর করার উপায় 

ব্রণ কি? 

ব্রণ কি? আমরা সকলেই কমবেশি ব্রণের সমস্যায় পরি। যার কারনে নানা রকম কসমেটিকস,ঔষধ ,এবং ঘরোয়া পদ্ধতি তে চেষ্টা করি ব্রণ দূর করার। আগে আমাদের জানতে হবে ব্রণ কি ? এবং কেন হয়? চলুন জেনে নিই। আমাদের ত্বকের গভীরে সেবাসিয়াস গ্রন্থি নামে এক প্রকার পদার্থ রয়েছে। যা মুখের ত্বককে মসৃণ এবং চকচকে রাখে। কোন কারনে এক গ্রন্থীর মুখ বন্ধ হয়ে গেলে। 

সেবাসিয়াস গ্রন্থি নামে সেই  তৈলাক্ত তরল পদার্থটি যদি বের হতে না পারে বা বের হতে বাধা সৃষ্টি হয়। তাহলে তখন সেই পদার্থ ভেতরে ফুলে জমে ওঠে। যার কারনে ব্রণ হয়। আর বাহির থেকে আমরা এটাকে ব্রণ বলে থাকি। ব্রণ শুধু মুখে নয়, গলা ঘাড় এবং বিভিন্ন জায়গায় হতে পারে। শুধু মেয়েদের নয় ছেলেদেরও এই সমস্যা প্রচুর পরিমাণে দেখা যায়। একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর ছেলে মেয়ে উভয়ের কম বেশি ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়।

ব্রণ কেন হয়? 

ব্রণ কেন হয়? আমাদের ব্রণ দূর করার উপায় জানার আগে জানতে হবে ব্রণ কেন হয়। কারণ কথায় আছে প্রতিরোধের চেয়ে প্রতিকার শ্রেয়। আপনি যদি ব্রণ এর সমস্যা মধ্যে না পড়েন তাহলে সমাধানও প্রয়োজন হবে না। তাই আগে প্রতিকার করার চেষ্টা করুন। চলুন আপনাদের জানাই কি কি কাজ থেকে দূরে থাকলে আমরা ব্রণ থেকে রক্ষা পাবো। 

  • অতিরিক্ত টেনশন থেকে বিরত থাকুন এটি ত্বকের ব্রণ সহ নানা সমস্যার জন্য দায়ী। 
  • নিয়মিত ঘুম না হলে ব্রণের সমস্যা অবশ্যই দেখা দিবে। এটি একটি প্রধান কারণ  মুখে ব্রণ হওয়ার।
  • পরিমিত পানি খেতে হবে। আপনারা অনেকেই প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম পানি খান যার কারণে অনেক সমস্যার মুখোমুখি পড়তে হয়। তার মধ্যে একটি বড় সমস্যা হলো ব্রণের সমস্যা।
  • অতিরিক্ত তেল চর্বিযুক্ত খাবার এবং অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার কম পরিমাণে খাওয়ার চেষ্টা করেন। ব্রণের সমস্যা হওয়ার জন্য এটি বড় একটি কারণ। 
  • সবসময় মুখমণ্ডল পরিষ্কার রাখুন। চোখে মুখে দিনে বেশ কয়েকবার পানির ঝাপটা দিন। 
  • মুখে ব্রণ ছাড়াও অন্য কোন কিছু দেখলে সেইটা কখনোই নখ দিয়ে খোঁচাখুঁচি করা যাবে না এতে ত্বকের ক্ষতি হবে। 
  • আপনার যদি কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা থাকে তাহলেও ব্রণ দেখা দিতে পারে। তাই পেট ক্লিয়ার রাখুন। 
  • ক্ষতিকর কসমেটিক্স বা কৃত্রিম ক্রিম ব্যবহারের মাধ্যমেই আপনার মুখে ব্রণের সূচনা হতে পারে।
  • এছাড়াও অনেকের নানা হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যার জন্য আপনার অভিজ্ঞ ডাক্তার দেখানো উচিত।
  • নিয়মিত করোলা খেলে ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। তিতা জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। এগুলো ব্রোণ থেকে প্রটেক্ট করে। 
  • ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি, ভিটামিন-ই এই ধরনের খাবার নিয়মিত খাবেন। তাহলে আপনাকে ব্রণের সমস্যায় পড়তে হবে না। 
  • আপেল কে ব্রোনের শত্রু বলা হয়। কারণ আপেলে প্রচুর পরিমাণ পেকটিন থাকে। তাই ব্রন থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত আপেল খান। 
  • বাদাম জাতীয় খাবার খান। বিশেষজ্ঞরা বলে বাদামের সেলেনিয়াম রয়েছে। সূর্যের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার মাত্রা কমিয়ে দেয় ছেলেনিয়াম। 
  • তরমুজ ,দই এই দুটো খাবার নিয়মত খান। এটি ত্বকের জন্য উপকারী ব্রণ থেকে রক্ষা করে।
  • সর্বশেষ বলতে চাই অনেকের ভিটামিনের অভাবেও ত্বকের অনেক সমস্যা হয় তার মধ্যে ব্রণ অন্যতম। ভিটামিন সি যুক্ত ফলমূল এবং পরিমিত শাক সবজি হওয়া উচিত কারণ ভেতর থেকে সুস্থ থাকলে তবেই বাহিরে সুন্দর দেখাবে। তাই আপনাকে ভেতর থেকে সুস্থ হতে হবে। নিয়মিত পরিমিত খাদ্য গ্রহণ করুন।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ দূর করার উপায় 

