খাঁটি মধু কিভাবে চেনা যায়


খাঁটি মধু কিভাবে চেনা যায়? আজকে আপনাদের সাথে খাঁটি মধু চেনার উপায় নিয়ে আলোচনা করবো। মধু অনেক পুষ্টিকর একটি খাবার কিন্তু আমরা চিনতে পারি না কোনটি খাঁটি মধু আর কোনটি ভেজাল যুক্ত মধু।
 
খাঁটি-মধু-কিভাবে-চেনা-যায়

মধু কেনার ক্ষেত্রে আমরা অনেকেই প্রতারণার শিকার হই ভালোমতো দেখে বাজার থেকে বাসায় আনার পরে খাওয়ার সময় বুঝতে পারি মধুর মধ্যে ভেজাল আছে তাই আজকের পোস্ট আপনাদের জন্য খাঁটি মধু চেনার উপায় জেনে নিন।

পেইজ সূচিপত্রঃ খাঁটি মধু কিভাবে চেনা যায়

খাঁটি মধু কিভাবে চেনা যায় 

খাঁটি মধু কিভাবে চেনা যায়,আমরা যারা স্বাস্থ্য সচেতন তারা এই সম্পর্কে জানতে চাই। বিভিন্ন অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য মধু যাচাই বাছাই করে নেওয়ার প্রয়োজনীয় হয়। মধুর কিছু বৈশিষ্ট্য দেখে আমরা খাঁটি মধু যাচাই করতে পারি তবে অবস্থা ভেদে বৈশিষ্ট্যের কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। তাই কিছু বিষয়ে আমাদের মাথায় রাখা প্রয়োজন। 
 
কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আছে যারা মধুর ঘনত্ব বাড়াতে এবং মধুর রং আকর্ষণীয় করতে মধুর মধ্যে সরিষার তেল মেশায়। যার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই আমাদেরকে খাঁটি মধু চেনার দক্ষতা রাখতে হবে।খাঁটি মধু চেনার জন্য শুধু অভিজ্ঞতার প্রয়োজন।যারা অনেক বেশি অভিজ্ঞ তাদের খাঁটি মধু চিনতে অসুবিধা হয় না। খাঁটি মধুর তিনটি বৈশিষ্ট্য দেখেই বোঝা যায়। 
 
খাঁটি মধু চেনার তিনটি বৈশিষ্ট্য হলো স্বাদ গন্ধ এবং বর্ণ।এই তিনটি বৈশিষ্ট্য দেখে আমরা যাচাই করতে পারি মধু খাঁটি নাকি তার মধ্যে ভেজাল আছে। খাটি মধুর গন্ধ ফুল ভেদে আলাদা হয়।তবে আপনি যদি অভিজ্ঞ হন তাহলে মধুর টেস্ট করলেই বুঝতে পারবেন।সেই পার্থক্যটা জায়গা ভেদে ফুল আলাদা হয় তেমনি স্বাদ ও বর্ণ আলাদা হয় তার মানেই সেই মধু খারাপ নয়। 

খাঁটি মধু চেনার উপায় 

খাঁটি মধু চেনার উপায়গুলো আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব।আপনাদের আগেই বলেছি অবস্থান ভেদে কিছু পার্থক্য দেখা দেয়।সেই পার্থক্য গুলো কেমন হতে পারে আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো। মধুর বর্ণ গন্ধ স্বাদ এ তিনটির ভিন্নতা দেখা দেয়। এগুলো নির্ভর করে মৌমাছি কেমন বা কি ফুল থেকে মধু সংরক্ষণ করছে।সেই মৌসুমে কি ফুল হতে পারে তার উপর। 
 
