আমাদের জীবনে কৃষি গুরুত্বপূর্ণ কেন

আমাদের জীবনে কৃষি গুরুত্বপূর্ণ কেন আজকে আপনাদের এই সম্পর্কে জানাবো। কৃষিকে বলা হয় উন্নয়নের মেরুদন্ড। কৃষিকাজ সম্পর্কে সকল তথ্য আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরব। এবং আপনাদের জানাবো কৃষি কাজের ইতিহাস সম্পর্কে। 

আমাদের-জীবনে-কৃষি-গুরুত্বপূর্ণ-কেন

আজকের পোস্টে আপনারা জানতে পারবেন কৃষির হাতে খড়ি থেকে শুরু করে আজকের উন্নতশীল কৃষি ব্যবস্থা সম্পর্কে। এছাড়াও আপনাদের জানাবো আমাদের জীবনে কৃষি কাজের গুরুত্ব কতটা। এবং কৃষি কাজের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে।

পেইজ সূচিপত্রঃ আমাদের জীবনে কৃষি গুরুত্বপূর্ণ কেন 

আমাদের জীবনে কৃষি গুরুত্বপূর্ণ কেন 

আমাদের জীবনে কৃষি গুরুত্বপূর্ণ কেন আজ এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। একটি উন্নতশীল জাতি গঠনের এবং কর্মসংস্থান বাড়ানোর জন্য কৃষির গুরুত্ব অপরিসীম। কৃষি কজের মাধ্যমেই গ্রামীণ জীবন এতটা উন্নত হয়েছে। শ্রম শক্তির প্রায় অর্ধেক সমসংস্থানের যোগান দিয়েছে কৃষি। কৃষিভিত্তিক গড়ে উঠেছে নানা প্রতিষ্ঠান। তাদের লক্ষ্য উন্নতশীল কৃষি। 

কৃষিকাজ আমাদের জীবনের সাথে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে। সুন্দর এবং সম্পূর্ণ জীবন কৃষিকাজ ছাড়া ভাবাই যায় না। আমাদের জীবনে কৃষির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আমাদের সকল চাহিদা পূরণের উৎস কৃষি। তাই নানান দিকে বিবেচনা করে আমাদের জীবনে কৃষি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক দিককে প্রভাবিত করে। 

স্থানীয় খাদ্য সরবরাহঃ কৃষি খাদ্য সরবরাহে এক বিরাট ভূমিকা রাখে। স্থানীয় কৃষি সমাজের জন্য নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য খাদ্য যোগান দেয়। এটি বাইরের কোন উৎসের উপর থেকে নির্ভরতা কমায়। এই প্রচেষ্টা পুরো সম্প্রদায়ের ওপর ছড়িয়ে পড়ে।নিজেদের কৃষি উন্নয়নে এবং খাদ্য সরবরাহে সাহায্য করে। আমাদের জীবনে কৃষির প্রয়োজনীয়তা বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়িয়েছ।

গ্রামীণ বাংলার উন্নয়নঃ কৃষি কাজের মধ্যে দিয়ে উন্নতি হয়েছে এ জাতি। কৃষিকাজকে কেন্দ্র করে যেন সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে গেছে। গ্রাম বাংলার এতটাই উন্নয়ন লক্ষ্য করা যায়। গ্রাম বাংলার জনগোষ্ঠী কৃষিকে তাদের মেরুদন্ড মনে করে। আরেক কৃষি কাজের মধ্যে দিয়েই অনেক সফলতা পেয়েছেন গ্রামের মানুষ। 

জীবনযাত্রার মান উন্নয়নঃ গ্রামীণ বাংলার উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নতি হয়েছে জীবন যাত্রার মানেরও। গ্রামে তৈরি হয়েছে নিরাপদ রাস্তা, স্কুল ,স্বাস্থ্যসেবা এবং নানা রকম সুবিধা পাবার  মত প্রতিষ্ঠান।