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ দূর করার উপায় তুলে ধরব আজ আপনাদের সামনে। আমরা একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর কম বেশি সকলেই ব্রণের সমস্যার মুখোমুখি হই। অল্প বয়সি তরুণ তরুনীদের ব্রণের সমস্যা অনেক বেশি হয়। ছেলেদের এই সমস্যা আরো মারাত্মকভাবে দেখা দেয়। এ ব্রণের সমস্যার মানসিক চাপ , দুশ্চিন্তার পাশাপাশি নিজের আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয়।

ঘরোয়া-পদ্ধতিতে-ব্রন-দূর-করার-উপায়
আপনারা এই ব্রণের সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য অনেকেই অনেক পদ্ধতি নিয়ে থাকেন কিন্তু তেমন ফলাফল পান না। বাজারের নানা মেডিসিন ব্যবহার করেন না বুঝেই। এগুলো আমাদের ত্বকের জন্য অনেক ক্ষতিকর। মন মতো ফলাফল না পেয়ে অনেকেই অনুশোচনায় ভোগেন। তাই বাজারের কৃত্রিম মেডিসিন ব্যবহার না করে ঘরোয়া পদ্ধতিতে চেষ্টা করুন আশা করছি ভাল ফলাফল পাবেন।

আরো পড়ুনঃ খাঁটি মধু কিভাবে চেনা যায়

নিমপাতা: ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণের সমস্যা দূর করার জন্য নিম পাতা অসাধারণ কার্যকরী। নিমপাতায় আছে আন্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য। যা ব্রণ দূর করতে সম্ভব। তাই নিয়মিত নিম পাতার রস ব্যবহার করুন। নিম পাতার রস ব্রনের ওপর হালকা করে লাগিয়ে রাখুন এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কিছুদিন এই কাজ করলে আপনি আপনার ফলাফল দেখতে পাবেন। 

কাঁচা হলুদ: কাঁচা হলুদ রূপচর্চার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপকরণ। শুধু রান্নার কাজেই নয় প্রাচীন কাল থেকে রূপচর্চার কাজে কাঁচা হলুদের ব্যবহার চলে আসছে। কাঁচা হলুদের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে যা ব্রণ  দূর করতে খুবই প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্য পালন করে। তাই নিয়মিত গোসলের আগে মুখে কাঁচা হলুদের পেস্ট লাগিয়ে কিছুক্ষণ বসে থাকেন শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।

লেবুর রস: ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ দূর করার জন্য লেবুর রস খুবই উপকারী ।লেবুর রসে রয়েছে সাইট্রিক অ্যাসিড। সাইট্রিক অ্যাসিড ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। লেবুর রস ব্রনের ওপর ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। কাজটি রেগুলার করুন। এটি ব্রণ দূর করতে খুবই উপকারী। তবে লেবুর খোসা নিয়ে মুখে ঘষাঘষি করবেন না। এতে ক্ষতি হবে। 