সুন্দরবনের মধুঃ
  • ১. সুন্দরবনের মধু হালকা বর্ণের হয় তবে ফুল ভেদে গাঢ় হতে পারে। কিভাবে মধু চেনা যায় এটার ক্ষেত্রে মধুর বর্ণ খুবই প্রয়োজনীয়।
  • ২. অনেকের কাছে সুন্দরবনের মধুর টেস্ট অনেকটা আখের রসের মত।
  • ৩. মধু ঘন বা পাতলা হতে পারে।মধুকে যদি হালকা ঝাঁকানো হয় তাহলে ওপরে ফেনা দেখা যায়। 
  • ৪. সুন্দরবনের মধু কখনোই জমে যায় না।তবে দীর্ঘদিন ফ্রিজে রাখা হলে মধুর গুনাগুন নষ্ট হয়ে যায়।তখন মধু অবশ্যই জমে যাবে।তাই মধু তিন চার মাসের মধ্যে খেয়ে নেওয়া উচিত ।
  • ৫. সুন্দরবনের মধু হাতে কাটা জন্য মধুর ওপর হলুদ রঙের পোলেন জমা হয়। এটা দেখে খাঁটি মধু চেনা যায়।
সরিষা ফুলের মধুঃ
  • ১. সরিষা ফুলের মধুর রং হালকা হয়।কিছুদিন পর মধুর জমে যেতে পারে।আর সরিষা ফুলের মধু জমে গেলে তখন সাদা বর্ণ হয়ে যায়। 
  • ২. সরিষা ফুলের মধুর গন্ধ অনেকটা সরিষা ফুলের মতো। মধুর ঘনত্ব গাঢ় বা হালকা হতে পারে এবং মধুর ওপর সামান্য ফেনা দেখা যায়।
  • ৩. সরিষা ফুলের মধু কারো কারো কাছে অনেক প্রিয় আবার কেউ কেউ সরিষা ফুলের মধু খেতেই পারেনা ।
  • ৪ সরিষা ফুলের মধু সারা বছর জমে থাকে। এটি সরিষা ফুলের খাঁটি মধু চেনার একটি কার্যকরী উপায়।
  • ৫. সরিষা ফুলের মধু হালকা বা গাঢ় হোক,সারা বছর জমে থাকে ।দেখতে অনেকটা ক্রিমের মতো হয় ।
কালোজিরা ফুলের মধুঃ
  • ১. কালোজিরা ফুলের মধু একটু কালচে বর্ণের হয়।
  • ২. কালোজিরা ফুলের মধু অনেকটা খেজুরের গুড়ের মত হয়। কালোজিরা ফুলের মধু চেনার সহজ উপায়।
  • ৩. কালোজিরা ফুলের মধু সাধারণত জমে যায় না তবে তার মধ্যে যদি ধনিয়া ফুলের মধু মিশে থাকে তাহলে সেই মধু জমে যেতে পারে ।
  • ৪. কালোজিরা ফুলের মধুর মধ্যে যদি ধনিয়া ফুলের মধু মিশে থাকে তাহলে মধুর গন্ধ কিছুটা দুনিয়ার মত হতে পারে।
  • ৫.কালোজিরা ফুলের মধু মধুর ঘনত্ব কম বা বেশি হতে পারে ।
লিচু ফুলের মধুঃ
  • ১. লিচু ফুলের মধুর স্বাদ অনেকটা লিচু ফলের মত । লিচু ফুলের মধু চেনার সবচাইতে সহজ উপায়।
  • ২. লিচু ফুলের মধুর ঘনত্ব কম বা বেশি হতে পারে ।
  • ৩. লিচু ফুলের মধু হালকা হয়।সামান্য ফেনা যুক্ত।তবে কয়েক মাস পর আর হালকা থাকে না গাঢ় হয়ে যায়।
  • ৪. লিচু ফুলের মধু হালকা বা গাঢ় হতে পারে।মধু যদি পাতলা হয় তাহলে জমতে একটু সময় লাগে কিন্তু যদি গাঢ় হয় তবে সেটা দ্রুত জমে যায় ।
  • ৫. বেশিরভাগ মানুষের কাছে লিচু ফুলের মধু খুবই প্রিয়। অনেকেই পছন্দ করে এই লিচু ফুলের মধু।তাই বেশিরভাগ মানুষ লিচু ফুলের মধু খোঁজে।এই মধু খেয়ে থাকে বেশি ভাগ মানুষ তবে আপনি আপনার পছন্দ মত খেতে পারেন। 

খাঁটি মধু কি ফ্রিজে জমে যায় 

খাঁটি মধু কি ফ্রিজে জমে যায় আপনারা এমন প্রশ্নের উত্তর জানতে চান।আপনাদেরকে বলে রাখি মধু কখনো ফ্রিজে রাখলে জমে যায় না।যদি খেয়াল করেন মধু ফ্রিজে রাখার পরের দিনই মধু জমে গেছে বা অল্প দিনের মধ্যেই জমে গেছে।তাহলে অবশ্যই সেই মধুর মধ্যে ভেজাল আছে।তবে আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে আপনি মধু কতদিন ধরে ফ্রিজে রাখছেন।
 