কর্মসংস্থানঃ কৃষি সংস্থান গ্রাম বাংলার মানুষের গ্রামীণ জীবন উন্নতি করার এক বড় পদক্ষেপ হচ্ছে কৃষি সংস্থা। এটি যেন নতুন উন্নতির পথ দেখিয়েছে বেকার ছেলেমেয়েদের। কৃষি কাজের মধ্যে রয়েছে খামার কর্মী, মৎস্য চাষী ,বাগান করা, এমন নানা উদ্যোগ নিয়েছে কৃষি কর্মীরা। এবং সেখানে কাজ করার সুযোগ পেয়েছে নানান কর্মী। এটি চাকরির বাজারে এক বিশাল অবদান রেখেছে। রযাস করেছে বেকারত্ব এবং অর্থনৈতিক প্রসিদ্ধ নিয়ে এসেছে। 

অর্থনৈতিক অবদানঃ গ্রামীণ জীবনে কৃষিকাজ নিয়ে এসেছে অর্থনৈতিক অবদান। গ্রাম বাংলার অর্থনৈতিক অবদানে কৃষি এগিয়ে। এটি গবাদি পশু পাখি, ফসল, মৎস্য, এবং নানা কৃষি পণ্য বিক্রয়ের মাধ্যমে আয়ের এক বিশাল মাঠ তৈরি করেছে। অর্থনৈতিক অবদান চোখে পড়লেই যেন বোঝা যায় কৃষি সার্থক। এভাবেই একজনে দেখে আরেকজন কাজের উদ্দীপ্ত হচ্ছে। 

সংস্কৃতি ঐতিহ্য কৃষিঃ কৃষি যেন এক প্রাচীন ঐতিহ্য। প্রাচীনকাল থেকে মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রমে এগিয়ে এসেছে কৃষি। প্রাচীনকাল থেকেই কৃষিকাজের এক বিশাল বিচরণ রয়েছে। কৃষিকাজ চাষাবাদ অনুশীলন খাদ্যের উৎস এবং যোগান দিয়েছে নানারকম প্রয়োজনীয়তার। ঐতিহ্যের সম্প্রদায়ের এক বিশাল অবদান রাখে এবং ধারাবাহিকতা বহুত জাগিয়ে তোলে সংস্কৃতি ঐতিহ্য কৃষি। 

উন্মুক্ত কৃষিঃ কৃষি যেন এক উন্মুক্ত কাজ। কেউ অল্প থেকে শুরু করে বিশাল জায়গা দখল করে নিয়েছে কৃষিতে। কৃষি যেমন গ্রামীণ মান উন্নয়ন করে তেমন বাহ্যিক কোন কিছুর ওপর থেকে নির্ভরতা কমিয়ে দেয়। বজায় রাখে পরিবেশের গ্রামীণ সৌন্দর্য। জীবনযাত্রা সহজ ও সুন্দর করে তোলে। 

দক্ষতার উন্নয়নঃ কৃষিকাজের মাধ্যমে অনুশীলন হয় কৃষি কাজের সদস্যদের। এটি একটি শিক্ষামূলক সাইট। যার উন্নতি নির্ভর করে অভিজ্ঞতার ওপর। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে উন্নতি হয় দক্ষতার। এবং মানুষের মনে জানান দেয় স্বাস্থ্যকর খাবার এর। প্রয়োজনের তাগিদে উন্নয়ন হয়েছে কৃষিকাজের। 

দৈনন্দিন জীবনে কৃষির প্রয়োজনীয়তা

দৈনন্দিন জীবনে কৃষির প্রয়োজনীয়তা বলে শেষ করা যাবেনা। আমরা নিজেরা একটু চিন্তা করলেই বুঝতে পারব সকাল থেকে রাত অব্দি কৃষির প্রয়োজনীয়তা কি কি ছিল। মানুষের মৌলিক উপাদান ছয়টি। যা সবগুলোর মধ্যে রয়েছে কৃষির বিচরণ। পিসি ছাড়া আমাদের জীবনযাপন করা এক কথায় অসম্ভব। কৃষি আমাদের জীবন যাত্রার মানকে উন্নয়ন করছে।

খাদ্যঃকৃষি থেকে সবচাইতে বড় পাওয়া হল খাদ্য। কৃষি আমাদের ক্ষুধা নিবারণ করে। আপনি যে খাবারটি সকালে খাচ্ছেন তা কৃষির অবদান।এভাবেই দুপুর ,রাত, সন্ধ্যা বা যে কোন নাস্তা সব সময় যেন কৃষিকে ঘিরেই আমাদের কাজকর্ম। এভাবে খাদ্যের চাহিদা মিটিয়ে চলেছে কৃষি। 