আরো কিছু উপায় জেনে নিন ব্রণ দূর করার 

আরো কিছু উপায় জেনে নিন ব্রণ দূর করার। ঘরে থাকা নানা প্রাকৃতিক এবং ফ্রেশ উপকরণ দিয়ে আমরা ব্রণ দূর করতে পারি। কিছুদিন আমরা এভাবে আমাদের ত্বকের যত্ন নিলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ দূর করতে চাইলে এটা কখনো রাতারাতি সম্ভব না। তাই আপনাকে কিছুদিন কাজগুলো করতে হবে তাহলে মন মত ফলাফল পেয়ে যাবেন। আরো কিছু উপায়ঃ

  • পেঁপে পেস্ট করে মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন। এটি খুবই উপকারী পাকা পেঁপে পেস্ট বানিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। তারপর ধুয়ে ফেলুন। 
  • চাল গুড়া করে সামান্য মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর হালকা শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এটি ভাল ফলাফল দিবে। 
  • চাল ধোয়া পানি মুখে লাগাতে পারেন কিছুক্ষণ পরপর। এতে আপনার স্কিন খুব ভালো থাকবে। ব্রণ থেকে রক্ষা পাবেন। আপনি একবার চালের পানির সংরক্ষণ করে দুই দিন ব্যবহার করতে পারবেন ফ্রিজে রেখে। 
  • ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ থেকে রক্ষা পেতে বরফের অবদান প্রচুর। বরফের টুকরা গুলো সুতি কাপড়ের জড়িয়ে তকে লাগান। এতে ভাল ফলাফল পাবেন। তবে সুতি কাপড়টা যেন পরিষ্কার হয়। 
  • বাসায় গোলাপজল তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন এটি ভালো উপকার দিবে। গোলাপ জল মুখের জন্য খুবই উপকারী একটি উপকরণ। 
  • গোসলের আগে এলোভেরা জেল মুখে ব্যবহার করতে পারেন। এলোভেরা জেল হাতে নিয়ে পুরো মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। বাসায় টবে এলোভেরার গাছ লাগিয়ে রাখুন। প্রয়োজন মতো ব্যবহার করতে পারবেন।
  • নারকেলের তেল যেমন চুল সুন্দর করে তেমন আমাদের ত্বকের জন্য উপকারী। নারকেলের তেল ব্রণ থেকে রক্ষা করে এতে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন ই। নারকেলের তেল দিনে একবার মুখে মাসাজ করে নিতে পারেন। ভালো উপকার পাবেন। 
  • ঘরোয়া পদ্ধতিতে রূপচর্চায় চন্দনের তুলনা হয় না। এতে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। চন্দনকে বলা হয় রূপচর্চায় আভিজাত। চন্দনের ব্যবহার সেই আদিকাল থেকেই। 
  • ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ দূর করতে আরেকটি উপকরণ হলো রসুন। রসুনের একটি খোয়া নিয়ে সেখান থেকে রস বের করে ব্রণের মাথায় অল্প অল্প করে লাগিয়ে রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন ব্রণগুলো অনেকটাই দেবে গেছে।
  • কমলালেবুর খোসা এবং মসুর ডাল পেস্ট করে মুখে ব্যবহার করুন। দেখবেন ব্রনের সমস্যা থেকে রেহাই পেয়েছেন। কমলালেবুর খোসা মুখের জন্য উপকারী।এটি অসাধারণ ভাবে কাজ করে।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণের দাগ দূর করার উপায় 

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণের দাগ দূর করার উপায় জানাবো আজকে আপনাদের। ব্রণের কালো কালো ছোপ ছোপ দাগ খুবই বিরক্তজনক। এটি আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয়।ত্বকের যেসব সমস্যা রয়েছে তার মধ্যে ব্রণের সমস্যা অন্যতম প্রধান একটি সমস্যা। অতিরিক্ত তেল ও নিম্নমানের স্কিন প্রোডাক্ট ব্যবহারের ফলে ব্রণ জড়িত সমস্যা দেখা দেয়। অপরিছন্নতা ও দায়ী ব্রণের জন্য। ব্রণের দাগ দূর করার উপায়ঃ