এটার উপরেই নির্ভর করে মধু খাঁটি নাকি ভেজাল আছে।দীর্ঘদিন মধু যদি ফ্রিজে রাখেন তাহলে সেই মধু অবশ্যই জমে যাবে।সেই মধুটা খাঁটি হলেও জমে যাবে কারণ দীর্ঘদিন মধু ফ্রিজে রাখার কারণে মধুর গুনাগুন নষ্ট হয়ে যায় তখন মধু জমে যায়।আপনি মধু হাতে পাওয়ার পর ফ্রিজে রেখে তিন চার মাস ধরে খেতে পারেন এতে মধু জমবে না মধুর গুনাগুন নষ্ট হবে না। 

খাঁটি মধুতে কি পিপড়া ধরে 

খাঁটি মধুতে কি পিপড়া ধরে? এই প্রশ্নটা নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেক তর্ক-বিতর্ক রয়েছে।আমরা একটা ভুল ধারণা বহন করি আমরা অনেকেই মনে করি খাঁটি মধুতে কখনোই পিঁপড়া ধরে না,মধুতে পিঁপড়া ধরলে সেইটা নকল মধু।কিন্তু না,মধুতে প্রাকৃতিক ভাবে চিনি থাকে আর চিনি থাকলে তো পিপড়া লাগবেই।তাই পিপড়া লাগলেই সেই মধু খারাপ নয় বা ভেজালযুক্ত নয়।  
 
খাঁটি-মধু-কিভাবে-চেনা-যায়

তাই দীর্ঘ সময় ধরে মধু সংরক্ষণ করলে মধুর মধ্যে পিঁপড়া দেখা দেয়।এটা নিয়ে চিন্তার কিছু নাই। তবে এটিও সত্যি কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মধুর মধ্যে চিনি মেশায় যার কারণে আমরা ধারণা করি মধুতে যদি পিঁপড়া লাগে তাহলে মধু ভেজাল যুক্ত।তবে এটার ব্যতিক্রম হতে পারে।কারণ মধু তে প্রাকৃতিক ভাবে চিনি উৎপন্ন হয়।তাই খাঁটি মধু চেনার এটা একটি কার্যকরী উপায়।

খাঁটি মধু কি পানির সাথে মিশে? 

খাঁটি মধু কি পানির সাথে মিশে? আপনারা এই প্রশ্নের উত্তর অনেকেই জানতে চান।আমাদের আশেপাশে কিছু অসৎ মানুষের জন্য আমাদের মধ্যে অনেক ভুল ধারণা ঢুকে গেছে এবং আমরা নানাভাবে প্রতারিত হই। অনেক অসাধু ব্যবসায়ী আছে যারা মধুর মধ্যে চিনি,সরিষার তেল এবং গুড় এই ধরনের জিনিস মিশিয়ে মধুর ওজন এবং কালার ঠিক করার চেষ্টা করে। অতিরিক্ত লাভের আশায়।
 
এইসব কারণে খাঁটি মধু কিনতে গেলে আমাদের মাথায় এমন নানা ধরনের প্রশ্ন আসে।তবে আপনাদেরকে বলে রাখি মধু পানির সাথে মিশবে কিনা সেটা নির্ভর করে মধুর ঘনত্বের উপরে। খাঁটি মধু গাঢ় বা হালকা হতে পারে। তাই মধু যদি হালকা হয় তাহলে অবশ্যই পানির সাথে মিশে যাবে।আর মধু হালকা মানে যে ভেজাল আছে এমনটা নয়। তাই সচেতন হয়ে মধু ক্রয় করুন। 

খাঁটি মধু কোথায় পাওয়া যায় 

খাঁটি মধু কোথায় পাওয়া যায় এই প্রশ্নের উত্তরে আমি বলব আপনারা একটু মধু কেনার আগে খোঁজ খবর নিবেন।আমাদের আশেপাশে অনেক সময় মধুর চাক কাটে।আবার এখন মাঠে সরিষা বা ধনিয়া জমির পাশে ছোট ছোট কাঠের বক্স দেখতে পাবেন।সেগুলোর মধ্যে মৌমাছি চাষ করা হয়।আপনারা সেখান থেকে সরাসরি মধুর সংরক্ষণ করতে পারেন আর যারা শহরে থাকেন।
 