বস্ত্রঃ কৃষিতে হচ্ছে রেশম চাষ ।যা থেকে তৈরি হচ্ছে সুতা । মেটাচ্ছে আমাদের বস্ত্রের প্রয়োজনীয়তা। এক্ষেত্রে কৃষির অবদান অনেক বড় একটি জায়গা জুড়ে। কারণ নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে রপ্তানি হচ্ছে বিদেশেও যা আর্থিক অবস্থাকে সচল করছে। 

বাসস্থানঃ মাটির ঘর থেকে শুরু করে দালান কোঠা সব জায়গাতেই কৃষির প্রয়োজন হয়। ঘর ছোট হোক বা বড় তা তৈরি করতে কৃষির অবদান অনিবার্য। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে এভাবে মিশে আছে কৃষি।

শিক্ষা ও চিকিৎসাঃ গ্রামবাংলায় শিক্ষা ও চিকিৎসার উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো। কৃষিকাজের মধ্যে দিয়েই এসবের উন্নতি করা সম্ভব হয়েছে। গ্রামে তৈরি হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সেবা নেওয়ার জন্য চিকিৎসা ক্ষেত্রে। যা মিটাচ্ছে গ্রামের মানুষের চাহিদা। গ্রামের উন্নয়ন যেমন: প্রতিষ্ঠান বা রাস্তাঘাট তৈরি করার ক্ষেত্রে কৃষির অবদান সর্বোচ্চ।

বিনোদনঃ কৃষি কে মাথায় রেখে এবং এর উন্নতির লক্ষ্যে পালন করা হয় কৃষি দিবস। গ্রামে অথবা শহরে পালিত হয় নানা রকম উৎসব। পিঠা উৎসব নতুন বছরের নতুন ধান ঘরে ওঠার আনন্দে পালিত হয়। এমন নানা উৎসব গ্রামে চোখে পড়ে। 

এভাবে কৃষি আমাদের আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে আছে। কৃষি ছাড়া দৈনন্দিন জীবন আমরা ভাবতেই পারি না। আমাদের সকল প্রয়োজনের যোগান দেয় কৃষি। তাই কৃষিকে অতি যত্নে ধরে রাখা উচিত। কৃষির অবক্ষয় হলে মানবজাতি ধ্বংসের মুখে পতিত হবে। সকাল থেকে রাত অব্দি আমরা কৃষির ব্যবহার অনবরত করে চলেছি। এটি আমাদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন করছে। 

কৃষি খাত কি কি 

কৃষি খাত কি কি? চলুন দেখে নেই কৃষি খাত গলো। নানা রকম কৃষি খাতের মাধ্যমে আমরা আমাদের উন্নতি করতে পারি। এই কৃষি খাতের মাধ্যমে আমরা বাড়িতে বসে স্বাবলম্বী হতে পারি। আপনারা মাঠ কাজের পাশাপাশি বাসায় কৃষি খাতের কাজ করতে পারেন। এখনো বাসায় বা বাসার ছাদে বস্তায় অনেক শাকসবজি রোপন করছে। এমনকি বাসার ছাদে গরু পালতেও দেখা যাচ্ছে। কৃষি খাত গুলোঃ

আরো পড়ুনঃ নকশি কাঁথা সম্পর্কে তথ্য

শস্য উৎপাদনঃ মাঠের শস্য উৎপাদন করতে পারেন। কৃষির এটি সবচাইতে বড় একটি খাত। বেশিরভাগ প্রয়োজনীয়তা মেটাই আমাদের এই খাতটি। শস্য আমাদের দৈনন্দিন জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বেঁচে থাকার জন্য অনিবার্য। মানুষের পাশাপাশি পশু পাখি ও কীটপতঙ্গ সবারই শস্য প্রয়োজন

শাক সবজি উৎপাদনঃ সবজি নিত্য প্রয়োজনীয়। যে আমাদের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজন। স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের জন্য সবজি অনিবার্য। কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এখন অনেকে বাড়ির উঠানে, বাড়ির ছাদে শাকসবজি উৎপাদন করছে। নিজেদের প্রয়োজন মেটাচ্ছে পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করছে। জমিতে চাষ করার পাশাপাশি নিজেরা এমন উদ্যোগ নিতে পারেন।