  • ব্রনের দাগ স্পষ্ট বোঝা গেলে মুখের সৌন্দর্য অনেকটাই কমে যায়। তাই এটি দূর করতে নিয়মিত পানি পান করতে হবে ।এটি আমাদের ত্বকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
  • ব্রণের দাগ দূর করতে শসার রস ব্যবহার করুন। এটি মুখের জন্য উপকারী।
  • ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণের দাগ দূর করতে মুখে চালের গুড়া ব্যবহার করুন।
  • ব্রণের দাগ দূর করতে নিয়মিত মধু ব্যবহার করুন ত্বকে। খেতে খুব ভালো ফলাফল পাবেন। 
  • ব্রণের দাগ দূর করতে আলুর রস মুখে লাগাতে পারেন। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলবেন। 
  • কাঁচা হলুদ বাটা ব্যবহার করুন। 
  • চন্দন কাঠের গুঁড়ো মুখের জন্য উপকারী। 
  • লেবুর রস ব্যবহার করুন। 
  • গোলাপ জল ব্যবহার করুন। 
  • তুলসী পাতার রস ব্যবহার করতে পারেন মুখের দাগ দূর করতে। 
  • দারচিনির গুঁড়া ব্যবহার করুন। 
  • ডিমের সাদা অংশ মুখে ব্যবহার করতে পারেন এটি দাগ দূর করতে সাহায্য করবে। 
  • পাকা পেঁপে পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন এটি মুখের দাগ দূর করবে। 
  • মুলতানি মাটি ব্যবহার করুন তীব্রণের দাগ দূর করবে।
  • নিয়মিত নিম পাতার রস ব্যবহার করুন এটা ধীরে ধীরে মুখে ব্রণের দাগ দূর করবে। 
  • প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ গ্লাস পানি পান করুন। 
  • সতেজ হল মূল খান ।এটি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
  • বাইরে থেকে আসার পর হাত মুখ ধুলাবালু থেকে পরিষ্কার করুন। এবং রোদ থেকে বাঁচার জন্য ছাতা ,ওড়না, বা স্কাফ ব্যবহার করুন।
  • ব্রোন উঠার পর সেটা হাতের নখ দিয়ে খোঁচাখুঁচি করবেন না। এটি স্কিনের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এটি মুখের দাগ বাড়িয়ে দেয়। তাই ব্রনের দাগ থেকে রক্ষা পেতে অবশ্যই এ বিষয়টা মাথায় রাখবেন।
  • আপনার যদি ব্রণের অল্প দাগ থেকে অনেক বড় কিছু হয়ে যায়।তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।এটি এলার্জি বা চর্মরোগের মধ্যে চলে যেতে পারে তাই সাবধান হন সতর্ক থাকুন। 

ব্রণের গর্ত দূর করার উপায় 

ব্রণের গর্ত দূর করার উপায় জেনে নিন। নানা কারণে ব্রণের সমস্যার মুখোমুখি হয়ে থাকি আমরা। ব্রণের দাগের পাশাপাশি অনেকের মুখে ছোট ছোট গর্ত হয়ে যায়। যা মুখের সৌন্দর্য অনেকটাই কমিয়ে ফেলে। ছেলে ও মেয়ে উভয়ের সমস্যায় পড়ে থাকে। এটি আমাদের আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয়। ব্রণের গর্ত দূর করার জন্য প্রথম থেকে সাবধান হতে হবে।

আরো পড়ুনঃমিল্কশেক এর উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে 

ব্রণ ওঠার পর সেটা নখ দিয়ে চুলকানো যাবে না। ব্রণ হাত দিয়ে একদম নাড়াচাড়া করবেন না। এটার জন্য মুখে ক্ষত তৈরি হয় যেটাকে আমরা গর্ত বলে থাকি। মুখের স্কিন সব সময় পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করবেন। আমাদের মুখে ছোট ছোট লোমকূপ থাকে। সেগুলো বাইরের ধুলাবালি দিয়ে বন্ধ হয়ে গেলে প্রয়োজনীয় পদার্থ সে লোমকূপ থেকে বের হতে পারে না। এই সেবাসিয়াস নামে পদার্থটি মুখ মসৃণ এবং চকচকে রাখে।

এই গ্রন্থী যখন বের হতে পারে না তখন মুখে ব্রণ এবং ওপেন পর্স যায়। যা ছোট ছোট গর্তের মত দেখায়। এটি দূর করতে সহজ ও কার্যকর সমাধান হলো ভিটামিন ই তেল। এটি ব্রণের গর্তের জন্য যাদের মত কাজ করে। কিছুদিন ভিটামিন ই তেল মুখে ব্যবহার করুন এবং নিজে চোখেই ফলাফল টা দেখুন। ব্রণের দাগ ও গর্ত নিমিষেই দূর করবে। 

তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় ঘরোয়া পদ্ধতিতে

তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ দূর করার উপায় ঘরোয়া পদ্ধতিতে নিয়ে চলে আসছে আপনাদের মাঝে। অনেকের মুখে প্রচুর পরিমাণ তেল থাকে যার কারণে ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। কারো কারো আবার পুরো মুখে তেল থাকে না শুধু নাকে অতিরিক্ত তেল থাকে। তাদের সমস্যার সমাধান হলো মুখের তেল দূর করতে হবে। মুখে মুলতানি মাটি ব্যবহার করতে পারেন।

ঘরোয়া-পদ্ধতিতে-ব্রণ-দূর-করার-উপায়

নিয়মিত গোসল করুন এবং ঘাম থেকে নিজেকে রক্ষা করুন। ব্রাশ করা পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতিতে। ঘুমানোর আগে ফ্রেশ পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখটা ধুয়ে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নিন। এবং নিয়মিত লবঙ্গ গুড়া, টক দই ,নিম পাতা, ব্যবহার করুন। ডাবের পানিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার জন্য।

লেবুর রস দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায় 

লেবুর রস দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায় আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। লেবুর রস দিয়ে মুখে ব্রণ দূর করতে পারেন। দিনে দুইবার লেবুর রস ব্যবহার করতে পারবেন। গোসলের আগে লেবুর রস কিছুটা  ব্রণের ওপর হালকা করে লাগিয়ে রাখুন। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে গোসল করে নিন। আবার রাতে ঘুমানোর আগে অল্প করে লেবুর রস নিয়ে ব্রণের  স্থানে লাগিয়ে রাখুন। তারপরে ধুয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। 

অনেকেই একটি ভুল করে থাকেন। লেবুর এক পিস কেটে নিয়ে পুরো মুখে ডলাডলি করেন। এটি স্কিনের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এটি ত্বক রুক্ষ করে ফেলে। ত্বকের মসৃণতা হারিয়ে  যায়। এছাড়াও নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এসব থেকে বিরত থাকুন। নিয়ম অনুসারে দিনে দুইবার পরিমাণ মতো ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। 

স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় ঘরোয়া পদ্ধতিতে 

স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় ঘরোয়া পদ্ধতিতে চলুন জেনেনি। ফর্সাত্বক আমরা সকলেই আশা করি। ফর্সা ত্বক দেখতে অনেক বেশি আকর্ষণীয় হয়। এবং ফর্সা স্কিনটন আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু বাজারের কেমিক্যাল এবং নিম্নমানের কসমেটিক আমাদের স্কিনের ক্ষতি করে। তাই স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার জন্য ভেতর থেকে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পেতে হবে। আমাদের ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।

আরো পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো 2024

ভিটামিন এ, বি, সি, ই সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেতে হবে। গরম দুধের সাথে হালকা হলুদ মিশিয়ে রোজ রাতে খেয়ে ঘুমিয়ে যান। নিয়মিত হলুদ বাটা ত্বকে ব্যবহার করুন। কিনে মেলানিনের পরিমাণ যত কমবে আপনার স্ক্রিন টন ততো ব্রাইট হবে। তাই সুষম খাদ্যখান এবং ভেতর থেকে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করুন। স্কিনের যত্ন নিন। আর ঘরোয়া এই উপকরণগুলো ব্যবহার করুন আশা করছি ফলাফল পাবেন। 

মন্তব্যঃঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ দূর করার উপায় 

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ দূর করার উপায় আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে। আমি মনে করি আপনি যদি ভেতর থেকে সুন্দর এবং উজ্জ্বল হতে চান ।দাগ হীন চকচকে স্কিন পেতে চান তাহলে নিয়মিত প্রয়োজনীয় খাবার এবং ঘরোয়া পদ্ধতিতে রূপচর্চা করতে হবে। এটা কখনোই রাতারাতি সম্ভব নয় তাই আপনাকে নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে এই উপকরণগুলো। 

ভেতর থেকে কোন কিছু ঠিক করতে চাইলে সুষম খাদ্যের প্রয়োজন তাই ফলমূল ও শাক-সবজি খান। এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন ।পরিষ্কার জামাকাপড় পড়ুন। তাহলে মনের মত ফলাফল খুব দ্রুতই পেয়ে যাবেন। আপনাদের যদি আর কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন। আমি আপনাদের সকল প্রশ্নে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ পোস্টটি সম্পন্ন পরার জন্য।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডেইলি ডাইরির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url