তাদের জন্য তো এই সুযোগটা নেই তারা বিশ্বস্ত পেজ দেখে মধু সংরক্ষণ করতে পারেন।অবশ্যই পেজের রিভিউ টা দেখে নেবেন যারা এর আগে মধু নিয়েছে তাদের সাথে একটু যোগাযোগ করবেন।তাহলে আপনি প্রতারিত হবেন না।আশা করছি ভালো মানের খাঁটি মধু পাবেন। আমাদের বাসায় মধু  বাচ্চারাও খায়।তাই এত সাবধানতা অবলম্বন করতে হয় খাঁটি মধু কিনার ক্ষেত্রে। 

খাঁটি মধু কত টাকা কেজি 

খাঁটি মধু কত টাকা কেজি?এই প্রশ্নের উত্তরে আমি আপনাকে বলব আপনি কোথায় থেকে মধুটা সংরক্ষণ করছেন তার ওপর মধুর দাম নির্ভর করছেন।আপনি যেখানে বসবাস করছেন সেখানে যদি মধু সাধারণত পাওয়া যায় তাহলে আপনি কিছুটা কম দামে পেতে পারেন।আর আপনি যদি এমন জায়গায় বসবাস করেন সেখানে মধু পাওয়া খুব রেয়ার।

তাহলে আপনাকে একটু বেশি দাম দিয়ে মধু সংরক্ষণ করতে হবে। মৌমাছি সাধারণত চার ধরনের হয় এর মধ্যে শুধুমাত্র একটি প্রাকৃতিকভাবে মধু সংরক্ষণ করে।আর বাকি তিন প্রকার মৌমাছি চাষ করা হয়।যেই মধু প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয় সেই মধুর দাম কিছুটা বেশি হয়।চাষ করা মধুর দাম বা গুণে অনেক পার্থক্য হয় এমনটা নয়।তবে তার দাম কিছুটা কম হবে। 
 
সঠিক দাম বলা সম্ভব না।অবস্থান ভেদে আলাদা হতে পারে আপনাদের আগেই বলেছি।তবে আপনাদের একটি দামের ধারণা দিতে পারি।আপনি যদি খাঁটি মধু নিতে চান তাহলে ৫০০ গ্রাম মধুর দাম ৫৭৫ টাকা। তবে এর কম বেশি হতে পারে। খুব কম বেশি হবে না এর আশেপাশেই থাকবে।আপনারা এই দামে মধু সংরক্ষণ করতে পারেন নিজেদের জন্য এবং পরিবারের জন্য। 

মধুর রং কেমন হবে 

মধুর রং কেমন হবে এই প্রশ্নের কোন সঠিক উত্তর নেই।কারণ আপনাদের সাথে উপরে আমি একটু আগে শেয়ার করেছি ফুল ভেদে মধুর রং এবং ঘনত্ব আলাদা আলাদা হবে।আপনি যদি মনে করেন মধুর রং দেখে খাঁটি মধু যাচাই করবেন তাহলে আপনি ভুল কারণ মধুর রং হালকা থেকে গাঢ় হতে পারে। এমনকি কিছুদিন বাসায় রেখে দিলে সেটা সাদা ও হয়ে যেতে পারে।
 
খাঁটি-মধু-কিভাবে-চেনা-যায়
 
মধুর পুষ্টিকর গুনাগুন গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো। যেমন ২৫-৩৭% গ্লুকোজ থাকে, ৩৪-৪৩% ফ্রুক্টোজ থাকে, ০.৫-৩.০ পার্সেন্ট সুক্রোজ থাকে,৫-১২%  মল্টোজ  থাকে, 22% অ্যামাইনো এসিড, ২৮% খনিজ লবণ ইত্যাদি এসব উপাদানেই ভরপুর প্রাকৃতিক মধু। প্রাকৃতিক মধুতে এইসব পুষ্টিগুণাগুণের জন্য এত উপকারী। তাই আমরা নিয়ম মেনে মধু খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে পারি।