প্রাণিসম্পদঃ প্রাণিসম্পদ বলতে বোঝানো হয়েছে গরু, ছাগল ,হাঁস ,মুরগি ,কবুতর ,ভেড়া ,মহিষ ইত্যাদি। নিজেরা স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য বাসায় খামার তৈরি করতে পারেন। অল্প কিছু বুঝে নিয়ে শুরু করবেন এক সময় বড় খামারের মালিক হয়ে যাবেন। নিজেদের প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি অন্যের প্রয়োজন মেটাতে পারবেন এবং স্বাবলম্বী হতে পারবেন।

বনজ সম্পদঃ বনজ সম্পদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জন্য। অপ্রয়োজনে বন জঙ্গল খেটে ফেলবেন না। বনজ সম্পদ আমাদের নানা রকম ঝড়-ঝাপটা থেকে বাচায়। এবং প্রয়োজনের যোগান দেয়। বাগান করার মাধ্যমে আপনি স্বাবলম্বী হতে পারবেন। কৃষি খাতে এর একটি বড় অবদান রয়েছে।

মৎস্য সম্পদঃ মাছের সম্পদ আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় একটি খাবার। আমাদের খাদ্য তালিকায় পরিমিত আমিষ থাকা খুবই জরুরি। তাই পুকুর ,বিল ,দিঘী চাষ করে আপনারা সাবলম্বী হতে পারবেন। এটি একটি লাভজনক খাত। এখান থেকে ভালো উপার্জন করতে পারবেন এবং স্বাবলম্বী হতে পারবেন। নিজের পাশাপাশি সবার চাহিদা মেটাতে পারবেন।

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষির গুরুত্ব 

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষির গুরুত্ব অপরিসীম। সরকারের কৃষি অনুকূল নীতি ও কৌশল গ্রহণের ফলে কৃষি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অন্যতম চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে। কৃষি খাতে যেসব সাইড রয়েছে পশুপালন মৎস্য এবং নানা কৃষি পণ্য অর্থনৈতিক আয়ের প্রধান উৎস। প্রতিকুল আবহাওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের কৃষিবিদ ও কৃষি কাজে লিপ্ত কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে কৃষিতে এত টা উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। 

বাংলাদেশের কর্মসংস্থানের সবচাইতে বড় খাত হচ্ছে কৃষি। যা তৈরি করেছে অসংখ্য মানুষের কর্মস্থান। ২০১৭-১৮ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমীক্ষা ও আদমশুমারির তথ্য মতে মোট শ্রম শক্তির প্রায় ৪০.৫০ ভাগ যোগান দিয়ে থাকে কৃষি। এবং আমাদের দেশের জিডিপিতে এর অবদান প্রায় ১৫ শতাংশ। দেশের সকল খাতের মধ্যে কৃষিতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবদান অনিবার্য। বাংলাদেশের বিশাল অংকের জনসংখ্যাআর জীবনযাপন নির্ভর করে কৃষির ওপর।

আমাদের-জীবনে-কৃষি-গুরুত্বপূর্ণ-কেন

কৃষি খাতে গুরুত্ব রয়েছে ধান পার্ট এবং গমের। পূর্বাঞ্চলে হয়ে থাকে চায়ের চাষ। বাংলাদেশের কিছু অঞ্চলের মাটি এতটাই উর্বর যে সেই এলাকাগুলোতেই এক বছরে তিনবার ধান উৎপাদন করা সম্ভব হয়। প্রতিকূল আবহাওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের কৃষি কর্মীরা পিছিয়ে নেই তাদের অর্জন চোখে পড়ার মতো। বন্যা ,অতি বৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, কোন কিছুই যেন কৃষিকে অব্যাহত করতে পারেনি। তবে প্রতিবছরই কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়ে কৃষিখাত।

বাংলাদেশের প্রধান ফসল ধান। ১৯৯৯ সালের দিকে ধান উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৩৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন। ২০০২ সালের শেষের দিকে ধানে ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক।যার ফলাফল ছিল চোখে পড়ার মত। সেই বছর থেকেই ধানের ফলন বেড়ে ১৩০০০ টন ছাড়িয়ে যায়। ধানে কীটনাশক মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর এবং দরিদ্র কৃষকদের জন্যও বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। তাই ধানের কীটনাশক এর ব্যবহার কমাতে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কাজ করে যাচ্ছে। 

এভাবেই প্রতিবছর কৃষি কাজে উন্নয়ন আনা হচ্ছে। এবং তা অবদান রাখছে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে। মানুষের কাছে কৃষির গুরুত্ব বোঝানোর জন্য এবং অর্থনৈতিক দিক সচল করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে বৃক্ষ মেলা। এর মাধ্যমে মানুষ উপলব্ধি করতে পারে কৃষির গুরুত্ব। কৃষি মেলার মাধ্যমেও মানুষ অনেক সচেতন হয়েছে এবং কৃষি উন্নয়নে এগিয়ে আসছে। আর এতে আমাদের অর্থনৈতিক ভাবে অনেক কল্যাণজনক।

বাংলাদেশের উন্নয়নে কৃষির ভূমিকা 

বাংলাদেশের উন্নয়নে কৃষির ভূমিকা সর্বোচ্চ। কৃষি উন্নয়নে উন্নয়ন হচ্ছে আমাদের বাংলাদেশ। আধুনিক জীবনের সন্ধান পাচ্ছি আমরা। কৃষি মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে আরো উন্নতশীল করে তুলছে। কৃষি কে আরো উন্নয়ন করার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে কৃষিবিদরা। আমাদের বাংলাদেশের রয়েছে বেশ কয়েকটি গবেষণাগার। ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট রয়েছে। 

কৃষি নিয়ে পড়াশোনা ও জানার আগ্রহে  সাফল্যের চূড়ান্ত পৌঁছে দিতে বাংলাদেশে নির্মাণ করা হয়েছে আটটি সরকারি কৃষি ইউনিভার্সিটি। বেকারত্ব দূর হয়েছে তৈরি হয়েছে কর্মসংস্থান। শহরের পাশাপাশি গ্রামের উন্নয়ন গুলোও চোখে পড়ার মতো গ্রামে তৈরি হয়েছে রাস্তাঘাট প্রতিষ্ঠান এবং সেবা নেওয়ার জন্য চিকিৎসালয়। আগে যেমন গ্রামের মানুষের কোন প্রয়োজনে শহরে আসতে হতো। এখন তাদের প্রয়োজন তারা গ্রামের মেটাতে পারে। 

প্রতিষ্ঠান গুলোর পাশাপাশি আমরা অর্জন করছি প্রতি বছর বৈদেশিক মুদ্রা। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বাইরের দেশের রপ্তানি করা হচ্ছে। কৃষি খাত থেকে পা অমূল্য সম্পদ হলো আমাদের সফলতা এনে দিচ্ছে। তাই কৃষির অবদান সবার শীর্ষে। কৃষিকে কেন্দ্র করে গ্রামের মা-বোনরাও হতে পারছে স্বাবলম্বী। নিজেদের মতো হাঁস-মুরগি গরু ছাগলের খামার তৈরি করছে স্বল্প পুঁজি দিয়ে। এভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের বাংলাদেশ। 

কৃষি কাজের ইতিহাস 

কৃষি কাজের ইতিহাস রচনা হয় অনেক বছর আগে। প্রাচীনকাল থেকেই কৃষি নিয়ে মানুষের গবেষণার শেষ নেই। কৃষিকাজের ইতিহাসের সূত্রপাত হয়েছিল হাজার হাজার বছর আগে। বিশ্বের প্রায় ১০ টি অঞ্চলে স্বাধীনভাবে গাছপালা চাষ করা হয়। কৃষিকাজের হাতে খড়ি মেয়েদের হাত ধরে। আদি মানব চাষের কৌশল জানার আগে তারা বনের ফলমূল এবং কাঁচা মাংস খেতো।

আরো পড়ুনঃঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রন দূর করার উপায়

ফল খাওয়ার পর যে বীজগুলো পড়ে থাকতো সেখান থেকে নতুন করে গাছ উঠত। এটা প্রথমে মেয়েরা লক্ষ্য করে। তারপর সেই বীজ বপন করা শুরু হয়। মেয়েরা বীজগুলো সংরক্ষণ করে ফাঁকা জমিতে লাগিয়ে রাখে। তারপর খেয়াল করে সেখান থেকে গাছ উঠছে। এভাবেই শুরু হয় কৃষি। মেয়েরা শুরু করলেও কৃষির বেশিরভাগ দায়িত্ব ছেলেরাই পালন করে থাকে। এটা ছিল শুরুর দিকের ঘটনা।