খাঁটি মধু খাওয়ার উপকারিতা 

খাঁটি মধু খাওয়ার উপকারিতা মুখে বলে প্রকাশ করা সম্ভব না।মধু খুবই ভালো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কারণ মধু সম্পন্ন প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয়। তাই আপনারা সকলেই মধু খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করবেন। মধু খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করলে আমরা নানা রকম রোগ থেকে মুক্তি পাবো আমাদের ঔষধ খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা কমে যাবে।আমরা সুস্থ জীবন যাপন করতে পারব। উপকারিতাঃ
  • ১. মধু ছোট বাচ্চার জন্য খুবই উপকারী এটি বাচ্চাদের মুখে রুচি ফেরাতে সাহায্য করে এবং ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে। 
  • ২. অভিজ্ঞরা বলে রোজ সকালে কালিজিরার সাথে মধু খাওয়া উচিত তাহলে শরীরের সকল রোগব্যাধি দূর হয় এবং একটি মানুষ নিজেকে সুস্থ এবং স্ট্রং অনুভব করে। 
  • ৩. আদা চায়ের সাথে কিছুটা মধু মিশিয়ে খেলে কাশি দূর হয়।কোন মেডিসিনের দরকার নেই এই নিয়মটি মেনে চলুন ।
  • ৪. শীতের মধ্যে মধু খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন তাহলে আপনি অতিরিক্ত ঠান্ডা থেকে মুক্তি পাবেন আপনার শরীরে গরম অনুভুতি হবে। 
  • ৫. মধু স্কিনের জন্য খুবই ভালো এটি স্কিনকে সতেজ রাখে।আমরা নানা রকম ক্ষতিকর প্রোডাক্ট ব্যবহার করি স্কিনকে তরতাজা রাখতে।কিন্তু যদি নিয়মিত মধু ব্যবহার করা যায় তাহলে আপনার স্কিন অনেক মোলায়েম হবে। 
  • ৬. মধু শরীরের দুর্বলতা দূর করে এবং ভেতর থেকে শক্তিশালী করে তোলে।তাই আপনি নিয়মিত মধু খেতে পারেন ।
  • ৭.মধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।এর এন্টিঅক্সিডেন্ট,আন্টি ইনফ্লেমেটরি এবং এন্টি ভাইরাল বৈশিষ্ট্যের কারণে শীতে ঠান্ডা, ফ্লু ,কাশি এবং গলা ব্যথার সমস্যা দেখা দিলে তার চিকিৎসায় দারুন ভাবে কার্যকারী মধু।
  • ৮. মধু ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। অনিদ্রা ,হাঁপানি, ফুসফুসের সমস্যা ,অরুচি বমি ভাব ,বুক জ্বালা রোধ করে।
  • ৯. এতে যে শর্করা থাকে তা সহজেই হজম হয় কারণ এতে যে ডেক্সট্রিন থাকে তা সরাসরি রক্তে প্রবেশ করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে ক্রিয়া করে। 
  • ১০. পেট রোগা মানুষের জন্য মধু বিশেষ উপকারী। খাঁটি মধু কিভাবে চেনা যায় এর সকল প্রসেস আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি তাই আপনার দক্ষতা দিয়ে খাঁটি মধু যাচাই করুন এবং নিজের শরীরকে সুস্থ রাখুন।

মন্তব্যঃ খাঁটি মধু কিভাবে চেনা যায় 

খাঁটি মধু কিভাবে চেনা যায় এই সম্পর্কে আজকে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি।আশা করি আপনাদের পোস্টটি পড়ে ভালো লেগেছে।আপনাদের যা জানার ইচ্ছা ছিল সেসব জানতে পেরেছেন।এরপরও যদি আপনাদের মনে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমি অবশ্যই উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব । 
 
আমাদের আশেপাশে নানা অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য, আমাদের খাটি জিনিস চিনতে এত বেশি যাচাই করতে হয়।আমরা এত রকম ভাবে প্রতারিত হই যে আমরা ভালো কিছু সামনে দেখলেও মনে মনে সন্দেহ করি যে আমরা সঠিকটা পেলাম কিনা। নাকি আবার প্রতারিত হতে যাচ্ছি। এই সমস্যার জন্য আপনাদের কিছুটা সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করেছি আশা করি উপকৃত হবেন।





এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডেইলি ডাইরির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url