বাংলাদেশের কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট শতাধিক বছরের পুরনো ইতিহাস। কৃষি কাজ হলো মানুষের দ্বারা তৈরি বস্ত্রতন্ত্র এবং উদ্ভিদ বা প্রাণী দ্বারা তৈরি সক্রিয় উৎপাদন। কৃষিকাজের সাথে জড়িয়ে আছে অজস্র মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রম। কৃষি কাজের ইতিহাস অনেক পরিশ্রমের সাথে শুরু হলেও এখন অনেকটাই উন্নয়ন লক্ষ্য করা যায়। প্রয়োজনের তাই দিয়ে মানুষ মানুষের নিজস্বতা আবিষ্কার করেছে। খুঁজে পেয়েছে বেঁচে থাকার অমূল্য রতন। যার নাম কৃষি। 

কৃষি কাজের উৎপত্তি হয়েছিল কেন 

কৃষি কাজের উৎপত্তি হয়েছিল কেন? বেঁচে থাকার তাগিদেই কৃষি কাজের উৎপত্তি হয়েছিল। কৃষি কাজের বিকাশের কারণেই মানুষ টিকে থাকতে সক্ষম হয়েছে। এটি পশু শিকার এবং ফল সংরক্ষণ থেকে বহু গুণের ভালো একটি উদ্যোগ। বিশ্বের বিভিন্ন অংশের স্বাধীনভাবে কৃষি কার্য শুরু হয়েছে। সহজভাবে বেঁচে থাকার জন্য এবং সকল প্রয়োজন মেটানোর জন্য কৃষি কোন ব্যতিক্রম কিছু নেই।

প্রয়োজন মেটাতে এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে কৃষি কাজের উৎপত্তি। বেঁচে থাকার জন্য কৃষিকাজ অনিবার্য। কৃষিকাজ শুরুর দিকে অনেক কঠিন ছিল। কৃষির ফসল এবং অন্যান্য পণ্য উৎপাদন একটি বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি। কিন্তু তার শুরুটা হয়েছিল খুবই সাধারণ ভাবে। গবেষণার মাধ্যমে তার ফলাফল এবং উৎপাদন কয়েকগুণ বাড়ানো সম্ভব হয়েছে। বেঁচে থাকার জন্য এবং বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয় সকল কিছুর তাগিদেই কৃষি কাজের উৎপত্তি হয়েছিল। 

কৃষি কাজে কি কি পরিবর্তন এসেছে 

কৃষিকাজে কি কি পরিবর্তন এসেছে? কৃষিকাজে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে এবং ব্যয় কমাত কৃষি কাজে দিন দিন বাড়ছে আধুনিকতা। বেড়েছে যন্ত্রের ব্যবহার। দীর্ঘ সময়ের কাজ চোখের নিমিষেই শেষ হয়ে যায়। বাংলাদেশে এমন অনেক অঞ্চল রয়েছে যে একই বছরে তিনবার ধান চাষ করা হয় একই জমিতে। এছাড়াও নানান পরিবর্তন চোখে পড়ার মতো। 

আমাদের-জীবনে-কৃষি-গুরুত্বপূর্ণ-কেন

জমি চাষ করার জন্য নানান রকম যন্ত্রের ব্যবহার হয়। ফসল লাগানো থেকে তুলে আনার কাজগুলো ছিল খুব সময় সাপেক্ষ তা এখন অতি সহজ হয়ে গেছে। যন্ত্রের ব্যবহারের মাধ্যমে জমিতেই ধান কেটে মাড়াই ঝাড়াই করে বস্তা ভর্তি করে বাড়ি আনা যায়। জমির সেচের মেশিন জমিতে প্রে করার মেশিন এছাড়াও নানা পদ্ধতিতে ফসলের জমিতে কাজ করা হয়। 

আবহাওয়ার নানা রকম রোগ দেখতে পাই আমরা। অতিবৃষ্টি ,আনা বৃষ্টি খরা এই প্রতিকূল মুহূর্তে গুলোতে মোকাবেলা করে ফসল উৎপাদন করে থাকে কৃষি কর্মী। আবহাওয়ার বিরূপ রূপের জন্য কিছুটা ক্ষয়ক্ষতিও চোখে পড়ে। তবুও পিছিয়ে নেই কৃষি। যন্ত্রের ব্যবহারের মাধ্যমে এক আমূল পরিবর্তন এসেছে কৃষি কাজে। যা কৃষিকে অনেকটাই সহজ করে দিয়েছে। এবং কৃষিকাজে আগ্রহী হচ্ছে অনেকেই। 

কৃষিতে উৎপাদনে বৃদ্ধির উপায় 

কৃষিতে উৎপাদনের বৃদ্ধির উপায় আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব। পিসি আমাদের জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের জীবনকে আধুনিকতার শীর্ষে পৌঁছে দিচ্ছে। আমরা উন্নতিশীল জীবন যাপন করতে পারছি। কৃষি কাজের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কয়েকটি বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। তাহলে আমরা সর্বোচ্চ ফলাফল পাব। এবং কাজে আগ্রহী হব।

আরো পড়ুনঃ ঘুম কমানোর উপায়

ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিঃ আমাদের ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। আর ভালো ফসলের জন্য দরকার উর্বর মাটি ভালো বীজ এবং ফসলের ভালোভাবে দেখাশোনা। তাহলেই ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব। 

গৃহপালিত প্রাণীঃ আমরা যারা গ্রামে থাকি তাদের বাড়িতে কমবেশি গৃহপালিত প্রাণী দেখা যায়। আমাদের জীবনে কৃষি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আর কিসের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে গৃহপালিত পশু-পাখি পালন করা একটি দারুন উপায়। আমরা বাড়িতে হাঁস, মুরগি ,কবুতর,গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়া ইত্যাদি পালন করতে পারি।

দক্ষতা বাড়ানোঃ কাজ করার পাশাপাশি আমাদের দিনের পর দিন দক্ষতা বাড়ানো উচিত। আমাদের খেয়াল রাখতে হবে খরচের দিকেও। অল্প খরচ করে ভালো ফলন নিয়ে আসতে হবে। বীজের সঠিক ব্যবহার করতে হবে ।অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো না। নিজের পরিমাণ ঠিক থাকলে ফসলও ভালো হবে আরও ব্যায় কমবে।

কীটনাশক এর ব্যবহারঃ কীটনাশকের ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। মাত্রা অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার করা উচিত নয়। এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত কীটনাশক ফসলের জন্যও ক্ষতিকর। আর এটি ব্যয়বহুল তাই কীটনাশকের মাত্রা কমিয়ে দিন। প্রয়োজনের বাহিরে কীটনাশক ব্যবহার করবেন না। ঘরোয়া উপায়ে চেষ্টা করুন সমস্যার সমাধান করতে। 

মূল্যবান ফসলের চাষ বৃদ্ধি করতে হবেঃ যেসব ফসলের দাম মাত্রা অতিরিক্ত। চাহিদার তুলনায় চাষ কম হয় সেই সব ফসলের দিকে আমাদের মনোযোগ দেওয়া উচিত। এটা কৃষক লাভবান হবে এবং মানুষ তার সাধ্যের মধ্যে প্রয়োজনের উপকরণগুলো পেয়ে যাবে। 

কৃষকের ন্যায্য মূল্যঃ কৃষক যেন ন্যায্য মূল্য পায় তা সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের কৃষক ভাইরা ন্যায্য মূল্য পায়না এজন্য তারা চাষের ক্ষেত্রে উদাসীন হয়। তাদের চাষ করার আগ্রহ কমে যায়। মনে রাখবেন কৃষক চাষ করছ বলেই আমরা আমাদের প্রয়োজনের জিনিসপত্র হাতের কাছে পেয়ে যাচ্ছি। 

চাষের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ হওয়াঃ যে ফসলটা আপনি চাষ করবেন সেটা নিয়ে যথেষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে আপনার। আপনি যদি নতুন বাগান করতে চান তাহলে সেই ফল বা সেই সবজি সম্পর্কে সম্পূর্ণটা জানুন তারপর সেই অনুযায়ী কাজ করুন এতে ফলন ভালো পাবেন। 

সঠিক বীজ নির্বাচন করাঃ কথায় আছে ফল কেমন গাছে পরিচয়। তাই মনে রাখবেন বীজ যদি ভালো হয় ফলন ভালো হবে। বীচে নির্বাচনে পারদর্শী হন এবং মন মত ফসল ঘরে তুলুন।

চারা রোপনঃ অনেকেই মনে করেন ঘন করে চারা রোপন করলে ফলন বেশি হবে। কিন্তু না সেই ফসলটা মাটির নিচে বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য তার জায়গার প্রয়োজন। তাই নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখুন। এতে অল্প চালাতে বেশি ফলন পাবেন। এবং সঠিক সময়ের মধ্যে রোপন সম্পন্ন করুন।

মাটির উর্বরতাঃ মাটির উর্বরতার দিকে খেয়াল রাখবেন। কারন মাটি ভালো হলে তবেই ভালো ফলন হবে। তাই সার, পাউস ,জৈব সার দিয়ে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করুন।

পরামর্শ নিনঃ আপনার কোন সমস্যা হলে আপনি কৃষিবিদদের কাছে পরামর্শ নিতে পারেন। কৃষি সার্ভিস নাম্বারে কল করে আপনি আপনার সমস্যার সমাধান পেতে পারেন। এছাড়াও কৃষি সার্ভিসে নানা সাইড আছে যেখানে আপনি আপনার ফসলের ছবি তুলে সমস্যার কথা জানাতে পারেন।

চাষের জমির ক্ষয়ঃ দিনদিন জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং চাষের জমির পরিমাণও কমে যাচ্ছে। চাষের জমি নষ্ট করবেন না। বন উজাড় করবেন না। এতে আমরা নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি করছি। 

সঠিক সময়ে ফসল ঘরে তোলাঃ সঠিক সময়ে ফসল ঘরে চলতে হবে। অনেক সময় আমাদের ফসল আবহাওয়ার প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পড়ে। এতে ফলন কমে যায়। তাই সঠিক সময় বীজ বোপন করুন এবং সঠিক সময় ফসল ঘরে তুলুন।

কৃষি কাজের উন্নতি 

কৃষি কাজের উন্নতি খুবই প্রয়োজন। আধুনিক জীবনের সাথে কৃষিকাজের উন্নতি ও বাড়ানো উচিত। এতে আমাদের জীবন যাত্রার মান উন্নত হবে। বাহিরের দেশগুলোতে আরো এগিয়ে গেছে কৃষিকাজ। তাই কৃষিকাজকে আমাদের সঠিক মূল্যায়ন করা উচিত। একটি দেশ কৃষিতে উন্নয়নশীল হলে তবেই প্রকৃতভাবে উন্নতি অর্জন করতে পারবে। প্রয়োজনীয় সকল উপকরণ দেশেই উৎপন্ন করা গেলে আর বাইরে থেকে রপ্তানি করার প্রয়োজন হবে না। 

নানা রকম ধানের বীজ বের হয়েছে ।সকল ফসলের বীজ উন্নত করা হচ্ছে যেন ফলন ভালো হয়। ফলন বাড়ানোর সাথে প্রযুক্তিগতভাবেও উন্নতি করা দরকার। এতে সময় কম লাগবে এবং ফলন ভালো হবে। মাটির উর্বরতা বাড়ানো। এক জমিতে একই ফসল বারবার চাস না করা। কৃষির কাজের উন্নতিতে আমাদের সকলের এগিয়ে আসা উচিত। আর এটি একটি অমূল্য সম্পদ।

মন্তব্যঃ আমাদের জীবনে কৃষি গুরুত্বপূর্ণ কেন 

আমাদের জীবনে কৃষি গুরুত্বপূর্ণ কেন আজকে এটা নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করেছি। আমরা নিজেরা চিন্তা করলেই দেখতে পাবো আমাদের সকল প্রয়োজনীয় জিনিসের যোগান দিচ্ছে কৃষি। তাই কৃষকের ছোট করে না দেখে সকলের এগিয়ে আসা উচিত কিসের উন্নয়নের জন্য। একটি দেশের কৃষির যত উন্নত সেই দেশ তত বেশি উন্নতশীল।

সাম্প্রদায়িক এবং সামাজিক উন্নয়নের পেছনে কৃষির অবদান অপরিসীম। গ্রাম বাংলার প্রেক্ষাপটে কৃষি সবচাইতে বেশি এগিয়ে। তাই আপনারাও চেষ্টা করবেন কৃষিকাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। আশা করি আজকের পোস্টে আপনি আপনার সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন। এরপরে যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন। আমি অবশ্যই উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ডেইলি ডাইরির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url